মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي

২৫. ফিতনাসমূহের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৯৭
ফিতনাসমূহের বিবরণ
ফিতনার বিবরণ
হাদীস নং- ৪৯৭

হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আমার উম্মতের উপর যে ব্যক্তি তরবারী কোষমুক্ত করে, তাহলে দোযখের সাতটি দরওয়াযার মধ্যে একটি দরওয়াযা তার জন্য (নির্ধারিত) থাকবে, যে তরবারী কোষমুক্ত করে।
كتاب الفتن
عَنْ يَحْيَى، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَلَّ السَّيْفَ عَلَى أُمَّتِيْ، فَإِنَّ لِجَهَنَّمَ سَبْعَةَ أَبْوَابٍ: بَابٌ مِنْهَا لِمَنْ سَلَّ السَّيْفَ»
হাদীস নং: ৪৯৮
ফিতনাসমূহের বিবরণ
ফিতনার বিবরণ
হাদীস নং- ৪৯৮

আবুল জুল্লাস (রাহঃ) বলেন, আমি ঐ সমস্ত লোকজনের মধ্যে ছিলাম যারা আব্দুল্লাহ ইব্ন সাবাঈ থেকে এক ভয়াবহ কথা শুনেছি। আমরা তাকে আলী (রাযিঃ)-এর নিকট নিয়ে আসি। পথে তার গর্দানে আমরা কিছু চড়-থাপ্পড়ও দিয়েছি। আমরা হযরত আলী (রাযিঃ)-কে মসজিদের আঙ্গিনায় এক পা-এর উপর অপর পা দিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে পাই। তিনি সাবাঈকে তার প্রচারিত কথা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। সে তার কথা পুনরায় ব্যক্ত করে। তখন হযরত আলী (রাযিঃ) জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে বর্ণনা করছ? (অর্থাৎ ওহীর মাধ্যমে তুমি এটা অবগত হয়েছ যে, যেন তুমি নিজকে নবী হিসেবেই জেনেছ) অথবা আল্লাহর কিতার থেকে অথবা আল্লাহর রাসূল থেকে? সে বলল, না। তখন হযরত আলী (রাযিঃ) বললেন: তা হলে তুমি কার থেকে এটা বর্ণনা করছ? সে বলল, নিজের থেকে। তখন তিনি বললেন : যদি তুমি এটা বর্ণনা করতে আল্লাহর পক্ষ থেকে অথবা আল্লাহর কিতাব থেকে অথবা আল্লাহর রাসূলের পক্ষ থেকে, তা হলে আমি তোমাকে হত্যা করতাম। আর যদি এ ব্যাপারে আমার দিকে ইঙ্গিত বা আরোপ করতে, তা হলে আমি তোমাকে কঠোর শাস্তি প্রদান করতাম। তখন তুমি হতে মিথ্যাবাদী। কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের পূর্বে ত্রিশজন মিথ্যাবাদীর আবির্ভাব হবে এবং তুমি তাদের মধ্যে একজন।
অন্য রিওয়ায়েতে আবুল জুল্লাস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন: আমি ঐ সমস্ত লোকের মধ্যে একজন যারা আব্দুল্লাহ ইব্ন সাবাঈ থেকে মারাত্মক ও ভয়াবহ কথা শুনেছি। তখন আমরা তাকে হযরত আলী (রাযিঃ)-এর নিকট ধরে নিয়ে আসি। আমরা তাঁকে মসজিদের আঙ্গিনায় এক পা-এর উপর অন্য পা রেখে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে দেখতে পাই। হযরত আলী (রাযিঃ) তাকে তার তার প্রচারিত কথা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। সে তার কথা পুনরায় ব্যক্ত করল। অতঃপর তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এটা আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে বর্ণনা করছ (অর্থাৎ তুমি কি এটা ওহীর মাধ্যমে অবগত হয়েছ) অথবা আল্লাহর কিতাব থেকে পবিত্র কুরআনের উপর বাড়াবাড়ি করছ) অথবা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে (আঁ হযরত (ﷺ)-এর উপর দোষারোপ করে)? সে বলল, না। তখন হযরত আলী (রাযিঃ) বললেন তাহলে কার কাছ থেকে এ কথা বর্ণনা করছ? সে বলল, নিজের মন থেকে। তখন তিনি বললেনঃ যদি তুমি বর্ণনার দাবি করতে আল্লাহর পক্ষ থেকে অথবা তাঁর কিতাব থেকে অথবা তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে, তা হলে আমি তোমার গর্দান দ্বিখণ্ডিত করতাম। আর যদি তুমি এ কথা আমার দিকে আরোপ করতে, তাহলে তোমাকে কঠোর শাস্তি প্রদান করতাম এবং তুমি মিথ্যাবাদী বলে প্রচারিত হতে (অর্থাৎ সাক্ষীর যোগ্য হতে পারতে না)। কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এটা বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের পূর্বে ত্রিশজন মিথ্যাবাদীর আবির্ভাব হবে এবং তুমিই তাদের মধ্যে একজন।
كتاب الفتن
عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي الْجُلَاسِ، قَالَ: كُنْتُ مِمَّنْ سَمِعَ مِنْ عَبْدِ اللهِ السَّبَائِيِّ كَلَامًا عَظِيْمًا، فَأَتَيْنَا بِهِ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، وَنَحْنُ نَهُزُّ عُنُقَهُ فِيْ طَرِيْقِهِ، فَوَجَدْنَاهُ فِي الرَّحْبَةِ، مُسْتَلْقِيًا عَلَى ظَهْرِهِ، وَاضِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى، فَسَأَلَهُ عَنِ الْكَلَامِ، فَتَكَلَّمَ بِهِ، فَقَالَ: أَتَرْوِيْهِ عَنِ اللهِ تَعَالَى، أَوْ عَنْ كِتَابِهِ، أَوْ عَنْ رَسُوْلِهِ، فَقَالَ: لَا: فَعَنْ مَا تَرْوِيْ؟ قَالَ: عَنْ نَفْسِيْ، قَالَ: أَمَا إِنَّكَ لَوْ رَوَيْتَ عَنِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى، أَوْ عَنْ كِتَابِهِ، أَوْ عَنْ رَسُوْلِهِ ضَرَبْتُ عُنُقَكَ، وَلَوْ رَوَيْتَهُ عَنِّيْ أَوْ جَعْتُكَ عُقُوْبَةً، فَكُنْتَ كَاذِبًا، وَلَكِنِّيْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ [ص: 539] صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُوْلُ: «بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ ثَلَاثُوْنَ كَذَّابًا، وَأَنْتَ مِنْهُمْ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: عَنْ أَبِي الْجُلَاسِ، قَالَ: كُنْتُ فِيْمَنْ سَمِعَ مِنْ عَبْدِ اللهِ السَّبَائِيِّ كَلَامًا عَظِيْمًا، فَأَتَيْنَا بِهِ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَوَجَدْنَاهُ فِي الرَّحْبَةِ، مُسْتَلْقِيًا عَلَى ظَهْرِهِ، وَاضِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى، فَسَأَلَهُ عَنِ الْكَلَامِ، فَتَكَلَّمَ، فَقَالَ: أَتَرْوِيْهِ عَنِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى، أَوْ عَنْ كِتَابِهِ، أَوْ عَنْ رَسُوْلِهِ؟ قَالَ: لَا، قَالَ: فَعَنْ مَنْ تَرْوِيْهِ؟ قَالَ: عَنْ نَفْسِيْ، قَالَ: أَمَا إِنَّكَ لَوْ رَوَيْتَ عَنِ اللهِ تَعَالَى، أَوْ عَنْ كِتَابِهِ، أَوْ عَنْ رَسُوْلِهِ ضَرَبْتُ عُنُقَكَ، وَلَوْ رَوَيْتَ عَنِّيْ أَوْ جَعْتُكَ عُقُوْبَةً، فَكُنْتَ كَاذِبًا، وَلَكِنِّيْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُوْلُ: «بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ ثَلَاثُوْنَ كَذَّابًا، فَأَنْتَ مِنْهُمْ»
হাদীস নং: ৪৯৯
ফিতনাসমূহের বিবরণ
ফিতনার বিবরণ
হাদীস নং- ৪৯৯

হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: মানুষের উপর এমন একটি যুগ বা সময় আগমণ করবে যে, অসংখ্য লোক কবরে যাতায়াত করবে, কবরের উপর স্বীয় পেট রাখবে এবং বলবে, হায়! আমি যদি এ কবরবাসীর স্থানে হতাম। জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! এরূপ কেন হবে? হুযূর (ﷺ) তখন বলেন যমানার ভয়াবহতা এবং বিপদ-আপদ ও বিশৃংখলার আধিক্যের কারণে এরূপ হবে।
كتاب الفتن
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَخْتَلِفُونَ إِلَى الْقُبُورِ، فَيَضَعُونَ بُطُونَهُمْ عَلَيْهِ، وَيَقُولُونَ: وَدِدْنَا لَوْ كُنَّا صَاحِبَ هَذَا الْقَبْرِ، قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَكَيْفَ يَكُونُ؟ قَالَ: لِشِدَّةِ الزَّمَانِ وَكَثْرَةِ الْبَلَايَا وَالْفِتَنِ "