আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
হাদীস নং: ৩৯৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬০
২২০৮. সিরিয়ায় সংঘটিত মূতার যুদ্ধের বর্ণনা
৩৯৩৪। আহমদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, সেদিন (মূতার যুদ্ধের দিন) তিনি শাহাদত প্রাপ্ত জা‘ফর ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)- এর লাশের কাছে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। (তিনি বলেন) আমি জা‘ফর (রাযিঃ)- এর দেহে তখন বর্শা ও তরবারির পঞ্চাশটি আঘাতের চিহ্ন গুণেছি। আর তন্মধ্যে কোনটাই তাঁর পশ্চাৎ দিকে ছিল না।
بَابُ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ مِنْ أَرْضِ الشَّأْمِ
4260 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرٍو، عَنِ ابْنِ أَبِي هِلاَلٍ، قَالَ: وَأَخْبَرَنِي نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ: «أَنَّهُ وَقَفَ عَلَى جَعْفَرٍ يَوْمَئِذٍ، وَهُوَ قَتِيلٌ، فَعَدَدْتُ بِهِ خَمْسِينَ، بَيْنَ طَعْنَةٍ وَضَرْبَةٍ، لَيْسَ مِنْهَا شَيْءٌ فِي دُبُرِهِ» يَعْنِي فِي ظَهْرِهِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬১
২২০৮. সিরিয়ায় সংঘটিত মূতার যুদ্ধের বর্ণনা
৩৯৩৫। আহমদ ইবনে আবু বকর (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মূতার যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যায়দ ইবনে হারিসা (রাযিঃ)- কে সেনাপতি নিযুক্ত করে বলেছিলেন, যদি যায়দ (রাযিঃ) শহীদ হয়ে যায় তাহলে জা‘ফর ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) সেনাপতি হবে। যদি জা‘ফর (রাযিঃ)-ও শহীদ হয়ে যায় তাহলে আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ) সেনাপতি হবে। আব্দুল্লাহ [ইবনে উমর (রাযিঃ)] বলেন, ঐ যুদ্ধে তাদের সাথে আমিও ছিলাম। যুদ্ধ শেষে আমরা জা‘ফর ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)- কে তালাশ করলে তাকে শহীদগণের মধ্যে পেলাম। তখন আমরা তার দেহে তরবারী ও বর্শার নব্বইটিরও অধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি।*
*ইতিপূর্বের হাদীসে যেহেতু কেবল তরবারি ও বর্শার আঘাতগুলো গণনা করা হয়েছিল এ জন্য পঞ্চাশটি আঘাতের কথা বলা হয়েছে। আর বক্ষ্যমাণ হাদীসে বর্শা ও তীরের আঘাতগুলো গণনা করা হয়েছে, তাই নব্বইরও অধিক সংখ্যার কথা বলা হয়েছে। কিংবা পূর্ব হাদীসে কেবল সম্মুখের দিকে অবস্থিত আঘাতগুলো গণনা করা হয়েছিল। আর বর্তমান হাদীসে সম্মুখ-পশ্চাৎ নির্বিশেষে সমগ্র দেহের আঘাতগুলো গণনা হয়েছে। তাই সংখ্যার পরিমাণে উভয় হাদীসের মধ্যে ভিন্নতা সৃষ্টি হয়েছে।
*ইতিপূর্বের হাদীসে যেহেতু কেবল তরবারি ও বর্শার আঘাতগুলো গণনা করা হয়েছিল এ জন্য পঞ্চাশটি আঘাতের কথা বলা হয়েছে। আর বক্ষ্যমাণ হাদীসে বর্শা ও তীরের আঘাতগুলো গণনা করা হয়েছে, তাই নব্বইরও অধিক সংখ্যার কথা বলা হয়েছে। কিংবা পূর্ব হাদীসে কেবল সম্মুখের দিকে অবস্থিত আঘাতগুলো গণনা করা হয়েছিল। আর বর্তমান হাদীসে সম্মুখ-পশ্চাৎ নির্বিশেষে সমগ্র দেহের আঘাতগুলো গণনা হয়েছে। তাই সংখ্যার পরিমাণে উভয় হাদীসের মধ্যে ভিন্নতা সৃষ্টি হয়েছে।
بَابُ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ مِنْ أَرْضِ الشَّأْمِ
4261 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أَمَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ مُؤْتَةَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنْ قُتِلَ زَيْدٌ فَجَعْفَرٌ، وَإِنْ قُتِلَ جَعْفَرٌ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: كُنْتُ فِيهِمْ فِي تِلْكَ الغَزْوَةِ، فَالْتَمَسْنَا جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، فَوَجَدْنَاهُ فِي القَتْلَى، وَوَجَدْنَا مَا فِي جَسَدِهِ بِضْعًا وَتِسْعِينَ، مِنْ طَعْنَةٍ وَرَمْيَةٍ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬২
২২০৮. সিরিয়ায় সংঘটিত মূতার যুদ্ধের বর্ণনা
৩৯৩৬। আহমদ ইবনে ওয়াকিদ (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট (মূতার) যুদ্ধক্ষেত্র থেকে খবর এসে পৌছার পূর্বেই তিনি উপস্থিত মুসলমানদেরকে যায়দ, জা‘ফর ও ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ)- এর শাহাদতের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যায়দ (রাযিঃ) পতাকা হাতে অগ্রসর হলে তাঁকে শহীদ করা হয়। তখন জা‘ফর (রাযিঃ) পাতাকা হাতে অগ্রসর হল, তাকেও শহীদ করে ফেলা হয়। তারপর ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ) পতাকা হাতে নিল। এবার তাকেও শহীদ করে দেয়া হল। এ সময়ে তাঁর দু’চোখ থেকে অশ্রুধারা প্রবাহিত হচ্ছিল। (তারপর তিনি বললেন) অবশেষে সাইফুল্লাহদের মধ্যে এক সাইফুল্লাহ (আল্লাহর তরবারি) হাতে পতাকা ধারণ করেছে। ফলত আল্লাহ্ তাদের উপর (আমাদের) বিজয় দান করেছেন।
بَابُ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ مِنْ أَرْضِ الشَّأْمِ
4262 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَى زَيْدًا، وَجَعْفَرًا، وَابْنَ رَوَاحَةَ لِلنَّاسِ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَهُمْ خَبَرُهُمْ، فَقَالَ: «أَخَذَ الرَّايَةَ زَيْدٌ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَ جَعْفَرٌ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَ ابْنُ رَوَاحَةَ فَأُصِيبَ» وَعَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ: «حَتَّى أَخَذَ الرَّايَةَ سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ، حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৩
২২০৮. সিরিয়ায় সংঘটিত মূতার যুদ্ধের বর্ণনা
৩৯৩৭। কুতায়বা (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যায়দ ইবনে হারিসা, জা‘ফর ইবনে আবু তালিব ও আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ)- এর শাহাদতের সংবাদ এসে পৌঁছলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসে পড়লেন। তাঁর চেহারায় শোকের চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি তখন দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে তাকিয়ে দেখলাম, জনৈক ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জা‘ফর (রাযিঃ)- এর পরিবারের মেয়েরা কান্নাকাটি করছে। তখন তিনি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] মেয়েদেরকে বারণ করার জন্য লোকটিকে হুকুম করলেন। লোকটি ফিরে গেলো। তারপর আবার এসে বলল, আমি তাদেরকে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা তা শোনেনি।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, এবারও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে পুনঃ হুকুম করলেন। লোকটি সেখানে গেল কিন্তু পুনরায় এসে বলল, আল্লাহর কসম তারা আমার কথা মানছে না। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, (তারপর) সম্ভবত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বলেছিলেন, তা হলে তাদের মুখের উপর মাটি ছুঁড়ে মার। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি লোকটিকে বললাম, আল্লাহ্ তোমার নাককে অপমানিত করুক। আল্লাহর শপথ, রাসূলুল্লাহ
(ﷺ) তোমাকে যে কাজ করতে বলেছেন তাতে তুমি সক্ষম নও অথচ তুমি তাঁকে বিরক্ত করা পরিত্যাগ করছ না।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, এবারও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে পুনঃ হুকুম করলেন। লোকটি সেখানে গেল কিন্তু পুনরায় এসে বলল, আল্লাহর কসম তারা আমার কথা মানছে না। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, (তারপর) সম্ভবত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বলেছিলেন, তা হলে তাদের মুখের উপর মাটি ছুঁড়ে মার। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি লোকটিকে বললাম, আল্লাহ্ তোমার নাককে অপমানিত করুক। আল্লাহর শপথ, রাসূলুল্লাহ
(ﷺ) তোমাকে যে কাজ করতে বলেছেন তাতে তুমি সক্ষম নও অথচ তুমি তাঁকে বিরক্ত করা পরিত্যাগ করছ না।
بَابُ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ مِنْ أَرْضِ الشَّأْمِ
4263 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، قَالَ: سَمِعْتُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ: أَخْبَرَتْنِي عَمْرَةُ قَالَتْ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، تَقُولُ: لَمَّا جَاءَ قَتْلُ ابْنِ حَارِثَةَ، وَجَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْرَفُ فِيهِ الحُزْنُ، قَالَتْ عَائِشَةُ: وَأَنَا أَطَّلِعُ مِنْ صَائِرِ البَابِ، تَعْنِي مِنْ شَقِّ البَابِ، فَأَتَاهُ رَجُلٌ، فَقَالَ: أَيْ رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ نِسَاءَ جَعْفَرٍ، قَالَ: وَذَكَرَ بُكَاءَهُنَّ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَنْهَاهُنَّ، قَالَ: فَذَهَبَ الرَّجُلُ ثُمَّ أَتَى، فَقَالَ: قَدْ نَهَيْتُهُنَّ، وَذَكَرَ أَنَّهُ لَمْ يُطِعْنَهُ، قَالَ: فَأَمَرَ أَيْضًا، فَذَهَبَ ثُمَّ أَتَى فَقَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ غَلَبْنَنَا، فَزَعَمَتْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فَاحْثُ فِي أَفْوَاهِهِنَّ مِنَ التُّرَابِ» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ: أَرْغَمَ اللَّهُ أَنْفَكَ، فَوَاللَّهِ مَا أَنْتَ تَفْعَلُ، وَمَا تَرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ العَنَاءِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৪
২২০৮. সিরিয়ায় সংঘটিত মূতার যুদ্ধের বর্ণনা
৩৯৩৮। মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর (রাহঃ) .... আমির (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর নিয়ম ছিল যে, যখনই তিনি জা‘ফর ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)-এর পুত্র (আব্দুল্লাহ)- কে সালাম দিতেন তখনই তিনি বলতেন, তোমার প্রতি সালাম, হে দু’ডানাওয়ালা পুত্র।*
*মূতার লড়াইয়ে জা‘ফর ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)-এর দু'টি হাতই কেটে যাওয়ার কারণে তিনি শহীদ হয়ে গেলেন। আর এর বিনিময়ে আল্লাহ তাঁকে দু'টি পাখা দান করেছেন যেগুলোর সাহায্যে তিনি জান্নাতের মধ্যে উড়ে বেড়ান। এবং এ কারণেই জা‘ফরকে তাইয়্যার উপাধি দেওয়া হয়েছে। আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) ঐ দিকে ইঙ্গিত করেই তাঁর ছেলেকে দু'পাখাওয়ালার পুত্র বলে ডাকতেন। (কাসতুলানী, শরহে বুখারী)
*মূতার লড়াইয়ে জা‘ফর ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)-এর দু'টি হাতই কেটে যাওয়ার কারণে তিনি শহীদ হয়ে গেলেন। আর এর বিনিময়ে আল্লাহ তাঁকে দু'টি পাখা দান করেছেন যেগুলোর সাহায্যে তিনি জান্নাতের মধ্যে উড়ে বেড়ান। এবং এ কারণেই জা‘ফরকে তাইয়্যার উপাধি দেওয়া হয়েছে। আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) ঐ দিকে ইঙ্গিত করেই তাঁর ছেলেকে দু'পাখাওয়ালার পুত্র বলে ডাকতেন। (কাসতুলানী, শরহে বুখারী)
بَابُ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ مِنْ أَرْضِ الشَّأْمِ
4264 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَامِرٍ، قَالَ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا حَيَّا ابْنَ جَعْفَرٍ [ص:144] قَالَ: «السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا ابْنَ ذِي الجَنَاحَيْنِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৫
২২০৮. সিরিয়ায় সংঘটিত মূতার যুদ্ধের বর্ণনা
৩৯৩৯। আবু নুআইম (রাহঃ) .... কায়স ইবনে আবু হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাযিঃ) থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন, মূতার যুদ্ধে আমার হাতে নয়টি তরবারি ভেঙ্গে গিয়েছিল। পরিশেষে আমার হাতে একটি প্রশস্ত ইয়ামানী তরবারি ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।
بَابُ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ مِنْ أَرْضِ الشَّأْمِ
4265 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ خَالِدَ بْنَ الوَلِيدِ، يَقُولُ: «لَقَدِ انْقَطَعَتْ فِي يَدِي يَوْمَ مُؤْتَةَ تِسْعَةُ أَسْيَافٍ فَمَا بَقِيَ فِي يَدِي إِلَّا صَفِيحَةٌ يَمَانِيَةٌ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৯৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৬
২২০৮. সিরিয়ায় সংঘটিত মূতার যুদ্ধের বর্ণনা
৩৯৪০। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) .... কায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) থেকে শুনেছি, তিনি বলছেন, মূতার যুদ্ধে আমার হাতে নয়খানা তরবারি ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে গিয়েছিল। (পরিশেষে) আমার হাতে আমার একটি প্রশস্ত ইয়ামানী তরবারিই টিকেছিল।
بَابُ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ مِنْ أَرْضِ الشَّأْمِ
4266 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنِي قَيْسٌ، قَالَ: سَمِعْتُ خَالِدَ بْنَ الوَلِيدِ، يَقُولُ: «لَقَدْ دُقَّ فِي يَدِي يَوْمَ مُؤْتَةَ تِسْعَةُ أَسْيَافٍ، وَصَبَرَتْ فِي يَدِي صَفِيحَةٌ لِي يَمَانِيَةٌ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৯৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৭
২২০৮. সিরিয়ায় সংঘটিত মূতার যুদ্ধের বর্ণনা
৩৯৪১। ইমরান ইবনে মায়সারা (রাহঃ) .... নু‘মান ইবনে বাশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সময় আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ) (কোন কারণে) সংজ্ঞাহীন হয়ে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর বোন আমরা [বিনতে রাওয়াহা (রাযিঃ)] হায়, হায়, পাহাড়ের মতো আমর ভাই, হায়রে অমুকের মত, তমুকের মত ইত্যাদি গুণ উল্লেখ করে কান্নাকাটি শুরু করল। এরপর সংজ্ঞা (হুঁশ) ফিরে পেয়ে তিনি তাঁর বোনকে বললেন, তুমি যেসব কথা বলে কান্নাকাটি করেছিলে সেসব কথা সম্পর্কে আমাকে (বিদ্রূপাত্মকভাবে) জিজ্ঞাসা করে বলা হয়েছে, তুমি কি সত্যই এরূপ?
بَابُ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ مِنْ أَرْضِ الشَّأْمِ
4267 - حَدَّثَنِي عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أُغْمِيَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ، فَجَعَلَتْ أُخْتُهُ عَمْرَةُ تَبْكِي وَاجَبَلاَهْ، وَاكَذَا وَاكَذَا، تُعَدِّدُ عَلَيْهِ، فَقَالَ حِينَ أَفَاقَ: " مَا قُلْتِ شَيْئًا إِلَّا قِيلَ لِي: آنْتَ كَذَلِكَ «

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৮
২২০৮. সিরিয়ায় সংঘটিত মূতার যুদ্ধের বর্ণনা
৩৯৪২। কুতায়বা (রাহঃ) .... নু‘মান ইবনে বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সময় আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ) বেহুঁশ হয়ে পড়লেন .... যেভাবে উপরোক্ত হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে। (তারপর তিনি বলেছেন) এরপর তিনি [আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ)] যখন (মূতার লড়াইয়ে) শহীদ হন তখন তাঁর বোন মোটেই কান্নাকাটি করেনি।
بَابُ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ مِنْ أَرْضِ الشَّأْمِ
4268 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْثَرُ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ،» قَالَ أُغْمِيَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ بِهَذَا فَلَمَّا مَاتَ لَمْ تَبْكِ عَلَيْهِ "

তাহকীক: