আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৩১
ইহরাম বাঁধার পর কেউ যদি হজ্জ করতে সক্ষম না হয় ।
৪৩১। সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। হাব্বার ইবনুল আসওয়াদ (রাযিঃ) কোরবানীর দিন উমার (রাযিঃ)-র কাছে আসলেন। হযরত উমার (রাযিঃ) তখন নিজের উট কোরবানী করছিলেন। তিনি বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আমরা তারিখ গণনায় ভুল করেছি। আমরা মনে করেছিলাম, আজ আরাফাতের দিন। উমার (রাযিঃ) তাকে বলেন, তুমি তোমার সাথের লোকদের নিয়ে মক্কায় যাও এবং সাতবার বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করো, সাতবার সাফা-মারওয়ার মাঝখানে সাঈ করো এবং তোমার সাথে কোরবানীর পশু থাকলে তা কোরবানী করো, অতঃপর মাথা কামাও বা চুল খাট করো এবং বাড়ি ফিরে যাও। অতঃপর আগামী বছর হজ্জের জন্য আসো এবং কোরবানী করো। যে ব্যক্তি কোরবানীর পশু সংগ্রহ করতে না পারবে, সে যেন হজ্জ চলাকালে তিন দিন এবং বাড়ি ফেরার পর সাত দিন রোযা রাখে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত। কিন্তু একটি ক্ষেত্রে ভিন্নমত রয়েছে। তা হচ্ছে, আগামী বছর তাদের জন্য কোরবানী করা এবং রোযা রাখা বাধ্যতামূলক নয়। আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র কাছে হজ্জ ছুটে যাওয়া ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন, “সে উমরা করে হালাল হয়ে যাবে এবং পরবর্তী বছর তাকে হজ্জ করতে হবে।” তিনি কোরবানীর উল্লেখ করেননি। অতএব আমি একই বিষয় সম্পর্কে যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-র কাছে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও উমার (রাযিঃ)-র অনুরূপ জওয়াব দিলেন। ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। আর কেমন করেই বা তার উপর কোরবানী ওয়াজিব হতে পারে অথবা কোরবানীর পশু না পাওয়া গেলে রোযা বাধ্যতামূলক হতে পারে? কেননা সে তো হজ্জের মাসে তামাত্তু হজ্জ করেনি।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত। কিন্তু একটি ক্ষেত্রে ভিন্নমত রয়েছে। তা হচ্ছে, আগামী বছর তাদের জন্য কোরবানী করা এবং রোযা রাখা বাধ্যতামূলক নয়। আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র কাছে হজ্জ ছুটে যাওয়া ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন, “সে উমরা করে হালাল হয়ে যাবে এবং পরবর্তী বছর তাকে হজ্জ করতে হবে।” তিনি কোরবানীর উল্লেখ করেননি। অতএব আমি একই বিষয় সম্পর্কে যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-র কাছে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও উমার (রাযিঃ)-র অনুরূপ জওয়াব দিলেন। ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। আর কেমন করেই বা তার উপর কোরবানী ওয়াজিব হতে পারে অথবা কোরবানীর পশু না পাওয়া গেলে রোযা বাধ্যতামূলক হতে পারে? কেননা সে তো হজ্জের মাসে তামাত্তু হজ্জ করেনি।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ هَبَّارَ بْنَ الأَسْوَدِ جَاءَ يَوْمَ النَّحْرِ، وَعُمَرُ يَنْحَرُ بُدْنَهُ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَخْطَأْنَا فِي الْعِدَّةِ كُنَّا نُرَى أَنَّ هَذَا الْيَوْمَ يَوْمَ عَرَفَةَ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: اذْهَبْ إِلَى مَكَّةَ فَطُفْ بِالْبَيْتِ سَبْعًا، وَبَيْنَ الصَّفَا، وَالْمَرْوَةِ سَبْعًا، أَنْتَ وَمَنْ مَعَكَ وَانْحَرْ هَدْيًا إِنْ كَانَ مَعَكَ، ثُمَّ احْلِقُوا، أَوْ قَصِّرُوا، وَارْجَعُوا فَإِذَا كَانَ قَابِلٌ فَحُجُّوا، وَاهْدُوا، فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَيَصُمْ ثَلاثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ، وَسَبْعَةً إِذَا رَجَعْتُمْ "، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا إِلا فِي خَصْلَةٍ وَاحِدَةٍ، لا هَدْيَ عَلَيْهِمْ فِي قَابِلٍ، وَلا صَوْمٍ، وَكَذَلِكَ رَوَى الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: سَأَلْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ عَنِ الَّذِي يَفُوتُهُ الْحَجُّ؟ فَقَالَ: يَحِلُّ بِعُمْرَةٍ، وَعَلَيْهِ الْحَجُّ مِنْ قَابِلٍ، وَلَمْ يَذْكُرْ هَدْيًا، ثُمَّ قَالَ: سَأَلْتُ بَعْدَ ذَلِكَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَقَالَ: مِثْلَ مَا قَالَ عُمَرُ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَكَيْفَ يَكُونُ عَلَيْهِ هَدْيٌ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَالصِّيَامُ وَهُوَ لَمْ يَتَمَتَّعْ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান