আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪১৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫০৫
২২৭৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ (রোযা ফরয করা হয়েছে তা) নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। তবে তোমাদের মধ্যে কেউ পীড়িত হলে কিংবা সফরে থাকলে সে অন্য সময়ে রোযার সংখ্যা পূরণ করে নিবে। আর রোযা যাদের জন্য অতিশয় কষ্টদায়ক, তারা এর পরিবর্তে ফিদয়া দিবে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করে। যদি কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক কল্যাণকর। যদি তোমার উপলব্ধি করতে তবে বুঝতে যে রোযা পালন করাই তোমাদের জন্য অধিকতর ফলপ্রসু (২ঃ ১৮৪)

ইমাম আতা (রাহঃ) বলেন, সর্বপ্রকার রোগেই রোযা ভঙ্গ করা যাবে। যেমন আল্লাহ বলেছেন। পক্ষান্তরে ইমাম হাসান ও ইবরাহীম (রাহঃ) বলেন, স্তন্যদাত্রী এবং গর্ভবতী স্ত্রীলোক যখন নিজ প্রাণ অথবা তাদের সন্তানের জীবনের প্রতি হুমকির আশঙ্কা করে তখন তারা উভয়ে রোযা ভঙ্গ করতে পারবে। পরে তা আদায় করে নিতে হবে। অতিবৃদ্ধ ব্যক্তি যখন রোযা পালনে অক্ষম হয়ে পড়ে (তখন ফিদয়া আদায় করবে।) আনাস (রাযিঃ) বৃদ্ধ হওয়া পর এক বছর অথবা দু’বছর প্রতিদিন এক দরিদ্র ব্যক্তিকে রুটি ও গোশত খেতে দিতেন এবং রোযা ছেড়ে দিতেন। অধিকাংশ লোকের কিরাআত হল- يُطِيْقُوْنَه অর্থাৎ যারা রোযার সামর্থ রাখে, এবং সাধারণত এরূপই পড়া হয়।
৪১৫৩। ইসহাক (রাহঃ) ......... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে পড়তে শুনেছেন وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ অর্থাৎ যাদের প্রতি রোযার বিধান আরোপ করা হয়েছে অথচ তারা এর উপর সক্ষম নয়। তাদের প্রতি একজন মিসকিনকে খানা খাওয়ানোই ফিদয়া। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এ আয়াত রহিত হয়নি। এর হুকুম সেই অতিবৃদ্ধ পুরুষ ও স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যারা রোযা পালনে সামর্থ্য রাখে না, তখন প্রত্যেকদিনের রোযার পরিবর্তে একজন মিসকিনকে পেট ভরে আহার করাবে।
بَابُ قَوْلِهِ: {أَيَّامًا مَعْدُودَاتٍ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ، وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ، فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ، وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ} [البقرة: 184] وَقَالَ عَطَاءٌ: «يُفْطِرُ مِنَ المَرَضِ كُلِّهِ، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى» وَقَالَ الحَسَنُ، وَإِبْرَاهِيمُ: «فِي المُرْضِعِ أَوِ الحَامِلِ، إِذَا خَافَتَا عَلَى أَنْفُسِهِمَا أَوْ وَلَدِهِمَا تُفْطِرَانِ ثُمَّ تَقْضِيَانِ، وَأَمَّا الشَّيْخُ الكَبِيرُ إِذَا لَمْ يُطِقِ الصِّيَامَ فَقَدْ أَطْعَمَ أَنَسٌ بَعْدَ مَا كَبِرَ عَامًا أَوْ عَامَيْنِ، كُلَّ يَوْمٍ مِسْكِينًا، خُبْزًا وَلَحْمًا، وَأَفْطَرَ» قِرَاءَةُ العَامَّةِ: {يُطِيقُونَهُ} [البقرة: 184] : وَهْوَ أَكْثَرُ
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عَطَاءٍ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقْرَأُ (وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ). قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَيْسَتْ بِمَنْسُوخَةٍ، هُوَ الشَّيْخُ الْكَبِيرُ وَالْمَرْأَةُ الْكَبِيرَةُ لاَ يَسْتَطِيعَانِ أَنْ يَصُومَا، فَلْيُطْعِمَانِ مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينًا.