আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫৮- যবাহ করা ও শিকারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৫০৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৯৩
২৯০৮. মহান আল্লাহর এরশাদঃ তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার হালাল করা হয়েছে..... (৫:৯৬)।
‘উমর (রাযিঃ) বলেছেনঃ صَيْدُهُ যা শিকার করা হয়, আর طَعَامُهُ সমুদ্র যাকে নিক্ষেপ করে।
আবু বকর (রাযিঃ) বলেছেনঃ মরে যা ভেসে উঠে তা হালাল।
ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ طَعَامُهُ সমুদ্রে প্রাপ্ত মৃত জানোয়ার খাদ্য, তবে তন্মধ্যে যেটি ঘৃণিত সেটি ছাড়া। বাইন জাতীয় মাছ ইয়াহুদীরা খায় না, আমরা খাই।
নবী করীম (ﷺ) -এর সাহাবী আবু শুরায়হ (রাযিঃ) বলেছেনঃ সমুদ্রের সব জিনিসই যবেহকৃত বলে গণ্য। ‘আতা (রাহঃ) বলেছেনঃ (সমুদ্রের) পাখি সম্পর্কে আমার মত সেটিকে যবেহ করতে হবে।
ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) বলেনঃ আমি ‘আতা (রাহঃ) কে খাল-বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ের শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলামঃ এগুলো কি সমুদ্রের শিকারের অন্তর্ভূক্ত? তিনি উত্তর দিলেনঃ হ্যাঁ। তারপর তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ هَذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ سَائِغٌ شَرَابُهُ وَهَذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَمِنْ كُلٍّ تَأْكُلُونَ لَحْمًا طَرِيًّا “এর পানি সুস্বাদু ও তৃপ্তিদায়ক (যা পান করার উপযোগী) আর অপরটির পানি লোনা ও বিস্বাদ। আর এর প্রত্যেকটি থেকেই তোমরা খাও তাজা গোশত।
হাসান সমুদ্রের কুকুরের চামড়ায় নির্মিত ঘোড়ার গদির উপর আরোহণ করেছেন।
শা’বী (রাহঃ) বলেছেনঃ আমার পরিবারের লোকেরা যদি ব্যাঙ খেত, তা হলে আমি তাদের তা খাওয়াতাম। হাসান (রাহঃ) কচ্ছপ খাওয়াকে দোষের মনে করতেন না।
ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ সমুদ্রের সব ধরনের শিকার খেতে পার, যদিও তা কোন ইয়াহুদী কিংবা খ্রিষ্টান কিংবা অগ্নিপূজক শিকার করে থাকে।
আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেনঃ মাছ ও সূর্যের তাপ শরাবকে পাক করে।
‘উমর (রাযিঃ) বলেছেনঃ صَيْدُهُ যা শিকার করা হয়, আর طَعَامُهُ সমুদ্র যাকে নিক্ষেপ করে।
আবু বকর (রাযিঃ) বলেছেনঃ মরে যা ভেসে উঠে তা হালাল।
ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেনঃ طَعَامُهُ সমুদ্রে প্রাপ্ত মৃত জানোয়ার খাদ্য, তবে তন্মধ্যে যেটি ঘৃণিত সেটি ছাড়া। বাইন জাতীয় মাছ ইয়াহুদীরা খায় না, আমরা খাই।
নবী করীম (ﷺ) -এর সাহাবী আবু শুরায়হ (রাযিঃ) বলেছেনঃ সমুদ্রের সব জিনিসই যবেহকৃত বলে গণ্য। ‘আতা (রাহঃ) বলেছেনঃ (সমুদ্রের) পাখি সম্পর্কে আমার মত সেটিকে যবেহ করতে হবে।
ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) বলেনঃ আমি ‘আতা (রাহঃ) কে খাল-বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ের শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলামঃ এগুলো কি সমুদ্রের শিকারের অন্তর্ভূক্ত? তিনি উত্তর দিলেনঃ হ্যাঁ। তারপর তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ هَذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ سَائِغٌ شَرَابُهُ وَهَذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَمِنْ كُلٍّ تَأْكُلُونَ لَحْمًا طَرِيًّا “এর পানি সুস্বাদু ও তৃপ্তিদায়ক (যা পান করার উপযোগী) আর অপরটির পানি লোনা ও বিস্বাদ। আর এর প্রত্যেকটি থেকেই তোমরা খাও তাজা গোশত।
হাসান সমুদ্রের কুকুরের চামড়ায় নির্মিত ঘোড়ার গদির উপর আরোহণ করেছেন।
শা’বী (রাহঃ) বলেছেনঃ আমার পরিবারের লোকেরা যদি ব্যাঙ খেত, তা হলে আমি তাদের তা খাওয়াতাম। হাসান (রাহঃ) কচ্ছপ খাওয়াকে দোষের মনে করতেন না।
ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ সমুদ্রের সব ধরনের শিকার খেতে পার, যদিও তা কোন ইয়াহুদী কিংবা খ্রিষ্টান কিংবা অগ্নিপূজক শিকার করে থাকে।
আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেনঃ মাছ ও সূর্যের তাপ শরাবকে পাক করে।
৫০৯৭। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ‘জায়শুল খাবত’ অভিযানে ছিলাম। আমাদের সেনাপতি নিয়োগ করা হয়েছিল আবু উবাইদা (রাযিঃ) -কে। এক সময় আমরা ভীষণভাবে ক্ষুধার্ত হয়ে পড়লে, সমুদ্র এমন একটি মৃত মাছ তীরে নিক্ষেপ করল যে, এত বড় মাছ কখনো দেখা যায়নি। এটিকে ‘আম্বর’ বলা হয়। আমরা অর্ধমাস যাবত এটি খেলাম। আবু উবাইদা (রাযিঃ) এর একটি হাড় তুলে ধরলেন এবং এর নীচে দিয়ে একজন অশ্বারোহী অনায়াসে বেরিয়ে গেল।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {أُحِلَّ لَكُمْ صَيْدُ الْبَحْرِ} وَقَالَ عُمَرُ صَيْدُهُ مَا اصْطِيدَ، وَطَعَامُهُ مَا رَمَى بِهِ، وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الطَّافِي حَلاَلٌ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ طَعَامُهُ مَيْتَتُهُ إِلاَّ مَا قَذِرْتَ مِنْهَا، وَالْجِرِّيُّ لاَ تَأْكُلُهُ الْيَهُودُ وَنَحْنُ نَأْكُلُهُ. وَقَالَ شُرَيْحٌ صَاحِبُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّ شَيْءٍ فِي الْبَحْرِ مَذْبُوحٌ. وَقَالَ عَطَاءٌ أَمَّا الطَّيْرُ فَأَرَى أَنْ يَذْبَحَهُ. وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ قُلْتُ لِعَطَاءٍ صَيْدُ الأَنْهَارِ وَقِلاَتِ السَّيْلِ أَصَيْدُ بَحْرٍ هُوَ قَالَ نَعَمْ، ثُمَّ تَلاَ: {هَذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ سَائِغٌ شَرَابُهُ وَهَذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَمِنْ كُلٍّ تَأْكُلُونَ لَحْمًا طَرِيًّا}. وَرَكِبَ الْحَسَنُ- عَلَيْهِ السَّلاَمُ- عَلَى سَرْجٍ مِنْ جُلُودِ كِلاَبِ الْمَاءِ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ لَوْ أَنَّ أَهْلِي أَكَلُوا الضَّفَادِعَ لأَطْعَمْتُهُمْ. وَلَمْ يَرَ الْحَسَنُ بِالسُّلَحْفَاةِ بَأْسًا. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ كُلْ مِنْ صَيْدِ الْبَحْرِ مَا صَادَهُ نَصْرَانِيٌّ أَوْ يَهُودِيٌّ أَوْ مَجُوسِيٌّ. وَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ فِي الْمُرِي ذَبَحَ الْخَمْرَ النِّينَانُ وَالشَّمْسُ
5493 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: «غَزَوْنَا جَيْشَ الخَبَطِ، وَأُمِّرَ أَبُوعُبَيْدَةَ، فَجُعْنَا جُوعًا شَدِيدًا، فَأَلْقَى البَحْرُ حُوتًا مَيِّتًا لَمْ يُرَ مِثْلُهُ، يُقَالُ لَهُ العَنْبَرُ، فَأَكَلْنَا مِنْهُ نِصْفَ شَهْرٍ، فَأَخَذَ أَبُو عُبَيْدَةَ عَظْمًا مِنْ عِظَامِهِ، فَمَرَّ الرَّاكِبُ تَحْتَهُ»
হাদীস নং: ৫০৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৯৪
২৯০৮. মহান আল্লাহর এরশাদঃ তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার হালাল করা হয়েছে..... (৫:৯৬)।
৫০৯৮। ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) আমাদের তিনশ’ সাওয়ার পাঠালেন আমাদের সেনাপতি ছিলেন আবু উবাইদা (রাযিঃ)। উদ্দেশ্য ছিল আমরা যেন কুরাইশদের একটি কাফেলার অপেক্ষা করি। তখন আমাদের ভীষণ ক্ষিধে পেল। এমন কি আমরা ‘খাবত’ (গাছের পাতা) খেতে আরম্ভ করলাম। ফলে এ বাহিনীর নামকরণ করা হয় “জায়শুল খাবত”। তখন সমুদ্র ‘আম্বর’ নামক একটি মাছ পাড়ে তুলে দেয়। আমরা এটি থেকে অর্ধমাস যাবত আহার করলাম। আমরা এর চর্বি তেল রূপে গায়ে মাখতাম। ফলে আমাদের শরীর সতেজ হয়ে উঠে। আবু উবাইদা (রাযিঃ) মাছটির পাজরের কাটাগুলোর একটি খাড়া করে ধরলেন, তখন একজন অশ্বারোহী তার নীচ দিবে অতিক্রিম করে গেল। আমাদের মধ্যে (কোয়স ইবনে না’দ) এক ব্যক্তি ছিলেন, খাদ্যাভাব তখন ভীষণ আকার ধারণ করেছিল। তখন তিনি তিনটি উট যবেহ করেন। তারপর আরো তিনটি যবেহ করেন। এরপর আবু উবাইদা (রাযিঃ) তাকে বারণ করলেন।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {أُحِلَّ لَكُمْ صَيْدُ الْبَحْرِ}
5494 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرًا، يَقُولُ: «بَعَثَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلاَثَ مِائَةِ رَاكِبٍ، وَأَمِيرُنَا أَبُو عُبَيْدَةَ، نَرْصُدُ عِيرًا لِقُرَيْشٍ، فَأَصَابَنَا جُوعٌ شَدِيدٌ حَتَّى أَكَلْنَا الخَبَطَ، فَسُمِّيَ جَيْشَ الخَبَطِ، وَأَلْقَى البَحْرُ حُوتًا يُقَالُ لَهُ العَنْبَرُ، فَأَكَلْنَا نِصْفَ شَهْرٍ وَادَّهَنَّا بِوَدَكِهِ، حَتَّى صَلَحَتْ أَجْسَامُنَا» قَالَ: «فَأَخَذَ أَبُو عُبَيْدَةَ ضِلَعًا مِنْ أَضْلاَعِهِ فَنَصَبَهُ فَمَرَّ الرَّاكِبُ تَحْتَهُ، وَكَانَ فِينَا رَجُلٌ، فَلَمَّا اشْتَدَّ الجُوعُ نَحَرَ ثَلاَثَ جَزَائِرَ، ثُمَّ ثَلاَثَ جَزَائِرَ، ثُمَّ نَهَاهُ أَبُو عُبَيْدَةَ»