আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১০১
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১০১। নাফে (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) নামায শুরু করতে তার উভয় হাত তার দুই কাঁধ পর্যন্ত উত্তোলন করতেন। অনুরূপভাবে তিনি যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন তখনও তার দুই হাত পূর্বের চেয়ে একটু কম উপরে উঠাতেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ كَانَ «إِذَا ابْتَدَأَ الصَّلاةَ، رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكبَيْهِ، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا دُونَ ذَلِكَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০২
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১০২। ওয়াব ইবনে কাইসান (রাহঃ) বলেন যে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আল-আনসারী (রাযিঃ) তাদেরকে নামাযের তাকবীর শিক্ষা দিতেন। তিনি আমাদের নির্দেশ দিতেন, আমরা যেন আমাদের প্রতিটি নিচু হওয়ার এবং সোজা হওয়ার সময় তাকবীর বলি ।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ، «أَنَّهُ يُعَلِّمُهُمُ التَّكْبِيرَ فِي الصَّلاةِ، أَمَرَنَا أَنْ نُكَبِّرَ كُلَّمَا خَفَضْنَا، وَرَفَعْنَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০৩
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১০৩। ইমাম যয়নুল আবেদীন (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রতিটি ঝোঁকা ও উঠার সময় 'আল্লাহু আকবার' বলতেন। মহামহিম আল্লাহর সাথে মিলিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি এরূপ আমল করেছেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهُ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ، وَكُلَّمَا رَفَعَ، فَلَمْ تَزَلْ تِلْكَ صَلاتُهُ حَتَّى لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০৪
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১০৪। আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) যখনই নামাযে ঝুঁকতেন এবং সোজা হতেন, তখন 'আল্লাহু আকবার' বলতেন। তিনি নামায থেকে অবসর হয়ে বলেন, আল্লাহর শপথ! তোমাদের সবার তুলনায় আমার নামায রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর নামাযের সাথে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ , أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ «كَانَ يُصَلِّي بِهِمْ، فَكَبَّرَ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ، ثُمَّ انْصَرَفَ» ، قَالَ: وَاللَّهِ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১০৫
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১০৫। নুআইম আল-মুজমার ও আবু জাফর আল-কারী (রাহঃ) বলেন যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) যখন তাদের নামায পড়াতেন, তখন প্রতিবার নিচু হওয়া ও সোজা হওয়ার সময় তাকবীর বলতেন । আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, তিনি নামায শুরু করার সময় এবং তাকবীর বলার সময় তার উভয় হাত উপরে তুলতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, নামাযে প্রতিটি ঝোঁকা ও সোজা হওয়া এবং উভয় সিজদায় যাবার সময় ও উঠার সময় তাকবীর বলা সুন্নত। কিন্তু রফউল ইয়াদাইন অর্থাৎ দুই হাত কান পর্যন্ত উঠানো শুধু একবার, নামায শুরু করার সময়, তাকবীরে তাহরীমার সময়। এছাড়া নামিযে আর কোথাও রফউল ইয়াদাইন করবে না। এ সবই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-র অভিমত । এর সমর্থনে প্রচুর সংখ্যক হাদীস রয়েছে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي نُعَيْمٌ الْمُجْمِرُ، وَأَبُو جَعْفَرٍ الْقَارِئُ «أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يُصَلِّي بِهِمْ، فَكَبَّرَ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ» ، قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: «وَكَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حِينَ يُكَبِّرُ، وَيَفْتَحُ الصَّلاةَ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: السُّنَّةُ أَنْ يُكَبِّرَ الرَّجُلُ فِي صَلاتِهِ كُلَّمَا خَفَضَ وَكُلَّمَا رَفَعَ، وَإِذَا انْحَطَّ لِلسُّجُودِ كَبَّرَ، وَإِذَا انْحَطَّ لِلسُّجُودِ الثَّانِي كَبَّرَ.
فَأَمَّا رَفْعُ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلاةِ فَإِنَّهُ يَرْفَعُ الْيَدَيْنِ حَذْوَ الأُذُنَيْنِ فِي ابْتِدَاءِ الصَّلاةِ مَرَّةً وَاحِدَةً، ثُمَّ لا يَرْفَعُ فِي شَيْءٍ مِنَ الصَّلاةِ بَعْدَ ذَلِكَ، وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَفِي ذَلِكَ آثَارٌ كَثِيرَةٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১০৬
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১০৬। আসেম ইবনে কুলাইব আল-জারমী (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)-কে কেবল ফরয নামাযে প্রথম তাকবীরে তার দুই হাত উপরে উঠাতে দেখেছি। এরপর আর কোথাও তিনি রফউল ইয়াদাইন করেননি।
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ الْجَرْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: رَأَيْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ «رَفَعَ يَدَيْهِ فِي التَّكْبِيرَةِ الأُولَى مِنَ الصَّلاةِ الْمَكْتُوبَةِ، وَلَمْ يَرْفَعْهُمَا فِيمَا سِوَى ذَلِكَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০৭
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১০৭। ইবরাহীম আন-নাখঈ (রাহঃ) বলেন, তাকবীরে উলা (তাহরীমা) ছাড়া নামাযে আর কোথাও তুমি রফউল ইয়াদাইন করবে না।
قَالَ مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، قَالَ: «لا تَرْفَعْ يَدَيْكَ فِي شَيْءٍ مِنَ الصَّلاةِ بَعْدَ التَّكْبِيرَةِ الأُولَى»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০৮
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১০৮। হুসাইন ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেন, আমি ও আমর ইবনে মুররা ইবরাহীম নাখঈর কাছে আসলাম। আমর বললেন, আলকামা ইবনে ওয়াইল আল-হাদরামী তার পিতার সূত্রে আমাদের বলেছেন যে, “তিনি (ওয়াইল আল-হাদরামী) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে নামায পড়েছেন । তিনি তাঁকে তাকবীরে তাহরীমার সময়, রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ থেকে উঠার সময় রফউল ইয়াদাইন করতে দেখেছেন।” ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ) বলেন, আমার মনে হয় তিনি হয়তো এই এক দিনই রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে নামায পড়তে ও রফউল ইয়াদাইন করতে দেখেছেন এবং এটাই স্মৃতিতে ধরে রেখেছেন। অন্যথায় আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এবং তার কোন সঙ্গী তাকবীরে উলার পর নামাযে আর কোথাও হাত উপরে তুলেছেন বলে আমি শুনিনি।
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَعَمْرُو بْنُ مُرَّةَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، قَالَ عَمْرُو , حَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ الْحَضْرَمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، فَرَآهُ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا كَبَّرَ، وَإِذَا رَكَعَ، وَإِذَا رَفَعَ» ، قَالَ إِبْرَاهِيمُ: مَا أَدْرِي لَعَلَّهُ لَمْ يَرَ النَّبِيّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي إِلا ذَلِكَ الْيَوْمَ فَحَفِظَ هَذَا مِنْهُ، وَلَمْ يَحْفَظْهُ ابْنُ مَسْعُودٍ وَأَصْحَابُهُ مَا سَمِعْتُهُ مِنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ، إِنَّمَا كَانُوا يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ فِي بَدْءِ الصَّلاةِ حِينَ يُكَبِّرُونَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০৯
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১০৯। আব্দুল আযীয ইবনে হাকীম (রাহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-কে নামায শুরু করার সময় প্রথম তাকবীরে তার দুই কান বরাবর তার দুই হাত উঠাতে দেখেছি। তিনি এছাড়া আর কোথাও রফউল ইয়াদাইন করেননি।
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ حَكِيمٍ، قَالَ: «رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حِذَاءَ أُذُنَيْهِ فِي أَوَّلِ تَكْبِيرَةِ افْتِتَاحِ الصَّلاةِ، وَلَمْ يَرْفَعْهُمَا فِيمَا سِوَى ذَلِكَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১০
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১১০। আসেম ইবনে কুলাইব আল-জারমী (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি আলী (রাযিঃ)-র সহচর ছিলেন। আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) কেবল নামায শুরু করার তাকবীর বলার সময় রফউল ইয়াদাইন করতেন। এরপর নামাযে আর কোথাও তিনি হাত উত্তোলন করতেন না।
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ النَّهْشَلِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ الْجَرْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ , أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، كَرَّمَ اللَّهُ وَجْهَهُ، كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي التَّكْبِيرَةِ الأُولَى الَّتِي يَفْتَتِحُ بِهَا الصَّلاةَ، ثُمَّ لا يَرْفَعُهُمَا فِي شَيْءٍ مِنَ الصَّلاةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১১
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১১১। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) কেবল নামায শুরু করার সময় রফউল ইয়াদাইন করতেন।
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا الثَّوْرِيُّ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ , أَنَّهُ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاةَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১২
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১১২। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করা নামায থেকে অবসর হয়ে বলেনঃ “তোমাদের কেউ আমার সাথে কিরাআত পাঠ করেছে কি? এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি (পড়েছি)। রাবী বলেন, তিনি বললেনঃ এজন্যই তো আমি মনে বলছিলাম, কিরাআত আমার কাছে জটিল লাগছে কেন? (রাবী বলেন), এই কথা শোনার পর লোকজন 'উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করা নামাযে' রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর পিছনে কিরাআত পাঠ করা থেকে বিরত থাকে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنِ ابْنِ أُكَيْمَةَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " انْصَرَفَ مِنْ صَلاةٍ جَهَرَ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ، فَقَالَ: هَلْ قَرَأَ مَعِيَ مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ؟ فَقَالَ الرَّجُلُ: أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: فَقَالَ: إِنِّي أَقُولُ مَا لِي أُنازَعَ الْقُرْآنَ "؟ فَانْتَهَى النَّاسُ عَنِ الْقِرَاءَةِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا جَهَرَ بِهِ مِنَ الصَّلاةِ حِينَ سَمِعُوا ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১১৩
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১১৩। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। কোন ব্যক্তি ইমামের পিছনে কিরাআত পড়বে কিনা এ সম্পর্কে ইবনে উমার (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “তোমাদের কেউ যখন ইমামের সাথে নামায পড়ে, তখন তার জন্য ইমামের কিরাআতই যথেষ্ট”। ইবনে উমার (রাযিঃ) ইমামের পিছনে কিরাআত পড়তেন না ।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا سُئِلَ هَلْ يَقْرَأُ أَحَدٌ مَعَ الإِمَامِ؟ قَالَ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ مَعَ الإِمَامِ، فَحَسْبُهُ قِرَاءَةُ الإِمَامِ، وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ لا يَقْرَأُ مَعَ الإِمَامِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১১৪
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১১৪। ওয়াব ইবনে কাইসান (রাহঃ) বলেন যে, তিনি জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি এক রাআত নামায পড়লো এবং তাতে উম্মুল কুরআন (সূরা ফাতিহা) পাঠ করলো না, সে নামাযই পড়লো না। তবে ইমামের সাথে নামায পড়লে স্বতন্ত্র কথা।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ: «مَنْ صَلَّى رَكْعَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِ أُمِّ الْقُرْآنِ، فَلَمْ يَصُلِّ إِلا وَرَاءَ الإِمَامِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১১৫
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১১৫। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি নামায পড়লো কিন্তু তাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করলো না তার নামায ব্যর্থ মূল্যহীন, তার নামায ব্যর্থ ও মূল্যহীন এবং অসম্পূর্ণ। আবুস সায়েব (রাহঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আবু হুরায়রা! আমি কখনো ইমামের পিছনে নামায পড়ি। তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আমার বাহুতে খোঁচা মেরে বলেন, হে পারস্যবাসী! তুমি তা মনে মনে পাঠ করো। আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছিঃ মহামহিম আল্লাহ বলেনঃ আমি নামাযকে আমার ও আমার বান্দার মাঝে দুই ভাগে বিভক্ত করেছি। এর অর্ধেক আমার এবং অর্ধেক আমার বান্দার । আর আমার বান্দা যা চায় তা তার প্রাপ্য। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ অতএব তোমরা (নামাযে সূরা ফাতিহা) পাঠ করো । বান্দা যখন বলে, “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সারা জাহানের মালিক” তখন মহান আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে”। বান্দা যখন বলে, “তিনি করুণাময়, পরম দয়ালু” তখন মহান আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দা আমার গুণগান করেছে”। বান্দা বলে, “তিনি বিচার দিনের মালিক”, মহান আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দা আমার উপযুক্ত সম্মান দান করেছে”। বান্দা বলে, “আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি এবং কেবল তোমারই সাহায্য চাই”, তখন আল্লাহ বলেন, “এই আয়াতটি আমার ও আমার বান্দার মাঝে সমভাবে বণ্টিত এবং আমার বান্দা যা প্রার্থনা করে তাকে তাই দেয়া হয়”। বান্দা বলে, “আমাদের সরল পথ দেখাও, সেইসব বান্দাদ পথ যাদের তুমি নিয়ামত দান করেছো, যারা অভিশপ্ত নয় এবং পথভ্রষ্টও নয়", তখন আল্লাহ বলেন, এ সবই আমার বান্দার জন্য এবং আমার বান্দা যা প্রার্থনা করে তা তার প্রাপ্য”।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করা নামায হোক অথবা অস্পষ্ট স্বরে কিরাআত পাঠ করা নামায, কোন অবস্থায়ই মুক্তাদীগণ ইমামের পিছনে কিরাআত পড়বে না। এর সমর্থনে বহু সংখ্যক হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-রও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي الْعَلاءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ مَوْلَى الْحُرَقَةِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا السَّائِبِ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ صَلَّى صَلاةً لَمْ يَقْرَأُ فِيهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَهِيَ خِدَاجٌ هِيَ خِدَاجٌ هِيَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ»
قَالَ: قُلْتُ: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، إِنِّي أَحْيَانًا أَكُونُ وَرَاءَ الإِمَامِ؟ قَالَ: فَغَمَزَ ذِرَاعِي , وَقَالَ: يَا فَارِسِيُّ، اقْرَأْ بِهَا فِي نَفْسِكِ، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: «قَسَمْتُ الصَّلاةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ، فَنِصْفُهَا لِي، وَنِصْفُهَا لِعَبْدِي، وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ» ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اقْرَءُوا، يَقُولُ الْعَبْدُ: {الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الفاتحة: 2] ، يَقُولُ اللَّهُ: حَمِدَنِي عَبْدِي، يَقُولُ الْعَبْدُ: {الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 3] ، يَقُولُ اللَّهُ: أَثْنَى عَلَيَّ عَبْدِي، يَقُولُ الَعَبْدُ: {مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ} [الفاتحة: 4] ، يَقُولُ اللَّهُ: مَجَّدَنِي عَبْدِي، يَقُولُ الْعَبْدُ: {إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ} [الفاتحة: 5] ، فَهَذِهِ الآيَةُ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي، وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ، يَقُولُ الْعَبْدُ: {اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ {6} صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 6-7] ، فَهَؤُلاءِ لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ " , قَالَ مُحَمَّدٌ: لا قِرَاءَةَ خَلْفَ الإِمَامِ فِيمَا جَهَرَ فِيهِ وَلا فِيمَا لَمْ يَجْهَرْ، بِذَلِكَ جَاءَتْ عَامَّةُ الآثَارِ.
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১১৬
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১১৬। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামায পড়ে, তার জন্য ইমামের কিরাআতই যথেষ্ট।
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «مَنْ صَلَّى خَلْفَ الإِمَامِ كَفَتْهُ قِرَاءَتُهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১১৭
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১১৭। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তার কাছে ইমামের পিছনে কিরাআত পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তোমার জন্য ইমামের কিরাআতই যথেষ্ট।
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمَسْعُودِيُّ، أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، " أَنَّهُ سَأَلَ عَنِ الْقِرَاءَةِ خَلْفَ الإِمَامِ، قَالَ: تَكْفِيكَ قِرَاءَةُ الإِمَامِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১১৮
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১১৮। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে নামায পড়ে, ইমামের কিরাআতই তার কিরাআত।
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا أَبُو حَنِيفَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْحَسَنِ مُوسَى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ صَلَّى خَلْفَ الإِمَامِ فَإِنَّ قِرَاءَةَ الإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ»
হাদীস নং:১১৯
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১১৯। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে নামায পড়ে, তার জন্য ইমামের কিরাআতই যথেষ্ট।
قَالَ مُحَمَّدٌ , حَدَّثَنَا الشَّيْخُ أَبُو عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ الْعَبَّاسِ التِّرْمِذِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَلِيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى خَلْفَ الإِمَامِ، فَإِنَّ قِرَاءَةَ الإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১২০
নামায শুরু করা (ইফতিতাহুস সালাত)।
১২০। সালেম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) ইমামের পিছনে কিরাআত পড়তেন না । সালেম (রাহঃ) বলেন, আমি এ ব্যাপারে কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবু বাকর (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “তুমি যদি ইমামের পিছনে কিরাআত না পড়ো, তবে নবী ﷺ -এর কতক সাহাবীও ইমামের পিছনে কিরাআত পাঠ করেননি। অতএব তাদের কর্মনীতি অনুসরণযোগ্য। আর তুমি যদি কিরাআত পাঠ করো, তবে নবী ﷺ -এর কতক সাহাবী ইমামের পিছনে কিরাআত পাঠ করেছেন। অতএব তাদের কর্মনীতিও অনুসরণযোগ্য”।** কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ইমামের পিছনে কিরাআত পড়তেন না।
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: " كَانَ ابْنُ عُمَرَ لا يَقْرَأُ خَلْفَ الإِمَامِ، قَالَ: فَسَأَلْتُ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: إِنْ تَرَكْتَ فَقَدْ تَرَكَهُ نَاسٌ يُقْتَدَى بِهِمْ، وَإِنْ قَرَأْتَ فَقَدْ قَرَأَهُ نَاسٌ يُقْتَدَى بِهِمْ ".
وَكَانَ الْقَاسِمُ مِمَّنْ لا يَقْرَأُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা