আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৬৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫০২০
২৬২৬. সব কালামের উপর কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব
৪৬৫৪। হুদবা ইবনে খালিদ (রাহঃ) ......... আবু মুসা আশ‘আরী (রাযিঃ) সূত্রে রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন তিলওয়াত করে, তার উদাহরণ হচ্ছে ঐ উতরুজ্জা ফলের (লেবুর) ন্যায় যা সুস্বাদু এবং সুগন্ধ যুক্ত। আর যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে না, তার উদাহরণ হচ্ছে এমন খেজুরের মত, যা সুগন্ধ হীন, কিন্তু খেতে সুস্বাদু। আর ফাসিক-ফাজির ব্যক্তি যে কুরআন পাঠ করে, তার উদাহরণ হচ্ছে রায়হান জাতীয় গুল্মের মত, যার সুগন্ধ আছে, কিন্তু খেতে বিস্বাদযুক্ত (তিক্ত)। আর ঐ ফাসিক যে কুরআন একেবারে পাঠ করে না, তার উদাহরণ হচ্ছে ঐ মাকাল ফলের মত, যা খেতেও বিস্বাদ (তিক্ত) এবং যার কোনো সুঘ্রাণও নেই।
باب فَضْلِ الْقُرْآنِ عَلَى سَائِرِ الْكَلاَمِ
5020 - حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ أَبُو خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَثَلُ الَّذِي يَقْرَأُ القُرْآنَ: كَالأُتْرُجَّةِ طَعْمُهَا طَيِّبٌ، وَرِيحُهَا طَيِّبٌ، وَالَّذِي لاَ يَقْرَأُ [ص:191] القُرْآنَ: كَالتَّمْرَةِ طَعْمُهَا طَيِّبٌ وَلاَ رِيحَ لَهَا، وَمَثَلُ الفَاجِرِ الَّذِي يَقْرَأُ القُرْآنَ: كَمَثَلِ الرَّيْحَانَةِ رِيحُهَا طَيِّبٌ، وَطَعْمُهَا مُرٌّ، وَمَثَلُ الفَاجِرِ الَّذِي لاَ يَقْرَأُ القُرْآنَ: كَمَثَلِ الحَنْظَلَةِ طَعْمُهَا مُرٌّ، وَلاَ رِيحَ لَهَا "
হাদীস নং: ৪৬৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫০২১
২৬২৬. সব কালামের উপর কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব
৪৬৫৫। মুসাদ্দাস (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, অতীতের জাতিসমূহের সঙ্গে তোমাদের জীবনকালের তুলনা হচ্ছে আসর ও মাগরিব নামাযের এর মধ্যবর্তী সময়কালের মত। তোমাদের এবং ইহুদী-নাসারাদের উদাহরণ হচ্ছে ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে শ্রমিকদের কাজে নিযুক্ত করে তাদেরকে বলল, “তোমাদের মধ্যে কে এক কীরাতের[১] বিনিময়ে দ্বি-প্রহর পর্যন্ত কাজ করবে”? ইহুদীরা কাজ করল। তারপর সেই ব্যক্তি আবার বলল, তোমাদের মধ্যে কে এক কীরাতের বিনিময়ে দুপুর থেকে আসর পর্যন্ত কাজ করবে? নাসারারা কাজ করল। এরপর তোমরা (মুসলমানরা) আসরের নামাযের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত প্রত্যেকে দু’কীরাতের বিনিময়ে কাজ করেছ। তারা বলল, আমরা কম মজুরি নিয়েছি এবং বেশী কাজ করেছি। তিনি (আল্লাহ) বলবেন, আমি কি তোমাদের অধিকারের ব্যাপারে যুলুম করেছি? তারা উত্তরে বলবে, না। এরপর আল্লাহ বলবেন, এটা আমার দয়া, আমি যাকে ইচ্ছা দিতে থাকি।

[১] মুদ্রা বিশেষ।
باب فَضْلِ الْقُرْآنِ عَلَى سَائِرِ الْكَلاَمِ
5021 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّمَا أَجَلُكُمْ فِي أَجَلِ مَنْ خَلاَ مِنَ الأُمَمِ، كَمَا بَيْنَ صَلاَةِ العَصْرِ، وَمَغْرِبِ الشَّمْسِ، وَمَثَلُكُمْ وَمَثَلُ اليَهُودِ وَالنَّصَارَى، كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتَعْمَلَ عُمَّالًا، فَقَالَ: مَنْ يَعْمَلُ لِي إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ عَلَى قِيرَاطٍ، فَعَمِلَتِ اليَهُودُ، فَقَالَ: مَنْ يَعْمَلُ لِي مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ إِلَى العَصْرِ عَلَى قِيرَاطٍ، فَعَمِلَتِ النَّصَارَى، ثُمَّ أَنْتُمْ تَعْمَلُونَ مِنَ العَصْرِ إِلَى المَغْرِبِ بِقِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ، قَالُوا: نَحْنُ أَكْثَرُ عَمَلًا وَأَقَلُّ عَطَاءً، قَالَ: «هَلْ ظَلَمْتُكُمْ مِنْ حَقِّكُمْ؟» قَالُوا: لاَ، قَالَ: «فَذَاكَ فَضْلِي أُوتِيهِ مَنْ شِئْتُ»