আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৬২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৮৪
২৬১৭. কুরআন কুরাইশ এবং আরবদের ভাষায় নাযিল হয়েছে। যেমন- আল্লাহ বলেছেনঃ “সরল ও সুস্পষ্ট আরবী ভাষায় আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি”।
৪৬২৩। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উসমান (রাযিঃ) যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ), সাঈদ ইবনুল আস (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাযিঃ) এবং আব্দুর রহমান ইবনে হারিস ইবনে হিশাম (রাযিঃ) কে পবিত্র কুরআন গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করার জন্য নির্দেশ দিলেন এবং তাদেরকে বললেন, আল কুরআনের কোন শব্দের আরবী হওয়ার ব্যাপারে যায়দ ইবনে সাবিতের সঙ্গে তোমাদের মতবিরোধ হলে তোমরা তা কুরাইশদের ভাষায় লিপিবদ্ধ করবে। কারণ, কুরআন তাদের ভাষায় নাযিল হয়েছে। অতএব তাঁরা তা-ই করলেন।
بَابُ نَزَلَ القُرْآنُ بِلِسَانِ قُرَيْشٍ وَالعَرَبِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {قُرْآنًا عَرَبِيًّا} [يوسف: 2]، {بِلِسَانٍ عَرَبِيٍّ مُبِينٍ} [الشعراء: 195]
4984 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَأَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ: «فَأَمَرَ عُثْمَانُ، زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، وَسَعِيدَ بْنَ العَاصِ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنْ يَنْسَخُوهَا فِي المَصَاحِفِ» ، وَقَالَ لَهُمْ: «إِذَا اخْتَلَفْتُمْ أَنْتُمْ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فِي عَرَبِيَّةٍ مِنْ عَرَبِيَّةِ القُرْآنِ فَاكْتُبُوهَا بِلِسَانِ قُرَيْشٍ، فَإِنَّ القُرْآنَ أُنْزِلَ بِلِسَانِهِمْ فَفَعَلُوا»
হাদীস নং: ৪৬২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৮৫
২৬১৭. কুরআন কুরাইশ এবং আরবদের ভাষায় নাযিল হয়েছে।
৪৬২৪। আবু নু’আয়ইম (রাহঃ) ......... ইয়া‘লা ইবনে উমাইয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলতেন, হায়! রাসূল (ﷺ)-এর প্রতি ওহী নাযিল হওয়ার সময় যদি তাঁকে দেখতে পারতাম। যখন রাসূল (ﷺ) জি‘ইররানা নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন এবং চাঁদোয়া দিয়ে তাঁর উপর ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন কতিপয় সাহাবী। এমতাবস্থায়, সুগন্ধি মেখে এক ব্যক্তি এলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। ঐ লোক সম্পর্কে আপনার মত কী, যে সুগন্ধি মেখে জুব্বা পরে ইহরাম বেঁধেছে? কিছু সময়ের জন্য রাসূল (ﷺ) অপেক্ষা করলেন, এমনি সময় ওহী এলো। উমর (রাযিঃ) ইয়া‘লা (রাযিঃ) কে ইশারা দিয়ে ডাকলেন।
ইয়া‘লা (রাযিঃ) এলেন এবং তাঁর মাথা ঐ চাঁদরের ভেতর ঢোকালেন। দেখলেন, রাসূল (ﷺ) এর মুখমণ্ডল সম্পূর্ণ রক্তিম বর্ণ এবং কিছু সময়ের জন্য অত্যন্ত জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করছেন। তারপর তাঁর থেকে এ অবস্থা সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত হওয়ার পর তিনি বললেন, প্রশ্নকারী কোথায়? যে কিছুক্ষণ পূর্বে আমাকে উমরা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল। লোকটিকে তালাশ করে রাসূল (ﷺ) এর কাছে নিয়ে আসা হল। রাসূল (ﷺ) বললেন, যে সুগন্ধি তুমি তোমার শরীরে মেখেছ, তা তিনবার ধুয়ে ফেলবে আর জুব্বাটি খুলে ফেলবে। তারপর তুমি তোমার উমরাতে ঐ সমস্ত অনুষ্ঠান পালন করবে, যা তুমি হজ্জের মধ্যে করে থাক।
بَابُ نَزَلَ القُرْآنُ بِلِسَانِ قُرَيْشٍ وَالعَرَبِ
4985 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، وَقَالَ: مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، قَالَ: أَخْبَرَنِي صَفْوَانُ بْنُ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، أَنَّ يَعْلَى، كَانَ يَقُولُ: لَيْتَنِي أَرَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ يُنْزَلُ عَلَيْهِ الوَحْيُ، فَلَمَّا كَانَ [ص:183] النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْجِعْرَانَةِ عَلَيْهِ ثَوْبٌ قَدْ أَظَلَّ عَلَيْهِ، وَمَعَهُ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ مُتَضَمِّخٌ بِطِيبٍ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ أَحْرَمَ فِي جُبَّةٍ، بَعْدَ مَا تَضَمَّخَ بِطِيبٍ؟ فَنَظَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَاعَةً فَجَاءَهُ الوَحْيُ، فَأَشَارَ عُمَرُ إِلَى يَعْلَى: أَنْ تَعَالَ، فَجَاءَ يَعْلَى فَأَدْخَلَ رَأْسَهُ، فَإِذَا هُوَ مُحْمَرُّ الوَجْهِ، يَغِطُّ كَذَلِكَ سَاعَةً، ثُمَّ سُرِّيَ عَنْهُ، فَقَالَ: «أَيْنَ الَّذِي يَسْأَلُنِي عَنِ العُمْرَةِ آنِفًا» فَالْتُمِسَ الرَّجُلُ فَجِيءَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «أَمَّا الطِّيبُ الَّذِي بِكَ فَاغْسِلْهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، وَأَمَّا الجُبَّةُ فَانْزِعْهَا، ثُمَّ اصْنَعْ فِي عُمْرَتِكَ كَمَا تَصْنَعُ فِي حَجِّكَ»