আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৮২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪১২৫ - ৪১২৮
২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ। গাতফানের শাখা গোত্র বনু সালাবার অন্তর্গত খাসাফার বংশধর মুহারিব গোত্রের সাথে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নাখল নামক স্থানে অবতরণ করেছিলেন। খায়বার যুদ্ধের পর এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কেননা আবু মুসা (রাযিঃ) খায়বার যুদ্ধের পর (হাবশা থেকে ) এসেছিলেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে রাজা (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম (ﷺ) সপ্তম যুদ্ধ তথা যাতুর রিকার যুদ্ধে তাঁর সাহাবীগণকে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। ইবনে আব্বাস (রাহঃ) বলেছেন, নবী কারীম (ﷺ) যূকারাদের যুদ্ধে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন।
বকর ইবনে সাওয়াদা (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাবির ও সালাবা গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় নবী কারীম (ﷺ) সাহাবীগণকে সাথে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন।
ইবনে ইসহাক (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) নাখল নামক স্থান থেকে যাতুর রিকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গাতফান গোত্রের একটি দলের সম্মুখীন হন। কিন্তু সেখানে কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। উভয় পক্ষ পরস্পর ভীতি প্রদর্শন করেছিল মাত্র। তখন নবী কারীম (ﷺ) দু’রাকআত সালাতুল খাওফ আদায় করেন। ইয়াযীদ (রাহঃ) সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী কারীম (ﷺ)-এর সঙ্গে যুকারাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম।
৩৮২৪। মুহাম্মাদ ইবনে আ‘লা (রাহঃ) .... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক যুদ্ধে আমরা নবী কারীম (ﷺ) এর সাথে রওয়ানা করলাম। আমরা ছিলাম ছয়জন। আমাদের একটি মাত্র উট ছিল। পালাক্রমে আমরা এর পিঠে আরোহণ করতাম। (হেঁটে হেঁটে) আমাদের পা ফেটে যায়। আমার পা দুখানাও ফেটে গেল, খসে পড়ল নখগুলো। এ কারণে আমরা আমাদের পায়ে নেকড়া জড়িয়ে বাঁধলাম। এ জন্য এ যুদ্ধকে যাতুর রিকা যুদ্ধ বলা হয়। কেননা এ যুদ্ধে আমরা আমাদের পায়ে নেকড়া দ্বারা পট্টি বেঁধেছিলাম। আবু মুসা (রাযিঃ) উক্ত ঘটনা বর্ণনা করেছেন। পরবর্তীতে তিনি এ ঘটনা বর্ণনা করাকে অপছন্দ করেন। তিনি বলেন, আমি এভাবে বর্ণনা করাকে ভাল মনে করি না। সম্ভবতঃ তিনি তার কোন আমল প্রকাশ করাকে অপছন্দ করতেন।
بَابُ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ وَهِيَ غَزْوَةُ مُحَارِبِ خَصَفَةَ مِنْ بَنِي ثَعْلَبَةَ مِنْ غَطَفَانَ، فَنَزَلَ نَخْلًا، وَهِيَ بَعْدَ خَيْبَرَ، لِأَنَّ أَبَا مُوسَى جَاءَ بَعْدَ خَيْبَرَ»

قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: وقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ القَطَّانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِأَصْحَابِهِ فِي الخَوْفِ فِي غَزْوَةِ السَّابِعَةِ، غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ» قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الخَوْفَ بِذِي قَرَدٍ

وَقَالَ بَكْرُ بْنُ سَوَادَةَ: حَدَّثَنِي زِيَادُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّ جَابِرًا حَدَّثَهُمْ «صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِمْ يَوْمَ مُحَارِبٍ، وَثَعْلَبَةَ»

وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: سَمِعْتُ وَهْبَ بْنَ كَيْسَانَ، سَمِعْتُ جَابِرًا، خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى ذَاتِ الرِّقَاعِ مِنْ نَخْلٍ، فَلَقِيَ جَمْعًا مِنْ غَطَفَانَ، فَلَمْ يَكُنْ قِتَالٌ، وَأَخَافَ النَّاسُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، فَصَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَيِ الخَوْفِ " وَقَالَ يَزِيدُ: عَنْ سَلَمَةَ، غَزَوْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ القَرَدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى ـ رضى الله عنه ـ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي غَزَاةٍ وَنَحْنُ سِتَّةُ نَفَرٍ بَيْنَنَا بَعِيرٌ نَعْتَقِبُهُ، فَنَقِبَتْ أَقْدَامُنَا وَنَقِبَتْ قَدَمَاىَ وَسَقَطَتْ أَظْفَارِي، وَكُنَّا نَلُفُّ عَلَى أَرْجُلِنَا الْخِرَقَ، فَسُمِّيَتْ غَزْوَةَ ذَاتِ الرِّقَاعِ، لِمَا كُنَّا نَعْصِبُ مِنَ الْخِرَقِ عَلَى أَرْجُلِنَا، وَحَدَّثَ أَبُو مُوسَى بِهَذَا، ثُمَّ كَرِهَ ذَاكَ، قَالَ مَا كُنْتُ أَصْنَعُ بِأَنْ أَذْكُرَهُ. كَأَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يَكُونَ شَىْءٌ مِنْ عَمَلِهِ أَفْشَاهُ.
হাদীস নং: ৩৮২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪১২৯ - ৪১৩০
২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ।
৩৮২৫। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... সালিহ ইবনে খাওয়াত (রাযিঃ) এমন একজন সাহাবী থেকে বর্ণনা করেন যিনি যাতুর রিকার যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। তিনি বলেছেন, একদল লোক (নামায আদায়ের জন্য) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে কাতারে দাঁড়ালেন এবং অপর দলটি রইলেন শত্রুর সম্মুখীন। এরপর তিনি তার সাথে দাঁড়ানো দলটি নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। মুক্তাদীগণ তাদের নামায পুরা করে ফিরে গেলেন এবং শত্রুর সম্মুখে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ালেন। এরপর দ্বিতীয় দলটি এলে তিনি তাদেরকে নিয়ে অবশিষ্ট রাকআত আদায় করে স্থির হয়ে বসে রইলেন। এবার মুক্তাদীগণ তাদের নিজেদের নামায সম্পূর্ণ করলে তিনি তাদেরকে নিয়ে সালাম ফিরালেন।
মুআয (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমরা নাখল নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে ছিলাম। এরপর জাবির (রাযিঃ) সালাতুল খাওফের কথা উল্লেখ করেন।
এ হাদীস সম্পর্কে ইমাম মালিক (রাহঃ) বলেছেন, সালাতুল খাওফ সম্পর্কে আমি যত হাদীস শুনেছি এর মধ্যে এ হাদীসটিই সবচেয়ে উত্তম।
লাইস (রাহঃ) .... কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ থেকে নবী কারীম (ﷺ) গাযওয়ায়ে বনু আনমারে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। এই বর্ণনায় মুআয (রাযিঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
بَابُ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَمَّنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ ذَاتِ الرِّقَاعِ صَلَّى صَلاَةَ الْخَوْفِ أَنَّ طَائِفَةً صَفَّتْ مَعَهُ، وَطَائِفَةٌ وُجَاهَ الْعَدُوِّ، فَصَلَّى بِالَّتِي مَعَهُ رَكْعَةً، ثُمَّ ثَبَتَ قَائِمًا، وَأَتَمُّوا لأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ انْصَرَفُوا، فَصَفُّوا وُجَاهَ الْعَدُوِّ، وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الأُخْرَى فَصَلَّى بِهِمِ الرَّكْعَةَ الَّتِي بَقِيَتْ مِنْ صَلاَتِهِ، ثُمَّ ثَبَتَ جَالِسًا، وَأَتَمُّوا لأَنْفُسِهِمْ، ثُمَّ سَلَّمَ بِهِمْ.
وَقَالَ مُعَاذٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَخْلٍ. فَذَكَرَ صَلاَةَ الْخَوْفِ قَالَ مَالِكٌ وَذَلِكَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ..تَابَعَهُ اللَّيْثُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ حَدَّثَهُ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ بَنِي أَنْمَارٍ.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৮২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩১
২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ।
৩৮২৬। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... সাহল ইবনে আবু হাসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন (সালাতুল খাওফে) ঈমাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াবেন। মুক্তাদীদের একদল থাকবেন তাঁর সাথে। এবং অন্যদল শত্রুদের মুখোমুখী হয়ে তাদের মুকাবিলায় দাঁড়িয়ে থাকবেন। তখন ইমাম তাঁর পেছনে ইক্তিদাকারী লোকদের নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করবেন। এরপর ইক্তিদাকারীগণ নিজ স্থানে দাঁড়িয়ে রুকূ ও দু’সিজদাসহ আরো এক রাকআত নামায আদায় করে ঐ দলের স্থানে গিয়ে দাঁড়াবেন। এরপর তারা এসে ইক্তিদা করার পর ইমাম তাদের নিয়ে আরো এক রাকআত নামায আদায় করবেন। এভাবে ইমামের দু’রাকআত নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। এরপর মুক্তাদীগণ রুকূ সিজদাসহ আরো এক রাকআত নামায আদায় করবেন।
بَابُ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
4131 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ القَطَّانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنِ القَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ: «يَقُومُ الإِمَامُ مُسْتَقْبِلَ القِبْلَةِ، وَطَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَهُ، وَطَائِفَةٌ مِنْ قِبَلِ العَدُوِّ، وُجُوهُهُمْ إِلَى العَدُوِّ، فَيُصَلِّي بِالَّذِينَ مَعَهُ رَكْعَةً، ثُمَّ يَقُومُونَ فَيَرْكَعُونَ لِأَنْفُسِهِمْ رَكْعَةً، وَيَسْجُدُونَ سَجْدَتَيْنِ فِي مَكَانِهِمْ، ثُمَّ يَذْهَبُ هَؤُلاَءِ إِلَى مَقَامِ أُولَئِكَ، فَيَرْكَعُ بِهِمْ رَكْعَةً، فَلَهُ ثِنْتَانِ، ثُمَّ يَرْكَعُونَ وَيَسْجُدُونَ سَجْدَتَيْنِ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৮২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩১
২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ।
৩৮২৭। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... সাহল ইবনে আবু হাসমা (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
بَابُ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
4131 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ القَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِثْلَهُ،
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৮২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩১
২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ।
৩৮২৮। মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) .... সাহল (রাযিঃ) থেকে নবী কারীম (ﷺ)- এর (পূর্ব বর্ণিত) হাদীস বর্ণনা করেছেন।
بَابُ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
4131 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ يَحْيَى، سَمِعَ القَاسِمَ، أَخْبَرَنِي صَالِحُ بْنُ خَوَّاتٍ، عَنْ سَهْلٍ: حَدَّثَهُ: قَوْلَهُ،
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৮২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩২
২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ।
৩৮২৯। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে নাজদ এলাকায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। এ যুদ্ধে আমরা শত্রুদের মুকাবিলা করেছিলাম এবং তাদের সামনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম।
بَابُ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
4132 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِبَلَ نَجْدٍ، فَوَازَيْنَا العَدُوَّ، فَصَافَفْنَا لَهُمْ»
__________
[رقم الحديث في طبعة البغا]
হাদীস নং: ৩৮৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩৩
২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ।
৩৮৩০। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সৈন্যদেরকে দু’দলে বিভক্ত করে) একদল সাথে নিয়ে নামায আদায় করেছেন। অন্যদলকে নিয়োজিত রেখেছেন শত্রুর মোকাবেলায়। তারপর (যে দল তাঁর সঙ্গে এক রাকআত নামায আদায় করেছেন) তাঁরা শত্রুর মুকাবিলায় নিজ সাথীদের স্থানে চলে গেলেন। অন্যদল (যারা শত্রুর মুকাবিলায় দাঁড়িয়েছিলেন) চলে আসলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে নিয়ে এক রাকআত নামায আদায় করে সালাম ফিরালেন। এরপর তাঁরা তাদের বাকি আরেক রাকআত আদায় করলেন এবং শত্রুর মুকাবিলায় গিয়ে দাঁড়ালেন। এবার পূর্বের দলটি এসে নিজেদের অবশিষ্ট রাকআতটি পূর্ণ করলেন।
بَابُ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
4133 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِإِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ، وَالطَّائِفَةُ الأُخْرَى مُوَاجِهَةُ العَدُوِّ، ثُمَّ انْصَرَفُوا فَقَامُوا فِي مَقَامِ أَصْحَابِهِمْ أُولَئِكَ، فَجَاءَ أُولَئِكَ، فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً، ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ قَامَ هَؤُلاَءِ فَقَضَوْا رَكْعَتَهُمْ، وَقَامَ هَؤُلاَءِ فَقَضَوْا رَكْعَتَهُمْ»
হাদীস নং: ৩৮৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩৪ - ৪১৩৬
২১৯৫. যাতুর রিকার যুদ্ধ।
৩৮৩১। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নাজদ এলাকায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।
(অন্য এক সনদে) ইসমাঈল (রাহঃ) .... জাবির ইবনে ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নাজদ এলাকায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধ শেষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করলে তিনিও তাঁর সাথে প্রত্যাবর্তন করলেন। পথিমধ্যে কাঁটা গাছ ভরা এক উপত্যকায় মধ্যাহ্নের সময় তাঁদের ভীষণ গরম অনুভূত হল।রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এখানেই অবতরণ করলেন। লোকজন সবাই ছায়াবান গাছের খোঁজে কাঁটাবনের মাঝে ছড়িয়ে পড়ল। এদিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি বাবলা গাছের নীচে অবস্থান করে তরবারিখানা গাছে ঝুলিয়ে দিলেন।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, সবেমাত্র আমরা নিদ্রা গিয়েছি। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে ডাকতে আরম্ভ করলেন। আমরা সকলেই তাঁর কাছে উপস্থিত হলাম। তখন তাঁর কাছে এক বেদুঈন বসা ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি নিদ্রিত ছিলাম, এমতাবস্থায় সে আমার তরবারিখানা হস্তগত করে কোষমুক্ত অবস্থায় তা আমার উপর উঁচু করে ধরলে আমি জাগ্রত হই। তখন সে আমাকে বলল, এখন তোমাকে আমার হাত থেকে রক্ষা করবে কে? আমি বললাম, আল্লাহ! দেখ না, এ-ই তো সে বসা আছে। (এ জঘন্যতম অপরাধের পরও) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে কোনো প্রকার শাস্তি প্রদান করেননি।
(অপর এক সনদে) আবান (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যাতুর রিকার যুদ্ধে আমরা নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা একটি ছায়াবান বৃক্ষের কাছে গিয়ে পৌঁছলে নবী কারীম (ﷺ)- এর আরামের জন্য আমরা তা ছেড়ে দিলাম। এমন সময় এক মুশরিক ব্যক্তি এসে গাছের সাথে ঝুলানো নবী কারীম (ﷺ)- এর তরবারীখানা হাতে নিয়ে তা তাঁর উপর উঁচিয়ে ধরে বলল, তুমি আমাকে ভয় পাও কি? তিনি বললেন না। এরপর সে বলল, এখন তোমাকে আমার হাত থেকে রক্ষা করবে কে? তিনি বললেন, আল্লাহ। এরপর নবী কারীম (ﷺ)- এর সাহাবীগণ তাকে ধমক দিলেন। এরপর নামায আরম্ভ হলে তিনি মুসলমানদের একটি দলকে নিয়ে দু’রাকআত নামায আদায় করলেন। তারা এখান থেকে হটে গেলে অপর দলটি নিয়ে তিনি আরো দু’রাকআত নামায আদায় করলেন। এভাবে নবী কারীম (ﷺ)- এর হল চার রাকআত এবং সাহাবীদের হল দু’রাকআত নামায।
(অন্য এক সূত্রে) মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আবু বিশর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম (ﷺ)- এর প্রতি যে লোকটি তলোয়ার উঁচু করেছিল তার নাম হল গাওরাস ইবনে হারিস। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ অভিযানে খাসাফার বংশধর মুহারিব গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন।
আবু যুবাইর (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, নাখল নামক স্থানে আমরা নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি এ সময় সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, নাজদের যুদ্ধে আমি নবী কারীম (ﷺ)- এর সাথে সালাতুল খাওফ (নামায) আদায় করেছি। আবু হুরায়রা খায়বার যুদ্ধের সময় নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে এসেছিলেন।
بَابُ غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي سِنَانٌ، وَأَبُو سَلَمَةَ أَنَّ جَابِرًا، أَخْبَرَ أَنَّهُ، غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ نَجْدٍ.
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سِنَانِ بْنِ أَبِي سِنَانٍ الدُّؤَلِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ نَجْدٍ، فَلَمَّا قَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَفَلَ مَعَهُ، فَأَدْرَكَتْهُمُ الْقَائِلَةُ فِي وَادٍ كَثِيرِ الْعِضَاهِ، فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، وَتَفَرَّقَ النَّاسُ فِي الْعِضَاهِ يَسْتَظِلُّونَ بِالشَّجَرِ، وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَحْتَ سَمُرَةٍ، فَعَلَّقَ بِهَا سَيْفَهُ، قَالَ جَابِرٌ فَنِمْنَا نَوْمَةً، ثُمَّ إِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُونَا، فَجِئْنَاهُ فَإِذَا عِنْدَهُ أَعْرَابِيٌّ جَالِسٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ هَذَا اخْتَرَطَ سَيْفِي، وَأَنَا نَائِمٌ فَاسْتَيْقَظْتُ، وَهْوَ فِي يَدِهِ صَلْتًا، فَقَالَ لِي مَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّي قُلْتُ اللَّهُ. فَهَا هُوَ ذَا جَالِسٌ ". ثُمَّ لَمْ يُعَاقِبْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
وَقَالَ أَبَانُ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَاتِ الرِّقَاعِ، فَإِذَا أَتَيْنَا عَلَى شَجَرَةٍ ظَلِيلَةٍ تَرَكْنَاهَا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَسَيْفُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُعَلَّقٌ بِالشَّجَرَةِ فَاخْتَرَطَهُ فَقَالَ تَخَافُنِي قَالَ " لاَ ". قَالَ فَمَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّي قَالَ " اللَّهُ ". فَتَهَدَّدَهُ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى بِطَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ تَأَخَّرُوا، وَصَلَّى بِالطَّائِفَةِ الأُخْرَى رَكْعَتَيْنِ، وَكَانَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعٌ وَلِلْقَوْمِ رَكْعَتَيْنِ. وَقَالَ مُسَدَّدٌ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ اسْمُ الرَّجُلِ غَوْرَثُ بْنُ الْحَارِثِ، وَقَاتَلَ فِيهَا مُحَارِبَ خَصَفَةَ.
وَقَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ، كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَخْلٍ فَصَلَّى الْخَوْفَ. وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ نَجْدٍ صَلاَةَ الْخَوْفِ. وَإِنَّمَا جَاءَ أَبُو هُرَيْرَةَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَيَّامَ خَيْبَرَ.