আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৮২- কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ ও অনুসরণের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

হাদীস নং: ৬৭৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৭৫
৩০৭৬. নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।
আর আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য আদর্শস্বরূপ কর (২৫ঃ ৭৪)।
জনৈক বর্ণনাকারী বলেছেন, এরূপ ইমাম যে আমরা আমাদের পূর্ববর্তীদের অনুসরণ করব, আর আমাদের পরবর্তীরা আমাদের অনুসরণ করবে।
ইবনে আউন (রাহঃ) বলেন, তিনটি জিনিস আমি আমার নিজের জন্য ও আমার ভাইদের জন্য পছন্দ করি। (তার একটি হল) এই সুন্নত, যা শিখবে এবং জানবার জন্য এর সম্পর্কে প্রশ্ন করবে। (দ্বিতীয়টি হল) কুরআন, যা তারা ভালভাবে বুঝতে চেষ্টা করবে এবং জানবার জন্য এর সম্পর্কে প্রশ্ন করবে। এবং কল্যাণ ব্যতীত লোকদের থেকে পৃথক থাকবে (অর্থাৎ কল্যাণের প্রতি আহবান করবে)।
৬৭৭৯। আমর ইবনে আব্বাস (রাহঃ) ......... আবু ওয়ায়েল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এই মসজিদে শায়বার (রাহঃ) এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। তিনি বললেন, তুমি যেরূপ (আমার কাছে) বসে আছ, উমর (রাযিঃ) অনুরূপভাবে এ জায়গায় বসা ছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন, আমি ইচ্ছা করছি যে, এতে সোনা ও রূপার কোন কিছুই অবশিষ্ট রাখব না বরং সবকিছু মুসলমানদের মাঝে বণ্টন করে দিয়ে দিব। আমি বললাম, আপনার জন্য এটা করা ঠিক হবে না। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কেন? আমি বললাম, আপনার সঙ্গীদ্বয় [অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ)] এটা করেননি। তিনি বললেন, তাঁরা দু’জন অনুসরণ করার মত ব্যক্তিই ছিলেন।
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِسُنَنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا} [الفرقان: 74] " قَالَ: أَيِمَّةً نَقْتَدِي بِمَنْ قَبْلَنَا، وَيَقْتَدِي بِنَا مَنْ بَعْدَنَا " وَقَالَ ابْنُ عَوْنٍ: " ثَلاَثٌ أُحِبُّهُنَّ لِنَفْسِي وَلِإِخْوَانِي: هَذِهِ السُّنَّةُ أَنْ يَتَعَلَّمُوهَا وَيَسْأَلُوا عَنْهَا، وَالقُرْآنُ أَنْ يَتَفَهَّمُوهُ وَيَسْأَلُوا عَنْهُ، وَيَدَعُوا النَّاسَ إِلَّا مِنْ خَيْرٍ "
7275 - حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ وَاصِلٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ: جَلَسْتُ إِلَى شَيْبَةَ فِي هَذَا المَسْجِدِ، قَالَ: جَلَسَ إِلَيَّ عُمَرُ فِي مَجْلِسِكَ هَذَا، فَقَالَ: «لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ لاَ أَدَعَ فِيهَا صَفْرَاءَ وَلاَ بَيْضَاءَ إِلَّا قَسَمْتُهَا بَيْنَ المُسْلِمِينَ» ، قُلْتُ: مَا أَنْتَ بِفَاعِلٍ، قَالَ: «لِمَ؟» ، قُلْتُ: لَمْ يَفْعَلْهُ صَاحِبَاكَ، قَالَ: «هُمَا المَرْءَانِ يُقْتَدَى بِهِمَا»
হাদীস নং: ৬৭৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৭৬
৩০৭৬. নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।
৬৭৮০। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, আমানত আসমান থেকে মানুষের অন্তর্মুলে অবগামী হয়েছে, তারপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে এবং মানুষ তা পাঠ করেছে এবং সুন্নত শিক্ষা করেছে।
باب الاِقْتِدَاءِ بِسُنَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
7276 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: سَأَلْتُ الأَعْمَشَ، فَقَالَ: عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ، يَقُولُ: حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَّ الأَمَانَةَ نَزَلَتْ مِنَ السَّمَاءِ فِي جَذْرِ قُلُوبِ الرِّجَالِ، وَنَزَلَ القُرْآنُ فَقَرَءُوا القُرْآنَ، وَعَلِمُوا مِنَ السُّنَّةِ»
হাদীস নং: ৬৭৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৭৭
৩০৭৬. নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।
৬৭৮১। আদম ইবনে আবু ইয়াস (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, সর্বোত্তম কালাম হল আল্লাহর কিতাব, আর সর্বোত্তম আদর্শ হল মুহাম্মাদ (ﷺ) এর আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্টতম বিষয় হল কুসংস্কারসমুহ। তোমাদের কাছে যা ঘোষণা করা হচ্ছে তা বাস্তবায়িত হবেই, তোমরা ব্যর্থ করতে পারবে না (৬ঃ ১৩৪)।
باب الاِقْتِدَاءِ بِسُنَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
7277 - حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، سَمِعْتُ مُرَّةَ الهَمْدَانِيَّ، يَقُولُ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: «إِنَّ أَحْسَنَ الحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ، وَأَحْسَنَ الهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَشَرَّ الأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا، وَإِنَّ مَا تُوعَدُونَ لَآتٍ، وَمَا أَنْتُمْ بِمُعْجِزِينَ»
হাদীস নং: ৬৭৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৭৮ - ৭২৭৯
৩০৭৬. নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।
৬৭৮২। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবনে খালিদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। (এ সময়) তিনি বললেনঃ অবশ্যই আমি আল্লাহ তাআলার কিতাব অনুযায়ী তোমাদের মাঝে ফায়সালা করব।
باب الاِقْتِدَاءِ بِسُنَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ، قَالاَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ ".
হাদীস নং: ৬৭৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৮০
৩০৭৬. নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।
৬৭৮৩। মুহাম্মাদ ইবনে সিনান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার সকল উম্মতই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু যে অস্বীকার করে। তারা বললেন, কে অস্বীকার করে। তিনি বললেনঃ যারা আমার অনুসরণ করে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার অবাধ্য হবে সে-ই অস্বীকার করল।
باب الاِقْتِدَاءِ بِسُنَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
7280 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «كُلُّ أُمَّتِي يَدْخُلُونَ الجَنَّةَ إِلَّا مَنْ أَبَى» ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَنْ يَأْبَى؟ قَالَ: «مَنْ أَطَاعَنِي دَخَلَ الجَنَّةَ [ص:93]، وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ أَبَى»
হাদীস নং: ৬৭৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৮১
৩০৭৬. নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।
৬৭৮৪। মুহাম্মাদ ইবনে আবাদা (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদল ফিরিশতা নবী (ﷺ) এর কাছে আগমন করলেন। তিনি তখন ঘুমন্ত ছিলেন। একজন ফিরিশতা বললেন, তিনি (নবী (ﷺ)) নিদ্রিত। অপর একজন বললেন, চক্ষু নিদ্রিত বটে, কিন্তু অন্তর জাগ্রত। তখন তারা বললেন, তোমাদের এ সাথীর একটি উপমা আছে সুতরাং তার উপমাটি তোমরা বর্ণনা কর। তখন তাদের কেউ বলল- তিনি তো নিদ্রিত, আর কেউ বলল, চক্ষু নিদ্রিত তবে অন্তরাত্মা জাগ্রত। তখন তারা বলল, তাঁর উপমা হল সেই ব্যক্তির মত, যে একটি গৃহ নির্মাণ করল। তারপর সেখানে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করল এবং একজন আহবানকারীকে (লোকদের ডাকতে) পাঠাল। যারা আহবানকারীর আহবানে সাড়া দিল, তারা গৃহে প্রবেশ করে খানা খাওয়ার সুযোগ লাভ করল। আর যারা আহবানকারীর আহবানে সাড়া দিল না, তারা গৃহেও প্রবেশ করতে পারল না এবং খানাও খেতে পারল না। তখন তারা বললেনঃ উপমাটির ব্যাখ্যা করুন, যাতে তিনি বুঝতে পারেন। তখন কেউ বলল, তিনি তো নিদ্রিত, আর কেউ বলল, চক্ষু নিদ্রিত, তবে অন্তরাত্মা জাগ্রত। তখন তারা বললেন, গৃহটি হল জান্নাত, আহবানকারী হলেন মুহাম্মাদ(ﷺ)। যারা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর অনুসরণ করল, তারা আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যারা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর অবাধ্যতা করল, তারা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই অবাধ্যতা করল। মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন মানুষের মাঝে পার্থক্যের মানদণ্ড।
কুতায়বা জাবির (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি ″নবী (ﷺ) আমাদের কাছে বের হয়ে আসলেন″ এই বাক্যটি বলছেন।
باب الاِقْتِدَاءِ بِسُنَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
7281 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَادَةَ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ، حَدَّثَنَا - أَوْ سَمِعْتُ - جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ: " جَاءَتْ مَلاَئِكَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ نَائِمٌ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّهُ نَائِمٌ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ العَيْنَ نَائِمَةٌ، وَالقَلْبَ يَقْظَانُ، فَقَالُوا: إِنَّ لِصَاحِبِكُمْ هَذَا مَثَلًا، فَاضْرِبُوا لَهُ مَثَلًا، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّهُ نَائِمٌ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ العَيْنَ نَائِمَةٌ، وَالقَلْبَ يَقْظَانُ، فَقَالُوا: مَثَلُهُ كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى دَارًا، وَجَعَلَ فِيهَا مَأْدُبَةً وَبَعَثَ دَاعِيًا، فَمَنْ أَجَابَ الدَّاعِيَ دَخَلَ الدَّارَ وَأَكَلَ مِنَ المَأْدُبَةِ، وَمَنْ لَمْ يُجِبِ الدَّاعِيَ لَمْ يَدْخُلِ الدَّارَ وَلَمْ يَأْكُلْ مِنَ المَأْدُبَةِ، فَقَالُوا: أَوِّلُوهَا لَهُ يَفْقَهْهَا، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّهُ نَائِمٌ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ العَيْنَ نَائِمَةٌ، وَالقَلْبَ يَقْظَانُ، فَقَالُوا: فَالدَّارُ الجَنَّةُ، وَالدَّاعِي مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَنْ أَطَاعَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ، وَمَنْ عَصَى مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ، وَمُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرْقٌ بَيْنَ النَّاسِ " تَابَعَهُ قُتَيْبَةُ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ جَابِرٍ، خَرَجَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ৬৭৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৮২
৩০৭৬. নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।
৬৭৮৫। আবু নুআয়ম (রাহঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে কুরআন পাঠকারী সমাজ! তোমরা (কুরআন ও সুন্নাহর উপর) সুদৃঢ় থাক। নিশ্চয়ই তোমরা অনেক পিছনে পড়ে আছ। আর যদি তোমরা (সিরাতে মুস্তাকীম থেকে সরে গিয়ে) ডান কিংবা বামের পথ অনুসরণ কর, তাহলে তোমরা (হেদায়েত থেকে) অনেক দূরে সরে যাবে।
باب الاِقْتِدَاءِ بِسُنَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
7282 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: «يَا مَعْشَرَ القُرَّاءِ اسْتَقِيمُوا فَقَدْ سَبَقْتُمْ سَبْقًا بَعِيدًا، فَإِنْ أَخَذْتُمْ يَمِينًا وَشِمَالًا، لَقَدْ ضَلَلْتُمْ ضَلاَلًا بَعِيدًا»
হাদীস নং: ৬৭৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৮৩
৩০৭৬. নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।
৬৭৮৬। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমার ও আমাকে আল্লাহ যা কিছু দিয়ে প্রেরণ করেছেন তার উপমা হল এমন যে, এক ব্যক্তি কোন এক সম্প্রদায়ের নিকট এসে বলল, হে কওম! আমি নিজের চোখে সেনাবাহিনীকে দেখে এসেছি। আমি সুস্পষ্ট সতর্ককারী। সুতরাং তোমরা আত্মরক্ষার চেষ্টা কর। কওমের কিছু লোক তার কথা মেনে নিল, সুতরাং রাতের প্রথম ভাগে তারা সে স্থান ছেড়ে রওয়ানা হল এবং একটি নিরাপদ স্থানে গিয়ে পৌছল। ফলে তারা রক্ষা পেল। তাদের থেকে আর একদল লোক তার কথা অবিশ্বাস করল, ফলে তারা নিজেদের আবাসস্থলেই রয়ে গেল। প্রভাতে শক্রবাহিনী তাদের উপর আক্রমণ করল, তাদেরকে ধ্বংস করে দিল এবং তাদেরকে নির্মূল করে দিল। এটাই হল তাদের উপমা, যারা আমার আনুগত্য করে এবং আমি যা নিয়ে এসেছি তার অনুসরণ করে। আর যারা আমার নাফরমানী করে এবং আমি যে সত্য নিয়ে এসেছি তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।
باب الاِقْتِدَاءِ بِسُنَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
7283 - حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " إِنَّمَا مَثَلِي وَمَثَلُ مَا بَعَثَنِي اللَّهُ بِهِ، كَمَثَلِ رَجُلٍ أَتَى قَوْمًا فَقَالَ: يَا قَوْمِ، إِنِّي رَأَيْتُ الجَيْشَ بِعَيْنَيَّ، وَإِنِّي أَنَا النَّذِيرُ العُرْيَانُ، فَالنَّجَاءَ، فَأَطَاعَهُ طَائِفَةٌ مِنْ قَوْمِهِ، فَأَدْلَجُوا، فَانْطَلَقُوا عَلَى مَهَلِهِمْ فَنَجَوْا، وَكَذَّبَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ، فَأَصْبَحُوا مَكَانَهُمْ، فَصَبَّحَهُمُ الجَيْشُ فَأَهْلَكَهُمْ وَاجْتَاحَهُمْ، فَذَلِكَ مَثَلُ مَنْ أَطَاعَنِي فَاتَّبَعَ مَا جِئْتُ بِهِ، وَمَثَلُ مَنْ عَصَانِي وَكَذَّبَ بِمَا جِئْتُ بِهِ مِنَ الحَقِّ "
হাদীস নং: ৬৭৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৮৪ - ৭২৮৫
৩০৭৬. নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।
৬৭৮৭। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্‌তিকাল করলেন। আর তার পরে আবু বকর (রাযিঃ) কে খলীফা নির্বাচন করা হল এবং আরবের যারা কাফের হওয়ার তারা কাফের হরে গিয়েছিল। তখন উমর (রাযিঃ) আবু বকর (রাযিঃ) কে বললেন, আপনি কি করে লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন, অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি মানুষের সাথে ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পূর্ব পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাওয়ার জন্য নির্দেশিত হয়েছি। অতএব যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে ফেলল সে তার জান ও মাল আমার থেকে নিরাপদ ও সংরক্ষিত করে ফেলল। তবে ইসলামী বিধানের আওতায় পড়ে গেলে সে ভিন্নকথা। তাদের প্রকৃত হিসাব আল্লাহর কাছে হবে। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, যারা নামায ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে, আমি অবশ্যই তাদের সাথে যুদ্ধ করব। কেননা, যাকাত হল সম্পদের হক (অবশ্য পালনীয় বিধান)। আল্লাহর শপথ! যদি তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট যা আদায় করত, এখন তা (সেভাবে) দিতে অস্বীকার করে, তাহলেও আমি তাদের সাথে যুদ্ধ করব। উমর (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি দেখছিলাম যে, যুদ্ধ করার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা আবু বকরের সিনা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। সুতরাং আমি বুঝতে পারলাম এ সিদ্ধান্তই সঠিক।
(ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন) ইবনে বুকায়র ও আব্দুল্লাহ (রাহঃ) লাঈস এর সূত্রে উকায়ল থেকে বর্ণনা করতে গিয়ে لو منعوني كذا (যদি তারা এই পরিমাণ দিতে অস্বীকার করে) এর স্থলে لو منعوني عناقا (যদি তারা একটি ছোট উটের বাচ্চাও দিতে অস্বীকার করে) উল্লেখ করেছেন। আর এটাই বিশুদ্ধতম। আর এটিকে লোকেরা عناقا বর্ণনা করেছেন। عز وجل বস্তুত এ স্থানে عقالا পড়া বৈধ নয়। আর عقالا শব্দটি শাবী এর হাদীসে মুরসাল সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। অনুরূপভাবে কুতায়বা (রাহঃ) عقالا বলেছেন।
باب الاِقْتِدَاءِ بِسُنَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاسْتُخْلِفَ أَبُو بَكْرٍ بَعْدَهُ، وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ الْعَرَبِ قَالَ عُمَرُ لأَبِي بَكْرٍ كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ. فَمَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ. عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ، إِلاَّ بِحَقِّهِ، وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ ". فَقَالَ وَاللَّهِ لأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ، فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ، وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عِقَالاً كَانُوا يُؤَدُّونَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهِ. فَقَالَ عُمَرُ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ رَأَيْتُ اللَّهَ قَدْ شَرَحَ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ لِلْقِتَالِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ. قَالَ ابْنُ بُكَيْرٍ وَعَبْدُ اللَّهِ عَنِ اللَّيْثِ عَنَاقًا. وَهْوَ أَصَحُّ.
হাদীস নং: ৬৭৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৮৬
৩০৭৬. নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।
৬৭৮৮। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উয়াইনা ইবনে হিসন ইবনে হুযাইফা ইবনে বদর তাঁর ভ্রাতূষ্পুত্র হুর ইবনে কায়স ইবনে হিসন এর নিকট এলেন। উমর (রাযিঃ) যাদের নিজের সান্নিধ্যে রাখতেন, হুর ইবনে কায়স (রাহঃ) ছিলেন তাদেরই একজন। যুবক হোক কিংবা বৃদ্ধ কারী (আলিম) ব্যক্তিরাই উমর (রাযিঃ) এর মজলিসের সভাসদ ও পরামর্শদাতা ছিলেন। উয়াইনা তার ভাতিজাকে বললেন, হে ভাতিজা! তোমার কি আমীরের নিকট এতটুকু প্রভাব আছে যে, আমার জন্য সাক্ষাতের অনুমতি গ্রহণ করতে পারবে? সে বলল, আমি আপনার ব্যাপারে তাঁর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করব। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি (হুর) উয়াইনার জন্য অনুমতি চাইলেন। তারপর যখন উয়াইনা উমর (রাযিঃ) এর নিকট গেল, তখন সে বলল, হে ইবনে খাত্তাব! আপনি আমাদের (প্রচুর পরিমাণে) মাল দিচ্ছেন না, আবার ইনসাফের ভিত্তিতে আমাদের মাঝে ফায়সালাও করছেন না। তখন উমর (রাযিঃ) রাগান্বিত হলেন, এমন কি তিনি তাকে প্রহার করতে উদ্যত হলেন। তখন হুর বললেন, হে আমীরুল মু'মিনীন। আল্লাহ তাঁর নবী (ﷺ) কে বলেছেন, তুমি ক্ষমাপরায়ণতা অবলম্বন কর, সৎকাজের নির্দেশ দাও, আর অজ্ঞদেরকে উপেক্ষা কর (৭ঃ ১৯৯)। এ লোকটি নিঃসন্দেহে একজন মুর্খ। আল্লাহর শপথ! উমর (রাযিঃ) এর সামনে এই আয়াতটি পাঠ করা হলে তিনি মোটেও তা লঙ্ঘন করলেন না। বস্তুত তিনি মহান আল্লাহ তাআলার কিতাবের বড়ই অনুগত ছিলেন।
باب الاِقْتِدَاءِ بِسُنَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
7286 - حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَدِمَ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ، فَنَزَلَ عَلَى ابْنِ أَخِيهِ الحُرِّ بْنِ قَيْسِ بْنِ حِصْنٍ، وَكَانَ مِنَ النَّفَرِ الَّذِينَ يُدْنِيهِمْ عُمَرُ، وَكَانَ القُرَّاءُ أَصْحَابَ مَجْلِسِ عُمَرَ وَمُشَاوَرَتِهِ، كُهُولًا كَانُوا أَوْ شُبَّانًا، فَقَالَ عُيَيْنَةُ لِابْنِ أَخِيهِ: يَا ابْنَ أَخِي، هَلْ لَكَ وَجْهٌ عِنْدَ هَذَا الأَمِيرِ فَتَسْتَأْذِنَ لِي عَلَيْهِ؟ قَالَ: سَأَسْتَأْذِنُ لَكَ عَلَيْهِ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَاسْتَأْذَنَ لِعُيَيْنَةَ، فَلَمَّا دَخَلَ، قَالَ: يَا ابْنَ الخَطَّابِ، وَاللَّهِ مَا تُعْطِينَا الجَزْلَ، وَمَا تَحْكُمُ بَيْنَنَا بِالعَدْلِ، فَغَضِبَ عُمَرُ، حَتَّى هَمَّ بِأَنْ يَقَعَ بِهِ، فَقَالَ الحُرُّ: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ لِنَبِيِّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {خُذِ العَفْوَ وَأْمُرْ بِالعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الجَاهِلِينَ} [الأعراف: 199] ، وَإِنَّ هَذَا مِنَ الجَاهِلِينَ، «فَوَاللَّهِ مَا جَاوَزَهَا عُمَرُ حِينَ تَلاَهَا عَلَيْهِ، وَكَانَ وَقَّافًا عِنْدَ كِتَابِ اللَّهِ»
হাদীস নং: ৬৭৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৮৭
৩০৭৬. নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।
৬৭৮৯। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সুর্যগ্রহণের সময় আমি আয়েশা (রাযিঃ) এর নিকট এলাম। লোকেরা তখন (নামাযে) দাঁড়িয়েছিল এবং তিনিও দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, লোকদের কি হল? তিনি হাত দিয়ে আসমানের দিকে ইশারা করলেন এবং বললেন, সুবহানাল্লাহ! আমি বললাম, এটা কি কোন নিদর্শন? তখন তিনি মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ বললেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন নামায শেষ করলেন, তখন (প্রথমে) তিনি আল্লাহর হামদ ও ছানা পাঠ করলেন। তারপর বললেনঃ আমি যা দেখিনি তার সবকিছুই আজকের এই স্থানে দেখেছি। এমন কি জান্নাত ও জাহান্নামও দেখেছি। আর আমার নিকট ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, কবরে তোমাদের পরীক্ষায় ফেলা হবে, যা প্রায় দাজ্জালের পরীক্ষার ন্যায়ই (কঠিন) হবে। তবে যারা মুমিন হবে, অথবা (বলেছিলেন) মুসলিম হবে। বর্ণনাকারী বলেন, আসমা (রাযিঃ) ’মুমিন’ বলেছিলেন, না ’মুসলিম’ বলেছিলেন তা আমার স্মরণ নেই। তারা বলবে, মুহাম্মাদ আমাদের কাছে সূস্পষ্ট দলীল নিয়ে এসেছিলেন, আমরা তার আহবানে সাড়া দিয়েছি এবং ঈমান এনেছি। তখন তাকে বলা হবে, তুমি আরামে ঘুমিয়ে থাক, আমরা জানি তুমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী ছিলে। আর যারা মুনাফিক হবে অথবা (বলেছিলেন) সন্দেহকারী হবে। বর্ণনাকারী বলেন, আসমা ’মুনাফিক’ বলেছিলেন না ’সন্দেহকারী’ বলেছিলেন তা আমার মনে নেই। তারা বলবে, আমি কিছুই জানিনা, আমি মানুষকে কিছু কথা বলতে শুনেছি, আমিও তাই বলেছি।
باب الاِقْتِدَاءِ بِسُنَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
7287 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ المُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّهَا قَالَتْ: أَتَيْتُ عَائِشَةَ حِينَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ وَالنَّاسُ قِيَامٌ، وَهِيَ قَائِمَةٌ تُصَلِّي، فَقُلْتُ: مَا لِلنَّاسِ؟ فَأَشَارَتْ بِيَدِهَا نَحْوَ السَّمَاءِ، فَقَالَتْ: سُبْحَانَ اللَّهِ، فَقُلْتُ: آيَةٌ؟ قَالَتْ بِرَأْسِهَا: أَنْ نَعَمْ، فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: " مَا مِنْ شَيْءٍ لَمْ أَرَهُ إِلَّا وَقَدْ رَأَيْتُهُ فِي مَقَامِي هَذَا، حَتَّى الجَنَّةَ وَالنَّارَ، وَأُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي القُبُورِ قَرِيبًا مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ، فَأَمَّا المُؤْمِنُ - أَوِ المُسْلِمُ لاَ أَدْرِي أَيَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيَقُولُ: مُحَمَّدٌ جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ، فَأَجَبْنَاهُ وَآمَنَّا، فَيُقَالُ: نَمْ صَالِحًا عَلِمْنَا أَنَّكَ مُوقِنٌ، وَأَمَّا المُنَافِقُ - أَوِ المُرْتَابُ لاَ أَدْرِي أَيَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيَقُولُ: لاَ أَدْرِي سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ شَيْئًا فَقُلْتُهُ "
হাদীস নং: ৬৭৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৮৮
৩০৭৬. নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয়।
৬৭৯০। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, তোমরা আমাকে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাক, যতক্ষণ না আমি তোমাদের কিছু বলি। কেননা, তোমাদের পূর্বে যারা ছিল, তারা তাদের নবীদের অধিক প্রশ্ন করা ও নবীদের সাথে মতবিরোধ করার কারণেই ধ্বংস হয়েছে। তাই আমি যখন তোমাদের কোন বিষয়ে নিষেধ করি তখন তা থেকে বেঁচে থাক। আর যদি কোন বিষয়ে আদেশ করি তাহলে সাধ্যমত পালন কর।
باب الاِقْتِدَاءِ بِسُنَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
7288 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «دَعُونِي مَا تَرَكْتُكُمْ، إِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِسُؤَالِهِمْ وَاخْتِلاَفِهِمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ، فَإِذَا نَهَيْتُكُمْ عَنْ شَيْءٍ فَاجْتَنِبُوهُ، وَإِذَا [ص:95] أَمَرْتُكُمْ بِأَمْرٍ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ»