আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৭৩- রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৬৪৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮৯৬ - ৬৮৯৭
২৮৮৬. যখন একটি দল কোন এক ব্যক্তিকে বিপন্ন করে তোলে, তখন তাদের সকলকে শাস্তি প্রদান করা হবে কি? অথবা সকলের নিকট থেকে কিসাস গ্রহণ করা হবে কি?
মুতাররিফ (রাহঃ) শা'বী (রাহঃ) থেকে এমন দুজন ব্যক্তির ব্যাপারে বর্ণনা করেন, যারা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছিল যে, সে চুরি করেছে। তখন আলী (রাযিঃ) তার হাত কেটে ফেললেন। তারপর তারা অপর একজনকে নিয়ে এসে বলল, আমরা ভুল করে বসেছি। তখন তিনি তাদের সাক্ষ্য বাতিল করে দিলেন এবং প্রথম ব্যক্তির দিয়াত (রক্তপণ) গ্রহণ করলেন। আর বললেন, যদি আমি জানতাম যে, তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কাজটি করেছ, তাহলে তোমাদের উভয়ের হাত কেটে ফেলতাম। আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রাহঃ) বলেন, আমাকে ইবনে বাশশার (রাহঃ) ……… ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একটি বালককে গোপনে হত্যা করা হয়। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, যদি গোটা সানআবাসী এতে অংশ নিত, তাহলে আমি তাদের সবাইকে হত্যা করতাম।
মুগীরা ইবনে হাকীম (রাহঃ) আপন পিতা হাকীম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, চারজন লোক একটি বালককে হত্যা করেছিল। তখন উমর (রাযিঃ) অনুরূপ কথা বলেছিলেন।
আবু বকর (রাযিঃ), ইবনে যুবাইর (রাযিঃ), আলী (রাযিঃ)ও সুওয়ায়দ ইবনে মুকাররিন (রাযিঃ) থাপ্পড়ের ক্ষেত্রে কিসাসের নির্দেশ দেন।
উমর (রাযিঃ) ছড়ি দিয়ে প্রহারের ব্যাপারে কিসাসের নির্দেশ দেন।
আর আলী (রাযিঃ) তিনটি বেত্রাঘাতের জন্য কিসাসের নির্দেশ দেন এবং শুরায়হ (রাহঃ) একটি বেত্রাঘাত ও নখের আঁচড়ের জন্য কিসাস কার্যকর করেন।
মুতাররিফ (রাহঃ) শা'বী (রাহঃ) থেকে এমন দুজন ব্যক্তির ব্যাপারে বর্ণনা করেন, যারা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছিল যে, সে চুরি করেছে। তখন আলী (রাযিঃ) তার হাত কেটে ফেললেন। তারপর তারা অপর একজনকে নিয়ে এসে বলল, আমরা ভুল করে বসেছি। তখন তিনি তাদের সাক্ষ্য বাতিল করে দিলেন এবং প্রথম ব্যক্তির দিয়াত (রক্তপণ) গ্রহণ করলেন। আর বললেন, যদি আমি জানতাম যে, তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কাজটি করেছ, তাহলে তোমাদের উভয়ের হাত কেটে ফেলতাম। আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রাহঃ) বলেন, আমাকে ইবনে বাশশার (রাহঃ) ……… ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একটি বালককে গোপনে হত্যা করা হয়। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, যদি গোটা সানআবাসী এতে অংশ নিত, তাহলে আমি তাদের সবাইকে হত্যা করতাম।
মুগীরা ইবনে হাকীম (রাহঃ) আপন পিতা হাকীম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, চারজন লোক একটি বালককে হত্যা করেছিল। তখন উমর (রাযিঃ) অনুরূপ কথা বলেছিলেন।
আবু বকর (রাযিঃ), ইবনে যুবাইর (রাযিঃ), আলী (রাযিঃ)ও সুওয়ায়দ ইবনে মুকাররিন (রাযিঃ) থাপ্পড়ের ক্ষেত্রে কিসাসের নির্দেশ দেন।
উমর (রাযিঃ) ছড়ি দিয়ে প্রহারের ব্যাপারে কিসাসের নির্দেশ দেন।
আর আলী (রাযিঃ) তিনটি বেত্রাঘাতের জন্য কিসাসের নির্দেশ দেন এবং শুরায়হ (রাহঃ) একটি বেত্রাঘাত ও নখের আঁচড়ের জন্য কিসাস কার্যকর করেন।
৬৪৩০। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর অসুখের সময় তার মুখের কিনারায় ঔষধ ঢেলে দিলাম। আর তিনি আমাদের দিকে ইশারা করতে থাকলেন যে, তোমরা আমার মুখের কিনারায় ঔষধ ঢেলে দিও না। আমরা মনে করলাম যে, রোগীর ঔষধের প্রতি অনীহাই এর কারণ। যখন তিনি হুশ ফিরে পেলেন, তখন বললেনঃ আমাকে (জোরপূর্বক) ঔষধ সেবন করাতে কি তোমাদেরকে নিষেধ করিনি? আমরা বললাম, রোগীর ঔষধের প্রতি স্বাভাবিক অনীহাই এর কারণ বলে আমরা মনে করেছি। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের মাঝে যেন এমন কেউ না থাকে যার মুখে জোরপূর্বক ঔষধ ঢালা না হয় আর আমি দেখতে থাকব শুধু আব্বাস ব্যতীত। কেননা, সে তোমাদের সাথে ছিল না।
باب إذا أصاب قوم من رجل هل يعاقب أو يقتص منهم كلهم وقال مطرف عن الشعبي في رجلين شهدا على رجل أنه سرق فقطعه علي ثم جاءا بآخر وقالا أخطأنا فأبطل شهادتهما وأخذا بدية الأول وقال لو علمت أنكما تعمدتما لقطعتكما وقال لي ابن بشار حدثنا يحيى عن عبيد الله عن نافع عن ابن عمر رضي الله عنهما أن غلاما قتل غيلة فقال عمر لو اشترك فيها أهل صنعاء لقتلتهم وقال مغيرة بن حكيم عن أبيه إن أربعة قتلوا صبيا فقال عمر مثله وأقاد أبو بكر وابن الزبير وعلي وسويد بن مقرن من لطمة وأقاد عمر من ضربة بالدرة وأقاد علي من ثلاثة أسواط واقتص شريح من سوط وخموش
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ لَدَدْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ، وَجَعَلَ يُشِيرُ إِلَيْنَا " لاَ تَلُدُّونِي ". قَالَ فَقُلْنَا كَرَاهِيَةُ الْمَرِيضِ بِالدَّوَاءِ، فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ " أَلَمْ أَنْهَكُمْ أَنْ تَلُدُّونِي ". قَالَ قُلْنَا كَرَاهِيَةٌ لِلدَّوَاءِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَبْقَى مِنْكُمْ أَحَدٌ إِلاَّ لُدَّ ـ وَأَنَا أَنْظُرُ ـ إِلاَّ الْعَبَّاسَ فَإِنَّهُ لَمْ يَشْهَدْكُمْ ".

তাহকীক: