আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৫৬৮। ইমরান ইবনে মায়সারা (রাহঃ) .... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। যাত্রী দলের কেউ কেউ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! রাতের এ শেষ প্রহরে আমাদের নিয়ে যদি একটু বিশ্রাম নিতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমার ভয় হচ্ছে নামাযের সময়ও তোমরা ঘুমিয়ে থাকবে। বিলাল (রাযিঃ) বললেন, আমি আপনাদের জাগিয়ে দিব। কাজেই সবাই শুয়ে পড়লেন। এ দিকে বিলাল (রাযিঃ) তাঁর হাওদার গায়ে একটু হেলান দিয়ে বসলেন। এতে তাঁর দু’চোখ মুদে আসল। ফলে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন।
সূর্য কেবল উঠতে শুরু করেছে, এমন সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জাগ্রত হলেন এবং বিলাল (রাযিঃ)-কে ডেকে বললেন, হে বিলাল! তোমার কথা গেল কোথায়? বিলাল (রাযিঃ) বললেন, আমার এত অধিক ঘুম আর কখনও পায়নি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন ইচ্ছা করেছেন তখন তোমাদের রূহ কবয করে নিয়েছেন; আবার যখন ইচ্ছা করেছেন তখন তা তোমাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন।* হে বিলাল! উঠ, লোকদের জন্য নামাযের আযান দাও। তারপর তিনি উযু করলেন এবং সূর্য যখন উপরে উঠল এবং উজ্জ্বল হল তখন তিনি দাঁড়ালেন এবং নামায আদায় করলেন।
*অর্থাৎ,পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বনের পরও জাগ্রত হতে না পারা এ ইচ্ছাকৃত ত্রুটি নয়। কাজেই তা ওযর হিসাবে গণ্য হবে।
হাদীসের ব্যাখ্যাঃ
বুখারী শরীফের বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কাযা নামায আদায়ের জন্য আযান দেয়া হয়। আর মুসলিম শরীফের হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কাযা নামায আদায় করতে ইকামাত দেয়াও প্রয়োজন। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৯০) অবশ্য এ ঘটনা যেহেতু সফরের তাই সফরের ক্ষেত্রে এটা পূর্ণ প্রযোজ্য হবে। আর নিজ বাড়ি বা মহল্লায় এমন ঘটনা ঘটলে মহল্লায় আযান-ইকামাত তাদের জন্য যথেষ্ট হবে। (ইবনে আবী শাইবা: ২৩০১)

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন