আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৭৪
সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করা।
৪৭৪ । নাফে (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) যখন সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করতেন (দৌড়াতেন) তখন সাফা পাহাড় থেকে সাঈ শুরু করতেন। তিনি পাহাড়ের এতোটা উপরে উঠতেন যে, বাইতুল্লাহ শরীফ দেখা যেতো এবং তিনবার 'আল্লাহু আকবার' বলতেন। অতঃপর তিনি বলতেনঃ

لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ ....... كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

“আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নাই। রাজত্ব তাঁরই এবং যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য। তিনি জীবিত করেন এবং মৃত্যু ঘটান। তিনি সর্ববিষয়ে শক্তিমান”।
তিনি তা সাতবার করতেন। এতে তাকবীর হতো একুশবার এবং দোয়া হতো সাতবার। এর মাঝে দোয়া পড়তেন এবং আল্লাহর কাছে আরাধনা করতেন। অতঃপর তিনি নেমে আসতেন। ফের নীচে নেমে এসে ধীরগতিতে হেঁটে উপত্যকার মাঝখানে এসে যেতেন, অতঃপর হ্যাঁটতে হ্যাঁটতে মারওয়া পাহাড়ে পৌঁছে যেতেন এবং তার উপরে উঠতেন। অতঃপর সাফা পাহাড়ের উপর যা করেছিলেন, এখানেও তাই করতেন। এভাবে তিনি সাতবার সাঈ করে অবসর হতেন। আমি তাকে সাফা পাহাড়ের উপর এই দোয়া করতে শুনেছিঃ
اللَّهُمَّ إِنَّكَ قُلْتَ ...... وَأَنَا مُسْلِمٌ

“হে আল্লাহ! তুমি বলেছো, 'তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো'। আর তুমি অবশ্যি ওয়াদা ভঙ্গ করো না। আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি, যেমন তুমি আমাদের ইসলামের দিকে পথ দেখিয়েছো, এই পথ থেকে আমাকে মৃত্যুদান করা পর্যন্ত বিচ্যুত করো না । আমি যেন মুসলিমরূপে মরতে পারি।”
بَابُ: السَّعْيِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا طَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ بَدَأَ بِالصَّفَا فَرَقِيَ حَتَّى يَبْدُوَ لَهُ الْبَيْتُ، وَكَانَ يُكَبِّرُ ثَلاثَ تَكْبِيرَاتٍ ثُمَّ يَقُولُ: لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، يَفْعَلُ ذَلِكَ سَبْعَ مَرَّاتٍ فَذَلِكَ إِحْدَى وَعِشْرُونَ تَكْبِيرَةً وَسَبْعُ تَهْلِيلاتٍ، وَيَدْعُو فِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ، وَيَسْأَلُ اللَّهَ تَعَالَى ثُمَّ يَهْبِطُ، فَيَمْشِي حَتَّى إِذَا جَاءَ بَطْنَ الْمَسِيلِ سَعَى حَتَّى يَظْهَرَ مِنْهُ، ثُمَّ يَمْشِي حَتَّى يَأْتِيَ الْمَرْوَةَ فَيَرْقَى فَيَصْنَعَ عَلَيْهَا مِثْلَ مَا صَنَعَ عَلَى الصَّفَا، يَصْنَعُ ذَلِكُ سَبْعَ مَرَّاتٍ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْ سَعْيِهِ، وَسَمِعْتُهُ يَدْعُو عَلَى الصَّفَا: اللَّهُمَّ إِنَّكَ قُلْتَ: ادُّعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ، وَإِنَّكَ لا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ وَإِنِّي أَسْأَلُكَ كَمَا هَدَيْتَنِي لِلإِسْلامِ أَنْ لا تَنْزِعَهُ مِنِّي حَتَّى تَوَفَّانِي وَأَنَا مُسْلِمٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৭৫
সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করা।
৪৭৫। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সাফা পর্বত থেকে নামতেন, তখন স্বাভাবিক গতিতে হ্যাঁটতেন। কিন্তু যখন সমতল ভূমিতে এসে যেতেন, তখন তা অতিক্রম করা পর্যন্ত দৌড়ে চলতেন। রাবী বলেন, তিনি সাফা ও মারওয়া পর্বতদ্বয়ের উপর তিনবার করে তাকবীর ধ্বনি করতেন এবং একবার করে তালবিয়া পাঠ করতেন। তিনি এই নিয়মে তিনবার সাঈ করতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা উল্লেখিত সব নিয়ম অনুযায়ী আমল করি। কোন ব্যক্তি যখন সাফা পর্বতে আরোহণ করবে, তখন তাকবীর বলবে, তালবিয়া পাঠ করবে এবং দোয়া করবে। অতঃপর সে হেঁটে হেঁটে সেখান থেকে নেমে আসবে এবং সমতল ভূমিতে পৌঁছা পর্যন্ত এভাবেই চলবে, অতঃপর দৌড়িয়ে মাঠ অতিক্রম করবে, মাঠের শেষ প্রান্তে পৌঁছে আবার স্বাভাবিক গতিতে হ্যাঁটবে এবং এভাবে মারওয়া পর্যন্ত পৌঁছে যাবে; অতঃপর পর্বতে আরোহণ করবে এবং তাকবীর বলবে, তালবিয়া পাঠ করবে এবং দোয়া করবে। এই নিয়মে দুই পর্বতের মাঝে সাতবার সাঈ করতে হবে এবং প্রত্যেকবার দৌড়ে সমতল ভূমি অতিক্রম করতে হবে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং সকল ফিকহবিদের এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ " حِينَ هَبَطَ مِنَ الصَّفَا مَشَى حَتَّى إِذَا انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ فِي بَطْنِ الْمَسِيلِ سَعَى حَتَّى ظَهَرَ مِنْهُ، قَالَ: وَكَانَ يُكَبِّرُ عَلَى الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثَلاثًا، وَيُهَلِّلُ وَاحِدَةً، يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاثَ مَرَّاتٍ "، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، إِذَا صَعِدَ الرَّجُلُ الصَّفَا كَبَّرَ وَهَلَّلَ وَدَعَا، ثُمَّ هَبَطَ مَاشِيًا حَتَّى يَبْلُغَ بَطْنَ الْوَادِي، فَيَسْعَى فِيهِ، حَتَّى يَخْرُجَ مِنْهُ، ثُمَّ يَمْشِيَ مَشْيًا عَلَى هِينَتِهِ، حَتَّى يَأْتِيَ الْمَرْوَةَ فَيَصْعَدَ عَلَيْهَا، فَيُكَبِّرَ وَيُهَلِّلَ وَيَدْعُوَ، يَصْنَعُ ذَلِكَ بَيْنَهُمَا سَبْعًا، يَسْعَى فِي بَطْنِ الْوَادِي فِي كُلِّ مَرَّةٍ مِنْهُمَا وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান