আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৮৭
তালবিয়া পাঠ বন্ধ করার বর্ণনা ।
৩৮৭। মুহাম্মাদ ইবনে আবু বাকর আস-ছাকাফী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি এবং আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) সকাল বেলা মিনা থেকে আরাফাতের দিকে যাচ্ছিলেন। মুহাম্মাদ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে এই দিন কি কি কাজ করতেন? তিনি বলেন, আমাদের কেউ সশব্দে তালবিয়া পাঠ করতো, আবার কেউ তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করতো। এদের কারো কাজকেই বাধা দেয়া হতো না।
بَابُ: مَتَى تُقْطَعُ التَّلْبِيَةُ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الثَّقَفِيُّ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ، أَنَّهُ سَأَلَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ وَهُمَا غَادِيَانِ إِلَى عَرَفَةَ: كَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْيَوْمِ؟ قَالَ: «كَانَ يُهِلُّ الْمُهِلُّ، فَلا يُنْكَرُ عَلَيْهِ، وَيُكَبِّرُ الْمُكَبِّرُ، فَلا يُنْكَرُ عَلَيْهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮
তালবিয়া পাঠ বন্ধ করার বর্ণনা ।
৩৮৮। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, আমি লোকদের তালবিয়া এবং তাকবীর উভয়ই পাঠ করতে দেখেছি। তবে আমরা তাকবীর বলতাম। ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি যে, আজকের দিন তালবিয়া পাঠ করা ওয়াজিব। তবে কখনো তাকবীর বলাতে কোন দোষ নেই। কিন্তু নির্দিষ্ট স্থানে তালবিয়া পাঠ করতেই হবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: «كُلُّ ذَلِكَ قَدْ رَأَيْتُ النَّاسَ يَفْعَلُونَهُ، فَأَمَّا نَحْنُ فَنُكَبِّرُ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: بِذَلِكَ نَأْخُذُ عَلَى أَنَّ التَّلْبِيَةَ هِيَ الْوَاجِبَةُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ إِلا أَنَّ التَّكْبِيرَ لا يُنْكَرُ عَلَى حَالٍ مِنَ الْحَالاتِ وَالتَّلْبِيَةِ لا يَنْبَغِي أَنْ تَكُونَ إِلا فِي مَوْضِعِهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৯
তালবিয়া পাঠ বন্ধ করার বর্ণনা ।
৩৮৯। নাফে (রাহঃ) বলেন, (হজ্জের ইহরাম অবস্থায়) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) হজ্জের দিন হেরেম শরীফে প্রবেশ করে তাওয়াফ (কাবাঘর প্রদক্ষিণ) এবং সাঈ (সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝখানে দৌড়ানো) করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ বন্ধ রাখতেন, অতঃপর আবার তালবিয়া শুরু করতেন। অতঃপর সকাল বেলা যখন তিনি মিনা থেকে আরাফাতের দিকে যেতেন, তখন তালবিয়া পাঠ পুনরায় বন্ধ করে দিতেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ «يَدَعُ التَّلْبِيَةَ إِذَا انْتَهَى إِلَى الْحَرَمِ حَتَّى يَطُوفَ بِالْبَيْتِ، وَالصَّفَا وَالْمَرْوَةَ، ثُمَّ يُلَبِّيَ حَتَّى يَغْدُوَ مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَةَ، فَإِذَا غَدَا تَرَكَ التَّلْبِيَةَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯০
তালবিয়া পাঠ বন্ধ করার বর্ণনা ।
৩৯০। আয়েশা (রাযিঃ) যখন আরাফাতের দিকে যেতেন, তখন তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عَائِشَةَ «كَانَتْ تَتْرُكُ التَّلْبِيَةَ إِذَا رَاحَتْ إِلَى الْمَوْقِفِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯১
তালবিয়া পাঠ বন্ধ করার বর্ণনা ।
৩৯১। আলকামা (রাহঃ) থেকে তার মায়ের (মারজানা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি (মারজানা) বলেন, আয়েশা (রাযিঃ) আরাফাতে পৌঁছে নামেরা নামক স্থানে তাঁবু ফেলতেন। অতঃপর এখান থেকে অগ্রসর হয়ে আরাক নামক স্থানে তাঁবু ফেলতেন। তিনি যখন নিজ অবস্থান স্থানে থাকতেন, তখন তিনি ও তার সঙ্গীরা তালবিয়া পাঠ করতেন। যখন তিনি আরাফাতে আসার জন্য সওয়ারীতে উঠতেন, তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতেন। হজ্জের পর তিনি মক্কায় অবস্থান করতেন এবং মুহাররমের নতুন চাঁদ উঠার আগেই মক্কা ত্যাগ করে আল-জুহফায় চলে আসতেন । নতুন চাঁদ উঠা পর্যন্ত তিনি এখানেই অবস্থান করতেন। মুহাররমের চাঁদ উঠার পর তিনি সেখানে থেকে উমরা করার জন্য ইহরাম বাঁধতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ইফরাদ অথবা কিরান হজ্জের ইহরাম বাঁধবে, সে কোরবানীর দিন জামরায় প্রথম পাথর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করবে। এরপর তালবিয়া পাঠ বন্ধ করবে। আর যে ব্যক্তি শুধু উমরার জন্য ইহরাম বাঁধবে, সে তাওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানী (হাজারে আসওয়াদ) স্পর্শ করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকবে । এর সমর্থনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এবং আরো কতক সাহাবীর আছার (কর্মনীতি) বিদ্যমান রয়েছে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের আর সব ফিকহবিদেরও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ইফরাদ অথবা কিরান হজ্জের ইহরাম বাঁধবে, সে কোরবানীর দিন জামরায় প্রথম পাথর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করবে। এরপর তালবিয়া পাঠ বন্ধ করবে। আর যে ব্যক্তি শুধু উমরার জন্য ইহরাম বাঁধবে, সে তাওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানী (হাজারে আসওয়াদ) স্পর্শ করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকবে । এর সমর্থনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এবং আরো কতক সাহাবীর আছার (কর্মনীতি) বিদ্যমান রয়েছে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের আর সব ফিকহবিদেরও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ أَبِي عَلْقَمَةَ، أَنَّ أُمَّهُ أَخْبَرَتْهُ، أَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ «تَنْزِلُ بِعَرَفَةَ بِنَمِرَةَ، ثُمَّ تَحَوَّلَتْ فَنَزَلَتْ فِي الأَرَاكِ، فَكَانَتْ عَائِشَةُ تُهِلُّ مَا كَانَتْ فِي مَنْزِلِهَا، وَمَنْ كَانَ مَعَهَا فَإِذَا رَكِبَتْ وَتَوَجَّهَتْ إِلَى الْمَوْقِفِ تَرَكَتِ الإِهْلالَ، وَكَانَتْ تُقِيمُ بِمَكَّةَ بَعْدَ الْحَجِّ، فَإِذَا كَانَ قَبْلَ هِلالِ الْمُحَرَّمِ خَرَجَتْ حَتَّى تَأْتِيَ الْجُحْفَةَ، فَتُقِيمَ بِهَا حَتَّى تَرَى الْهِلالَ، فَإِذَا رَأَتِ الْهِلالَ أَهَلَّتْ بِالْعُمْرَةِ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: مَنْ أَحْرَمَ بِالْحَجِّ، أَوْ قَرَنَ لَبَّى حَتَّى يَرْمِيَ الْجَمْرَةَ بِأَوَّلِ حَصَاةٍ رَمَى يَوْمَ النَّحْرِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ يَقْطَعُ التَّلْبِيَةَ، وَمَنْ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ مُفْرَدَةٍ لَبَّى حَتَّى يَسْتَلِمَ الرُّكْنَ لِلطَّوَافِ، بِذَلِكَ جَاءَتِ الآثَارُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَغَيْرِهِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান