আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৫৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৫
৩৮৬। ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর আযান দেওয়া।
৫৬৮। ইমরান ইবনে মায়সারা (রাহঃ) .... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। যাত্রী দলের কেউ কেউ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! রাতের এ শেষ প্রহরে আমাদের নিয়ে যদি একটু বিশ্রাম নিতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমার ভয় হচ্ছে নামাযের সময়ও তোমরা ঘুমিয়ে থাকবে। বিলাল (রাযিঃ) বললেন, আমি আপনাদের জাগিয়ে দিব। কাজেই সবাই শুয়ে পড়লেন। এ দিকে বিলাল (রাযিঃ) তাঁর হাওদার গায়ে একটু হেলান দিয়ে বসলেন। এতে তাঁর দু’চোখ মুদে আসল। ফলে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন।
সূর্য কেবল উঠতে শুরু করেছে, এমন সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জাগ্রত হলেন এবং বিলাল (রাযিঃ)-কে ডেকে বললেন, হে বিলাল! তোমার কথা গেল কোথায়? বিলাল (রাযিঃ) বললেন, আমার এত অধিক ঘুম আর কখনও পায়নি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন ইচ্ছা করেছেন তখন তোমাদের রূহ কবয করে নিয়েছেন; আবার যখন ইচ্ছা করেছেন তখন তা তোমাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন।* হে বিলাল! উঠ, লোকদের জন্য নামাযের আযান দাও। তারপর তিনি উযু করলেন এবং সূর্য যখন উপরে উঠল এবং উজ্জ্বল হল তখন তিনি দাঁড়ালেন এবং নামায আদায় করলেন।
*অর্থাৎ,পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বনের পরও জাগ্রত হতে না পারা এ ইচ্ছাকৃত ত্রুটি নয়। কাজেই তা ওযর হিসাবে গণ্য হবে।
সূর্য কেবল উঠতে শুরু করেছে, এমন সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জাগ্রত হলেন এবং বিলাল (রাযিঃ)-কে ডেকে বললেন, হে বিলাল! তোমার কথা গেল কোথায়? বিলাল (রাযিঃ) বললেন, আমার এত অধিক ঘুম আর কখনও পায়নি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন ইচ্ছা করেছেন তখন তোমাদের রূহ কবয করে নিয়েছেন; আবার যখন ইচ্ছা করেছেন তখন তা তোমাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন।* হে বিলাল! উঠ, লোকদের জন্য নামাযের আযান দাও। তারপর তিনি উযু করলেন এবং সূর্য যখন উপরে উঠল এবং উজ্জ্বল হল তখন তিনি দাঁড়ালেন এবং নামায আদায় করলেন।
*অর্থাৎ,পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বনের পরও জাগ্রত হতে না পারা এ ইচ্ছাকৃত ত্রুটি নয়। কাজেই তা ওযর হিসাবে গণ্য হবে।
باب الأَذَانِ بَعْدَ ذَهَابِ الْوَقْتِ
595 - حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سِرْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةً، فَقَالَ: بَعْضُ القَوْمِ: لَوْ عَرَّسْتَ بِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «أَخَافُ أَنْ تَنَامُوا عَنِ الصَّلاَةِ» قَالَ بِلاَلٌ: أَنَا أُوقِظُكُمْ، فَاضْطَجَعُوا، وَأَسْنَدَ بِلاَلٌ ظَهْرَهُ إِلَى رَاحِلَتِهِ، فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ فَنَامَ، فَاسْتَيْقَظَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ طَلَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ، فَقَالَ: «يَا بِلاَلُ، أَيْنَ مَا قُلْتَ؟» قَالَ: مَا أُلْقِيَتْ عَلَيَّ نَوْمَةٌ مِثْلُهَا قَطُّ، قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ قَبَضَ أَرْوَاحَكُمْ حِينَ شَاءَ، وَرَدَّهَا عَلَيْكُمْ حِينَ شَاءَ، يَا بِلاَلُ، قُمْ فَأَذِّنْ بِالنَّاسِ بِالصَّلاَةِ» فَتَوَضَّأَ، فَلَمَّا ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ وَابْيَاضَّتْ، قَامَ فَصَلَّى