আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৭৩- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৬৪৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৯৮
২৮৮৭. ‘কাসামাহ’ (শপথ)।
আশআছ ইবনে কায়স (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আমাকে বলেছেন, তুমি দু’জন সাক্ষী পেশ করবে, নতুবা তার কসম (গ্রহণ করা হবে)।
ইবনে আবু মুলায়কা (রাহঃ) বলেন, মুআবিয়া (রাযিঃ) কাসামা অনুযায়ী কিসাস গ্রহণ করতেন না।
উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) তাঁর তরফ থেকে নিযুক্ত বসরার গভর্নর আদী ইবনে আরতাত (রাহঃ) এর কাছে একজন নিহত ব্যক্তির ব্যাপারে পত্র লিখেন, যাকে তেল ব্যবসায়ীদের বাড়ীর কাছে পাওয়া গিয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন, যদি তার আত্মীয় স্বজনরা প্রমাণ পেশ করতে পারে তবে দন্ড প্রদান করবে, নতুবা লোকদের ওপর জুলুম করবে না। কেননা, তা এমন ব্যাপার, যার কিয়ামত পর্যন্ত ফায়সালা করা যায় না।
আশআছ ইবনে কায়স (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আমাকে বলেছেন, তুমি দু’জন সাক্ষী পেশ করবে, নতুবা তার কসম (গ্রহণ করা হবে)।
ইবনে আবু মুলায়কা (রাহঃ) বলেন, মুআবিয়া (রাযিঃ) কাসামা অনুযায়ী কিসাস গ্রহণ করতেন না।
উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) তাঁর তরফ থেকে নিযুক্ত বসরার গভর্নর আদী ইবনে আরতাত (রাহঃ) এর কাছে একজন নিহত ব্যক্তির ব্যাপারে পত্র লিখেন, যাকে তেল ব্যবসায়ীদের বাড়ীর কাছে পাওয়া গিয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন, যদি তার আত্মীয় স্বজনরা প্রমাণ পেশ করতে পারে তবে দন্ড প্রদান করবে, নতুবা লোকদের ওপর জুলুম করবে না। কেননা, তা এমন ব্যাপার, যার কিয়ামত পর্যন্ত ফায়সালা করা যায় না।
৬৪৩১। আবু নুআয়ম (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে আবু হাসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তার গোত্রের একদল লোক খায়বর গমন করল ও তথায় তারা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়ল। তারা তাদের একজনকে নিহত অবস্থায় পেল। এবং যাদের কাছে তাকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেল তাদেরকে তারা বলল, তোমরা আমাদের সাথীকে হত্যা করেছ। তারা বলল, আমরা তাকে না হত্যা করেছি, না হত্যাকারীকে জানি। এরপর তারা নবী (ﷺ) এর কাছে গেল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা খায়বর গিয়েছিলাম। আর আমাদের একজনকে তথায় নিহত অবস্থায় পেলাম। তখন তিনি বললেন, বয়োবৃদ্ধকে বলতে দাও, বয়োবৃদ্ধকে বলতে দাও। তারপর তিনি তাদেরকে বললেনঃ তোমাদেরকে তার হত্যাকারীর বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ করতে হবে। তারা বলল, আমাদের কাছে কোন প্রমাণ নেই। তিনি বললেনঃ তাহলে ওরা কসম করে নেবে। তারা বলল, ইহুদীদের কসমে আমাদের আস্থা নেই। এ নিহতের রক্ত মূল্যহীন হয়ে যাক তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পছন্দ করলেন না। তাই সাদ্কার একশ উট প্রদান করে তার রক্তপণ আদায় করে দিলেন।
بَابُ القَسَامَةِوَقَالَ الأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «شَاهِدَاكَ أَوْ يَمِينُهُ» وَقَالَ [ص:9] ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ: «لَمْ يُقِدْ بِهَا مُعَاوِيَةُ» وَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ العَزِيزِ، إِلَى عَدِيِّ بْنِ أَرْطَاةَ، وَكَانَ أَمَّرَهُ عَلَى البَصْرَةِ، فِي قَتِيلٍ وُجِدَ عِنْدَ بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ السَّمَّانِينَ: «إِنْ وَجَدَ أَصْحَابُهُ بَيِّنَةً، وَإِلَّا فَلاَ تَظْلِمُ النَّاسَ، فَإِنَّ هَذَا لاَ يُقْضَى فِيهِ إِلَى يَوْمِ القِيَامَةِ»
6898 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ: - زَعَمَ أَنَّ رَجُلًا مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ - سَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ أَخْبَرَهُ: أَنَّ نَفَرًا مِنْ قَوْمِهِ انْطَلَقُوا إِلَى خَيْبَرَ، فَتَفَرَّقُوا فِيهَا، وَوَجَدُوا أَحَدَهُمْ قَتِيلًا، وَقَالُوا لِلَّذِي وُجِدَ فِيهِمْ: قَدْ قَتَلْتُمْ صَاحِبَنَا، قَالُوا: مَا قَتَلْنَا وَلاَ عَلِمْنَا قَاتِلًا، فَانْطَلَقُوا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، انْطَلَقْنَا إِلَى خَيْبَرَ، فَوَجَدْنَا أَحَدَنَا قَتِيلًا، فَقَالَ: «الكُبْرَ الكُبْرَ» فَقَالَ لَهُمْ: «تَأْتُونَ بِالْبَيِّنَةِ عَلَى مَنْ قَتَلَهُ» قَالُوا: مَا لَنَا بَيِّنَةٌ، قَالَ: «فَيَحْلِفُونَ» قَالُوا: لاَ نَرْضَى بِأَيْمَانِ اليَهُودِ، فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُبْطِلَ دَمَهُ، فَوَدَاهُ مِائَةً مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ
হাদীস নং: ৬৪৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৯৯
২৮৮৭. ‘কাসামাহ’ (শপথ)।
৬৪৩২। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু কিলাবা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) তার সিংহাসন জনসাধারণকে প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে বের করলেন। এরপর লোকদেরকে তার নিকট আসার অনুমতি প্রদান করলেন। তারা প্রবেশ করল। তারপর বললেন, তোমরা কাসামা (শপথ) সম্বন্ধে কী মত পোষণ কর? তারা বলল, আমাদের মতে কাসামার ভিত্তিতে কিসাস গ্রহণ করা বিধেয়। খলীফাগণ এর ভিত্তিতে কিসাস কার্যকর করেছেন। তিনি আমাকে বললেন, হে আবু কিলাবা! তুমি কি বল? তিনি আমাকে লোকদের সামনে দাঁড় করালেন। আমি বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার কাছে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ ও আরব নেতৃবৃন্দ রয়েছেন, বলুন তো, যদি তাদের থেকে পঞ্চাশ ব্যক্তি দামেশকের একজন বিবাহিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করে যে, সে যিনা করেছে, অথচ তারা তাকে দেখেনি, তাহলে আপনি তাকে রজম করবেন কি? তিনি বললেনঃ না। আমি বললাম, বলুন তো, যদি তাদের মধ্য থেকে পঞ্চাশ জন হিমসনিবাসী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করে যে, সে চুরি করেছে। অথচ তারা তাকে দেখেনি, তাহলে কি আপনি তার হাত কাটবেন? তিনি বললেনঃ না। আমি বললাম, আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিন কারণের কোন একটি ব্যতীত কাউকে হত্যা করেননি। (অন্যায়ভাবে) কাউকে হত্যা করলে তাকে হত্যা করা হবে। অথবা যে ব্যক্তি বিয়ের পর যিনা করে, অথবা যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ও ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায়।
তখন লোকেরা বলল, আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) কি বর্ণনা করেননি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চুরির ব্যাপারে হাত কেটেছেন, লৌহশলাকা দ্বারা চক্ষু ফুড়ে দিয়েছেন, তারপর তাদেরকে উত্তপ্ত রৌদ্রে ফেলে রেখেছেন। তখন আমি বললাম, আমি তোমাদেরকে আনাস (রাযিঃ) এর হাদীস বর্ণনা করছি।
আমাকে আনাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন, উকল গোত্রের আটজন লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এল। তারা তার হাতে ইসলামের বায়আত গ্রহণ করল। কিন্তু সে এলাকার আবহাওয়া তাদের অনুকূল হল না এবং তাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ল। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এর অভিযোগ করল। তিনি তাদেরকে বললেনঃ তোমরা কি আমার রাখালের সাথে তার উটপালের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করবে না? তারা বলল, হ্যাঁ। তারপর তারা তথায় গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করল। ফলে তারা সুস্থ হয়ে গেল। এরপর তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে চলল।
এ সংবাদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে পৌছলে তিনি তাদের পশ্চাদ্ধাবনের লক্ষ্যে লোক পাঠালেন। তারা ধরা পড়ল এবং তাদেরকে নিয়ে আসা হল। তাদের সম্বন্ধে নির্দেশ প্রদান করা হল; তাদের হাত-পা কাটা হল, লৌহশলাকা দ্বারা তাদের চক্ষু ফুড়ে দেওয়া হল। এরপর উত্তপ্ত রৌদ্রে তাদেরকে ফেলে রাখা হল, অবশেষে তারা মারা গেল। আমি বললাম, তারা যা করেছে এর চেয়ে জঘন্য আর কি হতে পারে? তারা ইসলাম থেকে মুরতাদ হল, হত্যা করল, চুরি করল।
তখন আমবাসা ইবনে সাঈদ বললেনঃ আল্লাহর কসম! আজকের ন্যায় আমি আর কখনো শুনিনি। আমি বললাম, হে আমবাসা! তাহলে তুমি আমার বর্ণিত হাদীসটি প্রত্যাখ্যান করছ কি? তিনি বললেনঃ না। তুমি হাদীসটি যথাযথ বর্ণনা করেছ। আল্লাহর কসম! এ লোকগুলো কল্যাণের উপর থাকবে, যতদিন এ শায়খ (বুযুর্গ) তাদের মধ্যে বর্তমান থাকবেন।
আমি বললাম, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে একটা নিয়ম রয়েছে। আনসারদের একটি দল তাঁর কাছে প্রবেশ করল। তারা তার কাছে আলোচনা করছিল। ইতিমধ্যে তাদের সামনে তাদের এক লোক বেরিয়ে গেল এবং নিহত হল। অতঃপর তারা বের হল। তখন তারা তাদের সঙ্গীকে দেখতে পেল যে, রক্তের মধ্যে নড়াচড়া করছে। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ফিরে এল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের সঙ্গী যে আমাদের সাথে আলোচনা করছিল এবং সে আমাদের সামনেই বের হয়ে গিয়েছিল, আমরা এখন তাকে রক্তের মাঝে নড়াচড়া করতে দেখতে পাচ্ছি। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে এলেন এবং বললেনঃ তাকে হত্যা করার ব্যাপারে কাদের সম্বন্ধে তোমাদের ধারণা? তারা বলল, আমরা মনে করি, ইহুদীরা তাকে হত্যা করেছে। তিনি ইহুদীদেরকে ডেকে পাঠালেন। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা ওকে হত্যা করেছ? তারা বলল, না। তিনি আনসারদের বললেনঃ তোমরা কি এতে সম্মত আছ যে, ইহুদীদের আরো পঞ্চাশজন লোক কসম করে বলবে যে, তারা তাকে হত্যা করেনি। আনসাররা বলল, তারা এতে কোন পরওয়া করবে না, তারা আমাদের সকলকে হত্যা করে ফেলার পরও কসম করে নিতে পারবে। তিনি বললেনঃ তাহলে তোমরা কি এজন্য প্রস্তুত আছ যে, তোমাদের থেকে পঞ্চাশজনের কসমের মাধ্যমে তোমরা দিয়াতের অধিকারী হবে? তারা বলল, আমরা কসম করব না। তখন তিনি নিজের পক্ষ থেকে দিয়াত প্রদান করে দেন।
(রাবী আবু কিলাবা বলেন) আমি বললাম, হুযায়ল গোত্র জাহিলী যুগে তাদের গোত্রের এক ব্যক্তিকে সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। এক রাতে সে ব্যক্তি বাতহা নামক স্থানে ইয়ামানের এক পরিবারের উপর আকম্মিক হামলা চালায়। কিন্তু সে পরিবারের এক ব্যক্তি তা টের পেয়ে যায়। এবং তার প্রতি তরবারী নিক্ষেপ করে তাকে হত্যা করে ফেলে। অতঃপর হুযায়ল গোত্রের লোকেরা এসে ইয়ামানী ব্যক্তিটিকে ধরে ফেলে এবং হজ্জের মৌসুমে উমর (রাযিঃ) এর কাছে তাকে পেশ করে। আর বলে, সে আমাদের এক সাথীকে হত্যা করেছে। ইয়ামানী লোকটি বলল, তারা কিন্তু ওকে সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তখন তিনি বললেন, হুযায়ল গোত্রের পঞ্চাশ ব্যক্তি এ মর্মে কসম করবে যে, তারা ওকে সকল দায়-দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিচ্ছিন্ন করেনি।
বর্ণনাকারী বলেনঃ তাদের মধ্য থেকে উনপঞ্চাশ ব্যক্তি কসম করে নিল, অতঃপর তাদের একজন সিরিয়া থেকে এলো, তারা তাকে কসম করতে বলল। কিন্তু সে এক হাজার দিরহামের বিনিময়ে কসম থেকে তাদের সাথে আপোষ করে নিল। তখন তারা তার স্থলে অপর একজনকে যোগ করে নিল। তারা তাকে নিহত ব্যক্তির ভাইয়ের কাছে পেশ করল। তারা উভয়ই করমর্দন করল। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা এবং ঐ পঞ্চাশ ব্যক্তি, যারা কসম করেছে, চললাম। যখন তারা নাখলা নামক স্থানে পৌছল, তাদের উপর বৃষ্টি নেমে এল। তখন তারা পাহাড়ের এক গুহায় প্রবেশ করল। কিন্তু গুহা ঐ পঞ্চাশজন কসমকারীর উপর ভেঙ্গে পড়ল। এতে তারা সকলেই মারা গেল। তবে করমর্দনকারী দু’জন শুধু বেঁচে গেল। কিন্তু একটি পাথর তাদের উভয়ের প্রতি নিক্ষিপ্ত হল এবং নিহত ব্যক্তির ভাইয়ের পা ভেঙ্গে ফেলল। আর সে এক বছর জীবিত থাকার পর মারা গেল।
(রাবী বলেন) আমি বললাম, আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান (এক সময়) কাসামার ভিত্তিতে এক ব্যক্তির কিসাস গ্রহণ করেন। এরপর আপন কৃতকর্মের উপর তিনি লজ্জিত হন এবং ঐ পঞ্চাশ ব্যক্তি সম্বন্ধে নির্দেশ দিলেন যারা কসম করেছিল, তাদেরকে রেজিষ্ট্রার থেকে খারিজ করে দিয়ে সিরিয়ায় নির্বাসনে পাঠালেন।
তখন লোকেরা বলল, আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) কি বর্ণনা করেননি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চুরির ব্যাপারে হাত কেটেছেন, লৌহশলাকা দ্বারা চক্ষু ফুড়ে দিয়েছেন, তারপর তাদেরকে উত্তপ্ত রৌদ্রে ফেলে রেখেছেন। তখন আমি বললাম, আমি তোমাদেরকে আনাস (রাযিঃ) এর হাদীস বর্ণনা করছি।
আমাকে আনাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন, উকল গোত্রের আটজন লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এল। তারা তার হাতে ইসলামের বায়আত গ্রহণ করল। কিন্তু সে এলাকার আবহাওয়া তাদের অনুকূল হল না এবং তাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ল। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এর অভিযোগ করল। তিনি তাদেরকে বললেনঃ তোমরা কি আমার রাখালের সাথে তার উটপালের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করবে না? তারা বলল, হ্যাঁ। তারপর তারা তথায় গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করল। ফলে তারা সুস্থ হয়ে গেল। এরপর তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে চলল।
এ সংবাদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে পৌছলে তিনি তাদের পশ্চাদ্ধাবনের লক্ষ্যে লোক পাঠালেন। তারা ধরা পড়ল এবং তাদেরকে নিয়ে আসা হল। তাদের সম্বন্ধে নির্দেশ প্রদান করা হল; তাদের হাত-পা কাটা হল, লৌহশলাকা দ্বারা তাদের চক্ষু ফুড়ে দেওয়া হল। এরপর উত্তপ্ত রৌদ্রে তাদেরকে ফেলে রাখা হল, অবশেষে তারা মারা গেল। আমি বললাম, তারা যা করেছে এর চেয়ে জঘন্য আর কি হতে পারে? তারা ইসলাম থেকে মুরতাদ হল, হত্যা করল, চুরি করল।
তখন আমবাসা ইবনে সাঈদ বললেনঃ আল্লাহর কসম! আজকের ন্যায় আমি আর কখনো শুনিনি। আমি বললাম, হে আমবাসা! তাহলে তুমি আমার বর্ণিত হাদীসটি প্রত্যাখ্যান করছ কি? তিনি বললেনঃ না। তুমি হাদীসটি যথাযথ বর্ণনা করেছ। আল্লাহর কসম! এ লোকগুলো কল্যাণের উপর থাকবে, যতদিন এ শায়খ (বুযুর্গ) তাদের মধ্যে বর্তমান থাকবেন।
আমি বললাম, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে একটা নিয়ম রয়েছে। আনসারদের একটি দল তাঁর কাছে প্রবেশ করল। তারা তার কাছে আলোচনা করছিল। ইতিমধ্যে তাদের সামনে তাদের এক লোক বেরিয়ে গেল এবং নিহত হল। অতঃপর তারা বের হল। তখন তারা তাদের সঙ্গীকে দেখতে পেল যে, রক্তের মধ্যে নড়াচড়া করছে। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ফিরে এল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের সঙ্গী যে আমাদের সাথে আলোচনা করছিল এবং সে আমাদের সামনেই বের হয়ে গিয়েছিল, আমরা এখন তাকে রক্তের মাঝে নড়াচড়া করতে দেখতে পাচ্ছি। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে এলেন এবং বললেনঃ তাকে হত্যা করার ব্যাপারে কাদের সম্বন্ধে তোমাদের ধারণা? তারা বলল, আমরা মনে করি, ইহুদীরা তাকে হত্যা করেছে। তিনি ইহুদীদেরকে ডেকে পাঠালেন। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা ওকে হত্যা করেছ? তারা বলল, না। তিনি আনসারদের বললেনঃ তোমরা কি এতে সম্মত আছ যে, ইহুদীদের আরো পঞ্চাশজন লোক কসম করে বলবে যে, তারা তাকে হত্যা করেনি। আনসাররা বলল, তারা এতে কোন পরওয়া করবে না, তারা আমাদের সকলকে হত্যা করে ফেলার পরও কসম করে নিতে পারবে। তিনি বললেনঃ তাহলে তোমরা কি এজন্য প্রস্তুত আছ যে, তোমাদের থেকে পঞ্চাশজনের কসমের মাধ্যমে তোমরা দিয়াতের অধিকারী হবে? তারা বলল, আমরা কসম করব না। তখন তিনি নিজের পক্ষ থেকে দিয়াত প্রদান করে দেন।
(রাবী আবু কিলাবা বলেন) আমি বললাম, হুযায়ল গোত্র জাহিলী যুগে তাদের গোত্রের এক ব্যক্তিকে সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। এক রাতে সে ব্যক্তি বাতহা নামক স্থানে ইয়ামানের এক পরিবারের উপর আকম্মিক হামলা চালায়। কিন্তু সে পরিবারের এক ব্যক্তি তা টের পেয়ে যায়। এবং তার প্রতি তরবারী নিক্ষেপ করে তাকে হত্যা করে ফেলে। অতঃপর হুযায়ল গোত্রের লোকেরা এসে ইয়ামানী ব্যক্তিটিকে ধরে ফেলে এবং হজ্জের মৌসুমে উমর (রাযিঃ) এর কাছে তাকে পেশ করে। আর বলে, সে আমাদের এক সাথীকে হত্যা করেছে। ইয়ামানী লোকটি বলল, তারা কিন্তু ওকে সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তখন তিনি বললেন, হুযায়ল গোত্রের পঞ্চাশ ব্যক্তি এ মর্মে কসম করবে যে, তারা ওকে সকল দায়-দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিচ্ছিন্ন করেনি।
বর্ণনাকারী বলেনঃ তাদের মধ্য থেকে উনপঞ্চাশ ব্যক্তি কসম করে নিল, অতঃপর তাদের একজন সিরিয়া থেকে এলো, তারা তাকে কসম করতে বলল। কিন্তু সে এক হাজার দিরহামের বিনিময়ে কসম থেকে তাদের সাথে আপোষ করে নিল। তখন তারা তার স্থলে অপর একজনকে যোগ করে নিল। তারা তাকে নিহত ব্যক্তির ভাইয়ের কাছে পেশ করল। তারা উভয়ই করমর্দন করল। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা এবং ঐ পঞ্চাশ ব্যক্তি, যারা কসম করেছে, চললাম। যখন তারা নাখলা নামক স্থানে পৌছল, তাদের উপর বৃষ্টি নেমে এল। তখন তারা পাহাড়ের এক গুহায় প্রবেশ করল। কিন্তু গুহা ঐ পঞ্চাশজন কসমকারীর উপর ভেঙ্গে পড়ল। এতে তারা সকলেই মারা গেল। তবে করমর্দনকারী দু’জন শুধু বেঁচে গেল। কিন্তু একটি পাথর তাদের উভয়ের প্রতি নিক্ষিপ্ত হল এবং নিহত ব্যক্তির ভাইয়ের পা ভেঙ্গে ফেলল। আর সে এক বছর জীবিত থাকার পর মারা গেল।
(রাবী বলেন) আমি বললাম, আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান (এক সময়) কাসামার ভিত্তিতে এক ব্যক্তির কিসাস গ্রহণ করেন। এরপর আপন কৃতকর্মের উপর তিনি লজ্জিত হন এবং ঐ পঞ্চাশ ব্যক্তি সম্বন্ধে নির্দেশ দিলেন যারা কসম করেছিল, তাদেরকে রেজিষ্ট্রার থেকে খারিজ করে দিয়ে সিরিয়ায় নির্বাসনে পাঠালেন।
بَابُ القَسَامَةِ
6899 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الأَسَدِيُّ: حَدَّثَنَا الحَجَّاجُ بْنُ أَبِي عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي أَبُو رَجَاءٍ، مِنْ آلِ أَبِي قِلاَبَةَ: حَدَّثَنِي أَبُو قِلاَبَةَ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ العَزِيزِ أَبْرَزَ سَرِيرَهُ يَوْمًا لِلنَّاسِ، ثُمَّ أَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا، فَقَالَ: مَا تَقُولُونَ فِي القَسَامَةِ؟ قَالَ: نَقُولُ: القَسَامَةُ القَوَدُ بِهَا حَقٌّ، وَقَدْ أَقَادَتْ بِهَا الخُلَفَاءُ. قَالَ لِي: مَا تَقُولُ يَا أَبَا قِلاَبَةَ؟ وَنَصَبَنِي لِلنَّاسِ، فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، عِنْدَكَ رُءُوسُ الأَجْنَادِ وَأَشْرَافُ العَرَبِ، أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ خَمْسِينَ مِنْهُمْ شَهِدُوا عَلَى رَجُلٍ مُحْصَنٍ بِدِمَشْقَ أَنَّهُ قَدْ زَنَى، لَمْ يَرَوْهُ، أَكُنْتَ تَرْجُمُهُ؟ قَالَ: لاَ. قُلْتُ: أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ خَمْسِينَ مِنْهُمْ شَهِدُوا عَلَى رَجُلٍ بِحِمْصَ أَنَّهُ سَرَقَ، أَكُنْتَ تَقْطَعُهُ وَلَمْ يَرَوْهُ؟ قَالَ: لاَ، قُلْتُ: فَوَاللَّهِ مَا قَتَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدًا قَطُّ إِلَّا فِي إِحْدَى ثَلاَثِ خِصَالٍ: رَجُلٌ قَتَلَ بِجَرِيرَةِ نَفْسِهِ فَقُتِلَ، أَوْ رَجُلٌ زَنَى بَعْدَ إِحْصَانٍ، أَوْ رَجُلٌ حَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَارْتَدَّ عَنِ الإِسْلاَمِ. فَقَالَ القَوْمُ: أَوَلَيْسَ قَدْ حَدَّثَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَطَعَ فِي السَّرَقِ، وَسَمَرَ الأَعْيُنَ، ثُمَّ نَبَذَهُمْ فِي الشَّمْسِ؟ فَقُلْتُ: أَنَا أُحَدِّثُكُمْ حَدِيثَ أَنَسٍ: حَدَّثَنِي أَنَسٌ: أَنَّ نَفَرًا مِنْ عُكْلٍ ثَمَانِيَةً، قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَايَعُوهُ عَلَى الإِسْلاَمِ، فَاسْتَوْخَمُوا الأَرْضَ فَسَقِمَتْ أَجْسَامُهُمْ، فَشَكَوْا ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَفَلاَ تَخْرُجُونَ مَعَ رَاعِينَا فِي إِبِلِهِ، فَتُصِيبُونَ مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا» قَالُوا: بَلَى، فَخَرَجُوا فَشَرِبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا، فَصَحُّوا، فَقَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَطْرَدُوا النَّعَمَ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرْسَلَ فِي آثَارِهِمْ، فَأُدْرِكُوا فَجِيءَ بِهِمْ، فَأَمَرَ بِهِمْ فَقُطِّعَتْ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ [ص:10]، وَسَمَرَ أَعْيُنَهُمْ، ثُمَّ نَبَذَهُمْ فِي الشَّمْسِ حَتَّى مَاتُوا، قُلْتُ: وَأَيُّ شَيْءٍ أَشَدُّ مِمَّا صَنَعَ هَؤُلاَءِ، ارْتَدُّوا عَنِ الإِسْلاَمِ، وَقَتَلُوا وَسَرَقُوا. فَقَالَ عَنْبَسَةُ بْنُ سَعِيدٍ: وَاللَّهِ إِنْ سَمِعْتُ كَاليَوْمِ قَطُّ، فَقُلْتُ: أَتَرُدُّ عَلَيَّ حَدِيثِي يَا عَنْبَسَةُ؟ قَالَ: لاَ، وَلَكِنْ جِئْتَ بِالحَدِيثِ عَلَى وَجْهِهِ، وَاللَّهِ لاَ يَزَالُ هَذَا الجُنْدُ بِخَيْرٍ مَا عَاشَ هَذَا الشَّيْخُ بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ، قُلْتُ: وَقَدْ كَانَ فِي هَذَا سُنَّةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دَخَلَ عَلَيْهِ نَفَرٌ مِنَ الأَنْصَارِ، فَتَحَدَّثُوا عِنْدَهُ، فَخَرَجَ رَجُلٌ مِنْهُمْ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ فَقُتِلَ، فَخَرَجُوا بَعْدَهُ، فَإِذَا هُمْ بِصَاحِبِهِمْ يَتَشَحَّطُ فِي الدَّمِ، فَرَجَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، صَاحِبُنَا كَانَ تَحَدَّثَ مَعَنَا، فَخَرَجَ بَيْنَ أَيْدِينَا، فَإِذَا نَحْنُ بِهِ يَتَشَحَّطُ فِي الدَّمِ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «بِمَنْ تَظُنُّونَ، أَوْ مَنْ تَرَوْنَ، قَتَلَهُ» قَالُوا: نَرَى أَنَّ اليَهُودَ قَتَلَتْهُ، فَأَرْسَلَ إِلَى اليَهُودِ فَدَعَاهُمْ، فَقَالَ: «آنْتُمْ قَتَلْتُمْ هَذَا؟» قَالُوا: لاَ، قَالَ: «أَتَرْضَوْنَ نَفْلَ خَمْسِينَ مِنَ اليَهُودِ مَا قَتَلُوهُ» فَقَالُوا: مَا يُبَالُونَ أَنْ يَقْتُلُونَا أَجْمَعِينَ، ثُمَّ يَنْتَفِلُونَ، قَالَ: «أَفَتَسْتَحِقُّونَ الدِّيَةَ بِأَيْمَانِ خَمْسِينَ مِنْكُمْ» قَالُوا: مَا كُنَّا لِنَحْلِفَ، فَوَدَاهُ مِنْ عِنْدِهِ، قُلْتُ: وَقَدْ كَانَتْ هُذَيْلٌ خَلَعُوا خَلِيعًا لَهُمْ فِي الجَاهِلِيَّةِ، فَطَرَقَ أَهْلَ بَيْتٍ مِنَ اليَمَنِ بِالْبَطْحَاءِ، فَانْتَبَهَ لَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ، فَحَذَفَهُ بِالسَّيْفِ فَقَتَلَهُ، فَجَاءَتْ هُذَيْلٌ، فَأَخَذُوا اليَمَانِيَّ فَرَفَعُوهُ إِلَى عُمَرَ بِالْمَوْسِمِ، وَقَالُوا: قَتَلَ صَاحِبَنَا، فَقَالَ: إِنَّهُمْ قَدْ خَلَعُوهُ، فَقَالَ: يُقْسِمُ خَمْسُونَ مِنْ هُذَيْلٍ مَا خَلَعُوهُ، قَالَ: فَأَقْسَمَ مِنْهُمْ تِسْعَةٌ وَأَرْبَعُونَ رَجُلًا، وَقَدِمَ رَجُلٌ مِنْهُمْ مِنَ الشَّأْمِ، فَسَأَلُوهُ أَنْ يُقْسِمَ، فَافْتَدَى يَمِينَهُ مِنْهُمْ بِأَلْفِ دِرْهَمٍ، فَأَدْخَلُوا مَكَانَهُ رَجُلًا آخَرَ، فَدَفَعَهُ إِلَى أَخِي المَقْتُولِ، فَقُرِنَتْ يَدُهُ بِيَدِهِ، قَالُوا: فَانْطَلَقَا وَالخَمْسُونَ الَّذِينَ أَقْسَمُوا، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِنَخْلَةَ، أَخَذَتْهُمُ السَّمَاءُ، فَدَخَلُوا فِي غَارٍ فِي الجَبَلِ، فَانْهَجَمَ الغَارُ عَلَى الخَمْسِينَ الَّذِينَ أَقْسَمُوا فَمَاتُوا جَمِيعًا، وَأَفْلَتَ القَرِينَانِ، وَاتَّبَعَهُمَا حَجَرٌ فَكَسَرَ رِجْلَ أَخِي المَقْتُولِ، فَعَاشَ حَوْلًا ثُمَّ مَاتَ، قُلْتُ: وَقَدْ كَانَ عَبْدُ المَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ أَقَادَ رَجُلًا بِالقَسَامَةِ، ثُمَّ نَدِمَ بَعْدَ مَا صَنَعَ، فَأَمَرَ بِالخَمْسِينَ الَّذِينَ أَقْسَمُوا، فَمُحُوا مِنَ الدِّيوَانِ، وَسَيَّرَهُمْ إِلَى الشَّأْمِ

তাহকীক: