আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪৫৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৯২
আল্লাহর বাণীঃ إذا جاءك المؤمنات يبايعنك "(হে নবী!) মু’মিন নারীগণ যখন তোমার কাছে এ মর্মে বায়’আত করতে আসে" (৬০ঃ ১২)
৪৫৩২। আবু মা’মার (রাহঃ) ......... উম্মে আতিয়্যা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূল (ﷺ) এর কাছে বায়’আত গ্রহণ করেছি। এরপর তিনি আমাদের সামনে পাঠ করলেন, “তারা আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক স্থির করবে না”। এরপর তিনি আমাদেরকে মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কাঁদতে নিষেধ করলেন। এ সময় এক মহিলা নিজের হাত টেনে নিয়ে বলল, অমুক মহিলা আমাকে বিলাপে সাহায্য করেছে, আমি তাকে এর বিনিময় দিতে ইচ্ছে করেছি। নবী (ﷺ) তাকে কিছুই বলেন নি। এরপর মহিলাটি উঠে চলে গেল এবং পুনরায় ফিরে আসলো, তখন রাসূল (ﷺ) তাকে বায়’আত করলেন।
بَابُ قَوْلِهِ تعالى {إِذَا جَاءَكَ المُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ} [الممتحنة: 12]
4892 - حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَرَأَ عَلَيْنَا: {أَنْ لاَ يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا} [الممتحنة: 12] ، «وَنَهَانَا عَنِ النِّيَاحَةِ» ، فَقَبَضَتِ امْرَأَةٌ يَدَهَا، فَقَالَتْ: أَسْعَدَتْنِي فُلاَنَةُ، أُرِيدُ أَنْ أَجْزِيَهَا، فَمَا قَالَ لَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا، فَانْطَلَقَتْ وَرَجَعَتْ، فَبَايَعَهَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৫৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৯৩
আল্লাহর বাণীঃ إذا جاءك المؤمنات يبايعنك "(হে নবী!) মু’মিন নারীগণ যখন তোমার কাছে এ মর্মে বায়’আত করতে আসে" (৬০ঃ ১২)
৪৫৩৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর বাণী وَلاَ يَعْصِينَكَ فِي مَعْرُوفٍ এর ব্যাখ্যায় বলেন যে, এটি একটি শর্ত, যা আল্লাহ তাআলা নারীদের প্রতি আরোপ করেছেন।
باب إذا جاءك المؤمنات يبايعنك
4893 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: سَمِعْتُ الزُّبَيْرَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلاَ يَعْصِينَكَ فِي مَعْرُوفٍ} [الممتحنة: 12] ، قَالَ: «إِنَّمَا هُوَ شَرْطٌ شَرَطَهُ اللَّهُ لِلنِّسَاءِ»
হাদীস নং: ৪৫৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৯৪
আল্লাহর বাণীঃ إذا جاءك المؤمنات يبايعنك "(হে নবী!) মু’মিন নারীগণ যখন তোমার কাছে এ মর্মে বায়’আত করতে আসে" (৬০ঃ ১২)
৪৫৩৪। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর কাছে ছিলাম, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি এসব শর্তে আমার কাছে বায়’আত করবে যে, তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কিছুকে শরীক স্থির করবে না, যিনা করবে না এবং চুরি করবে না। এরপর তিনি নারীদের শর্ত সম্পর্কিত আয়াত পাঠ করলেন।
বর্ণনাকারী সুফিয়ান প্রায়ই বলতেন, রাসূল (ﷺ) আয়াতটি পাঠ করেছেন। এরপর রাসূল(ﷺ) বললেন, তোমাদের যে ব্যক্তি এসব শর্ত পূরণ করবে, আল্লাহ তার প্রতিদান দিবেন। আর যে ব্যক্তি এসবের কোন একটি করে ফেলবে এবং তাকে শাস্তিও দেয়া হবে। এ শাস্তি তার জন্য কাফফারা হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি এসবের কোন একটি করে ফেলল এবং আল্লাহ তা গোপন রাখলেন, তাহলে এ বিষয়টি আল্লাহর কাছে থাকল। তিনি চাইলে তাকে শাস্তিও দিতে পারেন অথবা তাকে ক্ষমাও করে দিতে পারেন।
আব্দুর রহমান (রাহঃ) মা’মার (রাহঃ) এর সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب إذا جاءك المؤمنات يبايعنك
4894 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ الزُّهْرِيُّ: حَدَّثَنَاهُ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو إِدْرِيسَ، سَمِعَ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " أَتُبَايِعُونِي عَلَى أَنْ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا، وَلاَ تَزْنُوا، وَلاَ تَسْرِقُوا، وَقَرَأَ آيَةَ النِّسَاءِ - وَأَكْثَرُ لَفْظِ سُفْيَانَ: قَرَأَ الآيَةَ - فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ، وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَعُوقِبَ فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ، وَمَنْ أَصَابَ مِنْهَا شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَسَتَرَهُ اللَّهُ، فَهُوَ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ " تَابَعَهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ فِي الآيَةِ
হাদীস নং: ৪৫৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৯৫
আল্লাহর বাণীঃ إذا جاءك المؤمنات يبايعنك "(হে নবী!) মু’মিন নারীগণ যখন তোমার কাছে এ মর্মে বায়’আত করতে আসে" (৬০ঃ ১২)
৪৫৩৫। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহীম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন- আমি ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাযের জন্যে রাসূল (ﷺ) এর সাথে উপস্থিত ছিলাম এবং আবু বকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ) এবং উসমান (রাযিঃ)-ও সাথে ছিলেন। তাঁরা সকলেই খুতবার আগে নামায আদায় করেছেন। নামায আদায়ের পর তিনি খুতবা দিয়েছেন। এরপর আল্লাহর নবী (ﷺ) মিম্বর থেকে অবতরণ করেছেন। তখন তিনি যে লোকজনকে হাতের ইশারায় বসাচ্ছিলেন, এ দৃশ্য আমি এখনো যেন দেখতে পাচ্ছি। এরপর তিনি লোকজনকে দুভাগ করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং মহিলাদের কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন। তাঁর সাথে বিলাল (রাযিঃ)ও ছিলেন। এরপর তিনি পাঠ করলেন, “হে নবী! মুমিন নারীরা যখন আপনার কাছে এ মর্মে বায়’আত করতে আসে যে, তারা আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক স্থির করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, নিজ সন্তানকে হত্যা করবে না, তারা সজ্ঞানে কোন অপবাদ রচনা করে রটাবে না ....। তিনি পূর্ণ আয়াত তিলাওয়াত করে শেষ করলেন। এরপর তিনি বললেন, তোমরা কি এই শর্ত পূরণে রাজি আছো? একজন মহিলা বলল, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! এ ছাড়া আর কোন মহিলা কোন উত্তর দেয়নি। এ মহিলাটি কে ছিলেন, হাসান (রাযিঃ) তা জানতেন না। রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমরা দান করো। তখন বিলাল (রাযিঃ) তাঁর কাপড় বিছিয়ে দিলেন এবং মহিলারা তাদের রিং ও আংটি বিলাল (রাযিঃ) এর কাপড়ে ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিতে লাগলেন।
باب إذا جاءك المؤمنات يبايعنك
4895 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: وَأَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، أَنَّ الحَسَنَ بْنَ مُسْلِمٍ، أَخْبَرَهُ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: شَهِدْتُ الصَّلاَةَ يَوْمَ الفِطْرِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَعُثْمَانَ فَكُلُّهُمْ يُصَلِّيهَا قَبْلَ الخُطْبَةِ، ثُمَّ يَخْطُبُ بَعْدُ، فَنَزَلَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:151] فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ حِينَ يُجَلِّسُ الرِّجَالَ بِيَدِهِ، ثُمَّ أَقْبَلَ يَشُقُّهُمْ، حَتَّى أَتَى النِّسَاءَ مَعَ بِلاَلٍ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ المُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلَى أَنْ لاَ يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا، وَلاَ يَسْرِقْنَ وَلاَ يَزْنِينَ وَلاَ يَقْتُلْنَ أَوْلاَدَهُنَّ، وَلاَ يَأْتِينَ بِبُهْتَانٍ يَفْتَرِينَهُ بَيْنَ أَيْدِيهِنَّ وَأَرْجُلِهِنَّ} [الممتحنة: 12] حَتَّى فَرَغَ مِنَ الآيَةِ كُلِّهَا، ثُمَّ قَالَ حِينَ فَرَغَ: «أَنْتُنَّ عَلَى ذَلِكَ؟» فَقَالَتِ امْرَأَةٌ وَاحِدَةٌ، لَمْ يُجِبْهُ غَيْرُهَا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ - لاَ يَدْرِي الحَسَنُ مَنْ هِيَ - قَالَ: «فَتَصَدَّقْنَ» وَبَسَطَ بِلاَلٌ ثَوْبَهُ، فَجَعَلْنَ يُلْقِينَ الفَتَخَ وَالخَوَاتِيمَ فِي ثَوْبِ بِلاَلٍ