আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪৫৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৫৩ - ৪৯৫৪
সূরা আলাক
কুতাইবাহ (রাহঃ) .....হাসান বসরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কুরআন মাজীদের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ লিখ এবং দু’ সূরার মধ্যে একটি রেখা টেনে দাও।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, نَادِيَهُ অর্থ গোত্র। الزَّبَانِيَةَ অর্থ ফিরিশতা।
মা‘মার (রা) বলেন, الرُّجْعٰى অর্থ প্রত্যাবর্তন স্থল। لَنَسْفَعَنْ আমি অবশ্যই পাকড়াও করব। لَنَسْفَعَنْ শব্দটি نون خفيفة এর সাথে। سَفَعْتُ بِيَدِهِ অর্থ আমি তাকে হাত দ্বারা ধরলাম।
কুতাইবাহ (রাহঃ) .....হাসান বসরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কুরআন মাজীদের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ লিখ এবং দু’ সূরার মধ্যে একটি রেখা টেনে দাও।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, نَادِيَهُ অর্থ গোত্র। الزَّبَانِيَةَ অর্থ ফিরিশতা।
মা‘মার (রা) বলেন, الرُّجْعٰى অর্থ প্রত্যাবর্তন স্থল। لَنَسْفَعَنْ আমি অবশ্যই পাকড়াও করব। لَنَسْفَعَنْ শব্দটি نون خفيفة এর সাথে। سَفَعْتُ بِيَدِهِ অর্থ আমি তাকে হাত দ্বারা ধরলাম।
৪৫৯৪। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র ও সা‘ঈদ ইবনে মারওয়ান (রাহঃ) ......... নবী কারীম (সা) এর সহধর্মিণী হযরত আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে নবী (ﷺ) এর প্রতি ওহী শুরু করা হয়েছিল। ঐ সময় তিনি যে স্বপ্ন দেখতেন, তা প্রভাতের আলোর মতই সুস্পষ্ট হত। এরপর নির্জনতা তাঁর কাছে প্রিয় হয়ে উঠলো। তিনি হেরা গুহায় চলে যেতেন এবং পরিবার-পরিজনের কাছে আসার পূর্বে সেখানে একনাগাড়ে কয়েকদিন পর্যন্ত তাহান্নুস করতেন। তাহান্নুস মানে বিশেষ নিয়মে ইবাদত করা। এজন্য তিনি কিছু খাবার-দাবার নিয়ে যেতেন। এরপর তিনি বিবি খাদীজার কাছে ফিরে এসে পুনরায় অনুরূপ কিছু খাবার-দাবার নিয়ে যেতেন। অবশেষে হেরা গুহায় থাকা অবস্থায় আকস্মিক তাঁর কাছে সত্যবাণী এসে পৌঁছল। ফিরিশতা তাঁর কাছে এসে বললেন, পড়। রাসূল(ﷺ) বললেন, আমি পড়তে পারিনা।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, এরপর তিনি আমাকে ধরে খুব জোরে আলিঙ্গন করলেন। এতে আমি ভীষণ কষ্ট অনুভব করলাম। অতঃপর আমাকে ছেড়ে দিয়ে আবার বললেন, পড়। রাসূল (ﷺ) বললেন, আমি পড়তে পারিনা। রাসূল(ﷺ) বলেন, এরপর তিনি আমাকে ধরে দ্বিতীয়বার খুব জোরে আলিঙ্গন করলেন। এতেও আমি ভীষণ কষ্ট অনুভব করলাম। এরপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, পড়। আমি বললাম, আমি পড়তে পারিনা। এরপর তিনি আমাকে ধরে তৃতীয়বার খুব জোরে আলিঙ্গন করলেন। এতেও আমি ভীষণ কষ্ট অনুভব করলাম। এরপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, “পাঠ কর তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে আলাক[১] থেকে। পাঠ কর, আর তোমার প্রতিপালক মহিমান্বিত। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না”।
এরপর রাসূল(ﷺ) এই আয়াতগুলো নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। এ সময় তাঁর কাঁধের গোশত ভয়ে থরথর করে কাঁপছিল। খাদীজার কাছে পৌঁছেই তিনি বললেন, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর। তখন সকলেই তাঁকে বস্ত্রাবৃত করে দিলো। অবশেষে তাঁর ভীতিভাব দূর হলে তিনি খাদীজাকে বললেন, খাদীজা, আমার কি হল? আমি আমার নিজের সম্পর্কে আশঙ্কাবোধ করছি। এরপর তিনি তাঁকে সব কথা খুলে বললেন। একথা শুনে খাদীজা (রাযিঃ) বললেন, কখনো নয়। আপনি সুসংবাদ নিন। আল্লাহর শপথ! আল্লাহ কখনো আপনাকে লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি আত্মীয়দের খোঁজ-খবর নেন, সত্য কথা বলেন, অসহায় লোকদের বোঝা লাঘব করে দেন, নিঃস্ব লোকদেরকে উপার্জন করে দেন, মেহমানদের আপ্যায়ন করেন এবং হকের পথে আগত বিপদাপদে লোকদের সাহায্য করে থাকেন। তারপর খাদীজা তাঁকে নিয়ে তাঁর চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবনে নাওফালের কাছে গেলেন। তিনি জাহিলী যুগে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরবী ভাষায় কিতাব লিখতেন। আর তিনি আল্লাহর ইচ্ছামাফিক আরবী ভাষায় ইনজীল কিতাব অনুবাদ করে লিখতেন। তিনি খুব বৃদ্ধ ও অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
খাদীজা (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, হে আমার চাচাতো ভাই! আপনার ভাতিজা কি বলে, একটু শুনুন। তখন ওয়ারাকা বললেন, ভাতিজা কি হয়েছে তোমার? নবী (ﷺ) যা দেখেছিলেন, সবকিছুর সংবাদ তাকে জানালেন। সব কথা শুনে ওয়ারাকা বললেন, ইনিই সেই ফিরিশতা যাকে মুসার কাছে পাঠানো হয়েছিল। আহ! সে সময় আমি যদি যুবক হতাম। আহ! সে সময় আমি যদি জীবিত থাকতাম। তারপর তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করলে রাসূল(ﷺ) বললেন, সত্যই তারা কি আমাকে বে করে দিবে? ওয়ারাকা বললেন, হ্যাঁ, তারা তোমাকে বের করে দিবে। তুমি যে দাওয়াত নিয়ে এসেছ, এ দাওয়াত যেই নিয়ে এসেছে তাকেই কষ্ট দেয়া হয়েছে। তোমার নবুওয়াতকালে আমি জীবিত থাকলে অবশ্যই আমি তোমাকে বলিষ্ঠ ও সার্বিকভাবে সাহায্য করতাম। এরপর ওয়ারাকা বেশী দিন বাঁচেননি; বরং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি মারা গেলেন। অন্যদিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ওহী বন্ধ হয়ে গেল। এতে রাসূল(ﷺ) ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়লেন।
(অন্য এক সনদে) মুহাম্মদ ইবনে শিহাব (র) আবূ সালামা ইবনে আব্দুর রাহমান (র) এর মাধ্যমে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল(ﷺ) ওহী বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন। এক সময় আমি পথ চলছিলাম। হঠাৎ আকাশ থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি মাথা তুলে তাকালাম। দেখলাম, যে ফিরিশতা আমার কাছে হেরা গুহায় আসতেন, তিনিই আসমান ও জমিনের মাঝখানে পাতা কুরসীতে বসে আছেন। এতে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। তাই বাড়িতে ফিরে বললাম, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর। সুতরাং সকলেই আমাকে বস্ত্রাচ্ছাদিত করল। তখন আল্লাহ নাযিল করলেন, “হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! উঠ, সতর্কবাণী প্রচার কর এবং তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। তোমার পরিচ্ছদ পবিত্র রাখ এবং অপবিত্রতা হতে দূরে থাক”।
আবু সালামা (রাযিঃ) বলেন, আরবরা জাহিলী যুগে যেসব মূর্তির পূজা করত الرجز বলে ঐ সব মূর্তিকে বুঝানো হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর থেকে ওহীর সিলসিলা অব্যাহত থাকে।
[১] সংযুক্ত, ঝুলন্ত, রক্ত, রক্তপিণ্ড, এমন কিছু যা লেগে থাকে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, এরপর তিনি আমাকে ধরে খুব জোরে আলিঙ্গন করলেন। এতে আমি ভীষণ কষ্ট অনুভব করলাম। অতঃপর আমাকে ছেড়ে দিয়ে আবার বললেন, পড়। রাসূল (ﷺ) বললেন, আমি পড়তে পারিনা। রাসূল(ﷺ) বলেন, এরপর তিনি আমাকে ধরে দ্বিতীয়বার খুব জোরে আলিঙ্গন করলেন। এতেও আমি ভীষণ কষ্ট অনুভব করলাম। এরপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, পড়। আমি বললাম, আমি পড়তে পারিনা। এরপর তিনি আমাকে ধরে তৃতীয়বার খুব জোরে আলিঙ্গন করলেন। এতেও আমি ভীষণ কষ্ট অনুভব করলাম। এরপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, “পাঠ কর তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে আলাক[১] থেকে। পাঠ কর, আর তোমার প্রতিপালক মহিমান্বিত। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না”।
এরপর রাসূল(ﷺ) এই আয়াতগুলো নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। এ সময় তাঁর কাঁধের গোশত ভয়ে থরথর করে কাঁপছিল। খাদীজার কাছে পৌঁছেই তিনি বললেন, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর। তখন সকলেই তাঁকে বস্ত্রাবৃত করে দিলো। অবশেষে তাঁর ভীতিভাব দূর হলে তিনি খাদীজাকে বললেন, খাদীজা, আমার কি হল? আমি আমার নিজের সম্পর্কে আশঙ্কাবোধ করছি। এরপর তিনি তাঁকে সব কথা খুলে বললেন। একথা শুনে খাদীজা (রাযিঃ) বললেন, কখনো নয়। আপনি সুসংবাদ নিন। আল্লাহর শপথ! আল্লাহ কখনো আপনাকে লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি আত্মীয়দের খোঁজ-খবর নেন, সত্য কথা বলেন, অসহায় লোকদের বোঝা লাঘব করে দেন, নিঃস্ব লোকদেরকে উপার্জন করে দেন, মেহমানদের আপ্যায়ন করেন এবং হকের পথে আগত বিপদাপদে লোকদের সাহায্য করে থাকেন। তারপর খাদীজা তাঁকে নিয়ে তাঁর চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবনে নাওফালের কাছে গেলেন। তিনি জাহিলী যুগে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরবী ভাষায় কিতাব লিখতেন। আর তিনি আল্লাহর ইচ্ছামাফিক আরবী ভাষায় ইনজীল কিতাব অনুবাদ করে লিখতেন। তিনি খুব বৃদ্ধ ও অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
খাদীজা (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, হে আমার চাচাতো ভাই! আপনার ভাতিজা কি বলে, একটু শুনুন। তখন ওয়ারাকা বললেন, ভাতিজা কি হয়েছে তোমার? নবী (ﷺ) যা দেখেছিলেন, সবকিছুর সংবাদ তাকে জানালেন। সব কথা শুনে ওয়ারাকা বললেন, ইনিই সেই ফিরিশতা যাকে মুসার কাছে পাঠানো হয়েছিল। আহ! সে সময় আমি যদি যুবক হতাম। আহ! সে সময় আমি যদি জীবিত থাকতাম। তারপর তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করলে রাসূল(ﷺ) বললেন, সত্যই তারা কি আমাকে বে করে দিবে? ওয়ারাকা বললেন, হ্যাঁ, তারা তোমাকে বের করে দিবে। তুমি যে দাওয়াত নিয়ে এসেছ, এ দাওয়াত যেই নিয়ে এসেছে তাকেই কষ্ট দেয়া হয়েছে। তোমার নবুওয়াতকালে আমি জীবিত থাকলে অবশ্যই আমি তোমাকে বলিষ্ঠ ও সার্বিকভাবে সাহায্য করতাম। এরপর ওয়ারাকা বেশী দিন বাঁচেননি; বরং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি মারা গেলেন। অন্যদিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ওহী বন্ধ হয়ে গেল। এতে রাসূল(ﷺ) ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়লেন।
(অন্য এক সনদে) মুহাম্মদ ইবনে শিহাব (র) আবূ সালামা ইবনে আব্দুর রাহমান (র) এর মাধ্যমে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল(ﷺ) ওহী বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন। এক সময় আমি পথ চলছিলাম। হঠাৎ আকাশ থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি মাথা তুলে তাকালাম। দেখলাম, যে ফিরিশতা আমার কাছে হেরা গুহায় আসতেন, তিনিই আসমান ও জমিনের মাঝখানে পাতা কুরসীতে বসে আছেন। এতে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। তাই বাড়িতে ফিরে বললাম, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর। সুতরাং সকলেই আমাকে বস্ত্রাচ্ছাদিত করল। তখন আল্লাহ নাযিল করলেন, “হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! উঠ, সতর্কবাণী প্রচার কর এবং তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। তোমার পরিচ্ছদ পবিত্র রাখ এবং অপবিত্রতা হতে দূরে থাক”।
আবু সালামা (রাযিঃ) বলেন, আরবরা জাহিলী যুগে যেসব মূর্তির পূজা করত الرجز বলে ঐ সব মূর্তিকে বুঝানো হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর থেকে ওহীর সিলসিলা অব্যাহত থাকে।
[১] সংযুক্ত, ঝুলন্ত, রক্ত, রক্তপিণ্ড, এমন কিছু যা লেগে থাকে।
سورة اقرأ باسم ربك الذي خلق حدثنا قتيبة، حدثنا حماد، عن يحيى بن عتيق، عن الحسن، قال: " اكتب في المصحف في أول الإمام: بسم الله الرحمن الرحيم، واجعل بين السورتين خطا " وقال مجاهد: {ناديه} [العلق: 17]: «عشيرته»، {الزبانية} [العلق: 18]: «الملائكة» وقال معمر: {الرجعى} [العلق: 8]: «المرجع»، {لنسفعن}: " قال: لنأخذن ولنسفعن بالنون وهي الخفيفة، سفعت بيده: أخذت "
حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رِزْمَةَ، أَخْبَرَنَا أَبُو صَالِحٍ، سَلْمَوَيْهِ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ أَوَّلُ مَا بُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرُّؤْيَا الصَّادِقَةُ فِي النَّوْمِ، فَكَانَ لاَ يَرَى رُؤْيَا إِلاَّ جَاءَتْ مِثْلَ فَلَقِ الصُّبْحِ، ثُمَّ حُبِّبَ إِلَيْهِ الْخَلاَءُ فَكَانَ يَلْحَقُ بِغَارِ حِرَاءٍ فَيَتَحَنَّثُ فِيهِ ـ قَالَ وَالتَّحَنُّثُ التَّعَبُّدُ ـ اللَّيَالِيَ ذَوَاتِ الْعَدَدِ قَبْلَ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى أَهْلِهِ، وَيَتَزَوَّدُ لِذَلِكَ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى خَدِيجَةَ فَيَتَزَوَّدُ بِمِثْلِهَا، حَتَّى فَجِئَهُ الْحَقُّ وَهْوَ فِي غَارِ حِرَاءٍ فَجَاءَهُ الْمَلَكُ فَقَالَ اقْرَأْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا أَنَا بِقَارِئٍ ". قَالَ " فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجُهْدُ ثُمَّ أَرْسَلَنِي. فَقَالَ اقْرَأْ. قُلْتُ مَا أَنَا بِقَارِئٍ. فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّانِيِةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجُهْدُ، ثُمَّ أَرْسَلَنِي. فَقَالَ اقْرَأْ. قُلْتُ مَا أَنَا بِقَارِئٍ. فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّالِثَةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجُهْدُ ثُمَّ أَرْسَلَنِي. فَقَالَ (اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ * خَلَقَ الإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ * اقْرَأْ وَرَبُّكَ الأَكْرَمُ * الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ) ". الآيَاتِ إِلَى قَوْلِهِ (عَلَّمَ الإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ) فَرَجَعَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرْجُفُ بَوَادِرُهُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى خَدِيجَةَ فَقَالَ " زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي ". فَزَمَّلُوهُ حَتَّى ذَهَبَ عَنْهُ الرَّوْعُ قَالَ لِخَدِيجَةَ " أَىْ خَدِيجَةُ مَا لِي، لَقَدْ خَشِيتُ عَلَى نَفْسِي ". فَأَخْبَرَهَا الْخَبَرَ. قَالَتْ خَدِيجَةُ كَلاَّ أَبْشِرْ، فَوَاللَّهِ لاَ يُخْزِيكَ اللَّهُ أَبَدًا، فَوَاللَّهِ إِنَّكَ لَتَصِلُ الرَّحِمَ، وَتَصْدُقُ الْحَدِيثَ، وَتَحْمِلُ الْكَلَّ، وَتَكْسِبُ الْمَعْدُومَ، وَتَقْرِي الضَّيْفَ، وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ. فَانْطَلَقَتْ بِهِ خَدِيجَةُ حَتَّى أَتَتْ بِهِ وَرَقَةَ بْنَ نَوْفَلٍ وَهْوَ ابْنُ عَمِّ خَدِيجَةَ أَخِي أَبِيهَا، وَكَانَ امْرَأً تَنَصَّرَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَكَانَ يَكْتُبُ الْكِتَابَ الْعَرَبِيَّ وَيَكْتُبُ مِنَ الإِنْجِيلِ بِالْعَرَبِيَّةِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَكْتُبَ، وَكَانَ شَيْخًا كَبِيرًا قَدْ عَمِيَ فَقَالَتْ خَدِيجَةُ يَا ابْنَ عَمِّ اسْمَعْ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ. قَالَ وَرَقَةُ يَا ابْنَ أَخِي مَاذَا تَرَى فَأَخْبَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَبَرَ مَا رَأَى. فَقَالَ وَرَقَةُ هَذَا النَّامُوسُ الَّذِي أُنْزِلَ عَلَى مُوسَى، لَيْتَنِي فِيهَا جَذَعًا، لَيْتَنِي أَكُونُ حَيًّا. ذَكَرَ حَرْفًا. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَوَمُخْرِجِيَّ هُمْ ". قَالَ وَرَقَةُ نَعَمْ لَمْ يَأْتِ رَجُلٌ بِمَا جِئْتَ بِهِ إِلاَّ أُوذِيَ، وَإِنْ يُدْرِكْنِي يَوْمُكَ حَيًّا أَنْصُرْكَ نَصْرًا مُؤَزَّرًا. ثُمَّ لَمْ يَنْشَبْ وَرَقَةُ أَنْ تُوُفِّيَ، وَفَتَرَ الْوَحْىُ، فَتْرَةً حَتَّى حَزِنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ شِهَابٍ فَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ يُحَدِّثُ عَنْ فَتْرَةِ الْوَحْىِ قَالَ فِي حَدِيثِهِ " بَيْنَا أَنَا أَمْشِي سَمِعْتُ صَوْتًا مِنَ السَّمَاءِ فَرَفَعْتُ بَصَرِي، فَإِذَا الْمَلَكُ الَّذِي جَاءَنِي بِحِرَاءٍ جَالِسٌ عَلَى كُرْسِيٍّ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ فَفَرِقْتُ مِنْهُ فَرَجَعْتُ فَقُلْتُ زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي ". فَدَثَّرُوهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى (يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ * قُمْ فَأَنْذِرْ * وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ * وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ * وَالرِّجْزَ فَاهْجُرْ). قَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَهْىَ الأَوْثَانُ الَّتِي كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَعْبُدُونَ. قَالَ ثُمَّ تَتَابَعَ الْوَحْىُ.
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ شِهَابٍ فَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ يُحَدِّثُ عَنْ فَتْرَةِ الْوَحْىِ قَالَ فِي حَدِيثِهِ " بَيْنَا أَنَا أَمْشِي سَمِعْتُ صَوْتًا مِنَ السَّمَاءِ فَرَفَعْتُ بَصَرِي، فَإِذَا الْمَلَكُ الَّذِي جَاءَنِي بِحِرَاءٍ جَالِسٌ عَلَى كُرْسِيٍّ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ فَفَرِقْتُ مِنْهُ فَرَجَعْتُ فَقُلْتُ زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي ". فَدَثَّرُوهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى (يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ * قُمْ فَأَنْذِرْ * وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ * وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ * وَالرِّجْزَ فَاهْجُرْ). قَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَهْىَ الأَوْثَانُ الَّتِي كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَعْبُدُونَ. قَالَ ثُمَّ تَتَابَعَ الْوَحْىُ.