আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫৬৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২৫
৩২৪২. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমরা নম্র হও, কঠোর ব্যবহার করো না। এবং নবী (ﷺ) মানুষের সাথে নম্র ব্যবহার পছন্দ করতেন।
৫৬৯৪। আদম (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা নম্র ব্যবহার করো এবং কঠোর ব্যবহার করো না। আর মানুষকে শান্তি দাও এবং মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করো না।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: ‘يَسِّرُوا وَلاَ تُعَسِّرُوا’ وَكَانَ يُحِبُّ التَّخْفِيفَ وَالْيُسْرَ عَلَى النَّاسِ
6125 - حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَسِّرُوا وَلاَ تُعَسِّرُوا، وَسَكِّنُوا وَلاَ تُنَفِّرُوا»
হাদীস নং: ৫৬৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২৪
৩২৪২. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমরা নম্র হও, কঠোর ব্যবহার করো না। এবং নবী (ﷺ) মানুষের সাথে নম্র ব্যবহার পছন্দ করতেন।
৫৬৯৫। ইসহাক (রাহঃ) ......... আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন নবী (ﷺ) তাঁকে আর মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) কে ইয়ামানে পাঠান, তাদের অসিয়ত করেন, তোমরা (লোকের সাথে) নম্র ব্যবহার করবে, কঠোর ব্যবহার করবে না। শুভ সংবাদ দেবে এবং তাদের মনে বিদ্বেষ সৃষ্টি করবে না। আর তোমরা দু’জনের মধ্যে সদ্ভাব বজায় রাখবে। তখন আবু মুসা (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা এমন এক দেশে যাচ্ছি, যেখানে মধু থেকে শরাব তৈরী হয়। একে ‘বিতউ’ বলা হয়। আর ‘যব’ থেকেও শরাব তৈরী করা হয়, তাকে বলা হয় ‘মিযর’। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ প্রত্যেক নেশার বস্তুই হারাম।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: ‘يَسِّرُوا وَلاَ تُعَسِّرُوا’ وَكَانَ يُحِبُّ التَّخْفِيفَ وَالْيُسْرَ عَلَى النَّاسِ
6124 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: لَمَّا بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، قَالَ لَهُمَا: «يَسِّرَا وَلاَ تُعَسِّرَا، وَبَشِّرَا وَلاَ تُنَفِّرَا، وَتَطَاوَعَا» قَالَ أَبُو مُوسَى: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا بِأَرْضٍ يُصْنَعُ فِيهَا شَرَابٌ مِنَ العَسَلِ، يُقَالُ لَهُ البِتْعُ، وَشَرَابٌ مِنَ الشَّعِيرِ، يُقَالُ لَهُ المِزْرُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ»
হাদীস নং: ৫৬৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২৬
৩২৪২. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমরা নম্র হও, কঠোর ব্যবহার করো না। এবং নবী (ﷺ) মানুষের সাথে নম্র ব্যবহার পছন্দ করতেন।
৫৬৯৬। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে যখন কোনো দু’টি কাজের মধ্যে ইখতিয়ার দেয়া হত, তখন তিনি দুটির মধ্যে অপেক্ষাকৃত সহজটি গ্রহণ করতেন যদি তা গুনাহের কাজ না হতো। আর যদি তা গুনাহের কাজ হতো, তা হলে তিনি তা থেকে সবার চাইতে দূরে সরে থাকতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন বিষয়ে নিজের ব্যাপারে কখনো প্রতিশোধ নিতেন না। অবশ্য কেউ আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে, তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তার প্রতিশোধ নিতেন।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: ‘يَسِّرُوا وَلاَ تُعَسِّرُوا’ وَكَانَ يُحِبُّ التَّخْفِيفَ وَالْيُسْرَ عَلَى النَّاسِ
6126 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا قَالَتْ: «مَا خُيِّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَمْرَيْنِ قَطُّ إِلَّا أَخَذَ أَيْسَرَهُمَا، مَا لَمْ يَكُنْ إِثْمًا، فَإِنْ كَانَ إِثْمًا كَانَ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنْهُ، وَمَا انْتَقَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِنَفْسِهِ فِي شَيْءٍ قَطُّ، إِلَّا أَنْ تُنْتَهَكَ حُرْمَةُ اللَّهِ، فَيَنْتَقِمَ بِهَا لِلَّهِ»
হাদীস নং: ৫৬৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২৭
৩২৪২. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমরা নম্র হও, কঠোর ব্যবহার করো না। এবং নবী (ﷺ) মানুষের সাথে নম্র ব্যবহার পছন্দ করতেন।
৫৬৯৭। আবু নু’মান (রাহঃ) ......... আযরাক ইবনে কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা আহওয়ায নামক স্থানে একটা খালের কিনারায় অবস্থান করছিলাম। খালটির পানি শুকিয়ে গিয়েছিল। এমন সময় আবু বারযা আসলামী (রাযিঃ) একটি ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে সেখানে এলেন। তিনি ঘোড়াটিকে ছেড়ে দিয়ে নামাযে দাঁড়ালেন। তখন ঘোড়াটা (দূরে) চলে গেল দেখে তিনি নামায ছেড়ে দিয়ে ঘোড়ার অনুসরণ করলেন এবং ঘোড়াটিকে পেয়ে ধরে আনলেন। তারপর নামায পূর্ণ করলেন। এ সময় আমাদের মধ্যে একজন বিরূপ সমালোচক ছিলেন। তিনি তা দেখে বললেনঃ এই বৃদ্ধের দিকে তাকাও, সে ঘোড়ার খাতিরে নামায ছেড়ে দিল। তখন আবু বারযা (রাযিঃ) এগিয়ে এসে বললেনঃ যখন থেকে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে হারিয়েছি, তখন থেকে আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে এরূপ তিরস্কার করেনি। তিনি আরও বললেনঃ আমার বাড়ী বহুদূরে, সুতরাং যদি আমি নামায আদায় করতে থাকতাম এবং ঘোড়াটিকে এভাবেই ছেড়ে দিতাম তাহলে আমি রাতে নিজ পরিবারের নিকট পৌঁছতে পারতাম না। তিনি আরও উল্লেখ করলেন যে, তিনি নবী (ﷺ) এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তার নম্র ব্যবহার প্রত্যক্ষ করেছেন।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: ‘يَسِّرُوا وَلاَ تُعَسِّرُوا’ وَكَانَ يُحِبُّ التَّخْفِيفَ وَالْيُسْرَ عَلَى النَّاسِ
6127 - حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الأَزْرَقِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ: كُنَّا عَلَى شَاطِئِ نَهَرٍ بِالأَهْوَازِ، قَدْ نَضَبَ عَنْهُ المَاءُ، فَجَاءَ أَبُو بَرْزَةَ الأَسْلَمِيُّ عَلَى فَرَسٍ، فَصَلَّى وَخَلَّى فَرَسَهُ، فَانْطَلَقَتِ الفَرَسُ، فَتَرَكَ صَلاَتَهُ وَتَبِعَهَا حَتَّى أَدْرَكَهَا، فَأَخَذَهَا ثُمَّ جَاءَ فَقَضَى صَلاَتَهُ، وَفِينَا رَجُلٌ لَهُ رَأْيٌ، فَأَقْبَلَ يَقُولُ: انْظُرُوا إِلَى هَذَا الشَّيْخِ، تَرَكَ صَلاَتَهُ مِنْ أَجْلِ فَرَسٍ، فَأَقْبَلَ فَقَالَ: مَا عَنَّفَنِي أَحَدٌ مُنْذُ فَارَقْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ: إِنَّ مَنْزِلِي مُتَرَاخٍ، فَلَوْ صَلَّيْتُ وَتَرَكْتُهُ، لَمْ آتِ أَهْلِي إِلَى اللَّيْلِ، وَذَكَرَ أَنَّهُ «قَدْ صَحِبَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَأَى مِنْ تَيْسِيرِهِ»
হাদীস নং: ৫৬৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২৮
৩২৪২. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমরা নম্র হও, কঠোর ব্যবহার করো না। এবং নবী (ﷺ) মানুষের সাথে নম্র ব্যবহার পছন্দ করতেন।
৫৬৯৮। আবুল ইয়ামান ও লাঈস (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার এক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করে দিলো। তখন লোকজন তাকে শাসন করার জন্য উত্তেজিত হয়ে উঠলো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের বললেনঃ তোমরা তাকে ছেড়ে দাও এবং তার পেশাবের উপর এক বালতি পানি অথবা একপাত্র পানি ঢেলে দাও। কারণ, তোমাদের নম্র ব্যবহারকারী বানিয়ে পাঠানো হয়েছে, কঠোর ব্যবহারকারী হিসেবে পাঠানো হয় নি।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: ‘يَسِّرُوا وَلاَ تُعَسِّرُوا’ وَكَانَ يُحِبُّ التَّخْفِيفَ وَالْيُسْرَ عَلَى النَّاسِ
6128 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَقَالَ اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ: أَنَّ أَعْرَابِيًّا بَالَ فِي المَسْجِدِ، فَثَارَ إِلَيْهِ النَّاسُ ليَقَعُوا بِهِ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعُوهُ، وَأَهْرِيقُوا عَلَى بَوْلِهِ ذَنُوبًا مِنْ مَاءٍ، أَوْ سَجْلًا مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِينَ وَلَمْ تُبْعَثُوا مُعَسِّرِينَ»