আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৬৪
হজ্জ অথবা উমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় প্রবেশের পূর্বে অথবা পরে কোন মহিলার মাসিক ঋতু আরম্ভ হলে তার বিধান।
৪৬৪। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) বলতেন, যে মহিলা হাযেয় অবস্থায় হজ্জ অথবা উমরার জন্য ইহরাম বাঁধে, সে যখন ইচ্ছা তার হজ্জ অথবা তার উমরার জন্য তালবিয়া পাঠ করবে। কিন্তু সে হায়েয থেকে পাক না হওয়া পর্যন্ত বাইতুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করবে না। সে তাওয়াফ এবং সাঈ ছাড়া লোকদের সাথে অন্যান্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে। সে মসজিদে হারামের কাছেও যাবে না। হায়েয থেকে পাক হওয়ার পর কাবাঘর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ না করা পর্যন্ত সে ইহরামমুক্ত হতে পারবে না।
بَابُ: الْمَرْأَةِ تَقْدَمُ مَكَّةَ بِحَجٍّ أَوْ بِعُمْرَةٍ فَتَحِيضُ قَبْلَ قُدُومِهَا أَوْ بَعْدَ ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ: «الْمَرْأَةُ الْحَائِضُ الَّتِي تُهِلُّ بِحَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ تُهِلُّ بِحَجَّتِهَا، أَوْ بِعُمْرَتِهَا إِذَا أَرَادَتْ، وَلَكِنْ لا تَطُوفُ بِالْبَيْتِ، وَلا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى تَطَّهَّرَ، وَتَشْهَدَ الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا مَعَ النَّاسِ غَيْرَ أَنَّهَا لا تَطُوفُ بِالْبَيْتِ، وَلا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَلا تَقْرَبُ الْمَسْجِدَ، وَلا تُحِلُّ حَتَّى تَطُوفَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৫
হজ্জ অথবা উমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় প্রবেশের পূর্বে অথবা পরে কোন মহিলার মাসিক ঋতু আরম্ভ হলে তার বিধান।
৪৬৫। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি হায়েয অবস্থায় মক্কায় উপনীত হলাম। ফলে আমি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করতে পারলাম না। আমি এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে অভিযোগ করলাম। তিনি বলেনঃ বাইতুল্লাহ তাওয়াফ ব্যতীত হাজীদের সাথে আর সব অনুষ্ঠান পালন করো এবং পাক হওয়ার পর বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا قَالَتْ: " قَدِمْتُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ، وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ، وَلا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: افْعَلِي مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطَّهَّرِي
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৬
হজ্জ অথবা উমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় প্রবেশের পূর্বে অথবা পরে কোন মহিলার মাসিক ঋতু আরম্ভ হলে তার বিধান।
৪৬৬। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমরা বিদায় হজ্জের বছর রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে রওয়ানা হলাম। আমরা উমরার জন্য ইহরাম বাঁধলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ "যার সাথে কোরবানীর পশু আছে সে যেন একই সাথে হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাঁধে, অতঃপর হজ্জ ও উমরা উভয়ের অনুষ্ঠান শেষ করার পর ইহরাম খুলবে।” আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি হায়েয অবস্থায় মক্কায় পৌঁছলাম। তাই আমি বাইতুল্লাহ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করতে পারলাম না। এ সম্পর্কে আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে জানালাম। তিনি বলেনঃ তোমার মাথার চুল খুলে ফেলো, তাতে চিরুণি করো এবং হজ্জের ইহরাম বাঁধো ও উমরা ত্যাগ করো। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি তাই করলাম। যখন হজ্জের অনুষ্ঠানাদি শেষ করলাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে আমার ভাই আব্দুর রহমানের সাথে তানঈম পাঠিয়ে দিলেন।১ আমি সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে এসে উমরা করলাম। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “তোমার সেই উমরার পরিবর্তে এই উমরা।” কিন্তু যেসব লোক উমরার জন্য ইহরাম বেঁধেছিল, তারা তাওয়াফ ও সাঈ করার পর ইহরামমুক্ত হয়ে গেলো। অতঃপর তারা যখন মিনা থেকে ফিরে এলো, হজ্জের জন্য দ্বিতীয়বার তাওয়াফ করলো। আর যেসব লোক হজ্জ ও উমরা উভয়ের জন্য একত্রে ইহরাম বেঁধেছিল, তারা একবার মাত্র তাওয়াফ করলো।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীসের উপর আমল করি। হায়েযগ্রস্ত মহিলারা তাওয়াফ ও সাঈ ব্যতীত হজ্জের আর সব অনুষ্ঠান পালন করবে। অতঃপর যখন পাক হবে তখন উল্লেখিত দু’টি অনুষ্ঠান পালন করবে। সে যদি উমরার ইহরাম বেঁধে থাকে এবং হজ্জ ছুটে যাওয়ার আশংকা হয়, তবে উমরার ইহরাম ভঙ্গ করে হজ্জের ইহরাম বাঁধবে এবং আরাফাতের মাঠে উপস্থিত হবে। অতঃপর হজ্জের অনুষ্ঠানাদি শেষ করে সে পরিত্যক্ত উমরার কাযা করবে, যেভাবে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) কাযা করেছেন। কোরবানীর জন্য যে পশু পাওয়া যাবে সে তা কোরবানী করবে। আমাদের কাছে এই রিওয়ায়াত পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ আয়েশা (রাযিঃ)-র পক্ষ থেকে একটি গরু কোরবানী করেছেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-ও উল্লেখিত সব ব্যাপারে একই মত পোষণ করেন। কিন্তু একটি ব্যাপারে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কিরান হজ্জ করবে সে দুই তাওয়াফ ও দুই সাঈ করবে।২
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ، فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهِلَّ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، ثُمَّ لا يُحِلَّ حَتَّى يُحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا» ، قَالَتْ: " فَقَدِمْتُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ، وَلا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ وَدَعِي الْعُمْرَةَ "، قَالَتْ: فَفَعَلْتُ، فَلَمَّا قَضَيْتُ الْحَجَّ، أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ إِلَى التَّنْعِيمِ فَاعْتَمَرْتُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَذِهِ مَكَانَ عُمْرَتِكِ» ، وَطَافَ الَّذِينَ حَلُّوا بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ طَافُوا طَوَافًا آخَرَ بَعْدَ أَنْ رَجَعُوا مِنْ مِنًى، وَأَمَّا الَّذِينَ كَانُوا جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، الْحَائِضُ تَقْضِي الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا غَيْرَ أَنْ لا تَطُوفَ، وَلا تَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى تَطَّهَّرَ، فَإِنْ كَانَتْ أَهَلَّتْ بِعُمْرَةٍ فَخَافَتْ فَوْتَ الْحَجِّ فَلْتُحْرِمْ بِالْحَجِّ، وَتَقِفْ بِعَرَفَةَ، وَتَرْفُضِ الْعُمْرَةَ، فَإِذَا فَرَغَتْ مِنْ حَجِّهَا قَضَتِ الْعُمْرَةَ كَمَا قَضَتْهَا عَائِشَةُ، وَذَبَحَتْ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ، بَلَغَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَبَحَ عَنْهَا بَقَرَةً، وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، إِلا مَنْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ، فَإِنَّهُ يَطُوفُ طَوَافَيْنِ وَيَسْعَى سَعْيَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান