আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১- পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৩
জুমুআর দিন গোসল করা
৫৩। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ তোমাদের কেউ জুমুআর নামায পড়তে এলে সে যেন গোসল করে।
بَابُ: الاغْتِسَالِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْجُمُعَةَ فَلْيَغْتَسِلْ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৪
জুমুআর দিন গোসল করা
৫৪। আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ জুমুআর দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর গোসল করা ওয়াজিব।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «غُسْلُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫
জুমুআর দিন গোসল করা
৫৫৷ ইবনুস সাব্বাক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ হে মুসলিম সমাজ! এই (জুমুআর) দিনটিকে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন করেছেন। অতএব তোমরা (এই দিন) গোসল করো। আর যার কাছে সুগন্ধি আছে, সে যেন তা ব্যবহার করে। অবশ্যই তোমরা মেসওয়াক করবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنِ ابْنِ السَّبَّاقِ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، هَذَا يَوْمٌ جَعَلَهُ اللَّهُ تَعَالَى عِيدًا لِلْمُسْلِمِينَ، فَاغْتَسِلُوا، وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ طِيبٌ فَلا يَضُرُّهُ أَنْ يَمَّسَّ مِنْهُ، وَعَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬
জুমুআর দিন গোসল করা
৫৬। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, জুমুআর দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর গোসল করা ওয়াজিব নাপাকির গোসলের অনুরূপ।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ: «غُسْلُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ كَغُسْلِ الْجَنَابَةِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৭
জুমুআর দিন গোসল করা
৫৭। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত ইবনে উমার (রাযিঃ) গােসল না করে জুমুআর নামায পড়তে যেতেন না।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، «أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ لا يَرُوحُ إِلَى الْجُمُعَةِ إِلا اغْتَسَلَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৮
জুমুআর দিন গোসল করা
৫৮। সালেম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর এক সাহাবী জুমুআর দিন মসজিদে প্রবেশ করলেন। উমার (রাযিঃ) তখন লোকদের উদ্দেশ্যে খোতবা দিচ্ছিলেন । তিনি বলেন, এটা কোন সময়? সেই সাহাবী বলেন, আমি বাজার থেকে ফিরে এসেছি, আযান শুনতেই উযু করে মসজিদে এসে গেছি (গোসল করতে পারিনি)। উমার (রাযিঃ) বলেন, এটা তো অন্যায় যে, তুমি কেবল উযু করে এসেছো। অথচ তুমি জানো যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ গোসল করারও নির্দেশ দিয়েছেন ।*
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, জুমুআর দিন গোসল করা উত্তম, তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। এ সম্পর্কে বহু সংখ্যক হাদীস রয়েছে।

* অপর এক রিওয়ায়াত থেকে জানা যায়, এই আগন্তুক ব্যক্তি ছিলেন হযরত উছমান (রাযিঃ)। জুমুআর দিন যে গোসল ফরজ নয় তা এই ঘটনা থেকেই প্রমাণিত হয়। কেননা যদি তা বাধ্যতামূলক হতো তবে হযরত উছমান (রাযিঃ) মসজিদ থেকে বের হয়ে এসে গোসল করতেন এবং হযরত উমার (রাযিঃ)-ও তাকে গোসল করার নির্দেশ দিতেন। এ হাদীস থেকে আরও জানা যায়, খোতবা চলাকালে স্থানীয় ভাষায় দ্বীনের সাথে সম্পর্কিত কথা বলা ইমামের জন্য জায়েয (অনুবাদক)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ: أَنَّ رَجُلا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَخْطُبُ النَّاسَ، فَقَالَ: أَيَّةُ سَاعَةٍ هَذِهِ؟ فَقَالَ الرَّجُلُ: انْقَلَبْتُ مِنَ السُّوقِ فَسَمِعْتُ النِّدَاءَ فَمَا زِدْتُ عَلَى أَنْ تَوَضَّأْتُ ثُمَّ أَقْبَلْتُ، قَالَ عُمَرُ: وَالْوُضُوءَ أَيْضًا! وَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُ بِالْغُسْلِ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: الْغُسْلُ أَفْضَلُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَلَيْسَ بِوَاجِبٍ، وَفِي هَذَا آثَارٌ كَثِيرَةٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯
জুমুআর দিন গোসল করা
৫৯। আনাস (রাযিঃ) এবং হাসান বসরী (রাহঃ) থেকে মারফু হাদীসরূপে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআর দিন উযু করলো সে ভালো কাজ করলো এবং তাই যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি গোসল করলো, তবে গোসলই সর্বোত্তম।
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا الرَّبِيعُ بْنُ صَبِيحٍ، عَنْ سَعِيدٍ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَعَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، كِلاهُمَا يَرْفَعُهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ تَوَضَّأَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَبِهَا وَنِعْمَتْ، وَمَنِ اغْتَسَلَ فَالْغُسْلُ أَفْضَلُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০
