আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৯৬
গন্তব্যস্থানে পৌঁছে কসর করা সম্পর্কে।
১৯৬। ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, আমি যতোক্ষণ কোথাও অবস্থান করার নিয়াত না করবো, ততোক্ষণ কসর করতে থাকবো, অনিশ্চয়তায় বারো দিন চলে গেলেও।
بَابُ: الْمُسَافِرِ يَدْخُلُ الْمِصْرَ أَوْ غَيْرَهُ مَتَى يُتِمَّ الصَّلاةَ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: «أُصَلِّي صَلاةَ الْمُسَافِرِ مَا لَمْ أُجْمِعْ مُكْثًا، وَإِنْ حَبَسَنِي ذَلِكَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৯৭
গন্তব্যস্থানে পৌঁছে কসর করা সম্পর্কে।
১৯৭। সালেম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। উমার (রাযিঃ) যখন মক্কায় যেতেন, তখন মুসাফির অবস্থায় লোকদের নামাযে ইমামতি করতেন । দুই রাকআত নামায পড়ার পর তিনি লোকেদের বলতেন, হে মক্কার অধিবাসীগণ! তোমরা তোমাদের অবশিষ্ট নামায পূর্ণ করো, কেননা আমরা মুসাফির।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ كَانَ إِذَا قَدِمَ مَكَّةَ صَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَالَ: «يَا أَهْلَ مَكَّةَ أَتِمُّوا صَلاتَكُمْ فَإِنَّا قَوْمٌ سَفْرٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৯৮
গন্তব্যস্থানে পৌঁছে কসর করা সম্পর্কে।
১৯৮। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) ১০ দিন পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করতেন এবং নামায কসর করতেন। কিন্তু তিনি যদি (স্থানীয় ইমামের সাথে) জামাআতে নামায পড়তেন তবে পূর্ণ নামাযই পড়তেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي نَافِعُ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّهُ كَانَ يُقِيمُ بِمَكَّةَ عَشْرًا، فَيَقْصُرُ الصَّلاةَ إِلا أَنْ يَشْهَدَ الصَّلاةَ مَعَ النَّاسِ، فَيُصَلِّي بِصَلاتِهِمْ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৯৯
গন্তব্যস্থানে পৌঁছে কসর করা সম্পর্কে।
১৯৯। হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি সালেম ইবনে আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞেস করলেন, কোন মুসাফির নিশ্চিত জানে না যে, সে কবে প্রস্থান করবে, এই আজ যাই, কাল যাই, বরং এই মুহূর্তে যাচ্ছি, এভাবে অনেক দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। সে কি কসর করবে, না পূর্ণ নামায পড়বে? তিনি বলেন, সে কসর করতে থাকবে, অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে একমাস কেটে গেলেও।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে মুসাফির ব্যক্তি শহরে প্রবেশ করে কসর করতে থাকবে, যদি সে ১৫ দিনের কম সময় অবস্থান করার নিয়াত করে। কিন্তু ১৫ দিনের বা তার অধিক সময় অবস্থান করার সংকল্প করলে সে পুরা নামায পড়বে (কসর করবে না)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে মুসাফির ব্যক্তি শহরে প্রবেশ করে কসর করতে থাকবে, যদি সে ১৫ দিনের কম সময় অবস্থান করার নিয়াত করে। কিন্তু ১৫ দিনের বা তার অধিক সময় অবস্থান করার সংকল্প করলে সে পুরা নামায পড়বে (কসর করবে না)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، " أَنَّهُ سَأَلَ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الْمُسَافِرِ إِذَا كَانَ لا يَدْرِي مَتَى يَخْرُجُ يَقُولُ: أَخْرُجُ الْيَومَ، بَلْ أَخْرُجُ غَدًا، بَلِ السَّاعَةَ، فَكَانَ كَذَلِكَ حَتَّى يَأْتِيَ عَلَيْهِ لَيَالٍ كَثِيرَةٌ أَيَقْصُرُ، أَمْ مَا يَصْنَعُ؟ قَالَ: يَقْصُرُ وَإِنْ تَمَادَى بِهِ ذَلِكَ شَهْرًا ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: نَرَى قَصْرَ الصَّلاةِ إِذَا دَخَلَ الْمُسَافِرُ مِصْرًا مِنَ الأَمْصَارِ، وَإِنْ عَزَمَ عَلَى الْمُقَامِ، إِلا أَنْ يَعْزِمَ عَلَى الْمُقَامِ خَمْسَةَ عَشْرَ يَوْمًا فَصَاعِدًا، فَإِذَا عَزَمَ عَلَى ذَلِكَ أَتَمَّ الصَّلاةَ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: نَرَى قَصْرَ الصَّلاةِ إِذَا دَخَلَ الْمُسَافِرُ مِصْرًا مِنَ الأَمْصَارِ، وَإِنْ عَزَمَ عَلَى الْمُقَامِ، إِلا أَنْ يَعْزِمَ عَلَى الْمُقَامِ خَمْسَةَ عَشْرَ يَوْمًا فَصَاعِدًا، فَإِذَا عَزَمَ عَلَى ذَلِكَ أَتَمَّ الصَّلاةَ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০০
গন্তব্যস্থানে পৌঁছে কসর করা সম্পর্কে।
২০০। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি (কমপক্ষে) চার দিন অবস্থান করার সংকল্প করে, সে পূর্ণ নামায পড়বে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করিনি। বরং মুসাফির যতোক্ষণ (কমপক্ষে) ১৫ দিনের অবস্থান করার নিয়াত না করবে, কসর করতে থাকবে। ইবনে উমার (রাযিঃ) ও সাঈদ ইবনে যুবায়ের প্রমুখের এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করিনি। বরং মুসাফির যতোক্ষণ (কমপক্ষে) ১৫ দিনের অবস্থান করার নিয়াত না করবে, কসর করতে থাকবে। ইবনে উমার (রাযিঃ) ও সাঈদ ইবনে যুবায়ের প্রমুখের এই মত।
أخبرنا مالك، أخبرنا عطاء الخراساني، قال: قال سعيد بن المسيب «من أجمع على إقامة أربعة أيام فليتم الصلاة» .
قال محمد: ولسنا نأخذ بهذا، يقصر المسافر حتى يجمع على إقامة خمسة عشر يوما، وهو قول ابن عمر، وسعيد بن جبير، وسعيد بن المسيب.
قال محمد: ولسنا نأخذ بهذا، يقصر المسافر حتى يجمع على إقامة خمسة عشر يوما، وهو قول ابن عمر، وسعيد بن جبير، وسعيد بن المسيب.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০১
গন্তব্যস্থানে পৌঁছে কসর করা সম্পর্কে।
২০১। নাফে (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) যখন মিনায় স্থানীয় লোকদের সাথে জামাআতে নামায পড়তেন, তখন চার রাকআত পড়তেন। কিন্তু তিনি একাকী নামায পড়লে দুই রাকআত পড়তেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। ইমাম যদি মুকীম হয় এবং মুক্তাদী নুসাফির হয় তবে সে কসর করবে না, বরং ইমামের সাথে পূর্ণ নামায পড়বে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-রও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। ইমাম যদি মুকীম হয় এবং মুক্তাদী নুসাফির হয় তবে সে কসর করবে না, বরং ইমামের সাথে পূর্ণ নামায পড়বে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-রও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي مَعَ الإِمَامِ أَرْبَعًا، وَإِذَا صَلَّى لِنَفْسِهِ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، إِذَا كَانَ الإِمَامُ مُقِيمًا، وَالرَّجُلُ مُسَافِرًا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، إِذَا كَانَ الإِمَامُ مُقِيمًا، وَالرَّجُلُ مُسَافِرًا، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান