আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১- পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৫
আগুনে পাকানো জিনিস খেলে উযু নষ্ট হয় কিনা
২৫। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি আবু বাকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-কে গোশত খেতে দেখেছি, অতঃপর তিনি নামায পড়েছেন, কিন্তু উযু করেননি।
بَابُ: الْوُضُوءِ مِمَّا غَيَّرِتِ النَّارُ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ: «رَأَيْتُ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ أَكَلَ لَحْمًا، ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬
আগুনে পাকানো জিনিস খেলে উযু নষ্ট হয় কিনা
২৬। ইবনে আব্বাস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বকরীর পাঁজরের গোশত খেলেন, অতঃপর নামায পড়লেন, কিন্তু (নতুন করে) উযু করেননি।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكَلَ جَنْبَ شَاةٍ، ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৭
আগুনে পাকানো জিনিস খেলে উযু নষ্ট হয় কিনা
২৭। রবীআ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উমার (রাযিঃ)-র সাথে রাতের আহার করলেন, অতঃপর নামায পড়লেন, কিন্তু (নতুন করে) উযু-করেননি।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ , أَنَّهُ تَعَشَّى مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮
আগুনে পাকানো জিনিস খেলে উযু নষ্ট হয় কিনা
২৮। আবান ইবনে উছমান (রাহঃ) বলেন, উছমান ইবনে আফ্ফান (রাযিঃ) গোশত এবং রুটি খেলেন, অতঃপর কুলি করলেন, উভয় হাত ধুলেন, অতঃপর উভয় হাত দিয়ে মুখমণ্ডল মাসেহ করলেন, অতঃপর নামায পড়লেন, কিন্তু (পুনরায়) উযু করেননি।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي ضَمْرَةُ بْنُ سَعِيدٍ الْمَازِنِيُّ، عَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، «أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ أَكَلَ لَحْمًا، وَخُبْزًا فَتَمَضْمَضَ، وَغَسَلَ يَدَيْهِ، ثُمَّ مَسَحَهُمَا بِوَجْهِهِ، ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯
আগুনে পাকানো জিনিস খেলে উযু নষ্ট হয় কিনা
২৯। ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আমের ইবনে রবীআ আল-আদাবী (রাহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন ব্যক্তি উযু করার পর আগুনে পাকানো খাবার গ্রহণ করলো, তাকে কি পুনর্বার উযু করতে হবে? তিনি বলেন, আমি দেখেছি, আমার পিতা (আমের ইবনে রবীআ) আগুনে পাকানো খাবার খেয়েছেন, কিন্তু অতঃপর উযু করেননি।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ الْعَدَوِيَّ، عَنِ الرَّجُلِ يَتَوَضَّأُ ثُمَّ يُصِيبُ الطَّعَامَ قَدْ مَسَّتْهُ النَّارُ أَيَتَوَضَّأُ مِنْهُ؟ قَالَ: قَدْ رَأَيْتُ أَبِي يَفْعَلُ ذَلِكَ، ثُمَّ لا يَتَوَضَّأُ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০
আগুনে পাকানো জিনিস খেলে উযু নষ্ট হয় কিনা
৩০। বনু হারিছার মুক্তদাস বুশাইর ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। সুয়াইদ ইবনে নুমান (রাযিঃ) তাকে অবহিত করেন যে, তিনি খায়বারের যুদ্ধের বছর রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে (খায়বার অভিযানে) বের হন। তারা খায়বারের নিকটবর্তী এলাকা আস-সাহবায় পৌঁছে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে আসরের নামায পড়েন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ খাবার চাইলেন । তাঁর সামনে ছাতু (ভাজা ছোলা, যব প্রভৃতির গুঁড়া) পেশ করা হলো। তিনি তা পানিতে গোলানোর নির্দেশ দিলেন এবং তাই করা হলো। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ তা খেলেন এবং আমরাও খেলাম। অতঃপর তিনি মাগরিবের নামাযের জন্য উঠে কুল্লি করলেন এবং আমরাও কুল্লি করলাম। অতঃপর তিনি নামায পড়েন কিন্তু উযু করেননি।*
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মতই গ্রহণ করেছি যে, আগুনে পাকানো খাবার খেলে (নতুন করে) উযু করার প্রয়োজন নেই (তাতে উযু নষ্ট হয় না), বরং নাপাকির কারণে উযুর প্রয়োজন হয়। আর যে কোন প্রকারের খাদ্য, তা আগুন স্পর্শ করুক বা না করুক তা গ্রহণ করলে পুনরায় উযু করতে হবে না। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এরও এই মত।
* একদল আলেমের মতে আগুনে পাকানো খাবার খেলে উযু নষ্ট হয়ে যায় এবং পুনরায় উযু করতে হয়। যেসব হাদীসে এ ধরনের খাবার গ্রহণ করলে উযু করার নির্দেশ রয়েছে, তারা নিজেদের মতের স্বপক্ষে তা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু সর্বাধিক সংখ্যক ফিকহবিদের মতে আগুনে পাকানো খাবার খেলে উযু নষ্ট হয় না বা পুনর্বার উযু করার প্রয়োজন নেই। রাসূলুল্লাহ ﷺ - এর শেষ জীবনের কর্মপন্থা এবং খোলাফায়ে রাশেদুনের কর্মপন্থা তাই প্রমাণ করে। উযুর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত হাদীসের জওয়াবে শেষোক্ত মতের ফিকহবিদগণ বলেন, এগুলোর নির্দেশ মুস্তাহাব পর্যায়ের অথবা এসব হাদীসে 'উযু' শব্দটি আভিধানিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে অর্থাৎ হাত-মুখ ধোয়া ও মুখের অভ্যন্তরভাগ পরিষ্কার করা। তাদের মতে এখানে শব্দটি পারিভাষিক অর্থে ব্যবহৃত হয়নি। যেমন এক হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ দুধ পান করে কুলি করেছেন এবং বলেছেনঃ هذا وضوء مما مست النار (এটাই হলো আগুনে পাকানো জিনিস আহার করার পরের উযু)। এ ছাড়াও তাদের মতের সমর্থনে অনেক মারফূ হাদীস বিদ্যমান রয়েছে (অনুবাদক)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মতই গ্রহণ করেছি যে, আগুনে পাকানো খাবার খেলে (নতুন করে) উযু করার প্রয়োজন নেই (তাতে উযু নষ্ট হয় না), বরং নাপাকির কারণে উযুর প্রয়োজন হয়। আর যে কোন প্রকারের খাদ্য, তা আগুন স্পর্শ করুক বা না করুক তা গ্রহণ করলে পুনরায় উযু করতে হবে না। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এরও এই মত।
* একদল আলেমের মতে আগুনে পাকানো খাবার খেলে উযু নষ্ট হয়ে যায় এবং পুনরায় উযু করতে হয়। যেসব হাদীসে এ ধরনের খাবার গ্রহণ করলে উযু করার নির্দেশ রয়েছে, তারা নিজেদের মতের স্বপক্ষে তা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু সর্বাধিক সংখ্যক ফিকহবিদের মতে আগুনে পাকানো খাবার খেলে উযু নষ্ট হয় না বা পুনর্বার উযু করার প্রয়োজন নেই। রাসূলুল্লাহ ﷺ - এর শেষ জীবনের কর্মপন্থা এবং খোলাফায়ে রাশেদুনের কর্মপন্থা তাই প্রমাণ করে। উযুর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত হাদীসের জওয়াবে শেষোক্ত মতের ফিকহবিদগণ বলেন, এগুলোর নির্দেশ মুস্তাহাব পর্যায়ের অথবা এসব হাদীসে 'উযু' শব্দটি আভিধানিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে অর্থাৎ হাত-মুখ ধোয়া ও মুখের অভ্যন্তরভাগ পরিষ্কার করা। তাদের মতে এখানে শব্দটি পারিভাষিক অর্থে ব্যবহৃত হয়নি। যেমন এক হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ দুধ পান করে কুলি করেছেন এবং বলেছেনঃ هذا وضوء مما مست النار (এটাই হলো আগুনে পাকানো জিনিস আহার করার পরের উযু)। এ ছাড়াও তাদের মতের সমর্থনে অনেক মারফূ হাদীস বিদ্যমান রয়েছে (অনুবাদক)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ يَسَارٍ مَوْلَى بَنِي حَارِثَةَ، أَنَّ سُوَيْدَ بْنَ نُعْمَانَ أَخْبَرَهُ , أَنَّهُ خَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ خَيْبَرَ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالصَّهْبَاءِ وَهِيَ أَدْنَى خَيْبَرَ، صَلَّوُا الْعَصْرَ، ثُمَّ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالأَزْوَادِ، فَلَمْ يُؤْتَ إِلا بِالسَّوِيقِ، فَأَمَرَ بِهِ فَثُرِّيَ لَهُمْ بِالْمَاءِ، «فَأَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَكَلْنَا، ثُمَّ قَامَ إِلَى الْمَغْرِبِ، فَمَضْمَضَ وَمَضْمَضْنَا، ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا وُضُوءَ مِمَّا مَسَّتْهُ النَّارُ وَلا مِمَّا دَخَلَ، إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ مِنَ الْحَدَثِ، فَأَمَّا مَا دَخَلَ مِنَ الطَّعَامِ مِمَّا مَسَّتْهُ النَّارُ، أَوْ لَمْ تَمَسَسْهُ فَلا وُضُوءَ فِيهِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান