আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ৪৬৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৫১
২৬৪৩. কতটুকু সময় কুরআন পাঠ করা যায়? এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলার কালামঃ “যতটা কুরআন তুমি সহজে পাঠ করতে পার, ততটাই পড়”
৪৬৮৬। আলী (রাহঃ) ......... সুফিয়ান ইবনে উয়ায়না (রাহঃ) বলেন, আমাকে ইবনে শুবরুমা (রাহঃ) বললেন, আমি দেখতে চাইলাম, নামাযে কি পরিমাণ আয়াত পাঠ করা যথেষ্ট এবং আমি তিন আয়াত বিশিষ্ট সূরার চেয়ে ছোট কোন সূরা পাইনি। সুতরাং আমি বললাম, কারো জন্য তিন আয়াতের কম নামাযে পড়া উচিত নয়। হযরত আবু মাস‘উদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম, তখন তিনি বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করছিলেন। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, যদি কোন ব্যক্তি সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পাঠ করে, তাহলে তা তার জন্য যথেষ্ট।
بَابٌ في كَمْ يُقْرَأُ الْقُرْآنُ وَقَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى: {فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ}
5051 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ لِي ابْنُ شُبْرُمَةَ: نَظَرْتُ كَمْ يَكْفِي الرَّجُلَ مِنَ القُرْآنِ، فَلَمْ أَجِدْ سُورَةً أَقَلَّ مِنْ ثَلاَثِ آيَاتٍ، فَقُلْتُ: لاَ يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقْرَأَ أَقَلَّ مِنْ ثَلاَثِ آيَاتٍ، قَالَ عَلِيٌّ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، أَخْبَرَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، أَخْبَرَهُ عَلْقَمَةُ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ - وَلَقِيتُهُ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ - فَذَكَرَ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَّهُ مَنْ قَرَأَ بِالْآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ البَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৬৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৫২
২৬৪৩. কতটুকু সময় কুরআন পাঠ করা যায়? এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার কালামঃ “যতটা কুরআন তুমি সহজে পাঠ করতে পার, ততটাই পড়”
৪৬৮৭। মুসা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে সম্ভ্রান্ত বংশীয়া মহিলার সাথে শাদী দেন এবং প্রায়ই তিনি আমার সম্পর্কে আমার স্ত্রীর কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করতেন। আমার স্ত্রী বলত, সে কতইনা ভাল মানুষ যে, সে কখনও আমার বিছানায় আসেনি এবং শাদীর পর থেকে আমার সম্পর্কে খোঁজ খবরও নেয়নি। এ অবস্থা যখন দীর্ঘকাল পর্যন্ত চলতে থাকল তখন আমার পিতা রাসূল (ﷺ)-কে আমার সম্পর্কে অবগত করালেন। তখন রাসূল (ﷺ) আমার পিতাকে বললেন, তাকে আমার সাথে সাক্ষাতের জন্য ব্যবস্থা করুন। এরপর আমি রাসূল (ﷺ)-এর সাথে সাক্ষাত করলে তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কী রকম রোযা পালন কর? আমি উত্তর দিলাম, প্রতিদিন রোযা পালন করি। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, এ অবস্থায় পূর্ণ কুরআন শরীফ খতম করতে তোমার কত সময় লাগে? আমি উত্তর দিলাম, প্রত্যেক রাতেই এক খতম করি।
তিনি বললেন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোযা পালন করবে এবং কুরআন এক মাসে এক খতম দেবে”। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশী করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে প্রতি সপ্তাহে তিনদিন রোযা পালন করবে। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশী করার শক্তি রাখি। তিনি বললেন, দু’দিন পর এক দিন রোযা রাখ। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশী সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে সব চেয়ে উত্তম পদ্ধতির রোযা পালন কর। তা হল, হযরত দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযার পদ্ধতি। তিনি এক দিন অন্তর একদিন রোযা পালন করতেন এবং প্রতি সাত দিনে একবার আল্লাহর কিতাব খতম করতেন। আহা! আমি যদি রাসূল (ﷺ)-এর দেয়া সুবিধা গ্রহণ করতাম! যেহেতু এখন আমি একজন দুর্বল বৃদ্ধ ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছি।
আবুল্লাহ্ (রাযিঃ) প্রত্যেক দিন তার পরিবারের একজন সদস্যের সামনে কুরআনের সপ্তমাংশ পাঠ করে শোনাতেন। দিবা ভাগে পাঠ করে দেখতেন, তার স্মরণশক্তি সঠিক আছে কিনা? যা তিনি রাতে পাঠ করবেন তা যেন সহজ হয় এবং যখনই তিনি শারীরিক শক্তি সঞ্চয়ের ইচ্ছা করতেন তখন কয়েক দিন রোযা রাখা বন্ধ রাখতেন এবং পরবর্তীকালে ঐ ক’দিনের হিসাব করে রোযা পালন করতেন। কেননা, তিনি রাসূল (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় যে নিয়ম পালন করতেন পরে সে নিয়ম বর্জন করাটা অপছন্দ মনে করতেন।
আবু আব্দুল্লাহ বলেন, কেউ তিন দিনে, কেউ পাঁচ দিনে এবং অধিকাংশ লোক সাত দিনে কুরআন খতম করতেন।
তিনি বললেন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোযা পালন করবে এবং কুরআন এক মাসে এক খতম দেবে”। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশী করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে প্রতি সপ্তাহে তিনদিন রোযা পালন করবে। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশী করার শক্তি রাখি। তিনি বললেন, দু’দিন পর এক দিন রোযা রাখ। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশী সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেন, তাহলে সব চেয়ে উত্তম পদ্ধতির রোযা পালন কর। তা হল, হযরত দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযার পদ্ধতি। তিনি এক দিন অন্তর একদিন রোযা পালন করতেন এবং প্রতি সাত দিনে একবার আল্লাহর কিতাব খতম করতেন। আহা! আমি যদি রাসূল (ﷺ)-এর দেয়া সুবিধা গ্রহণ করতাম! যেহেতু এখন আমি একজন দুর্বল বৃদ্ধ ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছি।
আবুল্লাহ্ (রাযিঃ) প্রত্যেক দিন তার পরিবারের একজন সদস্যের সামনে কুরআনের সপ্তমাংশ পাঠ করে শোনাতেন। দিবা ভাগে পাঠ করে দেখতেন, তার স্মরণশক্তি সঠিক আছে কিনা? যা তিনি রাতে পাঠ করবেন তা যেন সহজ হয় এবং যখনই তিনি শারীরিক শক্তি সঞ্চয়ের ইচ্ছা করতেন তখন কয়েক দিন রোযা রাখা বন্ধ রাখতেন এবং পরবর্তীকালে ঐ ক’দিনের হিসাব করে রোযা পালন করতেন। কেননা, তিনি রাসূল (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় যে নিয়ম পালন করতেন পরে সে নিয়ম বর্জন করাটা অপছন্দ মনে করতেন।
আবু আব্দুল্লাহ বলেন, কেউ তিন দিনে, কেউ পাঁচ দিনে এবং অধিকাংশ লোক সাত দিনে কুরআন খতম করতেন।
بَابٌ في كَمْ يُقْرَأُ الْقُرْآنُ وَقَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى: {فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ}
5052 - حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: أَنْكَحَنِي أَبِي امْرَأَةً ذَاتَ حَسَبٍ، فَكَانَ يَتَعَاهَدُ كَنَّتَهُ، فَيَسْأَلُهَا عَنْ بَعْلِهَا، فَتَقُولُ: نِعْمَ الرَّجُلُ مِنْ رَجُلٍ لَمْ يَطَأْ لَنَا فِرَاشًا، وَلَمْ يُفَتِّشْ لَنَا كَنَفًا مُنْذُ أَتَيْنَاهُ، فَلَمَّا طَالَ ذَلِكَ عَلَيْهِ ذَكَرَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «القَنِي بِهِ» ، فَلَقِيتُهُ بَعْدُ، فَقَالَ: «كَيْفَ تَصُومُ؟» قَالَ: كُلَّ يَوْمٍ، قَالَ: «وَكَيْفَ تَخْتِمُ؟» ، قَالَ: كُلَّ لَيْلَةٍ، قَالَ: «صُمْ فِي كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةً، وَاقْرَإِ القُرْآنَ فِي كُلِّ شَهْرٍ» ، قَالَ: قُلْتُ: أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ، قَالَ: «صُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فِي الجُمُعَةِ» ، قُلْتُ: أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ، قَالَ: «أَفْطِرْ يَوْمَيْنِ وَصُمْ يَوْمًا» قَالَ: قُلْتُ: أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ، قَالَ: «صُمْ أَفْضَلَ الصَّوْمِ صَوْمَ دَاوُدَ صِيَامَ يَوْمٍ وَإِفْطَارَ يَوْمٍ، وَاقْرَأْ فِي كُلِّ سَبْعِ لَيَالٍ مَرَّةً» فَلَيْتَنِي قَبِلْتُ رُخْصَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَاكَ أَنِّي كَبِرْتُ وَضَعُفْتُ، فَكَانَ يَقْرَأُ عَلَى بَعْضِ أَهْلِهِ السُّبْعَ مِنَ القُرْآنِ بِالنَّهَارِ، وَالَّذِي يَقْرَؤُهُ يَعْرِضُهُ مِنَ النَّهَارِ، لِيَكُونَ أَخَفَّ عَلَيْهِ بِاللَّيْلِ، وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَتَقَوَّى أَفْطَرَ أَيَّامًا وَأَحْصَى، وَصَامَ مِثْلَهُنَّ كَرَاهِيَةَ أَنْ يَتْرُكَ شَيْئًا، فَارَقَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِ "، قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: " وَقَالَ بَعْضُهُمْ: فِي ثَلاَثٍ وَفِي خَمْسٍ وَأَكْثَرُهُمْ عَلَى سَبْعٍ "
হাদীস নং: ৪৬৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৫৩
২৬৪৩. কতটুকু সময় কুরআন পাঠ করা যায়? এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার কালামঃ “যতটা কুরআন তুমি সহজে পাঠ করতে পার, ততটাই পড়”
৪৬৮৮। সা’দ ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, সমগ্র কুরআন খতম করতে তোমার কত সময় লাগে?
بَابٌ في كَمْ يُقْرَأُ الْقُرْآنُ وَقَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى: {فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ}
5053 - حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فِي كَمْ تَقْرَأُ القُرْآنَ؟»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৫৪
২৬৪৩. কতটুকু সময় কুরআন পাঠ করা যায়? এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার কালামঃ “যতটা কুরআন তুমি সহজে পাঠ করতে পার, ততটাই পড়”
৪৬৮৯। ইসহাক (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) আমাকে বললেন, “এক মাসে কুরআন খতম কর”। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশী করার শক্তি রাখি। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, তাহলে প্রতি সাত দিনে একবার খতম করো এবং এর চেয়ে কম সময়ের মধ্যে খতম করো না।
بَابٌ في كَمْ يُقْرَأُ الْقُرْآنُ وَقَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى: {فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ}
5054 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ [ص:197] بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَوْلَى بَنِي زُهْرَةَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ: وَأَحْسِبُنِي، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَا مِنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «اقْرَإِ القُرْآنَ فِي شَهْرٍ» قُلْتُ: إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً حَتَّى قَالَ: «فَاقْرَأْهُ فِي سَبْعٍ وَلاَ تَزِدْ عَلَى ذَلِكَ»

তাহকীক: