আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ৫৬৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬১০৯
৩২৩৭. আল্লাহর বিধি-নিষেধের ব্যাপারে রাগ করা ও কঠোরতা অবলম্বন করা জায়েয।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর, তাদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন কর।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর, তাদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন কর।
৫৬৭৯। ইয়াসারাহ ইবনে সাফওয়ান (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার নবী (ﷺ) আমার নিকট আসলেন। তখন ঘরে একখানি পর্দা ঝুলানো ছিল। যাতে ছবি ছিল। তা দেখে নবী (ﷺ) এর চেহারার রং বদলে গেল। এরপর তিনি পর্দাখানা হাতে নিয়ে ছিড়ে ফেললেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) লোকদের মধ্যে বললেনঃ কিয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন আযাব হবে ঐসব লোকদের, যারা এ সকল ছবি আঁকে।
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ الغَضَبِ وَالشِّدَّةِ لِأَمْرِ اللَّهِوَقَالَ اللَّهُ: {جَاهِدِ الكُفَّارَ وَالمُنَافِقِينَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِمْ} [التوبة: 73]
6109 - حَدَّثَنَا يَسَرَةُ بْنُ صَفْوَانَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ القَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي البَيْتِ قِرَامٌ فِيهِ صُوَرٌ، فَتَلَوَّنَ وَجْهُهُ ثُمَّ تَنَاوَلَ السِّتْرَ فَهَتَكَهُ، وَقَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ القِيَامَةِ الَّذِينَ يُصَوِّرُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৬১১০
৩২৩৭. আল্লাহর বিধি-নিষেধের ব্যাপারে রাগ করা ও কঠোরতা অবলম্বন করা জায়েয।
৫৬৮০। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আবু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বললেন, অমুক ব্যক্তি নামায দীর্ঘ করার কারণে আমি ফজরের নামায থেকে পিছনে থাকি। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কোন ওয়াযের মধ্যে সেদিন থেকে বেশী রাগান্বিত হতে আর দেখিনি। রাবী বলেন, এরপর তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বিতৃষ্ণা সৃষ্টিকারী আছে। সুতরাং তোমাদের যে কেউ লোকদের নিয়ে নামায আদায় করে, সে যেন সংক্ষেপ করে। কারণ, তাদের মধ্যে রোগী, বৃদ্ধ এবং কর্মব্যস্ত লোক থাকে।
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ الْغَضَبِ وَالشِّدَّةِ لأَمْرِ اللَّهِ
6110 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي لَأَتَأَخَّرُ عَنْ صَلاَةِ الغَدَاةِ، مِنْ أَجْلِ فُلاَنٍ مِمَّا يُطِيلُ بِنَا، قَالَ: فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَطُّ أَشَدَّ غَضَبًا فِي مَوْعِظَةٍ مِنْهُ يَوْمَئِذٍ، قَالَ: فَقَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ مِنْكُمْ مُنَفِّرِينَ، فَأَيُّكُمْ مَا صَلَّى بِالنَّاسِ فَلْيَتَجَوَّزْ، فَإِنَّ فِيهِمُ المَرِيضَ وَالكَبِيرَ وَذَا الحَاجَةِ»
হাদীস নং: ৫৬৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৬১১১
৩২৩৭. আল্লাহর বিধি-নিষেধের ব্যাপারে রাগ করা ও কঠোরতা অবলম্বন করা জায়েয।
৫৬৮১। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী (ﷺ) নামায আদায় করলেন। তখন তিনি মসজিদের কিবলার দিকে নাকের শ্লেষ্মা দেখতে পান। এরপর তিনি তা নিজ হাতে খুঁটে খুঁটে পরিস্কার করলেন এবং রাগান্বিত হয়ে বললেনঃ তোমাদের কেউ যতক্ষণ নামাযে থাকে, ততক্ষণ আল্লাহ তার চেহারার সামনে থাকেন। সুতরাং নামাযের অবস্থায় কখনো সামনের দিকে নাকের শ্লেষ্মা ফেলবে না।
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ الْغَضَبِ وَالشِّدَّةِ لأَمْرِ اللَّهِ
6111 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: بَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي، رَأَى فِي قِبْلَةِ المَسْجِدِ نُخَامَةً، فَحَكَّهَا بِيَدِهِ، فَتَغَيَّظَ، ثُمَّ قَالَ: «إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا كَانَ فِي الصَّلاَةِ، فَإِنَّ اللَّهَ حِيَالَ وَجْهِهِ، فَلاَ يَتَنَخَّمَنَّ حِيَالَ وَجْهِهِ فِي الصَّلاَةِ»
হাদীস নং: ৫৬৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৬১১২
৩২৩৭. আল্লাহর বিধি-নিষেধের ব্যাপারে রাগ করা ও কঠোরতা অবলম্বন করা জায়েয।
৫৬৮২। মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে খালিদ জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে পথে পড়ে থাকা জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেনঃ তুমি তা এক বছর পর্যন্ত প্রচার করতে থাক, তারপর তার বাঁধন চিনে রাখ। তারপর তা তুমি ব্যয় কর। এরপর যদি এর মালিক এসে যায়, তবে তুমি তাকে তা ফিরিয়ে দাও। লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! হারিয়ে যাওয়া ছাগলের কী হুকুম? তিনি বললেনঃ সেটা তুমি নিয়ে যাও। কারণ, এটা হয়ত তোমার জন্য অথবা তোমার কোন ভাইয়ের জন্য অথবা চিতাবাঘের। লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আর হারানো উটের কী হুকুম? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রেগে গেলেন। এমনকি তার গণ্ডদ্বয় রক্তিমাভ হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ তাতে তোমার কি? তাঁর সাথেই তার চলমান পা ও পানি রয়েছে এবং তৎপর্যন্ত সেটি তার মালিকের নাগাল পেয়ে যাবে।
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ الْغَضَبِ وَالشِّدَّةِ لأَمْرِ اللَّهِ
6112 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا رَبِيعَةُ بْنُ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ يَزِيدَ مَوْلَى المُنْبَعِثِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الجُهَنِيِّ: أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ [ص:28] رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ اللُّقَطَةِ، فَقَالَ: «عَرِّفْهَا سَنَةً، ثُمَّ اعْرِفْ وِكَاءَهَا وَعِفَاصَهَا، ثُمَّ اسْتَنْفِقْ بِهَا، فَإِنْ جَاءَ رَبُّهَا فَأَدِّهَا إِلَيْهِ» قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَضَالَّةُ الغَنَمِ؟ قَالَ: «خُذْهَا، فَإِنَّمَا هِيَ لَكَ أَوْ لِأَخِيكَ أَوْ لِلذِّئْبِ» قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَضَالَّةُ الإِبِلِ؟ قَالَ: فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى احْمَرَّتْ وَجْنَتَاهُ - أَوِ احْمَرَّ وَجْهُهُ - ثُمَّ قَالَ: «مَا لَكَ وَلَهَا، مَعَهَا حِذَاؤُهَا وَسِقَاؤُهَا، حَتَّى يَلْقَاهَا رَبُّهَا»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬১১৩
৩২৩৭. আল্লাহর বিধি-নিষেধের ব্যাপারে রাগ করা ও কঠোরতা অবলম্বন করা জায়েয।
৫৬৮৩। মক্কী ও মুহাম্মাদ ইবনে যিয়াদ (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার নবী (ﷺ) খেজুরের পাতা দিয়ে, অথবা চাটাই দিয়ে একটি ছোট হুজরা তৈরী করলেন এবং ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ঐ হুজরায় (রাতে নফল) নামায আদায় করতে লাগলেন। তখন একদল লোক তাঁর খোঁজে এসে তার সঙ্গে নামায আদায় করতে লাগল। পরবর্তী এক রাতে লোকজন সেখানে এসে হাযির হল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দেরী করলেন এবং তাদের দিকে বেরিয়ে আসলেন না। তারা উচ্চস্বরে আওয়াজ দিতে লাগলেন এবং ঘরের দরজায় কংকর নিক্ষেপ করতে লাগলেন। তখন তিনি রাগাম্বিত হয়ে তাদের কাছে বেরিয়ে এসে বললেনঃ তোমরা যা করছ তাতে আমি আশঙ্কা করছি যে, সম্ভবত এটি না তোমাদের উপর ফরয করে দেয়া হয়। সুতরাং তোমাদের উচিত তোমরা ঘরেই নামায আদায় করবে। কারণ ফরয ব্যতীত অন্য নামায নিজ নিজ ঘরে পড়াই উত্তম।
بَابُ مَا يَجُوزُ مِنَ الْغَضَبِ وَالشِّدَّةِ لأَمْرِ اللَّهِ
6113 - وَقَالَ المَكِّيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: احْتَجَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُجَيْرَةً مُخَصَّفَةً، أَوْ حَصِيرًا، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِيهَا، فَتَتَبَّعَ إِلَيْهِ رِجَالٌ وَجَاءُوا يُصَلُّونَ بِصَلاَتِهِ، ثُمَّ جَاءُوا لَيْلَةً فَحَضَرُوا، وَأَبْطَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهُمْ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ، فَرَفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ وَحَصَبُوا البَابَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ مُغْضَبًا، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا زَالَ بِكُمْ صَنِيعُكُمْ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ سَيُكْتَبُ عَلَيْكُمْ، فَعَلَيْكُمْ بِالصَّلاَةِ فِي بُيُوتِكُمْ، فَإِنَّ خَيْرَ صَلاَةِ المَرْءِ فِي بَيْتِهِ إِلَّا الصَّلاَةَ المَكْتُوبَةَ»