আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৮২- কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ ও অনুসরণের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৭৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৮৯
৩০৭৭. অধিক প্রশ্ন করা এবং অনর্থক কষ্ট করা নিন্দনীয়। এবং আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে (৫ঃ ১০১)।
৬৭৯১। আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ মুকরী (রাহঃ) ......... সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ মুসলিমদের সবচেয়ে বড় অপরাধী সেই ব্যক্তি, যে এমন বিষয়ে প্রশ্ন করে যা পূর্বে হারাম ছিল না। কিন্তু তার প্রশ্নের কারণে তা হারাম হয়ে গেছে।
بَابُ مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ} [المائدة: 101]
7289 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ المُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ أَعْظَمَ المُسْلِمِينَ جُرْمًا، مَنْ سَأَلَ عَنْ شَيْءٍ لَمْ يُحَرَّمْ، فَحُرِّمَ مِنْ أَجْلِ مَسْأَلَتِهِ»
হাদীস নং: ৬৭৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৯০
৩০৭৭. অধিক প্রশ্ন করা এবং অনর্থক কষ্ট করা নিন্দনীয়। এবং আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে (৫ঃ ১০১)।
৬৭৯২। ইসহাক (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) চাটাই দিয়ে মসজিদে একটি কামরা তৈরী করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাতে কয়েক রাত নামায আদায় করলেন। এতে লোকেরা তার সঙ্গে সমবেত হত। তারপর এক রাতে তারা তার আওয়াজ শুনতে পেল না এবং তারা মনে করল, তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন। তাদের কেউ কেউ গলা খাকার দিতে শুরু করল, যেন তিনি তাদের কাছে বেরিয়ে আসেন। তখন তিনি (নবী (ﷺ)) বললেনঃ তোমাদের নিত্য দিনের কার্যকলাপ আমি লক্ষ্য করছি, তাতে আমার ভয় হচ্ছে যে, তোমাদের উপর তা ফরয করে দেওয়া হয়। কিন্তু যদি তোমাদের উপর ফরয করে দেওয়া হয় তাহলে তোমরা তা কায়েম করবে না। অতএব হে লোকেরা! তোমরা নিজ নিজ ঘরে নামায আদায় করো। কেননা, ফরয নামায ছাড়া একজন লোকের সবচেয়ে উত্তম নামায হল যা সে তার ঘরে আদায় করে।
بَابُ مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ} [المائدة: 101]
7290 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، سَمِعْتُ أَبَا النَّضْرِ، يُحَدِّثُ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اتَّخَذَ حُجْرَةً فِي المَسْجِدِ مِنْ حَصِيرٍ، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا لَيَالِيَ حَتَّى اجْتَمَعَ إِلَيْهِ نَاسٌ، ثُمَّ فَقَدُوا صَوْتَهُ لَيْلَةً، فَظَنُّوا أَنَّهُ قَدْ نَامَ، فَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَتَنَحْنَحُ لِيَخْرُجَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: «مَا زَالَ بِكُمُ الَّذِي رَأَيْتُ مِنْ صَنِيعِكُمْ، حَتَّى خَشِيتُ أَنْ يُكْتَبَ عَلَيْكُمْ، وَلَوْ كُتِبَ عَلَيْكُمْ مَا قُمْتُمْ بِهِ، فَصَلُّوا أَيُّهَا النَّاسُ فِي بُيُوتِكُمْ، فَإِنَّ أَفْضَلَ صَلاَةِ المَرْءِ فِي بَيْتِهِ إِلَّا الصَّلاَةَ المَكْتُوبَةَ»
হাদীস নং: ৬৭৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৯১
৩০৭৭. অধিক প্রশ্ন করা এবং অনর্থক কষ্ট করা নিন্দনীয়। এবং আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে (৫ঃ ১০১)।
৬৭৯৩। ইউসুফ ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এমন কতিপয় বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল যা তিনি অপছন্দ করেন। কিন্তু লোকেরা যখন তাকে বেশী বেশী প্রশ্ন করতে শুরু করল, তিনি রাগাম্বিত হলেন এবং বললেনঃ আমাকে প্রশ্ন কর। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার পিতা কে? ডিনি বললেনঃ তোমার পিতা হল হুযাফা। এরপর আর একজন দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা শায়বার আযাদকৃত গোলাম সালিম। উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারায় রাগের লক্ষণ দেখতে পেয়ে বললেনঃ আমরা আল্লাহর নিকট তাওবা করছি।
بَابُ مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ} [المائدة: 101]
7291 - حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَشْيَاءَ كَرِهَهَا، فَلَمَّا أَكْثَرُوا عَلَيْهِ المَسْأَلَةَ غَضِبَ وَقَالَ: «سَلُونِي» ، فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَنْ أَبِي؟ قَالَ: «أَبُوكَ حُذَافَةُ» ، ثُمَّ قَامَ آخَرُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَنْ أَبِي؟ فَقَالَ: «أَبُوكَ سَالِمٌ مَوْلَى شَيْبَةَ» ، فَلَمَّا رَأَى عُمَرُ مَا بِوَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الغَضَبِ قَالَ: إِنَّا نَتُوبُ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
হাদীস নং: ৬৭৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৯২
৩০৭৭. অধিক প্রশ্ন করা এবং অনর্থক কষ্ট করা নিন্দনীয়। এবং আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে (৫ঃ ১০১)।
৬৭৯৪। মুসা (রাহঃ) ......... মুগীরা ইবনে শুবা (রাযিঃ) এর কাতিব (কেরানী) ওয়াররাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুআবিয়া (রাযিঃ) মুগীরা (রাযিঃ) এর নিকট এ মর্মে লিখে পাঠালেন যে, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যা কিছু শুনেছ তা আমাকে লিখে পাঠাও। তিনি বলেন, তিনি তাকে লিখলেন যে, আল্লাহর নবী (ﷺ) প্রতি নামাযের পর বলতেনঃ আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই। তিনি একক, তার কোন শরীক নেই, সাম্রাজ্য কেবলমাত্র তারই, আর সকল প্রশংসা একমাত্র তারই জন্য, তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি যা দান করবে তাকে ঠেকাবার মত কেউ নেই, আর তুমি যে বিষয়ে বাধা প্রদান করবে তা দেওয়ার মত কেউ নেই। ধন-প্রাচুর্য তোমার দরবারে প্রাচুর্যধারীদের কোনই উপকারে আসবে না। তিনি আরো লিখেছিলেন যে, নবী (ﷺ) তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, অধিক প্রশ্ন করা ও ধন-সস্পদ অনর্থক বিনষ্ট করা থেকে নিষেধ করতেন। আর তিনি মায়েদের অবাধ্যতা, কন্যা সন্তানদের জীবন্ত প্রোথিত করা ও প্রাপকের প্রাপ্য দিতে হাত গুটিয়ে নেয়া এবং আদায়ের ব্যাপারে হাত বাড়িয়ে দেওয়া থেকে নিষেধ করতেন। আবু আব্দুল্লাহ (বুখারী) (রাহঃ) বলেন, তারা (কাফের) জাহিলীয়াতের যুগে স্বীয়-কন্যাদেরকে হত্যা করত। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তা হারাম করে দেন।
بَابُ مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ} [المائدة: 101]
7292 - حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ المَلِكِ، عَنْ وَرَّادٍ، كَاتِبِ المُغِيرَةِ، قَالَ: كَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى المُغِيرَةِ: اكْتُبْ إِلَيَّ مَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ: إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ: «لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ، وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ» وَكَتَبَ إِلَيْهِ إِنَّهُ «كَانَ يَنْهَى عَنْ قِيلَ وَقَالَ، وَكَثْرَةِ السُّؤَالِ، وَإِضَاعَةِ المَالِ، وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عُقُوقِ الأُمَّهَاتِ، وَوَأْدِ البَنَاتِ، وَمَنْعٍ وَهَاتِ»
হাদীস নং: ৬৭৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৯৩
৩০৭৭. অধিক প্রশ্ন করা এবং অনর্থক কষ্ট করা নিন্দনীয়। এবং আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে (৫ঃ ১০১)।
৬৭৯৫। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা উমর (রাযিঃ) এর কাছে (উপবিষ্ট) ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ আমাদের কৃত্রিমতা থেকে নিষেধ করা হয়েছে।
بَابُ مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ} [المائدة: 101]
7293 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ عُمَرَ فَقَالَ: «نُهِينَا عَنِ التَّكَلُّفِ»
হাদীস নং: ৬৭৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৯৪
৩০৭৭. অধিক প্রশ্ন করা এবং অনর্থক কষ্ট করা নিন্দনীয়। এবং আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে (৫ঃ ১০১)।
৬৭৯৬। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ও মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। দ্বিপ্রহরের পর নবী (ﷺ) বেরিয়ে আসলেন এবং যুহরের নামায আদায় করলেন। সালাম ফিরানোর পর তিনি মিম্বরে উঠে দাঁড়ালেন এবং কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি উল্লেখ করলেন যে, কিয়ামতের পূর্বে অনেক বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হবে। তারপর তিনি বললেনঃ কেউ যদি আমাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে ভাল মনে করে, তাহলে সে তা করতে পারবে। আল্লাহর শপথ! আমি এখানে অবস্থান করা পর্যন্ত তোমরা আমাকে যে বিষয়েই জিজ্ঞাসা করবে, আমি তা তোমাদের অবহিত করব।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, এতে লোকেরা খুব কাঁদতে থাকল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুব বলতে থাকলেন। তোমরা আমার কাছে প্রশ্ন কর। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার আশ্রয়স্থল কোথায়? তিনি বললেনঃ জাহান্নাম। তারপর আব্দুল্লাহ ইবনে হুযাফা (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা হুযাফা। আনাস (রাযিঃ) বলেনঃ তারপর তিনি বার বার বলতে থাকলেনঃ তোমরা আমার কাছে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা কর। তোমরা আমার কাছে প্রশ্ন কর। এতে উমর (রাযিঃ) হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন এবং বললেন, আমরা আল্লাহকে রব হিসাবে মেনে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) কে রাসুল হিসাবে বিশ্বাস করে সন্তুষ্ট আছি।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, উমর (রাযিঃ) যখন এ কথা বললেন তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নীরব হয়ে গেলেন। তারপর নবী (ﷺ) বললেনঃ উত্তম! যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম করে বলছি, এইমাত্র আমি যখন নামাযে ছিলাম তখন এই দেওয়ালের প্রস্থে জান্নাত ও জাহান্নাম আমার সন্মুখে পেশ করা হয়েছিল। আজকের ন্যায় এমন কল্যাণ ও অকল্যাণ আমি আর দেখিনি।
بَابُ مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ} [المائدة: 101]
7294 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح وحَدَّثَنِي مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:96] خَرَجَ حِينَ زَاغَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى الظُّهْرَ، فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ عَلَى المِنْبَرِ، فَذَكَرَ السَّاعَةَ، وَذَكَرَ أَنَّ بَيْنَ يَدَيْهَا أُمُورًا عِظَامًا، ثُمَّ قَالَ: «مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَسْأَلَ عَنْ شَيْءٍ فَلْيَسْأَلْ عَنْهُ، فَوَاللَّهِ لاَ تَسْأَلُونِي عَنْ شَيْءٍ إِلَّا أَخْبَرْتُكُمْ بِهِ مَا دُمْتُ فِي مَقَامِي هَذَا» ، قَالَ أَنَسٌ: فَأَكْثَرَ النَّاسُ البُكَاءَ، وَأَكْثَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَقُولَ: «سَلُونِي» ، فَقَالَ أَنَسٌ: فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ: أَيْنَ مَدْخَلِي يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «النَّارُ» ، فَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُذَافَةَ فَقَالَ: مَنْ أَبِي يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «أَبُوكَ حُذَافَةُ» ، قَالَ: ثُمَّ أَكْثَرَ أَنْ يَقُولَ: «سَلُونِي سَلُونِي» ، فَبَرَكَ عُمَرُ عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَقَالَ: رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَسُولًا، قَالَ: فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَالَ عُمَرُ ذَلِكَ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ عُرِضَتْ عَلَيَّ الجَنَّةُ وَالنَّارُ آنِفًا، فِي عُرْضِ هَذَا الحَائِطِ، وَأَنَا أُصَلِّي، فَلَمْ أَرَ كَاليَوْمِ فِي الخَيْرِ وَالشَّرِّ»
হাদীস নং: ৬৭৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৯৫
৩০৭৭. অধিক প্রশ্ন করা এবং অনর্থক কষ্ট করা নিন্দনীয়। এবং আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে (৫ঃ ১০১)।
৬৭৯৭। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহীম (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর নবী! কে আমার পিতা? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা অমুক। তারপর এই আয়াত অবতীর্ণ হলঃ (আল্লাহর বাণী) হে মুমিনরা! তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করবে না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে ......... (৫ঃ ১০১)।
بَابُ مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ} [المائدة: 101]
7295 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ أَنَسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَجُلٌ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَنْ أَبِي؟ قَالَ: «أَبُوكَ فُلاَنٌ» ، وَنَزَلَتْ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ} [المائدة: 101] الآيَةَ
হাদীস নং: ৬৭৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৯৬
৩০৭৭. অধিক প্রশ্ন করা এবং অনর্থক কষ্ট করা নিন্দনীয়। এবং আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে (৫ঃ ১০১)।
৬৭৯৮। হাসান ইবনে সাব্বাহ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ লোকেরা পরস্পরে প্রশ্ন করতে থাকবে, একপর্যায়ে এরকম বলে উঠবে যে, ইনি (আল্লাহ) সবকিছুরই স্রষ্টা, তবে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করলেন?
بَابُ مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ} [المائدة: 101]
7296 - حَدَّثَنَا الحَسَنُ بْنُ صَبَّاحٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَنْ يَبْرَحَ النَّاسُ يَتَسَاءَلُونَ حَتَّى يَقُولُوا: هَذَا اللَّهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ، فَمَنْ خَلَقَ اللَّهَ "
হাদীস নং: ৬৭৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৯৭
৩০৭৭. অধিক প্রশ্ন করা এবং অনর্থক কষ্ট করা নিন্দনীয়। এবং আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে (৫ঃ ১০১)।
৬৭৯৯। মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ ইবনে মায়মুন (রাহঃ) ......... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর সঙ্গে মদীনার এক শস্যক্ষেত্রে ছিলাম। তিনি একটি খেজুরের ডালে ভর দিয়ে হাঁটছিলেন। এ সময় ইহুদীদের একটি দলের নিকট দিয়ে তিনি যাচ্ছিলেন। তাদের কেউ বলল, তাকে রূহ (আত্মা) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কর। আর কেউ বলল তাকে জিজ্ঞাসা করো না, এতে তোমাদের অপছন্দনীয় উত্তর শুনতে হতে পারে। তারপর তারা তার কাছে উঠে গিয়ে বলল, হে আবুল কাসিম! আমাদের রূহ সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাকিয়ে রইলেন। আমি বুঝতে পারলাম, তাঁর কাছে ওহী নাযিল হচ্ছে , আমি তার থেকে একটু পিছনে সরে দাঁড়ালাম। ওহী অবতরণ শেষ হল। তারপর তিনি বললেনঃ (মহান আল্লাহর বাণীঃ) তোমাকে তারা রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, রূহ আমার প্রতিপালকের আদেশ (১৭ঃ ৮৫)।
بَابُ مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ} [المائدة: 101]
7297 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَرْثٍ بِالْمَدِينَةِ، وَهُوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى عَسِيبٍ، فَمَرَّ بِنَفَرٍ مِنَ اليَهُودِ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: سَلُوهُ عَنِ الرُّوحِ؟ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لاَ تَسْأَلُوهُ، لاَ يُسْمِعُكُمْ مَا تَكْرَهُونَ، فَقَامُوا إِلَيْهِ فَقَالُوا: يَا أَبَا القَاسِمِ حَدِّثْنَا عَنِ الرُّوحِ، فَقَامَ سَاعَةً يَنْظُرُ، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ يُوحَى إِلَيْهِ، فَتَأَخَّرْتُ عَنْهُ حَتَّى صَعِدَ الوَحْيُ، ثُمَّ قَالَ: " {وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي} [الإسراء: 85] "