আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৫২
বেতের নামায।
২৫২। আবু মুররা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কি নিয়মে বেতের নামায পড়তেন? রাবী বলেন, তিনি নীরব থাকলেন। তিনি পুনরায় তাকে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তুমি যদি চাও আমি কিভাবে পড়ি তা তোমাকে অবহিত করতে পারি। রাবী বলেন, আমাকে অবহিত করুন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আমি যখন এশার নামায পড়ি, তখন এরপর পাঁচরাকআত নামায পড়ি, অতঃপর ঘুম যাই। আবার রাতে যদি জাগতে পারি তবে দুই রাকআত করে নামায (এক সালামে) পড়তে থাকি । যদি ভোর হয়ে যায়, তবে ভোর হতেই বেতের পড়ে নেই ।
بَابُ: الْوِتْرِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ، أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ: كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوتِرُ؟ قَالَ: فَسَكَتَ، ثُمَّ سَأَلَهُ، فَسَكَتَ، ثُمَّ سَأَلَهُ، فَقَالَ: إِنْ شِئْتَ أَخْبَرْتُكَ كَيْفَ أَصْنَعُ أَنَا؟ قَالَ: أَخْبِرْنِي، قَالَ: «إِذَا صَلَّيْتُ الْعِشَاءَ صَلَّيْتُ بَعْدَهَا خَمْسَ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ أَنَامُ فَإِنْ قُمْتُ مِنَ اللَّيْلِ صَلَّيْتُ مَثْنَى مَثْنَى، فَإِنْ أَصْبَحْتُ أَصْبَحْتُ عَلَى وِتْرٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৩
বেতের নামায।
২৫৩। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) এক রাতে মক্কায় অবস্থারত ছিলেন। রাতের আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। তিনি ভোর হয়ে যাওয়ার আশংকা করে এক রাকআত বেতের পড়েন। অতঃপর মেঘ কেটে গেলো এবং তিনি বুঝতে পারলেন যে, রাত এখনো বাকী আছে। তখন আরো এক রাকআত পড়ে তা দুই রাকআত করলেন। অতঃপর তিনি দুই দুই রাকআত করে নামায পড়লেন। অতঃপর যখন ভোর হওয়ার আশংকা করলেন, তখন তিনি এক রাকআত বেতের পড়লেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা আবু হুরায়রা (রাহঃ)-র মত গ্রহণ করেছি। বেতের নামায পড়ার পর পুনরায় এক রাকআত পড়ে তাকে জোড়ায় পরিণত করাকে আমরা ঠিক মনে করি না। বরং কোন ব্যক্তি বেতের পড়ার পর তা ভঙ্গ করবে না, বরং বেতের পড়ার পর যতো নফল নামায পড়তে পারে। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা আবু হুরায়রা (রাহঃ)-র মত গ্রহণ করেছি। বেতের নামায পড়ার পর পুনরায় এক রাকআত পড়ে তাকে জোড়ায় পরিণত করাকে আমরা ঠিক মনে করি না। বরং কোন ব্যক্তি বেতের পড়ার পর তা ভঙ্গ করবে না, বরং বেতের পড়ার পর যতো নফল নামায পড়তে পারে। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّهُ كَانَ ذَاتَ لَيْلَةٍ بِمَكَّةَ، وَالسَّمَاءُ مُتَغَيِّمَةٌ فَخَشِيَ الصُّبْحَ، فَأَوْتَرَ بِوَاحِدَةٍ، ثُمَّ انْكَشَفَ الْغَيْمُ، فَرَأَى عَلَيْهِ لَيْلا، فَشَفَعَ بِسَجْدَةٍ ثُمَّ صَلَّى سَجْدَتَيْنِ، سَجْدَتَيْنِ، فَلَمَّا خَشِيَ الصُّبْحَ أَوْتَرَ بِوَاحِدَةٍ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِقَوْلِ أَبِي هُرَيْرَةَ نَأْخُذُ، لا نَرَى أَنْ يَشْفَعَ إِلَى الْوِتْرِ بَعْدَ الْفَرَاغِ مِنَ صَلاةِ الْوِتْرِ، وَلَكِنَّهُ يُصَلِّي بَعْدَ وِتْرِهِ مَا أَحَبَّ، وَلا يَنْقُضُ وِتْرَهُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّه

তাহকীক:
তাহকীক চলমান