মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
৭. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৫১
হজ্বের বিবিধ বর্ণনা
হাদীস নং-২৫১
হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) জামরায়ে আকাবায় কংকর নিক্ষেপ পর্যন্ত তালবীয়াহ পাঠ করতেন।
অন্য এক রিওয়ায়েতে হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে নবী করীম (ﷺ) তাঁর পিছনে সওয়ারীর উপর বসালেন। তিনি একজন সুদর্শন ও স্বাস্থ্যবান যুবক ছিলেন। এ অবস্থায় তিনি মহিলাদের দিকে তাকাতে থাকেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর চেহারা ফিরিয়ে দেন। অতঃপর জামরায়ে আকাবায় কংকর নিক্ষেপ পর্যন্ত তালবীয়াহ পাঠ
করেন।
অপর এক রিওয়ায়েতে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) স্বীয় ভাই হযরত ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) জামরায়ে আকাবায়ে কংকর নিক্ষেপ পর্যন্ত তালবীয়াহ পাঠ করতেন।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) জামরায়ে আকাবায় কংকর নিক্ষেপ পর্যন্ত তালবীয়াহ পাঠ করতেন।
অন্য এক রিওয়ায়েতে হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে নবী করীম (ﷺ) তাঁর পিছনে সওয়ারীর উপর বসালেন। তিনি একজন সুদর্শন ও স্বাস্থ্যবান যুবক ছিলেন। এ অবস্থায় তিনি মহিলাদের দিকে তাকাতে থাকেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর চেহারা ফিরিয়ে দেন। অতঃপর জামরায়ে আকাবায় কংকর নিক্ষেপ পর্যন্ত তালবীয়াহ পাঠ
করেন।
অপর এক রিওয়ায়েতে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) স্বীয় ভাই হযরত ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) জামরায়ে আকাবায়ে কংকর নিক্ষেপ পর্যন্ত তালবীয়াহ পাঠ করতেন।
عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَبَّى حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ» ، وَفِي رِوَايَةٍ: عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَرْدَفَ الْفَضْلَ بْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَكَانَ غُلَامًا حَسَنًا، فَجَعَلَ يُلَاحِظُ النِّسَاءَ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْرِفُ وَجْهَهُ، فَلَبَّى حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ» .
وَفِي رِوَايَةٍ: عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ الْفَضْلِ أَخِيهِ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ»
وَفِي رِوَايَةٍ: عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ الْفَضْلِ أَخِيهِ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ»
হাদীস নং:২৫২
হজ্বের বিবিধ বর্ণনা
হাদীস নং-২৫২
আব্দুল করীম হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (ﷺ) দেখেন যে, এক ব্যক্তি স্বীয় কুরবানীর জন্তু হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি তাকে বললেনঃ এর উপর সওয়ার হয়ে যাও।
আব্দুল করীম হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (ﷺ) দেখেন যে, এক ব্যক্তি স্বীয় কুরবানীর জন্তু হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি তাকে বললেনঃ এর উপর সওয়ার হয়ে যাও।
عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ أَنَسٍ، " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَجُلًا يَسُوقُ بَدَنَةً، فَقَالَ: ارْكَبْهَا "
হাদীস নং:২৫৩
হজ্বের বিবিধ বর্ণনা
হাদীস নং-২৫৩
হযরত সুবাঈ ইবনে মা'বাদ (রাহঃ) বলেন : আমি জাযিরা থেকে হজ্জের নিয়্যতে আগমণ করি এবং সালমান ইবনে রাবী'আ ও যায়দ ইবনে সুহান নামক আযিবার দু'জন শায়খ-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। যখন তাঁরা আমাকে لبيك بعمرة وحجة বলতে শুনেন তখন
তাঁদের একজন বলেন এই ব্যক্তি (আমি) তার উট থেকেও অধিক গুমরাহ (হজ্জ্বের আহকাম থেকে অজ্ঞ)। দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেনঃ এই লোকটি (আমি) অমুক অমুক বন্ধু থেকেও অধিক গুমরাহ (অজ্ঞ ও মূর্খ)। কিন্তু আমি আমার নিজের কাজে নিয়োজিত থাকি (অর্থাৎ তাদের কথায় কর্ণপাত করিনি) এবং হজ্জের আরকান সমাপ্ত করি। অতঃপর আমি আমীরুল মু'মিনীন হযরত উমর (রাযিঃ)-এর খেদমতে হাযির হয়ে আরয করি, আমি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করি। আল্লাহ তা'আলা আমার জন্য হজ্জের এই পদ্ধতি নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং হজ্জ ও উমরা একত্রে আদায় করা আমার নিকট অধিক পসন্দনীয় হয়েছে। আমি উভয়ের নিয়্যত করে ইহরাম বেঁধেছি। এটা আমি ইচ্ছাকৃত করেছি। অতঃপর যখন সালমান ইবনে রাবী'আ এবং যায়দ ইবনে সুহানের নিকট দিয়ে আমি যাচ্ছিলাম এবং তাঁরা আমাকে لبيك بعمرة وحجة বলতে শুনেন তখন তাঁদের মধ্যে একজন বলেন : এই ব্যক্তি তার উট থেকে অধিক (হজ্জের মাসআলা সম্পর্কে) অজ্ঞ। দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেনঃ এই ব্যক্তি অমুক অমুক থেকে (হজ্জের মাসআলা সম্পর্কে) অজ্ঞ। তখন হযরত উমর (রাযিঃ) বলেনঃ অতঃপর তুমি কি করলে? আমি বললাম, আমি যথাযথভাবে হজ্জের আরকানসমূহ আদায় করি। আমি উমরার জন্য তাওয়াফ করি এবং উমরার জন্য সাঈ আদায় করি। এরপর দ্বিতীয়বার এরূপ করি। অতঃপর আমি (হজ্জের জন্য) ইহরাম অবস্থায় থাকি এই নিয়্যতে যে, আমি ঐ কাজ করব যা একজন হাজী করে থাকেন (আরকানে হজ্জ আদায় করব)। তখন তিনি বলেনঃ তুমি তোমার নবী (ﷺ)-এর সুন্নত ও পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করেছ।
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, হযরত সুবাঈ ইবনে মা'বাদ (রাযিঃ) বলেনঃ মাত্র কিছুদিন পূর্বে খ্রীষ্ট ধর্ম ত্যাগ করার পর আমি হযরত উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে হজ্জের নিয়্যতে কূফায় গমন করি। সালমান এবং যায়দ ইবনে সুহান শুধু হজ্জের নিয়্যতে ইহরাম বাঁধেন (অর্থাৎ শুধু কিরানের নিয়্যত করেন)। সুবাঈ একত্রে হজ্জ ও উমরার নিয়্যত করেন। তখন উভয়ে বলেন : তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তামাত্তুর নিয়্যত করেছ অথচ হুযূর (ﷺ) এর থেকে নিষেধ করেছেন। তাঁরা উভয়ে তাঁকে (সুবাঈকে) বললেন : আল্লাহর শপথ। তুমি তোমার উটের চেয়েও অধিক গুমরাহ্ । সুবাঈ উত্তরে বলেনঃ আমরা হযরত উমর (রাযিঃ)-এর নিকট যাচ্ছি। অতঃপর যখন সুবাঈ মক্কা আগমণ করেন তখন বাইতুল্লাহ শরীফে তাওয়াফ করেন এবং সাফা-মারওয়ায় সাঈ করেন। এরপর হালাল না হয়ে ইহরাম অবস্থায় থাকেন। (হজ্জের দিন পুনরায়) বাইতুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করেন এবং হজ্জের জন্য সাফা ও মারওয়া সাঈ করেন। অতঃপর হালাল না হয়ে ইহরাম অবস্থায় থাকেন এবং আরাফাতে আগমণ করেন ও হজ্জের আরকান সমাপ্ত করেন। এরপর যখন নহরের দিন উপস্থিত হয়, তখন মতুআর (কিরান হজ্জের) জন্য কুরবানী করেন। এরপর লোকজন যখন হজ্জ থেকে ফিরে যায়, তখন তিনি (মদীনায়) হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট গমন করেন। তখন যায়দ ইবনে সুহান বলেন : হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি মুতআ (অর্থাৎ কিরান ও তামাত্তু) থেকে নিষেধ করেছেন কিন্তু সুবাঈ ইবনে মা'বাদ তামাত্তু আদায় করেছেন। হযরত উমর (রাযিঃ) সুবাঈকে জিজ্ঞাসা করেন, হে সুবাঈ! তুমি কি কি করেছ? তিনি তখন বলেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন! আমি হজ্জ ও উমরার নিয়্যতে ইহরাম বাঁধি। এরপর যখন আমি মক্কায় আগমণ করি, তখন উমরার জন্য বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করি এবং সাফা ও মারওয়া সাঈ করি। অতঃপর হালাল না হয়ে হয়ে ইহরাম অবস্থায় থাকি। এরপর বায়তুল্লাহ তাওয়াফ (طواف قدوم) করি এবং হজ্জের জন্য সাফা মারওয়ায় সাঈ করি। অতঃপর ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাই। (সুবাই) বলেনঃ তখন হযরত উমর (রাযিঃ) আমার পিঠ চাপড়ান এবং বলেন : নিশ্চয়ই তুমি নবী (ﷺ)-এর সুন্নত অনুযায়ী আমল করেছ।
সুবাই ইবনে মাবাদ অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিতে আছে তিনি বলেন তিনি এবং সালমান রাবীআ যায়দ ইবনে সুহান হজ্জের উদ্দেশ্য বের হন। সুবাই ইহরামের সময় কিরানের নিয়্যত করেন। সালমান এবং যায়দ শুধু হজ্জের নিয়্যত করেন। তাঁরা উভয়ে সুবাঈকে গালমন্দ করেন এবং বলেনঃ তুমি উট থেকেও অজ্ঞ। তুমি হজ্জ উমরা একত্র করছ, অথচ হযরত উমর (রাযিঃ) হজ্জ ও উমরা একত্রে করা থেকে নিষেধ করেছেন। সুবাঈ বলেনঃ আমরা হযরত উমর (রাযিঃ)-এর নিকট যাচ্ছি।তার নিকট এটা জিজ্ঞাসা করব। অতঃপর তাঁরা চলতে থাকেন এবং মক্কা গমন করেন। তখন সুবাই উমরার জন্য বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেন এবং সাফা মারওয়া সাঈ করেন। অতঃপর হজ্জের জন্য বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেন। অতঃপর হালাল না হয়ে ইহরাম অবস্থায় থাকেন যাতে তার জন্য হারাম বস্তু হালাল হয়ে না যায়। এরপর যখন কুরবানীর দিন উপস্থিত হয়, সামর্থ্য অনুযায়ী একটি বকরী যবেহ করে কুরবানী আদায় করেন। যখন কুরবানীর যাবতীয় আহকাম সমাপ্ত করেন তখন মদীনা গমন করে হযরত উমর (রাযিঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হন। তখন সালমান এবং যায়দ তাঁকে বলেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন? সুবাঈ হজ্জ ও উমরা একত্র আদায় করেছেন। অথচ আপনি এটা নিষেধ করেছেন। তখন উমর (রাযিঃ) সুবাইকে বললেনঃ তুমি কি করেছ? তখন তিনি বলেন: যখন আমি মক্কায় আগমণ করি তখন উমরার জন্য তাওয়াফ করি এবং সাফা মারওয়ার মধ্যে উমরার জন্য সাঈ করি। এপর দ্বিতীয়বার হজ্জের জন্য বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করি এবং সাফা মারওয়ায় সাঈ করি। তখন তিনি [উমর (রাযিঃ)।] জিজ্ঞাসা করেন, এরপর তুমি কি করেছ? তখন তিনি (সুবাঈ) বলেন। আমি ইহরাম অবস্থায় আমার উপর হারাম বা নিষিদ্ধ কোন কিছু হালাল করিনি। কুরবানীর দিন হল, তখন আমার ক্ষমতা অনুযায়ী আমি একটি বকরী যবেহ করি। সুবাঈ বলেনঃ তখন হযরত উমর (রাযিঃ) আমার কাঁধে হাত চাপড়িয়ে আমাকে ধন্যবাদ বাহবা দেন। অতঃপর বলেনঃ তুমি তোমার নবী (ﷺ)-এর সুন্নত পালন করেছ।
হযরত সুবাঈ ইবনে মা'বাদ (রাহঃ) বলেন : আমি জাযিরা থেকে হজ্জের নিয়্যতে আগমণ করি এবং সালমান ইবনে রাবী'আ ও যায়দ ইবনে সুহান নামক আযিবার দু'জন শায়খ-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। যখন তাঁরা আমাকে لبيك بعمرة وحجة বলতে শুনেন তখন
তাঁদের একজন বলেন এই ব্যক্তি (আমি) তার উট থেকেও অধিক গুমরাহ (হজ্জ্বের আহকাম থেকে অজ্ঞ)। দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেনঃ এই লোকটি (আমি) অমুক অমুক বন্ধু থেকেও অধিক গুমরাহ (অজ্ঞ ও মূর্খ)। কিন্তু আমি আমার নিজের কাজে নিয়োজিত থাকি (অর্থাৎ তাদের কথায় কর্ণপাত করিনি) এবং হজ্জের আরকান সমাপ্ত করি। অতঃপর আমি আমীরুল মু'মিনীন হযরত উমর (রাযিঃ)-এর খেদমতে হাযির হয়ে আরয করি, আমি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করি। আল্লাহ তা'আলা আমার জন্য হজ্জের এই পদ্ধতি নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং হজ্জ ও উমরা একত্রে আদায় করা আমার নিকট অধিক পসন্দনীয় হয়েছে। আমি উভয়ের নিয়্যত করে ইহরাম বেঁধেছি। এটা আমি ইচ্ছাকৃত করেছি। অতঃপর যখন সালমান ইবনে রাবী'আ এবং যায়দ ইবনে সুহানের নিকট দিয়ে আমি যাচ্ছিলাম এবং তাঁরা আমাকে لبيك بعمرة وحجة বলতে শুনেন তখন তাঁদের মধ্যে একজন বলেন : এই ব্যক্তি তার উট থেকে অধিক (হজ্জের মাসআলা সম্পর্কে) অজ্ঞ। দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেনঃ এই ব্যক্তি অমুক অমুক থেকে (হজ্জের মাসআলা সম্পর্কে) অজ্ঞ। তখন হযরত উমর (রাযিঃ) বলেনঃ অতঃপর তুমি কি করলে? আমি বললাম, আমি যথাযথভাবে হজ্জের আরকানসমূহ আদায় করি। আমি উমরার জন্য তাওয়াফ করি এবং উমরার জন্য সাঈ আদায় করি। এরপর দ্বিতীয়বার এরূপ করি। অতঃপর আমি (হজ্জের জন্য) ইহরাম অবস্থায় থাকি এই নিয়্যতে যে, আমি ঐ কাজ করব যা একজন হাজী করে থাকেন (আরকানে হজ্জ আদায় করব)। তখন তিনি বলেনঃ তুমি তোমার নবী (ﷺ)-এর সুন্নত ও পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করেছ।
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, হযরত সুবাঈ ইবনে মা'বাদ (রাযিঃ) বলেনঃ মাত্র কিছুদিন পূর্বে খ্রীষ্ট ধর্ম ত্যাগ করার পর আমি হযরত উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে হজ্জের নিয়্যতে কূফায় গমন করি। সালমান এবং যায়দ ইবনে সুহান শুধু হজ্জের নিয়্যতে ইহরাম বাঁধেন (অর্থাৎ শুধু কিরানের নিয়্যত করেন)। সুবাঈ একত্রে হজ্জ ও উমরার নিয়্যত করেন। তখন উভয়ে বলেন : তোমার ধ্বংস হোক, তুমি তামাত্তুর নিয়্যত করেছ অথচ হুযূর (ﷺ) এর থেকে নিষেধ করেছেন। তাঁরা উভয়ে তাঁকে (সুবাঈকে) বললেন : আল্লাহর শপথ। তুমি তোমার উটের চেয়েও অধিক গুমরাহ্ । সুবাঈ উত্তরে বলেনঃ আমরা হযরত উমর (রাযিঃ)-এর নিকট যাচ্ছি। অতঃপর যখন সুবাঈ মক্কা আগমণ করেন তখন বাইতুল্লাহ শরীফে তাওয়াফ করেন এবং সাফা-মারওয়ায় সাঈ করেন। এরপর হালাল না হয়ে ইহরাম অবস্থায় থাকেন। (হজ্জের দিন পুনরায়) বাইতুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করেন এবং হজ্জের জন্য সাফা ও মারওয়া সাঈ করেন। অতঃপর হালাল না হয়ে ইহরাম অবস্থায় থাকেন এবং আরাফাতে আগমণ করেন ও হজ্জের আরকান সমাপ্ত করেন। এরপর যখন নহরের দিন উপস্থিত হয়, তখন মতুআর (কিরান হজ্জের) জন্য কুরবানী করেন। এরপর লোকজন যখন হজ্জ থেকে ফিরে যায়, তখন তিনি (মদীনায়) হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট গমন করেন। তখন যায়দ ইবনে সুহান বলেন : হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি মুতআ (অর্থাৎ কিরান ও তামাত্তু) থেকে নিষেধ করেছেন কিন্তু সুবাঈ ইবনে মা'বাদ তামাত্তু আদায় করেছেন। হযরত উমর (রাযিঃ) সুবাঈকে জিজ্ঞাসা করেন, হে সুবাঈ! তুমি কি কি করেছ? তিনি তখন বলেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন! আমি হজ্জ ও উমরার নিয়্যতে ইহরাম বাঁধি। এরপর যখন আমি মক্কায় আগমণ করি, তখন উমরার জন্য বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করি এবং সাফা ও মারওয়া সাঈ করি। অতঃপর হালাল না হয়ে হয়ে ইহরাম অবস্থায় থাকি। এরপর বায়তুল্লাহ তাওয়াফ (طواف قدوم) করি এবং হজ্জের জন্য সাফা মারওয়ায় সাঈ করি। অতঃপর ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাই। (সুবাই) বলেনঃ তখন হযরত উমর (রাযিঃ) আমার পিঠ চাপড়ান এবং বলেন : নিশ্চয়ই তুমি নবী (ﷺ)-এর সুন্নত অনুযায়ী আমল করেছ।
সুবাই ইবনে মাবাদ অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিতে আছে তিনি বলেন তিনি এবং সালমান রাবীআ যায়দ ইবনে সুহান হজ্জের উদ্দেশ্য বের হন। সুবাই ইহরামের সময় কিরানের নিয়্যত করেন। সালমান এবং যায়দ শুধু হজ্জের নিয়্যত করেন। তাঁরা উভয়ে সুবাঈকে গালমন্দ করেন এবং বলেনঃ তুমি উট থেকেও অজ্ঞ। তুমি হজ্জ উমরা একত্র করছ, অথচ হযরত উমর (রাযিঃ) হজ্জ ও উমরা একত্রে করা থেকে নিষেধ করেছেন। সুবাঈ বলেনঃ আমরা হযরত উমর (রাযিঃ)-এর নিকট যাচ্ছি।তার নিকট এটা জিজ্ঞাসা করব। অতঃপর তাঁরা চলতে থাকেন এবং মক্কা গমন করেন। তখন সুবাই উমরার জন্য বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেন এবং সাফা মারওয়া সাঈ করেন। অতঃপর হজ্জের জন্য বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেন। অতঃপর হালাল না হয়ে ইহরাম অবস্থায় থাকেন যাতে তার জন্য হারাম বস্তু হালাল হয়ে না যায়। এরপর যখন কুরবানীর দিন উপস্থিত হয়, সামর্থ্য অনুযায়ী একটি বকরী যবেহ করে কুরবানী আদায় করেন। যখন কুরবানীর যাবতীয় আহকাম সমাপ্ত করেন তখন মদীনা গমন করে হযরত উমর (রাযিঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হন। তখন সালমান এবং যায়দ তাঁকে বলেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন? সুবাঈ হজ্জ ও উমরা একত্র আদায় করেছেন। অথচ আপনি এটা নিষেধ করেছেন। তখন উমর (রাযিঃ) সুবাইকে বললেনঃ তুমি কি করেছ? তখন তিনি বলেন: যখন আমি মক্কায় আগমণ করি তখন উমরার জন্য তাওয়াফ করি এবং সাফা মারওয়ার মধ্যে উমরার জন্য সাঈ করি। এপর দ্বিতীয়বার হজ্জের জন্য বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করি এবং সাফা মারওয়ায় সাঈ করি। তখন তিনি [উমর (রাযিঃ)।] জিজ্ঞাসা করেন, এরপর তুমি কি করেছ? তখন তিনি (সুবাঈ) বলেন। আমি ইহরাম অবস্থায় আমার উপর হারাম বা নিষিদ্ধ কোন কিছু হালাল করিনি। কুরবানীর দিন হল, তখন আমার ক্ষমতা অনুযায়ী আমি একটি বকরী যবেহ করি। সুবাঈ বলেনঃ তখন হযরত উমর (রাযিঃ) আমার কাঁধে হাত চাপড়িয়ে আমাকে ধন্যবাদ বাহবা দেন। অতঃপর বলেনঃ তুমি তোমার নবী (ﷺ)-এর সুন্নত পালন করেছ।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الضَّبِّيِّ بْنِ مَعْبَدٍ، قَالَ: أَقْبَلْتُ مِنَ الْجَزَيرَةِ حَاجًّا، فَمَرَرْتُ بِسَلْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَزَيْدِ بْنِ صُوحَانَ، وَهُمَا شَيْخَانِ بِالْعُذَيْبَةِ، فَسَمِعَانِي أَقُولُ: " لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا: هَذَا الشَّخْصُ أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِهِ، وَقَالَ الْآخَرُ: هَذَا أَضَلُّ مِنْ كَذَا وَكَذَا، قَالَ: فَمَضَيْتُ حَتَّى إِذَا قَضَيْتُ نُسُكِي مَرَرْتُ بِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ، فَأَخْبَرْتُهُ: كُنْتُ رَجُلًا بَعِيدَ الشُّقَّةِ، قَاصِيَ الدَّارِ أَذِنَ اللَّهُ تَعَالَى فِي هَذا الْوَجْهِ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَجْمَعَ عُمْرَةً إِلَى حَجَّةً، فَأَهْلَلْتُ بِهِمَا جَمِيعًا، وَلَمْ أَنْسَ، فَمَرَرْتُ بِسَلْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَزَيْدِ بْنِ صُوحَانَ، فَسَمِعَانِي أَقُولُ: لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ مَعًا، فَقَالَ أَحَدُهُمَا: هَذَا أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِهِ، وَقَالَ الْآخَرُ: هَذَا أَضَلُّ كَذَا وَكَذَا، قَالَ عُمَرُ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: مَضَيْتُ، فَطُفْتُ طَوَافًا لِعُمْرَتِي، وَسَعَيْتُ سَعْيًا لِعُمْرَتِي، فَصَنَعْتُ، ثُمَّ عُدْتُ، فَفَعَلْتُ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ بَقِيتُ حَرَامًا أَصْنَعُ كَمَا يَصْنَعُ الْحَاجُّ، حَتَّى إِذَا قَضَيْتُ آخِرَ نُسُكِي.
قَالَ عُمَرُ: هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "، وَفِي رِوَايَةٍ عَنِ الضَّبِّيِّ بْنِ مَعْبَدٍ، قَالَ: كُنْتُ حَدِيثَ عَهْدٍ بِالْنَصْرَانِيَّةِ، فَقَدِمْتُ الْكُوفَةَ أُرِيدُ الْحَجَّ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَأَهَلَّ سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ وَزَيْدُ بْنُ صُوحَانَ بِالْحَجِّ وَحْدَهُ، وَأَهَلَّ الضَّبِّيُّ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَقَالَ: وَيْحَكَ تَمَتَّعْتَ، وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمُتْعَةِ، فَقَالَا لَهُ: وَاللَّهِ لَأَنْتَ أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِكَ، قَالَ: نَقْدُمُ عَلَى عُمَرَ وَتَقْدُمُونَ، فَلَمَّا قَدِمَ الضَّبِّيُّ مَكَّةَ طَافَ بِالْبَيْتِ، وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِعُمْرَتِهِ، ثُمَّ رَجَعَ حَرَامًا لَمْ يَحْلُلْ مِنْ شَيْءٍ، ثُمَّ طَافَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِحَجِّهِ، ثُمَّ أَقَامَ حَرَامًا لَمْ يَحْلُلْ مِنْهُ حَتَّى أَتَى عَرَفَاتٍ، وَفَرَغَ مِنْ حَجَّتِهِ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ حَلَّ فَأَهْرَقَ دَمًا لِمُتْعَتِهِ، فَلَمَّا صَدَرُوا مِنْ حَجِّهِمْ مَرُّوا بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ زَيْدُ بْنُ صُوحَانَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّكَ نَهَيْتَ عَنِ الْمُتْعَةِ، وَإِنَّ الضَّبِّيَّ بْنَ مَعْبَدٍ قَدْ تَمَتَّعَ، قَالَ: صَنَعْتَ مَاذَا يَا ضَبِّيُّ؟ قَالَ: أَهْلَلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَلَمَّا قَدِمْتُ مَكَّةَ طُفْتُ بِالْبَيْتِ وَطُفْتُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِعُمْرَتِي، ثُمَّ رَجَعْتُ حَرَامًا لَمْ أَحْلُلْ مِنْ شَيْءٍ، ثُمَّ طُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِحَجَّتِي، ثُمَّ أَقَمْتُ حَرَامًا حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ، فَأَهْرَقْتُ دَمًا لِمُتْعَتِي، ثُمَّ أَحْلَلْتُ، قَالَ: فَضَرَبَ عُمَرُ عَلَى ظَهْرِهِ، وَقَالَ: «هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَفِي رِوَايَةٍ عَنِ الضَّبِّيِّ، قَالَ: خَرَجَ هُوَ وَسَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ وَزَيْدُ بْنُ صُوحَانَ يُرِيدُونَ الْحَجَّ، قَالَ: فَأَمَّا الضَّبِّيُّ فَقَرَنَ الْحَجَّةَ وَالْعُمْرَةَ جَمِيعًا، وَأَمَّا سَلْمَانُ وَزَيْدٌ فَأَفْرَدُوا الْحَجَّ، ثُمَّ أَقْبَلَا عَلَى الضَّبِّيِّ يَلُومَانِهُ فِيمَا صَنَعَ، ثُمَّ قَالَا لَهُ: أَنْتَ أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِكَ، تَقْرِنُ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَقَدْ نَهَى أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَنِ الْعُمْرَةِ وَالْحَجِّ، قَالَ: تَقْدُمُونَ عَلَى عُمَرَ وَأَقْدُمُ، فَمَضَوْا حَتَّى دَخَلُوا مَكَّةَ، فَطَافَ بِالْبَيْتِ لِعُمْرَتِهِ، وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوةِ لِعُمْرَتِهِ، ثُمَّ عَادَ وَطَافَ بِالْبَيْتِ لِحَجَّتِهِ، ثُمَّ سَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ أَقَامَ كَمَا هُوَ لَمْ يَحِلَّ لَهُ شَيْءٌ حَرَامٌ عَلَيْهِ، حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ ذَبَحَ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ شَاةً، فَلَمَّا قَضَوْا نُسُكَهُمْ مَرُّوا بِالْمَدِينَةِ، فَدَخَلُوا عَلَى عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ سَلْمَانُ وَزَيْدٌ: إِنَّ الضَّبِّيَّ قَرَنَ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، قَالَ: ثُمَّ صَنَعْتَ مَاذَا؟ قَالَ: لَمَّا قَدِمْتُ مَكَّةَ طُفْتُ طَوَافًا لِعُمْرَتِي، ثُمَّ سَعَيْتُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِعُمْرَتِي، ثُمَّ عُدْتُ فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ لِحَجَّتِي، ثُمَّ سَعَيْتُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِحَجَّتِي، قَالَ: ثُمَّ صَنَعْتَ مَاذَا؟ قَالَ: أَقَمْتُ حَرَامًا لَمْ يَحِلَّ لِي شَيْءٌ حُرِّمَ عَلَيَّ، حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ ذَبَحْتُ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ شَاةً، قَالَ: فَضَرَبَ عُمَرُ عَلَى كَتِفِهِ، ثُمَّ قَالَ: «هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
قَالَ عُمَرُ: هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "، وَفِي رِوَايَةٍ عَنِ الضَّبِّيِّ بْنِ مَعْبَدٍ، قَالَ: كُنْتُ حَدِيثَ عَهْدٍ بِالْنَصْرَانِيَّةِ، فَقَدِمْتُ الْكُوفَةَ أُرِيدُ الْحَجَّ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَأَهَلَّ سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ وَزَيْدُ بْنُ صُوحَانَ بِالْحَجِّ وَحْدَهُ، وَأَهَلَّ الضَّبِّيُّ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَقَالَ: وَيْحَكَ تَمَتَّعْتَ، وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمُتْعَةِ، فَقَالَا لَهُ: وَاللَّهِ لَأَنْتَ أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِكَ، قَالَ: نَقْدُمُ عَلَى عُمَرَ وَتَقْدُمُونَ، فَلَمَّا قَدِمَ الضَّبِّيُّ مَكَّةَ طَافَ بِالْبَيْتِ، وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِعُمْرَتِهِ، ثُمَّ رَجَعَ حَرَامًا لَمْ يَحْلُلْ مِنْ شَيْءٍ، ثُمَّ طَافَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِحَجِّهِ، ثُمَّ أَقَامَ حَرَامًا لَمْ يَحْلُلْ مِنْهُ حَتَّى أَتَى عَرَفَاتٍ، وَفَرَغَ مِنْ حَجَّتِهِ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ حَلَّ فَأَهْرَقَ دَمًا لِمُتْعَتِهِ، فَلَمَّا صَدَرُوا مِنْ حَجِّهِمْ مَرُّوا بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ زَيْدُ بْنُ صُوحَانَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّكَ نَهَيْتَ عَنِ الْمُتْعَةِ، وَإِنَّ الضَّبِّيَّ بْنَ مَعْبَدٍ قَدْ تَمَتَّعَ، قَالَ: صَنَعْتَ مَاذَا يَا ضَبِّيُّ؟ قَالَ: أَهْلَلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، فَلَمَّا قَدِمْتُ مَكَّةَ طُفْتُ بِالْبَيْتِ وَطُفْتُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِعُمْرَتِي، ثُمَّ رَجَعْتُ حَرَامًا لَمْ أَحْلُلْ مِنْ شَيْءٍ، ثُمَّ طُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِحَجَّتِي، ثُمَّ أَقَمْتُ حَرَامًا حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ، فَأَهْرَقْتُ دَمًا لِمُتْعَتِي، ثُمَّ أَحْلَلْتُ، قَالَ: فَضَرَبَ عُمَرُ عَلَى ظَهْرِهِ، وَقَالَ: «هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَفِي رِوَايَةٍ عَنِ الضَّبِّيِّ، قَالَ: خَرَجَ هُوَ وَسَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ وَزَيْدُ بْنُ صُوحَانَ يُرِيدُونَ الْحَجَّ، قَالَ: فَأَمَّا الضَّبِّيُّ فَقَرَنَ الْحَجَّةَ وَالْعُمْرَةَ جَمِيعًا، وَأَمَّا سَلْمَانُ وَزَيْدٌ فَأَفْرَدُوا الْحَجَّ، ثُمَّ أَقْبَلَا عَلَى الضَّبِّيِّ يَلُومَانِهُ فِيمَا صَنَعَ، ثُمَّ قَالَا لَهُ: أَنْتَ أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِكَ، تَقْرِنُ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَقَدْ نَهَى أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَنِ الْعُمْرَةِ وَالْحَجِّ، قَالَ: تَقْدُمُونَ عَلَى عُمَرَ وَأَقْدُمُ، فَمَضَوْا حَتَّى دَخَلُوا مَكَّةَ، فَطَافَ بِالْبَيْتِ لِعُمْرَتِهِ، وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوةِ لِعُمْرَتِهِ، ثُمَّ عَادَ وَطَافَ بِالْبَيْتِ لِحَجَّتِهِ، ثُمَّ سَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ أَقَامَ كَمَا هُوَ لَمْ يَحِلَّ لَهُ شَيْءٌ حَرَامٌ عَلَيْهِ، حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ ذَبَحَ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ شَاةً، فَلَمَّا قَضَوْا نُسُكَهُمْ مَرُّوا بِالْمَدِينَةِ، فَدَخَلُوا عَلَى عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ سَلْمَانُ وَزَيْدٌ: إِنَّ الضَّبِّيَّ قَرَنَ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، قَالَ: ثُمَّ صَنَعْتَ مَاذَا؟ قَالَ: لَمَّا قَدِمْتُ مَكَّةَ طُفْتُ طَوَافًا لِعُمْرَتِي، ثُمَّ سَعَيْتُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِعُمْرَتِي، ثُمَّ عُدْتُ فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ لِحَجَّتِي، ثُمَّ سَعَيْتُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِحَجَّتِي، قَالَ: ثُمَّ صَنَعْتَ مَاذَا؟ قَالَ: أَقَمْتُ حَرَامًا لَمْ يَحِلَّ لِي شَيْءٌ حُرِّمَ عَلَيَّ، حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ ذَبَحْتُ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ شَاةً، قَالَ: فَضَرَبَ عُمَرُ عَلَى كَتِفِهِ، ثُمَّ قَالَ: «هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
