আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৪১৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৩০
২২৯৪. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীগন চার মাস দশদিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত (২ঃ ২৩৪)
৪১৭৪। উমাইয়া (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) কে উক্ত আয়াত সম্পর্কে বললাম যে, এ আয়াত তো অন্য আয়াত দ্বারা মানসূখ (রহিত) হয়ে গেছে। অতএব উক্ত আয়াত আপনি মুসহাফে লিখেছেন (অথবা রাবী বলেন) কেন বর্জন করছেন না? তখন তিনি [উসমান (রাযিঃ)] বললেন, হে ভাতিজা আমি মুসহাফের স্থান থেকে কোন জিনিস পরিবর্তন করব না।
باب والذين يتوفون منكم ويذرون أزواجا يتربصن بأنفسهن أربعة أشهر وعشرا فإذا بلغن أجلهن فلا جناح عليكم فيما فعلن في أنفسهن بالمعروف والله بما تعملون خبير يعفون يهبن
حَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ قُلْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا) قَالَ قَدْ نَسَخَتْهَا الآيَةُ الأُخْرَى فَلِمَ تَكْتُبُهَا أَوْ تَدَعُهَا قَالَ يَا ابْنَ أَخِي، لاَ أُغَيِّرُ شَيْئًا مِنْهُ مِنْ مَكَانِهِ.

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৩১
২২৯৪. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীগন চার মাস দশদিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত (২ঃ ২৩৪)
৪১৭৫। ইসহাক (রাহঃ) ......... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا এ আয়াতে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর পরিবারে থেকে ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। আয়াতে উল্লিখতيعفون শব্দের অর্থيهبن দান করে। অনন্তর আল্লাহ তাআলা নাযিল করেনঃوَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لأَزْوَاجِهِمْ مَتَاعًا إِلَى الْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنْفُسِهِنَّ مِنْ مَعْرُوفٍ ‘‘তোমাদের মধ্যে সপত্নীক অবস্থায় যাদের মৃত্যু আসন্ন তারা যেন তাদের স্ত্রীদের গৃহ হতে বহিস্কার না করে তাদের এক বছরের ভরণ পোষণের ওসীয়ত করে। কিন্তু যদি তারা বের হয়ে যায় তবে বিধিমত নিজেদের জন্য তারা যা করবে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। আল্লাহ পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়। (২: ২৪০)
রাবী বলেন, আল্লাহ তাআলা স্ত্রীর জন্য পূর্ণ বছর সাত মাস এবং বিশ রজনী নির্ধারিত করেছেন ওসীয়ত হিসেবে। সে ইচ্ছা করলে তার ওসীয়তে থাকতে পারে, ইচ্ছা করলে বের হয়েও যেতে পারে। এ কথারই ইঙ্গিত করে আল্লাহর বাণীঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ মোট কথা যেভাবেই হোক স্ত্রীর উপর ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। মুজাহিদ থেকে এরূপই জানা গেছে। কিন্তু ইমাম আতা বলেন যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এই আয়াত স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর বাড়িতে ‘ইদ্দত পালন করার হুকুম রহিত করে দিয়েছে। সুতরাং স্ত্রী যথেচ্ছা ‘ইদ্দত পালন করতে পারে। আল্লাহর এ বাণীর দলীল বলেঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ আতা বলেন, স্ত্রী ইচ্ছা করলে স্বামীর পরিজনের নিকট ‘ইদ্দত পালন করতে পারে এবং তার ওসীয়ত পালন করতে পারে অথবা তথা হতে চলেও যেতে পারে।فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ এর আয়াতের মর্মানুসারে।
আতা (রাহঃ) বলেন, তারপর মিরাস বা উত্তরাধিকারের হুকুমولهن الربع مما تركتم আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হল। সুতরাং ঘর ও বাসস্থানের নির্দেশ রহিত হয়ে যায়। কাজেই যথেচ্ছা স্ত্রী ‘ইদ্দত পালন করতে পারে। আর তার জন্য ঘরের বা বাসস্থানের দাবি অগ্রাহ্য।
মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমার নিকট ওরাকা’ ইবনু আবি নাজীহ থেকে আর তিনি মুজাহিদ থেকে এ সম্পর্কে। এবং আবী নাজীহ আতা থেকে এবং তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এই আয়াত স্ত্রীর ‘ইদ্দত পালন স্বামীর বাড়িতে ইদ্দত পালন করার হুকুম রহিত করে দেয়। সুতরাং স্ত্রী যথেচ্ছা ইদ্দত পালন করতে পারে। আল্লাহর এই বাণীঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ এবং তদনুরূপ আয়াত এর দলীল মুতাবিক।
রাবী বলেন, আল্লাহ তাআলা স্ত্রীর জন্য পূর্ণ বছর সাত মাস এবং বিশ রজনী নির্ধারিত করেছেন ওসীয়ত হিসেবে। সে ইচ্ছা করলে তার ওসীয়তে থাকতে পারে, ইচ্ছা করলে বের হয়েও যেতে পারে। এ কথারই ইঙ্গিত করে আল্লাহর বাণীঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ মোট কথা যেভাবেই হোক স্ত্রীর উপর ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। মুজাহিদ থেকে এরূপই জানা গেছে। কিন্তু ইমাম আতা বলেন যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এই আয়াত স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর বাড়িতে ‘ইদ্দত পালন করার হুকুম রহিত করে দিয়েছে। সুতরাং স্ত্রী যথেচ্ছা ‘ইদ্দত পালন করতে পারে। আল্লাহর এ বাণীর দলীল বলেঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ আতা বলেন, স্ত্রী ইচ্ছা করলে স্বামীর পরিজনের নিকট ‘ইদ্দত পালন করতে পারে এবং তার ওসীয়ত পালন করতে পারে অথবা তথা হতে চলেও যেতে পারে।فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ এর আয়াতের মর্মানুসারে।
আতা (রাহঃ) বলেন, তারপর মিরাস বা উত্তরাধিকারের হুকুমولهن الربع مما تركتم আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হল। সুতরাং ঘর ও বাসস্থানের নির্দেশ রহিত হয়ে যায়। কাজেই যথেচ্ছা স্ত্রী ‘ইদ্দত পালন করতে পারে। আর তার জন্য ঘরের বা বাসস্থানের দাবি অগ্রাহ্য।
মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমার নিকট ওরাকা’ ইবনু আবি নাজীহ থেকে আর তিনি মুজাহিদ থেকে এ সম্পর্কে। এবং আবী নাজীহ আতা থেকে এবং তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এই আয়াত স্ত্রীর ‘ইদ্দত পালন স্বামীর বাড়িতে ইদ্দত পালন করার হুকুম রহিত করে দেয়। সুতরাং স্ত্রী যথেচ্ছা ইদ্দত পালন করতে পারে। আল্লাহর এই বাণীঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ এবং তদনুরূপ আয়াত এর দলীল মুতাবিক।
باب والذين يتوفون منكم ويذرون أزواجا يتربصن بأنفسهن أربعة أشهر وعشرا فإذا بلغن أجلهن فلا جناح عليكم فيما فعلن في أنفسهن بالمعروف والله بما تعملون خبير يعفون يهبن
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا شِبْلٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا) قَالَ كَانَتْ هَذِهِ الْعِدَّةُ تَعْتَدُّ عِنْدَ أَهْلِ زَوْجِهَا وَاجِبٌ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لأَزْوَاجِهِمْ مَتَاعًا إِلَى الْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنْفُسِهِنَّ مِنْ مَعْرُوفٍ) قَالَ جَعَلَ اللَّهُ لَهَا تَمَامَ السَّنَةِ سَبْعَةَ أَشْهُرٍ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَصِيَّةً، إِنْ شَاءَتْ سَكَنَتْ فِي وَصِيَّتِهَا، وَإِنْ شَاءَتْ خَرَجَتْ، وَهْوَ قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى (غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ) فَالْعِدَّةُ كَمَا هِيَ وَاجِبٌ عَلَيْهَا. زَعَمَ ذَلِكَ عَنْ مُجَاهِدٍ. وَقَالَ عَطَاءٌ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ نَسَخَتْ هَذِهِ الآيَةُ عِدَّتَهَا عِنْدَ أَهْلِهَا، فَتَعْتَدُّ حَيْثُ شَاءَتْ، وَهْوَ قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى (غَيْرَ إِخْرَاجٍ). قَالَ عَطَاءٌ إِنْ شَاءَتِ اعْتَدَّتْ عِنْدَ أَهْلِهِ وَسَكَنَتْ فِي وَصِيَّتِهَا، وَإِنْ شَاءَتْ خَرَجَتْ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى (فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ). قَالَ عَطَاءٌ ثُمَّ جَاءَ الْمِيرَاثُ فَنَسَخَ السُّكْنَى فَتَعْتَدُّ حَيْثُ شَاءَتْ، وَلاَ سُكْنَى لَهَا. وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ بِهَذَا. وَعَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ نَسَخَتْ هَذِهِ الآيَةُ عِدَّتَهَا فِي أَهْلِهَا، فَتَعْتَدُّ حَيْثُ شَاءَتْ لِقَوْلِ اللَّهِ (غَيْرَ إِخْرَاجٍ) نَحْوَهُ.

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৩২
২২৯৪.আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীগন চার মাস দশদিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত (২ঃ ২৩৪)
৪১৭৬। হিব্বান (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এমন একটি জলসায় (সভায়) উপবিষ্ট ছিলাম যেখানে নেতৃস্থানীয় আনসারদের কতেক ছিলেন, এবং তাদের মাঝে আব্দুর রহমান ইবন আবু লায়লা (রাহঃ)-ও ছিলেন। এরপর সুবাইয়া বিনতে হারিস (রাহঃ) প্রসঙ্গে বর্ণিত আব্দুল্লাহ ইবন উতবা (রাহঃ) হাদীসটি উত্থাপন করলাম, এরপর আব্দুর রহমান (রাহঃ) বললেন, ‘‘পক্ষান্তরে তাঁর চাচা এ রকম বলতেন না’’ অনন্ত আমি বললাম, কূফায় বসবাসরত ব্যক্তিটি সম্পর্কে যদি আমি মিথ্যা বলি তবে আমি হব চরম ধৃষ্ট এবং তিনি তার স্বর উচু করলেন, তিনি বললেন, তারপর আমি বের হলাম এবং মালিক বিন আমির (রাহঃ) অথবা মালিক ইবনে আউফ (রাহঃ)-এর সাথে আমি বললাম, গর্ভাবস্থায় বিধবা রমণীর ব্যাপারে ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর মন্তব্য কি ছিল? বললেন যে, ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেছেন, তোমরা কি তার উপর কঠোরতা অবলম্বন করছ আর তার জন্যে সহজ বিধানটি অবলম্বন করছ না? সংক্ষিপ্ত ‘‘সূরা নিসাটি (সূরা ত্বালাক) দীর্ঘটির পরে অবতীর্ণ হয়েছে।
আইয়ুব (রাহঃ) মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, আবু আতিয়্যাহ মালিক বিন আমির (রাহঃ)-এর সাথে আমি সাক্ষাত করেছিলাম।
আইয়ুব (রাহঃ) মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, আবু আতিয়্যাহ মালিক বিন আমির (রাহঃ)-এর সাথে আমি সাক্ষাত করেছিলাম।
باب والذين يتوفون منكم ويذرون أزواجا يتربصن بأنفسهن أربعة أشهر وعشرا فإذا بلغن أجلهن فلا جناح عليكم فيما فعلن في أنفسهن بالمعروف والله بما تعملون خبير يعفون يهبن
حَدَّثَنَا حِبَّانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ جَلَسْتُ إِلَى مَجْلِسٍ فِيهِ عُظْمٌ مِنَ الأَنْصَارِ وَفِيهِمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى، فَذَكَرْتُ حَدِيثَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ فِي شَأْنِ سُبَيْعَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَلَكِنَّ عَمَّهُ كَانَ لاَ يَقُولُ ذَلِكَ. فَقُلْتُ إِنِّي لَجَرِيءٌ إِنْ كَذَبْتُ عَلَى رَجُلٍ فِي جَانِبِ الْكُوفَةِ. وَرَفَعَ صَوْتَهُ، قَالَ ثُمَّ خَرَجْتُ فَلَقِيتُ مَالِكَ بْنَ عَامِرٍ أَوْ مَالِكَ بْنَ عَوْفٍ قُلْتُ كَيْفَ كَانَ قَوْلُ ابْنِ مَسْعُودٍ فِي الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا وَهْىَ حَامِلٌ فَقَالَ قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ أَتَجْعَلُونَ عَلَيْهَا التَّغْلِيظَ، وَلاَ تَجْعَلُونَ لَهَا الرُّخْصَةَ لَنَزَلَتْ سُورَةُ النِّسَاءِ الْقُصْرَى بَعْدَ الطُّولَى. وَقَالَ أَيُّوبُ عَنْ مُحَمَّدٍ لَقِيتُ أَبَا عَطِيَّةَ مَالِكَ بْنَ عَامِرٍ.

তাহকীক: