আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ৩৮১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪১১৭
২১৯৪. আহযাব যুদ্ধ থেকে নবী কারীম (ﷺ)-এর প্রত্যাবর্তন এবং বনু কুরায়য়ার প্রতি তাঁর অভিযান এবং তাদের অবরোধ
৩৮১৭। আব্দুল্লাহ ইবনে আবী শাঈবা (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) খন্দক যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করে সমরাস্ত্র রেখে গোসল করেছেন মাত্র। এমতাবস্থায় তাঁর কাছে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এসে বললেন, আপনি তো অস্ত্রশস্ত্র (খুলে) রেখে দিয়েছেন। আল্লাহর কসম! আমরা এখনও তা খুলিনি। চলুন তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। নবী কারীম (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, কোথায় যেতে হবে? তিনি বনু কুরায়যা গোত্রের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, ঐদিকে। তখন নবী কারীম (ﷺ) তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে রওয়ানা হলেন।
بَابُ مَرْجِعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الأَحْزَابِ، وَمَخْرَجِهِ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ وَمُحَاصَرَتِهِ إِيَّاهُمْ
4117 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: لَمَّا رَجَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الخَنْدَقِ، وَوَضَعَ السِّلاَحَ وَاغْتَسَلَ، أَتَاهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ، فَقَالَ: " قَدْ وَضَعْتَ السِّلاَحَ؟ وَاللَّهِ مَا وَضَعْنَاهُ، فَاخْرُجْ إِلَيْهِمْ قَالَ: فَإِلَى أَيْنَ؟ قَالَ: هَا هُنَا، وَأَشَارَ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ، فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪১১৮
২১৯৪. আহযাব যুদ্ধ থেকে নবী কারীম (ﷺ)-এর প্রত্যাবর্তন এবং বনু কুরায়য়ার প্রতি তাঁর অভিযান এবং তাদের অবরোধ
৩৮১৮। মুসা (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন বনু কুরায়যার মহল্লার দিকে যাচ্ছিলেন তখন [জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)- এর অধীন] ফিরিশতা বাহিনীও তাঁর সঙ্গে যাচ্ছিলেন, এমনকি (পথিমধ্যে) বনু গানম গোত্রের গলিতে জিবরাঈল বাহিনীর গমনে উত্থিত ধূলারাশি এখনো যেন আমি দেখতে পাচ্ছি।
بَابُ مَرْجِعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الأَحْزَابِ، وَمَخْرَجِهِ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ وَمُحَاصَرَتِهِ إِيَّاهُمْ
4118 - حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ [ص:112]، قَالَ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى الغُبَارِ سَاطِعًا فِي زُقَاقِ بَنِي غَنْمٍ، مَوْكِبَ جِبْرِيلَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ حِينَ سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪১১৯
২১৯৪. আহযাব যুদ্ধ থেকে নবী কারীম (ﷺ)-এর প্রত্যাবর্তন এবং বনু কুরায়য়ার প্রতি তাঁর অভিযান এবং তাদের অবরোধ
