আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪৫৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৯১
২৫৫৮. আল্লাহর বাণীঃ إذا جاءكم المؤمنات مهاجرات "(হে মু’মিনগণ!) যখন তোমাদের কাছে মু’মিন নারীরা দেশত্যাগী হয়ে আসেঃ (৬০ঃ ১০)
৪৫৩১। ইসহাক (রাহঃ) ......... উরওয়া (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাযিঃ) তাঁকে বলেছেন, কোন মুমিন মহিলা রাসূল(ﷺ) এর কাছে হিজরত করে এলে, তিনি তাকে আল্লাহর এই আয়াতের ভিত্তিতে পরীক্ষা করতেন, অর্থাৎ“হে নবী! মুমিন নারীগণ যখন তোমার কাছে এ মর্মে বায়’আত করতে আসে যে, তারা আল্লাহর সাথে কোন শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, নিজ সন্তানকে হত্যা করবে না, তারা সজ্ঞানে কোন অপবাদ রটাবে না এবং সৎকাজে আপনাকে অমান্য করবে না, তখন তাদের বায়’আত গ্রহণ করবেন এবং তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু” (৬০ঃ ১২)।
উরওয়া (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, যে মুমিন মহিলা এসব শর্ত মেনে নিত, রাসূল(ﷺ) তাকে বলতেন, আমি কথার মাধ্যমে তোমাকে বায়’আত করে নিলাম। আল্লাহর কসম! বায়’আত গ্রহণকালে কোন নারীর হাত নবী (ﷺ) এর হাতকে স্পর্শ করেনি। নারীদেরকে তিনি শুধু এ কথার দ্বারাই বায়’আত করতেন- قَدْ بَايَعْتُكِ عَلَى ذَلِكَ অর্থাৎ “আমি তোমাকে এ কথার উপর বায়’আত করলাম”।
ইউনুস, মা’মার ও আব্দুর রহমান ইবনে ইসহাক (রাহঃ) যুহরীর মাধ্যমে উক্ত বর্ণনার মুতাবআত (সমর্থন) করেছেন। ইসহাক ইবনে রাশীদ যুহরী থেকে এবং যুহরী উরওয়া ও আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
উরওয়া (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, যে মুমিন মহিলা এসব শর্ত মেনে নিত, রাসূল(ﷺ) তাকে বলতেন, আমি কথার মাধ্যমে তোমাকে বায়’আত করে নিলাম। আল্লাহর কসম! বায়’আত গ্রহণকালে কোন নারীর হাত নবী (ﷺ) এর হাতকে স্পর্শ করেনি। নারীদেরকে তিনি শুধু এ কথার দ্বারাই বায়’আত করতেন- قَدْ بَايَعْتُكِ عَلَى ذَلِكَ অর্থাৎ “আমি তোমাকে এ কথার উপর বায়’আত করলাম”।
ইউনুস, মা’মার ও আব্দুর রহমান ইবনে ইসহাক (রাহঃ) যুহরীর মাধ্যমে উক্ত বর্ণনার মুতাবআত (সমর্থন) করেছেন। ইসহাক ইবনে রাশীদ যুহরী থেকে এবং যুহরী উরওয়া ও আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
بَابُ قَوْلِهِ تعالى {إِذَا جَاءَكُمُ المُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ} [الممتحنة: 10]
4891 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَتْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمْتَحِنُ مَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِ مِنَ المُؤْمِنَاتِ بِهَذِهِ الآيَةِ بِقَوْلِ اللَّهِ: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ المُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ} [الممتحنة: 12] إِلَى قَوْلِهِ {غَفُورٌ رَحِيمٌ} [البقرة: 173] ، قَالَ عُرْوَةُ: قَالَتْ عَائِشَةُ: فَمَنْ أَقَرَّ بِهَذَا الشَّرْطِ مِنَ المُؤْمِنَاتِ، قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ بَايَعْتُكِ» كَلاَمًا، وَلاَ وَاللَّهِ مَا مَسَّتْ يَدُهُ يَدَ امْرَأَةٍ قَطُّ فِي المُبَايَعَةِ، مَا يُبَايِعُهُنَّ إِلَّا بِقَوْلِهِ: «قَدْ بَايَعْتُكِ عَلَى ذَلِكِ» تَابَعَهُ يُونُسُ، وَمَعْمَرٌ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ رَاشِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، وَعَمْرَةَ

তাহকীক: