আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১- পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৫
রুকূ-সিজদায় মাথা নিচু করলে নাক দিয়ে রক্ত বের হলে ইশারায় রুকু-সিজদা করবে।
৩৫। আব্দুর রহমান ইবনুল মুজাব্বার (রাহঃ) দেখলেন, সালেম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) তার নাকের মধ্যে তার একটি বা দু'টি আংগুল ঢুকালেন এবং তা বের করলে তাতে নাকের ভিতরে শুকিয়ে থাকা রক্ত দেখা গেলো। তিনি তা পরিষ্কার করলেন, কিন্তু উযু করলেন না।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, উপরে উল্লেখিত আছারসমূহের উপরই আমরা আমল করি। কিন্তু ইমাম মালেক (রাহঃ) ভিন্নমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, নামাযের মধ্যে কারো নাক দিয়ে রক্ত ঝরলে তাকে গোটা নামাযই পুনর্বার পড়তে হবে এবং রক্ত ধুয়ে ফেলতে হবে (অর্থাৎ তার মতে এক্ষেত্রে পুনরায় উযু করার প্রয়োজন নেই)। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) এবং সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাবের কর্মপন্থা ও বক্তব্য থেকে দলীল গ্রহণ করে বলেন, যার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়েছে, সে যদি কথা না বলে থাকে তবে উযু করে অবশিষ্ট নামায পড়বে। আমাদের (মুহাম্মাদ) বক্তব্যও তাই। কিন্তু নামাযের মধ্যে যার নাক দিয়ে অত্যধিক পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয় এবং তা যদি সিজদায় মাথা নত করার কারণে হয়ে থাকে, তবে সে ইশারায় নামায পড়বে। কিন্তু সব সময়ই যদি নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় তবে সে সিজদা করবে (ইশারায় নামায পড়বে না)। কিন্তু কোন ব্যক্তি নামাযরত অবস্থায় নিজের নাকের মধ্যে আংগুল ঢুকালে এবং তাতে রক্ত লেগে গেলে, এজন্য তাকে পুনরায় উযু করতে হবে না। কেননা এটা প্রবাহিত রক্তও নয় এবং তা ফোঁটায় ফোঁটায়ও ঝরছে না । ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-র মতে কেবল রক্ত প্রবাহিত হলে বা ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরলেই উযু করতে হবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُجَبَّرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ رَأَى سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ يُدْخِلُ إِصْبَعَهُ فِي أَنْفِهِ، أَوْ إِصْبَعَيْهِ ثُمَّ يُخْرِجُهَا وَفِيهَا شَيْءٌ مِنْ دَمٍ فَيَفْتِلُهُ، ثُمَّ يُصَلِّي وَلا يَتَوَضَّأُ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، فَأَمَّا الرُّعَافُ فَإِنَّ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ كَانَ لا يَأْخُذُ بِذَلِكَ، وَيَرَى إِذَا رَعَفَ الرَّجُلُ فِي صَلاتِهِ، أَنْ يَغْسِلَ الدَّمَ وَيَسْتَقْبِلَ الصَّلاةَ، فَأَمَّا أَبُو حَنِيفَةَ فَإِنَّهُ يَقُولُ بِمَا رَوَى مَالِكٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَعَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ إِنَّهُ يَنْصَرِفُ فَيَتَوَضَّأُ، ثُمَّ يَبْنِي عَلَى مَا صَلَّى إِنْ لَمْ يَتَكَلَّمَ، وَهُوَ قَوْلُنَا، وَأَمَّا إِذَا كَثُرَ الرُّعَافُ عَلَى الرَّجُلِ فَكَانَ إِنْ أَوْمَأَ بِرَأْسِهِ إِيمَاءً، لَمْ يَرْعُفُ وَإِنْ سَجَدَ رَعَفَ، أَوْمَأَ بِرَأْسِهِ إِيمَاءً، وَأَجْزَاهُ، وَإِنْ كَانَ يَرْعُفُ كُلَّ حَالٍ سَجَدَ،وَأَمَّا إِذَا أَدْخَلَ الرَّجُلُ إِصْبَعَهُ فِي أَنْفِهِ، فَأَخْرَجَ عَلَيْهَا شَيْئًا مِنْ دَمٍ، فَهَذَا لا وُضُوءَ فِيهِ لأَنَّهُ غَيْرُ سَائِلٍ، وَلا قَاطِرٍ، وَإِنَّمَا الْوُضُوءُ فِي الدَّمِ، مِمَّا سَالَ أَوْ قَطُرَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান