আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪১৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫০১
২২৭৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ হে মু’মিনগণ! তোমাদের জন্যে রোযার বিধান দেয়া হল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা সাবধান হয়ে চলতে পার (২ঃ ১৮৩)
৪১৪৯। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহিলী যুগের লোকেরা আশূরার রোযা পালন করত। এরপর যখন রমযানের রোযার বিধান অবতীর্ণ হল, তখন নবী (ﷺ) বললেন, যার ইচ্ছা সে আশূরার রোযা পালন করতে পারে আর যে চায় সে পালন না-ও করতে পারে।
باب يا أيها الذين آمنوا كتب عليكم الصيام كما كتب على الذين من قبلكم لعلكم تتقون
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ عَاشُورَاءُ يَصُومُهُ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ، فَلَمَّا نَزَلَ رَمَضَانُ قَالَ " مَنْ شَاءَ صَامَهُ، وَمَنْ شَاءَ لَمْ يَصُمْهُ ".
হাদীস নং: ৪১৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫০২
২২৭৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ হে মু’মিনগণ! তোমাদের জন্যে রোযার বিধান দেয়া হল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা সাবধান হয়ে চলতে পার (২ঃ ১৮৩)
৪১৫০। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমযানের রোযা অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে আশূরার রোযা পালন করা হত। এরপর যখন রমযানের রোযার বিধান অবতীর্ণ হল, তখন নবী (ﷺ) বললেন, যে ইচ্ছা করে আশূরার রোযা পালন করবে, আর যে চায় সে রোযা পালন করবে না।
باب يا أيها الذين آمنوا كتب عليكم الصيام كما كتب على الذين من قبلكم لعلكم تتقون
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ كَانَ عَاشُورَاءُ يُصَامُ قَبْلَ رَمَضَانَ، فَلَمَّا نَزَلَ رَمَضَانُ قَالَ " مَنْ شَاءَ صَامَ، وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ ".
হাদীস নং: ৪১৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫০৩
২২৭৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ হে মু’মিনগণ! তোমাদের জন্যে রোযার বিধান দেয়া হল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা সাবধান হয়ে চলতে পার (২ঃ ১৮৩)
৪১৫১। মাহমুদ (ইবনে গায়লা) (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাঁর নিকট আশআস (রাযিঃ) আসেন। এ সময় ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) পানাহার করছিলেন। তখন আশআস (রাযিঃ) বললেন, আজকে তো আশূরা। তিনি বললেন, রমযানের রোযার বিধান নাযিল হওয়ার পূর্বে আশূরার রোযা পালন করা হত। যখন রমযানের রোযা নাযিল হল তখন তা পরিত্যাগ করা হয়েছে। এস, তুমিও খাও।
باب يا أيها الذين آمنوا كتب عليكم الصيام كما كتب على الذين من قبلكم لعلكم تتقون
حَدَّثَنِي مَحْمُودٌ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ دَخَلَ عَلَيْهِ الأَشْعَثُ وَهْوَ يَطْعَمُ فَقَالَ الْيَوْمُ عَاشُورَاءُ. فَقَالَ كَانَ يُصَامُ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ رَمَضَانُ، فَلَمَّا نَزَلَ رَمَضَانُ تُرِكَ، فَادْنُ فَكُلْ.
হাদীস নং: ৪১৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫০৪
২২৭৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ হে মু’মিনগণ! তোমাদের জন্যে রোযার বিধান দেয়া হল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা সাবধান হয়ে চলতে পার (২ঃ ১৮৩)
৪১৫২। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহিলী যুগে কুরাইশগণ আশূরার দিন রোযা পালন করত। নবী (ﷺ)-ও সে রোযা পালন করতেন। যখন তিনি মদীনায় হিজরত করলেন তখনও তিনি সে রোযা পালন করতেন এবং অন্যদেরকেও তা পালনের নির্দেশ দিতেন। এরপর যখন রমযানের ফরয রোযার হুকুম নাযিল হল তখন আশূরার রোযা ছেড়ে দেওয়া হল। এরপর যে চাইত সে উক্ত রোযা পালন করত আর যে চাইত পালন করত না।
باب يا أيها الذين آمنوا كتب عليكم الصيام كما كتب على الذين من قبلكم لعلكم تتقون
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كَانَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ تَصُومُهُ قُرَيْشٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصُومُهُ، فَلَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ صَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ، فَلَمَّا نَزَلَ رَمَضَانُ كَانَ رَمَضَانُ الْفَرِيضَةَ، وَتُرِكَ عَاشُورَاءُ، فَكَانَ مَنْ شَاءَ صَامَهُ، وَمَنْ شَاءَ لَمْ يَصُمْهُ.