আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪৬৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫০১৮ - ৫০১৯
২৬২৪. কুরআন শরীফ তিলাওয়াতের সময় প্রশান্তি নেমে আসে ও ফিরিশতা নাযিল হয়।
লাঈস (রাহঃ) উসাইদ ইবনে হুদায়র (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা রাতে তিনি সূরা বাকারা পাঠ করছিলেন। তখন তাঁর ঘোড়াটি তারই পাশে বাঁধা ছিল। হঠাৎ ঘোড়াটি ভীত হয়ে লাফ দিয়ে উঠল এবং ছুটাছুটি শুরু করল। যখন পাঠ বন্ধ করলেন তখনই ঘোড়াটি শান্ত হল। পুনরায় যখন পাঠ করলেন ঘোড়াটি পূর্বের মতো আচরণ করল। যখন পাঠ বন্ধ করলেন ঘোড়াটি শান্ত হলো। পুনরায় পাঠ আরম্ভ করলে ঘোড়াটি পূর্বের মতো করতে লাগল। এ সময় তার পুত্র ইয়াহয়া ঘোড়াটির নিকটে ছিল। তার ভয় হচ্ছিল যে, ঘোড়াটি তার পুত্রকে পদদলিত করবে। তখন তিনি পুত্রকে টেনে আনলেন এবং আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু দেখতে পেলেন। পরদিন সকালে তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে উক্ত ঘটনা ব্যক্ত করলেন। ঘটনা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে ইবনে হুদায়র! তুমি যদি পাঠ করতে, হে ইবনে হুদায়র! তুমি যদি পাঠ করতে। ইবনে হুদায়র আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার ছেলেটি ঘোড়ার নিকট থাকায় আমি ভয় পেয়ে গেলাম হয়ত বা ঘোড়াটি তাকে পদদলিত করবে, সুতরাং আমি আমার মাথা উপরে উঠাতেই মেঘের মত কিছু দেখলাম, যা আলোকময় ছিল। আমি যখন বাইরে এলাম তখন আর কিছু দেখলাম না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি কি জান, ওটা কি ছিল? (রাবী বলেন,) তিনি বললেন, না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তারা ছিল ফিরিশতামন্ডলী। তোমার তিলাওয়াত শুনে তোমার কাছে এসেছিল। তুমি যদি ভোর পর্যন্ত তিলাওয়াত করতে থাকতে, তারাও ততক্ষণ পর্যন্ত এখানে অবস্থান করত এবং লোকেরা তাদেরকে দেখতে পেত। এরপর হাদীসের অন্য একটি সনদ বর্ণিত হয়েছে।
পরিচ্ছেদ ২৬২৫. যারা বলে, দুই মলাটের মধ্যে (কুরআন) যা কিছু আছে তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছু রেখে যাননি
লাঈস (রাহঃ) উসাইদ ইবনে হুদায়র (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা রাতে তিনি সূরা বাকারা পাঠ করছিলেন। তখন তাঁর ঘোড়াটি তারই পাশে বাঁধা ছিল। হঠাৎ ঘোড়াটি ভীত হয়ে লাফ দিয়ে উঠল এবং ছুটাছুটি শুরু করল। যখন পাঠ বন্ধ করলেন তখনই ঘোড়াটি শান্ত হল। পুনরায় যখন পাঠ করলেন ঘোড়াটি পূর্বের মতো আচরণ করল। যখন পাঠ বন্ধ করলেন ঘোড়াটি শান্ত হলো। পুনরায় পাঠ আরম্ভ করলে ঘোড়াটি পূর্বের মতো করতে লাগল। এ সময় তার পুত্র ইয়াহয়া ঘোড়াটির নিকটে ছিল। তার ভয় হচ্ছিল যে, ঘোড়াটি তার পুত্রকে পদদলিত করবে। তখন তিনি পুত্রকে টেনে আনলেন এবং আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু দেখতে পেলেন। পরদিন সকালে তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে উক্ত ঘটনা ব্যক্ত করলেন। ঘটনা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে ইবনে হুদায়র! তুমি যদি পাঠ করতে, হে ইবনে হুদায়র! তুমি যদি পাঠ করতে। ইবনে হুদায়র আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার ছেলেটি ঘোড়ার নিকট থাকায় আমি ভয় পেয়ে গেলাম হয়ত বা ঘোড়াটি তাকে পদদলিত করবে, সুতরাং আমি আমার মাথা উপরে উঠাতেই মেঘের মত কিছু দেখলাম, যা আলোকময় ছিল। আমি যখন বাইরে এলাম তখন আর কিছু দেখলাম না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি কি জান, ওটা কি ছিল? (রাবী বলেন,) তিনি বললেন, না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তারা ছিল ফিরিশতামন্ডলী। তোমার তিলাওয়াত শুনে তোমার কাছে এসেছিল। তুমি যদি ভোর পর্যন্ত তিলাওয়াত করতে থাকতে, তারাও ততক্ষণ পর্যন্ত এখানে অবস্থান করত এবং লোকেরা তাদেরকে দেখতে পেত। এরপর হাদীসের অন্য একটি সনদ বর্ণিত হয়েছে।
পরিচ্ছেদ ২৬২৫. যারা বলে, দুই মলাটের মধ্যে (কুরআন) যা কিছু আছে তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছু রেখে যাননি
৪৬৫৩। কুতায়বা ইবনে সা‘ঈদ (রাহঃ) ......... আব্দুল আযীয ইবনে রুফা‘ঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং শাদ্দাদ ইবনে মা’কিল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হলাম। শাদ্দাদ ইবনে মা’কিল তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসূল (ﷺ) কুরআন ব্যতীত অন্য কিছু রেখে যাননি? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) উত্তর দিলেন, রাসূল (ﷺ) দুই মলাটের মাঝে যা কিছু আছে অর্থাৎ কুরআন ব্যতীত অন্য কিছু রেখে যাননি।
আব্দুল আযীয বললেন, আমরা মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিয়ার নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনিও বললেন যে, দুই মলাটের মাঝে ছাড়া আর কিছু রেখে যাননি।
আব্দুল আযীয বললেন, আমরা মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিয়ার নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনিও বললেন যে, দুই মলাটের মাঝে ছাড়া আর কিছু রেখে যাননি।
بَاب نُزُولِ السَّكِينَةِ وَالْمَلَائِكَةِ عِنْدَ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ قَالَ بَيْنَمَا هُوَ يَقْرَأُ مِنْ اللَّيْلِ سُورَةَ الْبَقَرَةِ وَفَرَسُهُ مَرْبُوطَةٌ عِنْدَهُ إِذْ جَالَتْ الْفَرَسُ فَسَكَتَ فَسَكَتَتْ فَقَرَأَ فَجَالَتْ الْفَرَسُ فَسَكَتَ وَسَكَتَتْ الْفَرَسُ ثُمَّ قَرَأَ فَجَالَتْ الْفَرَسُ فَانْصَرَفَ وَكَانَ ابْنُهُ يَحْيَى قَرِيبًا مِنْهَا فَأَشْفَقَ أَنْ تُصِيبَهُ فَلَمَّا اجْتَرَّهُ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ حَتَّى مَا يَرَاهَا فَلَمَّا أَصْبَحَ حَدَّثَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ اقْرَأْ يَا ابْنَ حُضَيْرٍ اقْرَأْ يَا ابْنَ حُضَيْرٍ قَالَ فَأَشْفَقْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ تَطَأَ يَحْيَى وَكَانَ مِنْهَا قَرِيبًا فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَانْصَرَفْتُ إِلَيْهِ فَرَفَعْتُ رَأْسِي إِلَى السَّمَاءِ فَإِذَا مِثْلُ الظُّلَّةِ فِيهَا أَمْثَالُ الْمَصَابِيحِ فَخَرَجَتْ حَتَّى لَا أَرَاهَا قَالَ وَتَدْرِي مَا ذَاكَ قَالَ لَا قَالَ تِلْكَ الْمَلَائِكَةُ دَنَتْ لِصَوْتِكَ وَلَوْ قَرَأْتَ لَأَصْبَحَتْ يَنْظُرُ النَّاسُ إِلَيْهَا لَا تَتَوَارَى مِنْهُمْ قَالَ ابْنُ الْهَادِ وَحَدَّثَنِي هَذَا الْحَدِيثَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَبَّابٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ
باب مَنْ قَالَ لَمْ يَتْرُكِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مَا بَيْنَ الدَّفَّتَيْنِ.
باب مَنْ قَالَ لَمْ يَتْرُكِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مَا بَيْنَ الدَّفَّتَيْنِ.
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَشَدَّادُ بْنُ مَعْقِلٍ، عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما فَقَالَ لَهُ شَدَّادُ بْنُ مَعْقِلٍ أَتَرَكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ شَىْءٍ قَالَ مَا تَرَكَ إِلاَّ مَا بَيْنَ الدَّفَّتَيْنِ. قَالَ وَدَخَلْنَا عَلَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ فَسَأَلْنَاهُ فَقَالَ مَا تَرَكَ إِلاَّ مَا بَيْنَ الدَّفَّتَيْنِ.

তাহকীক: