আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪০১১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৪৯
২২২৫. হুজ্জাতুল বিদা- এর পূর্বে আলী ইবনে আবু তালিব এবং খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাযিঃ)- কে ইয়ামানে প্রেরণ
৪০১১। আহমাদ ইবনে উসমান (রাহঃ) .... বারা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ)- এর সঙ্গে ইয়ামানে পাঠালেন। বারা (রাযিঃ) বলেন, তারপর কিছুদিন পরেই তিনি খালিদ (রাযিঃ)- এর স্থলে আলী (রাযিঃ)- কে পাঠিয়ে বলে দিলেন যে, খালিদ (রাযিঃ)- এর সাথীদেরকে বলবে, তাদের মধ্যে যে তোমার সাথে (ইয়ামানের দিকে) যেতে ইচ্ছা করে সে যেন তোমার সাথে চলে যায়, আর যে (মদীনায়) ফিরে যেতে চায় সে যেন ফিরে আসে। (রাবী বলেন) তখন আমি আলী (রাযিঃ)- এর সাথে ইয়ামানগামীদের মধ্যে থাকলাম। ফলে আমি গনীমত হিসেবে অনেক পরিমাণ উকিয়া লাভ করলাম।
بَابُ بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ
4349 - حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ البَرَاءَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ خَالِدِ بْنِ الوَلِيدِ إِلَى اليَمَنِ، قَالَ: ثُمَّ بَعَثَ عَلِيًّا بَعْدَ ذَلِكَ مَكَانَهُ فَقَالَ: «مُرْ أَصْحَابَ خَالِدٍ، مَنْ شَاءَ مِنْهُمْ أَنْ يُعَقِّبَ مَعَكَ فَلْيُعَقِّبْ، وَمَنْ شَاءَ فَلْيُقْبِلْ» فَكُنْتُ فِيمَنْ عَقَّبَ مَعَهُ، قَالَ: فَغَنِمْتُ أَوَاقٍ ذَوَاتِ عَدَدٍ
হাদীস নং: ৪০১২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫০
২২২৫. হুজ্জাতুল বিদা- এর পূর্বে আলী ইবনে আবু তালিব এবং খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাযিঃ)- কে ইয়ামানে প্রেরণ
৪০১২। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (রাযিঃ)- কে খুমুস (গনীমতের এক পঞ্চমাংশ) নিয়ে আসার জন্য খালিদ (রাযিঃ)- এর কাছে পাঠালেন। (রাবী বুরায়দা বলেন, কোন কারণে) আমি আলী (রাযিঃ)- এর প্রতি নারাজ ছিলাম, আর তিনি গোসলও করেছেন।(রাবী বলেন) তাই আমি খালিদ (রাযিঃ)-কে বললাম, আপনি কি তার দিকে দেখছেন না? এরপর আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে ফিরে আসলে আমি তাঁর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেন, হে বুরায়দা! তুমি কি আলীর প্রতি অসন্তুষ্ট? আমি উত্তর করলাম, জ্বী, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তার উপর অসন্তুষ্ট থেকো না। কারণ খুমুসের ভিতরে তার প্রাপ্য অধিকার এ অপেক্ষাও বেশী রয়েছে।*
*বুরায়দা (রাযিঃ) আলী (রাযিঃ)-এর প্রতি নারাজ হয়ে যাওয়ার কারণ ছিলঃ তিনি দেখেছেন যে, আলী কয়েদীদের মধ্য থেকে একজন বাঁদীকে নিজের জন্য নির্বাচন করে নিয়েছিলেন। এবং আলীর শেষ রাতের গোসল এবং বাঁদীর চুল থেকে পানির ফোঁটা টপকানো দেখে তিনি উভয়ের একত্রে রাত্রি যাপনেরও সন্দেহ করলেন । অথচ এখনো নবী কারীম (ﷺ) সেই গনীমত মুজাহিদদের মধ্যে বন্টন করে দেননি। পরে বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জানানো হলে তিনি বুরায়দাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আলীকে গনীমত বন্টন করে দেয়ার হুকুমও দেয়া হয়েছিল।
بَابُ بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ
4350 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سُوَيْدِ بْنِ مَنْجُوفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا إِلَى خَالِدٍ لِيَقْبِضَ الخُمُسَ، وَكُنْتُ أُبْغِضُ عَلِيًّا وَقَدِ اغْتَسَلَ، فَقُلْتُ لِخَالِدٍ: أَلاَ تَرَى إِلَى هَذَا، فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: «يَا بُرَيْدَةُ أَتُبْغِضُ عَلِيًّا؟» فَقُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: «لاَ تُبْغِضْهُ فَإِنَّ لَهُ فِي الخُمُسِ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫১
২২২৫. হুজ্জাতুল বিদা- এর পূর্বে আলী ইবনে আবু তালিব এবং খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাযিঃ)- কে ইয়ামানে প্রেরণ
৪০১৩। কুতায়বা (রাহঃ) .... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) ইয়ামান থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে (সিলম বৃক্ষের পাতা দ্বারা) পরিশোধিত এক প্রকার (রঙিন) চামড়ার থলে করে সামান্য কিছু তাজা স্বর্ণ পাঠিয়েছিলেন। তখনও এগুলো থেকে সংযুক্ত খনিজ মাটিও পরিষ্কার করা হয়নি। আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চার ব্যক্তির মধ্যে স্বর্ণখণ্ডটি বন্টন করে দিলেন। তারা হলেন, উয়াইনা ইবনে বদর, আকরা ইবনে হাবিস, যায়দ আল-খায়ল এবং চতুর্থজন আলকামা কিংবা আমির ইবনে তুফাইল (রাযিঃ)। তখন সাহাবীগণের মধ্য থেকে একজন বললেন, এ স্বর্ণের ব্যাপারে তাঁদের অপেক্ষা আমরাই অধিক হকদার ছিলাম। (রাবী) বলেন, কথাটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছল। তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা কি আমার উপর আস্থা রাখ না, অথচ আমি আসমান অধিবাসীদের আস্থাভাজন, সকাল-বিকাল আমার কাছে আসমানের সংবাদ আসছে।
এমন সময়ে এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালো। লোকটির চোখ দু’টি ছিল কোটরাগত, চোয়ালের হাড় যেন বেরিয়ে পড়ছে, উঁচু কপালধারী, তার দাড়ি ছিল অতিশয় ঘন, মাথাটি ন্যাড়া, পরনের লুঙ্গি ছিল উপরের দিক উঠান। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ্ কে ভয় করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমার জন্য আফসোস! আল্লাহ্ কে ভয় করার ব্যাপারে দুনিয়াবাসীদের মধ্যে আমি কি বেশী হকদার নই? আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন, লোকটি (এ কথা বলে) চলে যেতে লাগলে খালিদ বিন ওয়ালীদ (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি লোকটির গর্দান উড়িয়ে দেবনা? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ না, হতে পারে সে নামায
আদায় করে। (বাহ্যত মুসলমান)।
খালিদ (রাযিঃ) বললেন, অনেক নামায আদায়কারী এমন আছে যারা মুখে এমন এমন কথা উচ্চারণ করে যা তাদের অন্তরে নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমাকে মানুষের দিল ছিদ্র করে, পেট ফেঁড়ে (ঈমানের উপস্থিতি) দেখার জন্য বলা হয়নি। তারপর তিনি লোকটির দিকে তাকিয়ে দেখলেন। তখন লোকটি পিঠ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। তিনি বললেন, এ ব্যক্তির বংশ থেকে এমন এক জাতির উদ্ভাব ঘটবে যারা শ্রুতিমধুর কন্ঠে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করবে অথচ আল্লাহর বাণী তাদের গলদেশের নীচে নামবেনা। তারা দ্বীন থেকে এভাবে বেরিয়ে যাবে যেভাবে নিক্ষেপকৃত জন্তুর দেহ থেকে তীর বেরিয়ে যায়। (বর্ণনাকারী বলেন) আমার মনে হয় তিনি এ কথাও বলেছেন, যদি আমি তাদেরকে হাতে পাই, তাহলে অবশ্যই আমি তাদের সামুদ জাতির মতো হত্যা করে দেবো।
بَابُ بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ
4351 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ القَعْقَاعِ بْنِ شُبْرُمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي نُعْمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الخُدْرِيَّ، يَقُولُ: بَعَثَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:164] مِنَ اليَمَنِ بِذُهَيْبَةٍ فِي أَدِيمٍ مَقْرُوظٍ، لَمْ تُحَصَّلْ مِنْ تُرَابِهَا، قَالَ: فَقَسَمَهَا بَيْنَ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ، بَيْنَ عُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ، وَأَقْرَعَ بْنِ حابِسٍ، وَزَيْدِ الخَيْلِ، وَالرَّابِعُ: إِمَّا عَلْقَمَةُ وَإِمَّا عَامِرُ بْنُ الطُّفَيْلِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ: كُنَّا نَحْنُ أَحَقَّ بِهَذَا مِنْ هَؤُلاَءِ، قَالَ: فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَلاَ تَأْمَنُونِي وَأَنَا أَمِينُ مَنْ فِي السَّمَاءِ، يَأْتِينِي خَبَرُ السَّمَاءِ صَبَاحًا وَمَسَاءً» ، قَالَ: فَقَامَ رَجُلٌ غَائِرُ العَيْنَيْنِ، مُشْرِفُ الوَجْنَتَيْنِ، نَاشِزُ الجَبْهَةِ، كَثُّ اللِّحْيَةِ، مَحْلُوقُ الرَّأْسِ، مُشَمَّرُ الإِزَارِ، فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اتَّقِ اللَّهَ، قَالَ: «وَيْلَكَ، أَوَلَسْتُ أَحَقَّ أَهْلِ الأَرْضِ أَنْ يَتَّقِيَ اللَّهَ» قَالَ: ثُمَّ وَلَّى الرَّجُلُ، قَالَ خَالِدُ بْنُ الوَلِيدِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلاَ أَضْرِبُ عُنُقَهُ؟ قَالَ: «لاَ، لَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ يُصَلِّي» فَقَالَ خَالِدٌ: وَكَمْ مِنْ مُصَلٍّ يَقُولُ بِلِسَانِهِ مَا لَيْسَ فِي قَلْبِهِ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَمْ أُومَرْ أَنْ أَنْقُبَ عَنْ قُلُوبِ النَّاسِ وَلاَ أَشُقَّ بُطُونَهُمْ» قَالَ: ثُمَّ نَظَرَ إِلَيْهِ وَهُوَ مُقَفٍّ، فَقَالَ: «إِنَّهُ يَخْرُجُ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا قَوْمٌ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ رَطْبًا، لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ» ، وَأَظُنُّهُ قَالَ: «لَئِنْ أَدْرَكْتُهُمْ لَأَقْتُلَنَّهُمْ قَتْلَ ثَمُودَ»
হাদীস নং: ৪০১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫২
২২২৫. হুজ্জাতুল বিদা- এর পূর্বে আলী ইবনে আবু তালিব এবং খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাযিঃ)- কে ইয়ামানে প্রেরণ
৪০১৪। মক্কী ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)- কে তাঁর কৃত ইহরামের উপর কায়েম থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুহাম্মাদ ইবনে বকর ইবনে জুরায়জ- আতা (রাহঃ)- জাবির (রাযিঃ) এর সূত্রে আরও বর্ণনা করেন যে, জাবির (রাযিঃ) বলেছেনঃ আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) (ইয়ামানে ছিলেন এরপর তিনি তাঁর) আদায়কৃত কর খুমুস নিয়ে (মক্কায়) আসলেন। তখন নবী কারীম (ﷺ) তাকে বললেন, হে আলী! তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছ? তিনি উত্তর করলেন, নবী কারীম (ﷺ) যেটির ইহরাম বেঁধেছেন (আমিও সেটির ইহরাম বেঁধেছি)। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তা হলে তুমি কুরবানীর পশু পাঠিয়ে দাও এবং এখন যেভাবে আছ সেভাবে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় অবস্থান করতে থাক। বর্ণনাকারী [জাবির (রাযিঃ)] বলেন, সে সময় আলী (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ)- এর জন্য কুরবানীর পশু পাঠিয়েছিলেন।
بَابُ بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ
4352 - حَدَّثَنَا المَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: عَطَاءٌ، قَالَ جَابِرٌ: «أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا أَنْ يُقِيمَ عَلَى إِحْرَامِهِ» ، زَادَ مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: عَطَاءٌ، قَالَ: جَابِرٌ، فَقَدِمَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِسِعَايَتِهِ، قَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بِمَ أَهْلَلْتَ يَا عَلِيُّ؟» قَالَ: بِمَا أَهَلَّ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «فَأَهْدِ، وَامْكُثْ حَرَامًا كَمَا أَنْتَ» ، قَالَ: وَأَهْدَى لَهُ عَلِيٌّ هَدْيًا
হাদীস নং: ৪০১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৫৩
২২২৫. হুজ্জাতুল বিদা- এর পূর্বে আলী ইবনে আবু তালিব এবং খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাযিঃ)- কে ইয়ামানে প্রেরণ
৪০১৫। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... বকর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনে উমর (রাযিঃ)- এর কাছে এ কথা উল্লেখ করা হল, আনাস (রাযিঃ) লোকদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, নবী কারীম (ﷺ) হজ্জ এবং উমরার জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন। তখন ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, নবী কারীম (ﷺ) হজ্জের জন্য ইহরাম বেঁধেছেন, তাঁর সাথে আমরাও হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধি। যখন আমরা মক্কায় উপনীত হই, তিনি বললেন, তোমাদের যার সঙ্গে কুরবানীর পশু নেই, সে যেন তার হজ্জের ইহরাম উমরার ইহরামে পরিনত করে ফেলে। অবশ্য নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিলো। এরপর আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) হজ্জের উদ্দেশ্যে ইয়ামান থেকে আসলেন। নবী কারীম (ﷺ) (তাকে) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছ? কারণ আমাদের সাথে তোমার স্ত্রী (ফাতিমা) রয়েছে। তিনি উত্তর দিলেন, নবী কারীম (ﷺ) যেটির ইহরাম বেঁধেছেন, আমি সেটিরই ইহরাম বেঁধেছি। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তাহলে এ অবস্থায়ই থাক, কারণ আমাদের কাছে কুরবানীর জন্তু আছে।
بَابُ بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ
4353 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ المُفَضَّلِ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ، أَنَّهُ ذَكَرَ لِابْنِ عُمَرَ، أَنَّ أَنَسًا حَدَّثَهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ، فَقَالَ: أَهَلَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالحَجِّ وَأَهْلَلْنَا بِهِ مَعَهُ، فَلَمَّا قَدِمْنَا مَكَّةَ قَالَ: «مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً» ، وَكَانَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَدْيٌ، فَقَدِمَ عَلَيْنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ مِنَ اليَمَنِ حَاجًّا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بِمَ أَهْلَلْتَ؟، فَإِنَّ مَعَنَا أَهْلَكَ» قَالَ: أَهْلَلْتُ بِمَا أَهَلَّ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فَأَمْسِكْ فَإِنَّ مَعَنَا هَدْيًا»