মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
১৫. শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩১৩
মদ্যপান এবং চুরির শাস্তির বর্ণনা
হাদীস নং- ৩১৩
হযরত ইয়াহইয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট এক ব্যক্তি তার নেশাগ্রস্থ ভ্রাতুষ্পুত্রকে নিয়ে আগমণ করেন। তখন সে নেশার কারণে অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। তাঁর নির্দেশে নেশাগ্রস্থ ব্যক্তিকে জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত বন্দী করে রাখা হলো। অতঃপর হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) চাবুক আনতে বললেন এবং তার ফলের থোকা কেটে ফেললেন, এরপর এগুলো নরম করলেন।এবার জল্লাদকে ডেকে তার চামড়ার উপর চাবুক মারার নির্দেশ করেন এবং বললেন, মারার সময় নিজের হাত এতটুকু উঠাবে যাতে তোমার বগল দেখা না যায়। ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন, স্বয়ং আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) চাবুক গণনার জন্য বসেন এবং আশিটি চাবুক মারার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তখন ঐ বৃদ্ধ লোকটি (মদ্যপানকারীর চাচা) বলল, হে আবু আব্দুর রহমান, আল্লাহর কসম! সে হলো আমার ভাতিজা, তাকে ছাড়া আমার কোন সন্তান নেই। হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বললেন, তুমি চাচা হিসেবে অত্যন্ত খারাপ, তুমি ইয়াতীমের অভিভাবক হয়েছ। আল্লাহর কসম! তুমি তাকে বাল্যকালে না আদব শিক্ষা দিয়েছ, না প্রাপ্ত বয়সে তার দোষত্রুটি গোপন রেখেছ।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন, অতঃপর হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করে বলেন, ইসলামে সর্বপ্রথম এক চোরের উপর শাস্তির বিধান প্রয়োগ করা হয়। ঐ চোরকে নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত করা হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণে যখন ঐ চোর দোষী প্রমাণিত হয়, তখন আঁ হযরত (ﷺ) বলেন, তাকে নিয়ে যাও এবং চুরির অপরাধে তার হাত কেটে দাও। যখন তাকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন হুযূর (ﷺ)-এর চেহারা মুবারকের রংয়ে পরিবর্তন দেখা দেয়। উপস্থিত কোন একজন আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! মনে হয় এ কাজটি আপনার উপর অত্যন্ত কঠিন হয়েছে? তিনি বললেন : কেন কঠিন হবে না, তোমরা নিজের ভাই-এর ব্যাপারে শয়তানের সাহায্যকারী হয়ে যাও ? লোকজন আরয করলো, তাকে কি ছেড়ে দেয়া যায় না? তিনি বললেন: তাকে আমার কাছে নিয়ে আসার পূর্বে কি তোমরা এটা করতে পারলে না? কেননা ইমাম বা নেতার কাছে যখন কোন অপরাধী শাস্তির যোগ্য হয়ে যায়, তখন তাকে মুক্তি দেয়া তার জন্য জায়েয ও বৈধ নয়। এরপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন “তোমাদের উচিৎ ক্ষমা করে দেয়া এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়া।"
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, এক ব্যক্তি তার নেশাগ্রস্থ ভাতিজাকে নিয়ে তাঁর নিকট আগমণ করে। তখন তিনি নির্দেশ প্রদান করেন যে, তাকে জোরে নাড়া দাও; এবং দেখ তার থেকে মদের গন্ধ পাওয়া যায় কিনা। তিনি তাকে বন্দী করার নির্দেশ দিলেন। যখন তার নেশা দূরীভূত হয়, তখন তিনি তাকে ডাকলেন এবং একটি চাবুক আনার জন্য বললেন এবং তাঁর নির্দেশে থোকা কেটে ফেলা হলো।... হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, ইসলামের প্রারম্ভে অপরাধের কারণে যে শাস্তির প্রদান করা হয়, তাহলো এই যে, নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে একজন চোরকে উপস্থিত করা হয়। (সাক্ষ্য-প্রমাণে অপরাধ সাব্যস্ত হওয়ায়) তাঁর নির্দেশে চোরের হাত কর্তন করা হয়। যখন চোরকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সাহাবায়ে কিরাম আঁ হযরত (ﷺ)-এর পবিত্র চেহারার দিকে লক্ষ্য করে দেখতে পান যে, তাঁর চেহারা মুবারক কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে। কোন একজন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। এ নির্দেশ কি আপনার উপর কঠিন কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটা কি আমার উপর কষ্টদায়ক নয় যে, তোমরা স্বীয় ভাই-এর বিরুদ্ধে শয়তানের সাহায্যকারী হয়ে যাও? সবাই আরয করল, আমরা কি তাকে শান্তি দেব না? ছযূর (ﷺ) বললেন, আমার নিকট নিয়ে আসার পূর্বে তোমরা কি এটা করতে পারলে না? কেননা ইমাম বা নেতার সামনে যখন শাস্তিযোগ্য কোন বিষয় উত্থাপন করা হয়, তখন এটা বাস্তবায়ন না করে মুক্তি দেয়া কখনো উচিৎ নয়। অতঃপর এ আয়াত তিলাওয়াত করেন। وَلْيَعْفُوا وَلْيَصْفَحُوا....الآية
হযরত ইয়াহইয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট এক ব্যক্তি তার নেশাগ্রস্থ ভ্রাতুষ্পুত্রকে নিয়ে আগমণ করেন। তখন সে নেশার কারণে অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। তাঁর নির্দেশে নেশাগ্রস্থ ব্যক্তিকে জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত বন্দী করে রাখা হলো। অতঃপর হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) চাবুক আনতে বললেন এবং তার ফলের থোকা কেটে ফেললেন, এরপর এগুলো নরম করলেন।এবার জল্লাদকে ডেকে তার চামড়ার উপর চাবুক মারার নির্দেশ করেন এবং বললেন, মারার সময় নিজের হাত এতটুকু উঠাবে যাতে তোমার বগল দেখা না যায়। ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন, স্বয়ং আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) চাবুক গণনার জন্য বসেন এবং আশিটি চাবুক মারার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তখন ঐ বৃদ্ধ লোকটি (মদ্যপানকারীর চাচা) বলল, হে আবু আব্দুর রহমান, আল্লাহর কসম! সে হলো আমার ভাতিজা, তাকে ছাড়া আমার কোন সন্তান নেই। হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বললেন, তুমি চাচা হিসেবে অত্যন্ত খারাপ, তুমি ইয়াতীমের অভিভাবক হয়েছ। আল্লাহর কসম! তুমি তাকে বাল্যকালে না আদব শিক্ষা দিয়েছ, না প্রাপ্ত বয়সে তার দোষত্রুটি গোপন রেখেছ।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন, অতঃপর হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করে বলেন, ইসলামে সর্বপ্রথম এক চোরের উপর শাস্তির বিধান প্রয়োগ করা হয়। ঐ চোরকে নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত করা হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণে যখন ঐ চোর দোষী প্রমাণিত হয়, তখন আঁ হযরত (ﷺ) বলেন, তাকে নিয়ে যাও এবং চুরির অপরাধে তার হাত কেটে দাও। যখন তাকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন হুযূর (ﷺ)-এর চেহারা মুবারকের রংয়ে পরিবর্তন দেখা দেয়। উপস্থিত কোন একজন আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! মনে হয় এ কাজটি আপনার উপর অত্যন্ত কঠিন হয়েছে? তিনি বললেন : কেন কঠিন হবে না, তোমরা নিজের ভাই-এর ব্যাপারে শয়তানের সাহায্যকারী হয়ে যাও ? লোকজন আরয করলো, তাকে কি ছেড়ে দেয়া যায় না? তিনি বললেন: তাকে আমার কাছে নিয়ে আসার পূর্বে কি তোমরা এটা করতে পারলে না? কেননা ইমাম বা নেতার কাছে যখন কোন অপরাধী শাস্তির যোগ্য হয়ে যায়, তখন তাকে মুক্তি দেয়া তার জন্য জায়েয ও বৈধ নয়। এরপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন “তোমাদের উচিৎ ক্ষমা করে দেয়া এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়া।"
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, এক ব্যক্তি তার নেশাগ্রস্থ ভাতিজাকে নিয়ে তাঁর নিকট আগমণ করে। তখন তিনি নির্দেশ প্রদান করেন যে, তাকে জোরে নাড়া দাও; এবং দেখ তার থেকে মদের গন্ধ পাওয়া যায় কিনা। তিনি তাকে বন্দী করার নির্দেশ দিলেন। যখন তার নেশা দূরীভূত হয়, তখন তিনি তাকে ডাকলেন এবং একটি চাবুক আনার জন্য বললেন এবং তাঁর নির্দেশে থোকা কেটে ফেলা হলো।... হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
হযরত ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, ইসলামের প্রারম্ভে অপরাধের কারণে যে শাস্তির প্রদান করা হয়, তাহলো এই যে, নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে একজন চোরকে উপস্থিত করা হয়। (সাক্ষ্য-প্রমাণে অপরাধ সাব্যস্ত হওয়ায়) তাঁর নির্দেশে চোরের হাত কর্তন করা হয়। যখন চোরকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সাহাবায়ে কিরাম আঁ হযরত (ﷺ)-এর পবিত্র চেহারার দিকে লক্ষ্য করে দেখতে পান যে, তাঁর চেহারা মুবারক কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে। কোন একজন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। এ নির্দেশ কি আপনার উপর কঠিন কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটা কি আমার উপর কষ্টদায়ক নয় যে, তোমরা স্বীয় ভাই-এর বিরুদ্ধে শয়তানের সাহায্যকারী হয়ে যাও? সবাই আরয করল, আমরা কি তাকে শান্তি দেব না? ছযূর (ﷺ) বললেন, আমার নিকট নিয়ে আসার পূর্বে তোমরা কি এটা করতে পারলে না? কেননা ইমাম বা নেতার সামনে যখন শাস্তিযোগ্য কোন বিষয় উত্থাপন করা হয়, তখন এটা বাস্তবায়ন না করে মুক্তি দেয়া কখনো উচিৎ নয়। অতঃপর এ আয়াত তিলাওয়াত করেন। وَلْيَعْفُوا وَلْيَصْفَحُوا....الآية
عَنْ يَحْيَى، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: أَتَاهُ رَجُلٌ بِابْنِ أَخٍ لَهُ نَشْوَانَ، قَدْ ذَهَبَ عَقْلُهُ، فَأَمَرَ بِهِ، فَحُبِسَ حَتَّى إِذَا صَحَا وَأَفَاقَ عَنِ السُّكْرِ، دَعَا بِالسَّوْطِ فَقَطَعَ ثَمَرَتَهُ وَرَقَّهُ، وَدَعَا جَلَّادًا؛ فَقَالَ: اجْلِدْهُ عَلَى جِلْدِهِ، وَارْفَعْ يَدَكَ فِي حَدِّكَ وَلَا تَبْدُ ضَبْعَيْكَ، قَالَ: وَأَنْشَأَ عَبْدُ اللَّهِ يَعُدُّ حَتَّى أَكْمَلَ ثَمَانِينَ جَلْدَةً خَلَّى سَبِيلَهُ، فَقَالَ الشَّيْخُ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَاللَّهِ إِنَّهُ لَابْنُ أَخِي، وَمَالِي وَلَدٌ غَيْرَهُ، فَقَالَ: شَرُّ الْعَمِّ وَالِي الْيَتِيمِ، أَنْتَ كُنْتَ، وَاللَّهِ مَا أَحْسَنْتَ أَدَبَهُ صَغِيرًا، وَلَا سَتَرْتَهُ كَبِيرًا، قَالَ: ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُنَا، فَقَالَ: إِنَّ أَوَّلَ حَدٍّ أُقِيمَ فِي الْإِسْلَامِ لِسَارِقٍ أُتِيَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قَامَتْ عَلَيْهِ الْبَيِّنَةُ، قَالَ: انْطَلِقُوا بِهِ، فَاقْطَعُوهُ فَلَمَّا انْطَلَقَ بِهِ نَظَرَ إِلَى وَجْهِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَأَنَّمَا سُفَّ عَلَيْهِ وَاللَّهِ الرَّمَادُ، فَقَالَ بَعْضُ جُلَسَائِهِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَكَأَنَّ هَذَا قَدِ اشْتَدَّ عَلَيْكَ؟ قَالَ: " وَمَا يَمْنَعُنِي أَنْ لَا يَشْتَدَّ عَلَيَّ، أَنْ تَكُونُوا أَعْوَانَ الشَّيْطَانِ عَلَى أَخِيكُمْ، قَالُوا: فَلَوْلَا خَلَّيْتَ سَبِيلَهُ، قَالَ: أَفَلَا كَانَ هَذَا قَبْلَ أَنْ تَأْتُونِي بِهِ، فَإِنَّ الْإِمَامَ إِذَا انْتَهَى إِلَيْهِ حَدٌّ، فَلَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يُغَلِّطَهُ، قَالَ: ثُمَّ تَلَا: {وَلْيَعْفُوا وَلْيَصْفَحُوا} [النور: 22] "، وَفِي رِوَايَةٍ: عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَجُلًا أَتَى بِابْنِ أَخٍ لَهُ سَكْرَانَ، فَقَالَ: تَرْتِرُوهُ وَمَزْمِزُوهُ وَاسْتَنْكِهُوهُ، فَوَجَدُوا مِنْهُ رِيحَ شَرَابٍ، فَلَمَّا صَحَا دَعَا بِهِ وَدَعَا بِسَوْطٍ، فَأَمَرَ بِهِ فَقُطِعَتْ ثَمَرَتُهُ. . . وَذَكَرَ الْحَدِيثَ.
وَفِي رِوَايَةٍ: عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ أَوَّلَ حَدٍّ أُقِيمَ فِي الْإِسْلَامِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِسَارِقٍ فَأَمَرَ بِهِ فَقُطِعَتْ يَدُهُ، فَلَمَّا انْطَلَقَ بِهِ نَظَرَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَأَنَّمَا يُسَفُّ فِي وَجْهِهِ الرَّمَادُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَأَنَّهُ شَقَّ عَلَيْكَ، فَقَالَ: " أَلَا يَشُقُّ عَلَيَّ أَنْ تَكُونُوا أَعْوَانًا لِلشَّيْطَانِ عَلَى أَخِيكُمْ؟ قَالُوا: أَفَلَا تَدَعُهُ؟ أَفَلَا كَانَ هَذَا قَبْلَ أَنْ يُؤْتَى بِهِ، إِنَّ الْإِمَامَ إِذَا رُفِعَ إِلَيْهِ الْحَدُّ، فَلَيْسَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَدَعَهُ حَتَّى يُمْضِيَهُ، ثُمَّ تَلَا {وَلْيَعْفُوا وَلْيَصْفَحُوا} [النور: 22] . . . . . . الْآيَةَ "
وَفِي رِوَايَةٍ: عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ أَوَّلَ حَدٍّ أُقِيمَ فِي الْإِسْلَامِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِسَارِقٍ فَأَمَرَ بِهِ فَقُطِعَتْ يَدُهُ، فَلَمَّا انْطَلَقَ بِهِ نَظَرَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَأَنَّمَا يُسَفُّ فِي وَجْهِهِ الرَّمَادُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَأَنَّهُ شَقَّ عَلَيْكَ، فَقَالَ: " أَلَا يَشُقُّ عَلَيَّ أَنْ تَكُونُوا أَعْوَانًا لِلشَّيْطَانِ عَلَى أَخِيكُمْ؟ قَالُوا: أَفَلَا تَدَعُهُ؟ أَفَلَا كَانَ هَذَا قَبْلَ أَنْ يُؤْتَى بِهِ، إِنَّ الْإِمَامَ إِذَا رُفِعَ إِلَيْهِ الْحَدُّ، فَلَيْسَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَدَعَهُ حَتَّى يُمْضِيَهُ، ثُمَّ تَلَا {وَلْيَعْفُوا وَلْيَصْفَحُوا} [النور: 22] . . . . . . الْآيَةَ "