জুমুআর দিন গোসল করা
৬০। হাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ)-কে জুমুআর দিন, দুই ঈদের দিন এবং শিঙ্গা লাগানোর পর গোসল করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন, যদি তুমি গোসল করো তবে তা উত্তম, আর যদি গোসল না করো তবে তাতেও দোষ নেই। আমি (হাম্মাদ) তাকে বললাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ কি বলেননিঃ “যে ব্যক্তি জুমুআর নামাযের জন্য আসে সে যেন গোসল করে”? তিনি বলেন, হ্যাঁ, কিন্তু তা ওয়াজিব নয়। যেমন আল্লাহর বাণীঃ “তোমরা যখন ক্রয়-বিক্রয় করো তখন সাক্ষী রাখো" (সূরা বাকারাঃ ২৮২)। এখন যদি কেউ সাক্ষী রাখে তবে তা উত্তম, কিন্তু যদি কেউ সাক্ষী না রাখে তবে তাতেও দোষ নেই। যেমন আল্লাহ তাআলার বাণীঃ “যখন নামায শেষ হয়ে যায় তখন তোমরা জমীনের বুকে ছড়িয়ে পড়ো” (সূরা জুমুআঃ ১০)। এখন কোন ব্যক্তির জমীনের বুকে ছড়িয়ে পড়া বাধ্যতামূলক নয়, আবার কোন ব্যক্তি নামাযের পর জমীনের বুকে ছড়িয়ে না পড়লেও তাতেও তার গুনাহ হবে না। হাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমি ইবরাহীম নাখঈকে গোসল না করেই দুই ঈদের নামায পড়তে আসতে দেখেছি।
قَالَ مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ حَمَّادٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، قَالَ: سَأَلْتُهُ عَنِ الْغُسْلِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَالْغُسْلِ مِنَ الْحِجَامَةِ، وَالْغُسْلِ فِي الْعِيدَيْنِ؟ قَالَ: إِنِ اغْتَسَلْتَ فَحَسَنٌ، وَإِنْ تَرَكْتَ فَلَيْسَ عَلَيْكَ، فَقُلْتُ لَهُ: أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ رَاحَ إِلَى الْجُمُعَةِ فَلْيَغْتَسِلْ» ؟ قَالَ: بَلَى، وَلَكِنْ لَيْسَ مِنَ الأُمُورِ الْوَاجِبَةِ، وَإِنَّمَا وَهُوَ كَقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَأَشْهِدُوا إِذَا تَبَايَعْتُمْ} [البقرة: 282] ، فَمَنْ أَشْهَدَ فَقَدْ أَحْسَنَ، وَمَنْ تَرَكَ فَلَيْسَ عَلَيْهِ، وَكَقَوْلِهِ تَعَالَى: {فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الأَرْضِ} [الجمعة: 10] ، فَمَنِ انْتَشَرَ فَلا بَأْسَ وَمَنْ جَلَسَ فَلا بَأْسَ.
قَالَ حَمَّادٌ: وَلَقَدْ رَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيَّ يَأْتِي الْعِيدَيْنِ وَمَا يَغْتَسِلَ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১
জুমুআর দিন গোসল করা
৬১। আতা ইবনে আবু রবাহ (রাহঃ) বলেন, আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-র কাছে বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে জুমুআর নামাযের ওয়াক্ত হলো। তিনি উযুর পানি নিয়ে ডাকলেন, অতঃপর উযু করলেন। তার সাথী বললো, আপনি কি গোসল করবেন না? তিনি বলেন, দিনটি খুব ঠাণ্ডা । অতএব তিনি উযুই করলেন।
قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، قَالَ: " كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، فَحَضَرَتِ الصَّلاةُ، أَيْ: الْجُمُعَةُ، فَدَعَا بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ، فَقَالَ لَهُ بَعْضُ أَصْحَابِهِ: أَلا تَعْتَسِلُ؟ قَالَ: الْيَومَ يَومٌ بَارِدٌ، فَتَوَضَّأَ «
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬২
জুমুআর দিন গোসল করা
৬২। ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ) বলেন, আলকামা ইবনে কায়েস (রাহঃ) সফররত অবস্থায় ঈদুল আযহার নামায পড়তেন না এবং জুমুআর দিন গোসল করতেন না।*

* হানাফী মাযহাবে দুই ঈদের নামায যদিও ওয়াজিব, কিন্তু অন্যান্য মাযহাবে তা সুন্নত। তাই সফররত অবস্থায় উক্ত দুই নামায পড়া বাধ্যতামূলক নয় (অনুবাদক)।
قَالَ مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا سَلامُ بْنُ سُلَيْمٍ الْحَنَفِيُّ، عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ» كَانَ عَلْقَمَةُ بْنُ قَيْسٍ إِذَا سَافَرَ لَمْ يُصَلِّ الضُّحَى، وَلَمْ يَغْتَسِلْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ «.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৩
জুমুআর দিন গোসল করা
৬৩। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি জুমুআর দিন ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পর গোসল করে তার এই গোসল জুমুআর নামাযের গোসলের জন্য যথেষ্ট।
قَالَ مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ» مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ، أَجَزَأَهُ عَنْ غُسْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ ".
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৪
জুমুআর দিন গোসল করা
৬৪। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, লোকেরা ক্ষেত-খামারে কায়িক শ্রমে কাজ করতো এবং ধুলোবালি মাখা অবস্থায় জুমুআর নামায পড়তে চলে আসতো। তাই তাদের বলা হলো, তোমরা যদি গোসল করে আসতে তবে খুবই ভালো হতো।
68 - قَالَ مُحَمَّدٌ , أَخْبَرَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: " كَانَ النَّاسُ عُمَّالَ أَنْفُسِهِمْ، فَكَانُوا يَرُوحُونَ إِلَى الْجُمُعَةِ بِهَيْئَاتِهِمْ، فَكَانَ يُقَالُ لَهُمْ: لَوِ اغْتَسَلْتُمْ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান