আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪৫৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯২১
সূরা আল জ্বিন।
বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হয়েছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছে।
ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, لبدا অর্থ أعوانا সাহায্যকারী।
বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হয়েছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছে।
ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, لبدا অর্থ أعوانا সাহায্যকারী।
৪৫৬০। মুসা ইবনে ইসমা‘ঈল (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) একদল সাহাবীকে নিয়ে ‘উকায বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। এ সময়ই জ্বীনদের আসমানি খবরাদি শোনার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে এবং ছুঁড়ে মারা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে লেলিহান অগ্নিশিখা। ফলে জ্বীন শয়তানরা ফিরে আসলে অন্য জ্বীনরা তাদের বলল, তোমাদের কি হয়েছে? তারা বলল, আসমানি খবরাদি শোনার ব্যাপারে আমাদের উপর বাঁধা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ছুঁড়ে মারা হয়েছে আমাদের প্রতি লেলিহান অগ্নিশিখা। তখন শয়তান বলল, আসমানি খবরাদি শোনার ব্যাপারে তোমাদের উপর যে বাঁধা সৃষ্টি করা হয়েছে, অবশ্যই তা কোন নতুন ঘটনা ঘটার কারণেই হয়েছে। সুতরাং তোমরা পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত সফর কর এবং দেখ ব্যাপারটা কি ঘটেছে? তাই আসমানি খবরাদি সংগ্রহের ব্যাপারে যে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে, এর কারণ খুঁজে বের করার জন্য তারা সকলেই পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিমে অনুসন্ধান সফরে বেরিয়ে পড়ল।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, যারা তিহামার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল তারা ‘নাখলা’ নামক স্থানে রাসূল(ﷺ) এর কাছে এসে উপস্থিত হল। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এখান থেকে উকায বাজারের দিকে যাওয়ার জন্য মনস্থ করেছিলেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ(ﷺ) সাহাবীদের নিয়ে ফজরের নামায আদায় করছিলেন। জ্বীনদের ঐ দলটি কুর’আন শুনতে পেয়ে আরও অধিক মনোযোগ সহকারে তা শুনতে লাগল এবং বলল, আসমানি খবরাদি এবং তোমাদের মাঝে এটাই মূলত বাঁধা সৃষ্টি করেছে। এরপর তারা তাদের কাওমের কাছে ফিরে এসে বলল, হে আমাদের কাওম! আমরা এক বিস্ময়কর কুর’আন শ্রবণ করেছি, যা সঠিক পথ নির্দেশ করে। এতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনো আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করব না। এরপর আল্লাহ তাঁর নবী (ﷺ) এর প্রতি নাযিল করলেনঃ “বলুন, আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হয়েছে যে, জ্বীনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছে”। জ্বীনদের উপরোক্ত কথা নবী (ﷺ) কে ওহীর মারফত জানিয়ে দেয়া হয়েছিল।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, যারা তিহামার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল তারা ‘নাখলা’ নামক স্থানে রাসূল(ﷺ) এর কাছে এসে উপস্থিত হল। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এখান থেকে উকায বাজারের দিকে যাওয়ার জন্য মনস্থ করেছিলেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ(ﷺ) সাহাবীদের নিয়ে ফজরের নামায আদায় করছিলেন। জ্বীনদের ঐ দলটি কুর’আন শুনতে পেয়ে আরও অধিক মনোযোগ সহকারে তা শুনতে লাগল এবং বলল, আসমানি খবরাদি এবং তোমাদের মাঝে এটাই মূলত বাঁধা সৃষ্টি করেছে। এরপর তারা তাদের কাওমের কাছে ফিরে এসে বলল, হে আমাদের কাওম! আমরা এক বিস্ময়কর কুর’আন শ্রবণ করেছি, যা সঠিক পথ নির্দেশ করে। এতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনো আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করব না। এরপর আল্লাহ তাঁর নবী (ﷺ) এর প্রতি নাযিল করলেনঃ “বলুন, আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হয়েছে যে, জ্বীনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছে”। জ্বীনদের উপরোক্ত কথা নবী (ﷺ) কে ওহীর মারফত জানিয়ে দেয়া হয়েছিল।
سورة الجن قُلْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ قال ابن عباس: {لبدا} [الجن: 19]: «أعوانا»
4921 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: انْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ عَامِدِينَ إِلَى سُوقِ عُكَاظٍ وَقَدْ حِيلَ [ص:161] بَيْنَ الشَّيَاطِينِ وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ، وَأُرْسِلَتْ عَلَيْهِمُ الشُّهُبُ، فَرَجَعَتِ الشَّيَاطِينُ، فَقَالُوا: مَا لَكُمْ؟ فَقَالُوا: حِيلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ، وَأُرْسِلَتْ عَلَيْنَا الشُّهُبُ، قَالَ: مَا حَالَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ إِلَّا مَا حَدَثَ، فَاضْرِبُوا مَشَارِقَ الأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا، فَانْظُرُوا مَا هَذَا الأَمْرُ الَّذِي حَدَثَ، فَانْطَلَقُوا فَضَرَبُوا مَشَارِقَ الأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا، يَنْظُرُونَ مَا هَذَا الأَمْرُ الَّذِي حَالَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ، قَالَ: فَانْطَلَقَ الَّذِينَ تَوَجَّهُوا نَحْوَ تِهَامَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَخْلَةَ، «وَهُوَ عَامِدٌ إِلَى سُوقِ عُكَاظٍ وَهُوَ يُصَلِّي بِأَصْحَابِهِ صَلاَةَ الفَجْرِ فَلَمَّا سَمِعُوا القُرْآنَ تَسَمَّعُوا لَهُ» ، فَقَالُوا: هَذَا الَّذِي حَالَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ خَبَرِ السَّمَاءِ، فَهُنَالِكَ رَجَعُوا إِلَى قَوْمِهِمْ، فَقَالُوا: يَا قَوْمَنَا {إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا، يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنَّا بِهِ وَلَنْ نُشْرِكَ بِرَبِّنَا أَحَدًا} [الجن: 2] " وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى نَبِيِّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {قُلْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِنَ الجِنِّ} [الجن: 1] وَإِنَّمَا أُوحِيَ إِلَيْهِ قَوْلُ الجِنِّ "

তাহকীক: