আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৮১- খবরে ওয়াহিদের প্রামাণিকতা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৩ টি

হাদীস নং: ৬৭৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৪৬
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ “তাদের প্রত্যেক দলের এক অংশ বহির্গত হয় না কেন? যাতে তারা দ্বীন সম্বন্ধে জ্ঞানানুশীলন করতে পারে এবং তাদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারে, যখন তারা তাদের নিকট ফিরে আসবে, যাতে তারা সতর্ক হয় (৯ঃ ১২২)।
طَائِفَة শব্দটি এক ব্যক্তিকেও বলা যায়। কেননা আল্লাহ তাআলার বাণীঃ মু’মিনদের দুই দল দ্বন্ধে লিপ্ত হলে ......... (৪৯ঃ ৯)। অতএব যদি দুই ব্যক্তি দ্বন্ধে লিপ্ত হয় তবে তা এ আয়াতের অর্থের অন্তর্ভুক্ত হবে।
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যদি কোন পাপাচারী তোমাদের কাছে কোন বার্তা আনয়ন করে, তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোন সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত না কর ...... (৪৯ঃ ৬)।
নবী (ﷺ) কিরূপে তার আমীরদের পর্যায়ক্রমে একজনের পর একজনকে পাঠাতেন, যেন তাদের কেউ ভুল করলে তাকে সুন্নতের দিকে ফিরিয়ে আনা হয়।
৬৭৫২। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... মালিক ইবনে হুওয়ায়রিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর কাছে এলাম। আমাদের সকলেই সমবয়সী যুবক ছিলাম। আমরা বিশ রাত পর্যন্ত তাঁর কাছে অবস্থান করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছিলেন কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তিনি যখন অনুমান করতে পারলেন যে, আমরা আমাদের স্ত্রী-পরিজনের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছি, কিংবা আসক্ত হয়ে পড়েছি। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, আমরা বাড়িতে কাদেরকে রেখে এসেছি। আমরা তাকে অবহিত করলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের পরিজনের নিকট ফিরে যাও এবং তাদের মাঝে অবস্থান কর, আর তাদেরকে (দ্বীন) শিক্ষা দিও। আর তাদের নির্দেশ দিও। তিনি (মালিক) কতিপয় বিষয়ের উল্লেখ করেছিলেন, যা আমি স্মরণ রেখেছি বা রাখতে পারিনি। (নবী (ﷺ) আরো বলেছিলেন) তোমরা আমাকে যেভাবে নামায আদায় করতে দেখেছ সেভাবে নামায আদায় কর। যখন নামাযের সময় উপস্থিত হয়, তখন যেন তোমাদের কোন একজন তোমাদের উদ্দেশ্যে আযান দেয়, আর তোমাদের মধ্যে যে বড় সে যেন তোমাদের ইমামতি করে।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {فَلَوْلاَ نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ} [التوبة: 122] ، «وَيُسَمَّى الرَّجُلُ طَائِفَةً لِقَوْلِهِ تَعَالَى» : {وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ المُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا} [الحجرات: 9] ، «فَلَوِ اقْتَتَلَ رَجُلاَنِ دَخَلَ فِي مَعْنَى الآيَةِ» ، وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا} ، «وَكَيْفَ بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَرَاءَهُ وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ، فَإِنْ سَهَا أَحَدٌ مِنْهُمْ رُدَّ إِلَى السُّنَّةِ»
7246 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ الحُوَيْرِثِ، قَالَ: أَتَيْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُونَ، فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَفِيقًا، فَلَمَّا ظَنَّ أَنَّا قَدِ اشْتَهَيْنَا أَهْلَنَا - أَوْ قَدِ اشْتَقْنَا - سَأَلَنَا عَمَّنْ تَرَكْنَا بَعْدَنَا فَأَخْبَرْنَاهُ [ص:87]، قَالَ: «ارْجِعُوا إِلَى أَهْلِيكُمْ، فَأَقِيمُوا فِيهِمْ، وَعَلِّمُوهُمْ وَمُرُوهُمْ، - وَذَكَرَ أَشْيَاءَ أَحْفَظُهَا أَوْ لاَ أَحْفَظُهَا، - وَصَلُّوا كَمَا رَأَيْتُمُونِي أُصَلِّي، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ، وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ»
হাদীস নং: ৬৭৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৪৭
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
৬৭৫৩। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ বিলালের আযান যেন তোমাদের কাউকে স্বীয় সাহরী খাওয়া থেকে বিরত না করে। কেননা, সে আযান দিয়ে থাকে, কিংবা বলেছিলেন ঘোষণা দিয়ে থাকে, তোমাদের যারা নামাযে মগ্ন ছিল তারা যেন নামায থেকে বিরত হয় এবং যারা ঘুমিয়েছিল তারা যেন জাগ্রত হয়। এরূপ হলে ফজর হয় না- এই বলে ইয়াহয়া উভয় হাতের তালুদ্বয়কে একত্রিত করলেন (অর্থাৎ আলো আকাশের দিকে দীর্ঘ হলে) বরং এরূপ হলে ফজর হয়, এ বলে ইয়াহয়া তার দুই তর্জনীকে ডানে-বামে প্রসারিত করলেন (অর্থাৎ ভোরের আলো পূর্বাকাশে উত্তরে দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়লে)।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
7247 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنِ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ يَمْنَعَنَّ أَحَدَكُمْ أَذَانُ بِلاَلٍ مِنْ سَحُورِهِ، فَإِنَّهُ يُؤَذِّنُ - أَوْ قَالَ يُنَادِي - لِيَرْجِعَ قَائِمَكُمْ، وَيُنَبِّهَ نَائِمَكُمْ، وَلَيْسَ الفَجْرُ أَنْ يَقُولَ هَكَذَا - وَجَمَعَ يَحْيَى كَفَّيْهِ - حَتَّى يَقُولَ هَكَذَا» وَمَدَّ يَحْيَى إِصْبَعَيْهِ السَّبَّابَتَيْنِ
হাদীস নং: ৬৭৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৪৮
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
৬৭৫৪। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ) রাত থাকতে আযান দিয়ে থাকে, অতএব তোমরা পানাহার করতে পার যতক্ষণ না ইবনে উম্মে মাকতূম (রাযিঃ) আযান দেয়।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
7248 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ بِلاَلًا يُنَادِي بِلَيْلٍ، فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ»
হাদীস নং: ৬৭৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৪৯
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
৬৭৫৫। হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আমাদের নিয়ে যোহরের নামায পাঁচ রাকআত আদায় করলেন। তাকে বলা হল নামায কি বর্ধিত করা হয়েছে? তিনি বললেনঃ কি হয়েছে? তারা বললেনঃ আপনি নামায পাঁচ রাকআত আদায় করেছেন। তখন তিনি সালাম শেষে দুটো সিজদা (সিজদায়ে সাহু) দিলেন।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
7249 - حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ خَمْسًا، فَقِيلَ: أَزِيدَ فِي الصَّلاَةِ؟ قَالَ: «وَمَا ذَاكَ؟» ، قَالُوا: صَلَّيْتَ خَمْسًا، فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَ مَا سَلَّمَ
হাদীস নং: ৬৭৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৫০
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
৬৭৫৬। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুই রাকআত আদায় করেই নামায শেষ করে দিলেন। তখন যুল ইয়াদাইন (রাযিঃ) তাকে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! নামায কি সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছে, না আপনি ভুলে গেছেন? তিনি বললেনঃ যুল ইয়াদাইন কি সত্য বলছে? লোকেরা বলল, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়ালেন এবং অবশিষ্ট দু’রাকআত আদায় করলেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন এবং তাকবীর বলে পূর্বের সিজদার ন্যায় কিংবা তার চেয়ে দীর্ঘ করে সিজদা করলেন এবং মাথা উঠালেন, তারপর আবার তাকবীর বলে পূর্বের ন্যায় সিজদা করলেন ও মাথা উঠালেন।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
7250 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ مِنَ اثْنَتَيْنِ، فَقَالَ لَهُ ذُو اليَدَيْنِ: أَقَصُرَتِ الصَّلاَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَمْ نَسِيتَ؟ فَقَالَ: «أَصَدَقَ ذُو اليَدَيْنِ؟» ، فَقَالَ النَّاسُ: نَعَمْ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ، ثُمَّ كَبَّرَ، ثُمَّ سَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ، ثُمَّ رَفَعَ، ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ، ثُمَّ رَفَعَ
হাদীস নং: ৬৭৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৫১
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
৬৭৫৭। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা কুবার মসজিদে ফজরের নামাযে রত ছিলেন, এমন সময় একজন আগন্তুক এসে বলল, (গত) রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং কা'বাকে কিবলা বানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা কা'বার দিকে মুখ করে দাঁড়াও। তখন তাদের চেহারা ছিল সিরিয়ার দিকে, তারপর তারা কা'বার দিকে ঘুরে দাঁড়ালেন।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
7251 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: بَيْنَا النَّاسُ بِقُبَاءٍ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ، إِذْ جَاءَهُمْ آتٍ فَقَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ اللَّيْلَةَ قُرْآنٌ وَقَدْ أُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الكَعْبَةَ فَاسْتَقْبِلُوهَا» ، وَكَانَتْ وُجُوهُهُمْ إِلَى الشَّأْمِ فَاسْتَدَارُوا إِلَى الكَعْبَةِ
হাদীস নং: ৬৭৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৫২
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
৬৭৫৮। ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... বারা' (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদীনায় আগমন করেন, তখন যোল অথবা সতের মাস বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামায আদায় করলেন। আর তিনি কাবার দিকে মুখ করে দাঁড়াতে খুবই আগ্রহী ছিলেন। তারপর আল্লাহ নাযিল করলেনঃ আকাশের দিকে তোমার বারবার তাকানোকে আমি অবশ্যই লক্ষ্য করছি। সুতরাং তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি যা তুমি পছন্দ কর (২ঃ ১৪৪)। তখন তাঁকে কাবার দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আর তার সাথে এক ব্যক্তি আসরের নামায আদায় করেছিল। এরপর সে বেরিয়ে এক সম্প্রদায়ের কাছ দিয়ে গমন করল এবং সে সাক্ষ্য দিয়ে বলল যে, সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে নামায আদায় করে এসেছে আর কিবলা কাবার দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন তারা দিক পরিবর্তন করলেন। এ সময় তাঁরা আসরের নামাযে রুকু অবস্থায় ছিলেন।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
7252 - حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ البَرَاءِ، قَالَ: " لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ صَلَّى نَحْوَ بَيْتِ المَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا، وَكَانَ يُحِبُّ أَنْ يُوَجَّهَ إِلَى الكَعْبَةِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا} [البقرة: 144] ، فَوُجِّهَ نَحْوَ الكَعْبَةِ، وَصَلَّى مَعَهُ رَجُلٌ العَصْرَ "، ثُمَّ خَرَجَ فَمَرَّ عَلَى قَوْمٍ مِنَ الأَنْصَارِ، فَقَالَ: هُوَ يَشْهَدُ أَنَّهُ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ [ص:88] قَدْ وُجِّهَ إِلَى الكَعْبَةِ، فَانْحَرَفُوا وَهُمْ رُكُوعٌ فِي صَلاَةِ العَصْرِ
হাদীস নং: ৬৭৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৫৩
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
৬৭৫৯। ইয়াহয়া ইবনে কাযাআ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু তালহা আনসারী (রাযিঃ), আবু উবাইদা ইবনে জাররাহ (রাযিঃ) ও উবাই ইবনে কা'ব (রাযিঃ) কে আধাপাকা খেজুরের তৈরী শরাব পরিবেশন করতাম। তখন তাদের কাছে একজন আগন্তুক এসে বলল, নিঃসন্দেহে শরাব হারাম করে দেওয়া হয়েছে। আবু তালহা (রাযিঃ) বললেন, হে আনাস! তুমি গিয়ে এ মটকাগুলো ভেঙ্গে ফেল। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি উঠে গিয়ে আমাদের ঘটি দিয়ে তার তলায় আঘাত করলাম আর তা ভেঙ্গে গেল।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
7253 - حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «كُنْتُ أَسْقِي أَبَا طَلْحَةَ الأَنْصَارِيَّ، وَأَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الجَرَّاحِ، وَأُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ شَرَابًا مِنْ فَضِيخٍ - وَهُوَ تَمْرٌ -» ، فَجَاءَهُمْ آتٍ فَقَالَ: إِنَّ الخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ، فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ: يَا أَنَسُ، قُمْ إِلَى هَذِهِ الجِرَارِ فَاكْسِرْهَا، قَالَ أَنَسٌ: «فَقُمْتُ إِلَى مِهْرَاسٍ لَنَا فَضَرَبْتُهَا بِأَسْفَلِهِ حَتَّى انْكَسَرَتْ»
হাদীস নং: ৬৭৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৫৪
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
৬৭৬০। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নাজরানের অধিবাসীদের উদ্দেশ্যে বললেনঃ আমি তোমাদের জন্য এমন একজন লোক পাঠাব, যিনি সস্পূর্ণরূপে বিশ্বস্ত। নবী (ﷺ) এর সাহাবীরা এর জন্য প্রতীক্ষা করছিলেন। পরে তিনি আবু উবাইদা (রাযিঃ) কে পাঠালেন।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
7254 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ صِلَةَ، عَنْ حُذَيْفَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِأَهْلِ نَجْرَانَ: «لَأَبْعَثَنَّ إِلَيْكُمْ رَجُلًا أَمِينًا حَقَّ أَمِينٍ» ، فَاسْتَشْرَفَ لَهَا أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ
হাদীস নং: ৬৭৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৫৫
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
৬৭৬১। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ প্রত্যেক উম্মতের মাঝে একজন বিশ্বস্ত লোক থাকে আর এ উম্মতের বিশ্বস্ত ব্যক্তিটি হল আবু উবাইদা ইবনে জাররাহ (রাযিঃ)।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
7255 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِكُلِّ أُمَّةٍ أَمِينٌ، وَأَمِينُ هَذِهِ الأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ»
হাদীস নং: ৬৭৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৫৬
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
৬৭৬২। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ......... উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জনৈক আনসারী সাহাবী ছিলেন, তিনি যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকটে অনুপস্থিত থাকতেন আমি তার কাছে উপস্থিত থাকতাম। তাহলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এখানে যা কিছু ঘটত তা আমি তাকে বর্ণনা করতাম। আর যদি আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুপস্থিত থাকতাম আর তিনি উপস্থিত থাকতেন, তাহলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকটে যা কিছু ঘটত তিনি এসে তা আমাকে বর্ণনা করতেন।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
7256 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، قَالَ: «وَكَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ، إِذَا غَابَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَهِدْتُهُ أَتَيْتُهُ بِمَا يَكُونُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِذَا غِبْتُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَهِدَهُ أَتَانِي بِمَا يَكُونُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
হাদীস নং: ৬৭৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৫৭
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
৬৭৬৩। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি ক্ষুদ্র সেনাদল প্রেরণ করলেন এবং এক ব্যক্তিকে তাদের আমীর নিযুক্ত করে দিলেন। তিনি (আমীর) অগ্নিকুণ্ড প্রজ্জলিত করে বললেন, তোমরা এতে প্রবেশ কর। কতিপয় লোক (আমীরের আনুগত্যের মানসে) তাতে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। এ সময় অন্যরা বলল, আমরা তো (ইসলাম গ্রহণ করে) আগুন থেকে পরিত্রাণ লাভ করতে চেয়েছি। পরে তারা এ ঘটনা নবী (ﷺ) এর নিকট ব্যক্ত করলেন। তখন তিনি যারা আগুনে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, যদি তারা তাতে প্রবেশ করত তাহলে কিয়ামত পর্যন্তই সেখানে থাকত। আর অন্যদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ আল্লাহর নাফরমানীর কাজে কোনরূপ আনুগত্য নেই। আনুগত্য করতে হবে কেবলমাত্র বৈধ কাজে।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
7257 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ جَيْشًا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ رَجُلًا فَأَوْقَدَ نَارًا وَقَالَ: ادْخُلُوهَا، فَأَرَادُوا أَنْ يَدْخُلُوهَا، وَقَالَ آخَرُونَ: إِنَّمَا فَرَرْنَا مِنْهَا، فَذَكَرُوا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لِلَّذِينَ أَرَادُوا أَنْ يَدْخُلُوهَا: «لَوْ دَخَلُوهَا لَمْ يَزَالُوا فِيهَا إِلَى يَوْمِ القِيَامَةِ» ، وَقَالَ لِلْآخَرِينَ: «لاَ طَاعَةَ فِي مَعْصِيَةٍ، إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي المَعْرُوفِ»
হাদীস নং: ৬৭৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৫৮ - ৭২৬০
৩০৬৮. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, নামায, রোযা ইত্যাদী যাবতীয় ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য।
৬৭৬৪। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবনে খালিদ (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, দু’ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট একটি মুকাদ্দামা দায়ের করল।
আবুল ইয়ামান (রাহঃ).................. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে এ বর্ণনায় উল্লেখ করা হয় যে, তিনি বলেছেন, আমরা নবী (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় একজন বেদুঈন দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহ তাআলার কিতাব অনুসারে আমার (বিচারের) ফায়সালা করে দিন। তখন তার প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি ঠিকই বলেছেন, আল্লাহর কিতাব অনুসারে তার ফায়সালা করে দিন। এবং (অনুগ্রহ করে) আমাকে বলার অনুমতি দিন। নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ তুমি বল। তখন সে বলল, আমার ছেলে এ লোকটির বাড়িতে মজুর ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, হাদীসে উক্ত عَسِيفاً শব্দটি শ্রমিকের অর্থে ব্যবহত হয়েছে। সে ছেলে এ লোকের স্ত্রীর সাথে যিনায় লিপ্ত হয়। কতিপয় লোক আমাকে বলল যে, আমার ছেলের উপর ‘রজম’ (প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা) এর বিধান কার্যকর হবে। তখন আমি আমার ছেলের মুক্তিপণ হিসাবে সেই মহিলাকে একশ বকরী ও একটি দাসী দেই। এরপর আমি আলেমদের নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি। তাঁরা আমাকে বললেন যে, তাঁর স্ত্রীর উপর ‘রজম’ এর হুকুম অবধারিত। আর আমার ছেলের জন্য রয়েছে একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তরের হুকুম। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ করে বলছি, অবশ্যই আমি তোমাদের দু’জনের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করব। বকরী ও বাঁদী ফিরিয়ে নাও, আর তোমার ছেলের উপর একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তরের হুকুম কার্যকর হবে। এরপর তিনি আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যক্তিকে সম্বোধন করে বললেনঃ হে উনায়স! তুমি এর স্ত্রীর নিকট যাও, যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে ‘রজম’ করো। উনায়স সেই স্ত্রীলোকটির নিকট গেলেন, সে স্বীকার করল তখন তিনি তাকে রজম করলেন।
كِتَابُ أَخْبَارِ الآحَادِ بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
7258 - حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، وَزَيْدَ بْنَ خَالِدٍ أَخْبَرَاهُ «أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
7260 - وحَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ قَامَ [ص:89] رَجُلٌ مِنَ الأَعْرَابِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اقْضِ لِي بِكِتَابِ اللَّهِ، فَقَامَ خَصْمُهُ فَقَالَ: صَدَقَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، اقْضِ لَهُ بِكِتَابِ اللَّهِ وَأْذَنْ لِي، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قُلْ» ، فَقَالَ: إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا، - وَالعَسِيفُ: الأَجِيرُ - فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ، فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي الرَّجْمَ، فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةٍ مِنَ الغَنَمِ وَوَلِيدَةٍ، ثُمَّ سَأَلْتُ أَهْلَ العِلْمِ، فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى امْرَأَتِهِ الرَّجْمَ، وَأَنَّمَا عَلَى ابْنِي جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ، فَقَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ، أَمَّا الوَلِيدَةُ وَالغَنَمُ فَرُدُّوهَا، وَأَمَّا ابْنُكَ فَعَلَيْهِ جَلْدُ مِائَةٍ، وَتَغْرِيبُ عَامٍ، وَأَمَّا أَنْتَ يَا أُنَيْسُ - لِرَجُلٍ مِنْ أَسْلَمَ - فَاغْدُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا، فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا» فَغَدَا عَلَيْهَا أُنَيْسٌ فَاعْتَرَفَتْ فَرَجَمَهَا