৩৮১৯। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আসমা (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) আহযাব যুদ্ধের দিন (যুদ্ধ সমাপ্তির দিন) বলেছেন, বনু কুরায়যার মহল্লায় না পৌঁছে কেউ যেন আসরের নামায আদায় না করে। পথিমধ্যে আসরের নামাযের সময় হয়ে গেলে কেউ কেউ বললেন, আমরা সেখানে পৌঁছার পূর্বে নামায আদায় করব না। আবার কেউ কেউ বললেন, আমরা এখনই নামায আদায় করব, কেননা নবী কারীম (ﷺ)- এর নিষেধাজ্ঞার অর্থ এই নয় যে, রাস্তায় নামাযের সময় হয়ে গেলেও তা আদায় করা যাবে না। বিষয়টি নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে বলা হলে তিনি তাদের কোনো দলের প্রতিই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেননি।
بَابُ مَرْجِعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الأَحْزَابِ، وَمَخْرَجِهِ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ وَمُحَاصَرَتِهِ إِيَّاهُمْ
4119 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الأَحْزَابِ: «لاَ يُصَلِّيَنَّ أَحَدٌ العَصْرَ إِلَّا فِي بَنِي قُرَيْظَةَ» فَأَدْرَكَ بَعْضُهُمُ العَصْرَ فِي الطَّرِيقِ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: لاَ نُصَلِّي حَتَّى نَأْتِيَهَا، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلْ نُصَلِّي، لَمْ يُرِدْ مِنَّا ذَلِكَ، فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُعَنِّفْ وَاحِدًا مِنْهُمْ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮২০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১২০
২১৯৪. আহযাব যুদ্ধ থেকে নবী কারীম (ﷺ)-এর প্রত্যাবর্তন এবং বনু কুরায়য়ার প্রতি তাঁর অভিযান এবং তাদের অবরোধ
৩৮২০। ইবনে আবুল আসওয়াদ ও খলীফা (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (ব্যয় নির্বাহের জন্য) লোকেরা নবী কারীম (ﷺ)- কে খেজুর হাদিয়ে দিতেন। অবশেষে তিনি বনু নাযীর এবং বনী কুরায়যার উপর জয়লাভ করলে আমার পরিবারের লোকেরা আমাকে আদেশ করল, যেন আমি নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে গিয়ে তাদের দেয়া সবগুলো খেজুর গাছ অথবা কিছু সংখ্যক খেজুর গাছ তাঁর নিকট থেকে ফেরত আনার জন্য আবেদন করি। অথচ নবী কারীম (ﷺ) ঐ গাছগুলো উম্মে আয়মান (রাযিঃ)- কে দান করে দিয়েছিলেন। এ সময় উম্মে আয়মান (রাযিঃ) আসলেন এবং আমার গলায় কাপড় লাগিয়ে বললেন, এ কখনো হতে পারে না। সেই আল্লাহর কসম, যিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। তিনি ঐ বৃক্ষগুলো তোমাকে আর দেবেন না। তিনি তো এগুলো আমাকে দিয়ে দিয়েছেন। অথবা (রাবীর সন্দেহ) যেমন তিনি বলেছেন। এদিকে নবী কারীম (ﷺ) বলেছিলেন, তুমি ঐ গাছগুলোর পরিবর্তে আমার নিকট থেকে এ-ই এ-ই পাবে। কিন্তু উম্মে আয়মান (রাযিঃ) বলেছিলেন, আল্লাহর কসম! এ কখনো হতে পারে না। অবশেষে নবী কারীম (ﷺ) তাকে (অনেক বেশী) দিলেন। বর্ণনাকারী আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমার মনে হয় নবী কারীম (ﷺ) তাকে [উম্মে আয়মান (রাযিঃ)-কে] বলেছেন, এর দশগুণ অথবা যেমন তিনি বলেছেন।
بَابُ مَرْجِعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الأَحْزَابِ، وَمَخْرَجِهِ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ وَمُحَاصَرَتِهِ إِيَّاهُمْ
4120 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، ح وحَدَّثَنِي خَلِيفَةُ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَ الرَّجُلُ يَجْعَلُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّخَلاَتِ، حَتَّى افْتَتَحَ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرَ، وَإِنَّ أَهْلِي أَمَرُونِي أَنْ آتِيَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَسْأَلَهُ الَّذِي كَانُوا أَعْطَوْهُ أَوْ بَعْضَهُ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَعْطَاهُ أُمَّ أَيْمَنَ، فَجَاءَتْ أُمُّ أَيْمَنَ فَجَعَلَتِ الثَّوْبَ فِي عُنُقِي، تَقُولُ: كَلَّا وَالَّذِي لاَ إِلَهَ إِلَّا هُوَ لاَ يُعْطِيكَهُمْ وَقَدْ أَعْطَانِيهَا، أَوْ كَمَا قَالَتْ: وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَكِ كَذَا» وَتَقُولُ: كَلَّا وَاللَّهِ، حَتَّى أَعْطَاهَا - حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ - عَشَرَةَ أَمْثَالِهِ، أَوْ كَمَا قَالَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮২১
আন্তর্জাতিক নং: ৪১২১
২১৯৪. আহযাব যুদ্ধ থেকে নবী কারীম (ﷺ)-এর প্রত্যাবর্তন এবং বনু কুরায়য়ার প্রতি তাঁর অভিযান এবং তাদের অবরোধ
৩৮২১। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সা‘দ ইবনে মুআয (রাযিঃ)- এর ফয়সালা মেনে নিয়ে বনী কুরায়যা গোত্রের লোকেরা দুর্গ থেকে বেরিয়ে আসলে নবী কারীম (ﷺ) সা‘দ কে আনার জন্য লোক পাঠালেন। এরপর তিনি গাধার পিঠে চড়ে আসলেন। তিনি মসজিদে নববীর নিকটবর্তী হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আনসার সাহাবীগণকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা তোমাদের নেতা বা সর্বোত্তম ব্যক্তিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য দাঁড়িয়ে যাও। (তিনি আসলে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, এরা তোমার ফয়সালা মেনে নিয়ে দুর্গ থেকে নীচে নেমে এসেছে। তখন তিনি বললেন, তাদের যোদ্ধাদের হত্যা করা হবে এবং তাদের সন্তানদের বন্দী করা হবে। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, হে সা‘দ! তুমি আল্লাহর হুকুম মুতাবিক ফয়সালা করেছ। কোনো কোনো সময় তিনি বলেছেন, তুমি রাজাধিরাজ আল্লাহর বিধান মুতাবিক ফয়সালা করেছ।
بَابُ مَرْجِعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الأَحْزَابِ، وَمَخْرَجِهِ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ وَمُحَاصَرَتِهِ إِيَّاهُمْ
4121 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الخُدْرِيَّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: نَزَلَ أَهْلُ قُرَيْظَةَ عَلَى حُكْمِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، فَأَرْسَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى سَعْدٍ فَأَتَى عَلَى حِمَارٍ، فَلَمَّا دَنَا مِنَ المَسْجِدِ قَالَ لِلْأَنْصَارِ: «قُومُوا إِلَى سَيِّدِكُمْ، أَوْ خَيْرِكُمْ» . فَقَالَ: «هَؤُلاَءِ نَزَلُوا عَلَى حُكْمِكَ» . فَقَالَ: تَقْتُلُ مُقَاتِلَتَهُمْ، وَتَسْبِي ذَرَارِيَّهُمْ، قَالَ: «قَضَيْتَ بِحُكْمِ اللَّهِ» وَرُبَّمَا قَالَ: «بِحُكْمِ المَلِكِ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৮২২
আন্তর্জাতিক নং: ৪১২২
২১৯৪. আহযাব যুদ্ধ থেকে নবী কারীম (ﷺ)-এর প্রত্যাবর্তন এবং বনু কুরায়য়ার প্রতি তাঁর অভিযান এবং তাদের অবরোধ
৩৮২২। যাকারিয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধে সা‘দ (রাযিঃ) আহত হয়েছিলেন। কুরাইশ গোত্রের হিব্বান ইবনে ইরকা নামক এক ব্যক্তি তাঁর উভয় বাহুর মধ্যবর্তী রগে তীর বিদ্ধ করেছিল। কাছে থেকে তার শুশ্রূষা করার জন্য নবী কারীম (ﷺ) মসজিদে নববীতে একটি খিমা তৈরী করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খন্দকের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করে যখন হাতিয়ার রেখে গোসল সমাপন করলেন তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তাঁর মাথার ধূলোবালি ঝাড়তে ঝাড়তে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে উপস্থিত হলেন এবং বললেন, আপনি তো হাতিয়ার রেখে দিয়েছেন, কিন্তু আল্লাহর কসম! আমি এখনও তা রেখে দেই নি। চলুন তাঁদের প্রতি। নবী কারীম (ﷺ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন কোথায়? তিনি বনী কুরায়যা গোত্রের প্রতি ইঙ্গিত করলেন।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু কুরায়যার মহল্লায় এলেন। পরিশেষে তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ফয়সালা মেনে নিয়ে দুর্গ থেকে নীচে নেমে এল। কিন্তু তিনি ফয়সালার ভার সা‘দ (রাযিঃ)-এর উপর অর্পণ করলেন। তখন সা‘দ (রাযিঃ) বললেন, তাদের ব্যাপারে আমি এই রায় দিচ্ছি যে, তাদের যোদ্ধাদেরকে হত্যা করা হবে, নারী ও সন্তানদেরকে বন্দী করা হবে এবং তাদের ধন-সম্পদ (মুসলমানদের মধ্যে) বন্টন করে দেওয়া হবে। বর্ণনাকারী হিশাম (রাহঃ) বলেন, আমার পিতা [উরওয়া (রাযিঃ)] আয়েশা (রাযিঃ) থেকে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, সা‘দ (রাযিঃ) (বনু কুরায়যার ঘটনার পর) আল্লাহর কাছে এ বলে দু'আ করছিলেন, হে আল্লাহ! আপনি তো জানেন, যে সম্প্রদায় আপনার রাসূল (ﷺ)- কে মিথ্যাবাদী বলেছে এবং দেশ থেকে বের করে দিয়েছে আপনার সন্তুষ্টির জন্য তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার চেয়ে কোন কিছুই আমার কাছে অধিক প্রিয় নয়। হে আল্লাহ! আমি মনে করি (খন্দক যুদ্ধের পর) আপনি তো আমাদের ও তাদের মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন তবে এখনো যদি কুরাইশদের বিরুদ্ধে কোন যুদ্ধ বাকী থেকে থাকে তাহলে আমাকে সে জন্য বাঁচিয়ে রাখুন, যেন আমি আপনার রাস্তায় তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে পারি।
আর যদি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে থাকেন তাহলে ক্ষতস্থান থেকে রক্ত প্রবাহিত করুন এবং এতেই আমার মৃত্যু ঘটান। এরপর তাঁর ক্ষত স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে তা প্রবাহিত হতে লাগল। মসজিদে বনী গিফার গোত্রের একটি তাঁবু ছিল। তাদের দিকে রক্ত প্রবাহিত হয়ে আসতে দেখে তারা ভীত হয়ে বললেন, হে তাঁবুবাসীগণ আপনাদের দিক থেকে এসব কি আমাদের দিকে বয়ে আসছে? পরে তাঁরা দেখলেন যে, সা‘দ (রাযিঃ)- এর ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অবশেষে এ জখমের কারণেই তিনি মারা যান।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু কুরায়যার মহল্লায় এলেন। পরিশেষে তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ফয়সালা মেনে নিয়ে দুর্গ থেকে নীচে নেমে এল। কিন্তু তিনি ফয়সালার ভার সা‘দ (রাযিঃ)-এর উপর অর্পণ করলেন। তখন সা‘দ (রাযিঃ) বললেন, তাদের ব্যাপারে আমি এই রায় দিচ্ছি যে, তাদের যোদ্ধাদেরকে হত্যা করা হবে, নারী ও সন্তানদেরকে বন্দী করা হবে এবং তাদের ধন-সম্পদ (মুসলমানদের মধ্যে) বন্টন করে দেওয়া হবে। বর্ণনাকারী হিশাম (রাহঃ) বলেন, আমার পিতা [উরওয়া (রাযিঃ)] আয়েশা (রাযিঃ) থেকে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, সা‘দ (রাযিঃ) (বনু কুরায়যার ঘটনার পর) আল্লাহর কাছে এ বলে দু'আ করছিলেন, হে আল্লাহ! আপনি তো জানেন, যে সম্প্রদায় আপনার রাসূল (ﷺ)- কে মিথ্যাবাদী বলেছে এবং দেশ থেকে বের করে দিয়েছে আপনার সন্তুষ্টির জন্য তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার চেয়ে কোন কিছুই আমার কাছে অধিক প্রিয় নয়। হে আল্লাহ! আমি মনে করি (খন্দক যুদ্ধের পর) আপনি তো আমাদের ও তাদের মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন তবে এখনো যদি কুরাইশদের বিরুদ্ধে কোন যুদ্ধ বাকী থেকে থাকে তাহলে আমাকে সে জন্য বাঁচিয়ে রাখুন, যেন আমি আপনার রাস্তায় তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে পারি।
আর যদি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে থাকেন তাহলে ক্ষতস্থান থেকে রক্ত প্রবাহিত করুন এবং এতেই আমার মৃত্যু ঘটান। এরপর তাঁর ক্ষত স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে তা প্রবাহিত হতে লাগল। মসজিদে বনী গিফার গোত্রের একটি তাঁবু ছিল। তাদের দিকে রক্ত প্রবাহিত হয়ে আসতে দেখে তারা ভীত হয়ে বললেন, হে তাঁবুবাসীগণ আপনাদের দিক থেকে এসব কি আমাদের দিকে বয়ে আসছে? পরে তাঁরা দেখলেন যে, সা‘দ (রাযিঃ)- এর ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অবশেষে এ জখমের কারণেই তিনি মারা যান।
بَابُ مَرْجِعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الأَحْزَابِ، وَمَخْرَجِهِ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ وَمُحَاصَرَتِهِ إِيَّاهُمْ
4122 - حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: أُصِيبَ سَعْدٌ يَوْمَ الخَنْدَقِ، رَمَاهُ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ، يُقَالُ لَهُ حِبَّانُ بْنُ العَرِقَةِ وَهُوَ حِبَّانُ بْنُ قَيْسٍ، مِنْ بَنِي مَعِيصِ بْنِ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ رَمَاهُ فِي الأَكْحَلِ، فَضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْمَةً فِي المَسْجِدِ لِيَعُودَهُ مِنْ قَرِيبٍ، فَلَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الخَنْدَقِ وَضَعَ السِّلاَحَ وَاغْتَسَلَ، فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَهُوَ يَنْفُضُ رَأْسَهُ مِنَ الغُبَارِ، فَقَالَ: " قَدْ وَضَعْتَ السِّلاَحَ، وَاللَّهِ مَا وَضَعْتُهُ، اخْرُجْ إِلَيْهِمْ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَأَيْنَ فَأَشَارَ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ " فَأَتَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَزَلُوا عَلَى حُكْمِهِ، فَرَدَّ الحُكْمَ إِلَى سَعْدٍ، قَالَ: فَإِنِّي أَحْكُمُ فِيهِمْ: أَنْ تُقْتَلَ المُقَاتِلَةُ، وَأَنْ تُسْبَى النِّسَاءُ وَالذُّرِّيَّةُ، وَأَنْ تُقْسَمَ أَمْوَالُهُمْ قَالَ هِشَامٌ، فَأَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ: " أَنَّ سَعْدًا قَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ تَعْلَمُ أَنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ أَحَبَّ إِلَيَّ أَنْ أُجَاهِدَهُمْ فِيكَ، مِنْ قَوْمٍ [ص:113] كَذَّبُوا رَسُولَكَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخْرَجُوهُ، اللَّهُمَّ فَإِنِّي أَظُنُّ أَنَّكَ قَدْ وَضَعْتَ الحَرْبَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ، فَإِنْ كَانَ بَقِيَ مِنْ حَرْبِ قُرَيْشٍ شَيْءٌ فَأَبْقِنِي لَهُ، حَتَّى أُجَاهِدَهُمْ فِيكَ، وَإِنْ كُنْتَ وَضَعْتَ الحَرْبَ فَافْجُرْهَا وَاجْعَلْ مَوْتَتِي فِيهَا، فَانْفَجَرَتْ مِنْ لَبَّتِهِ فَلَمْ يَرُعْهُمْ، وَفِي المَسْجِدِ خَيْمَةٌ مِنْ بَنِي غِفَارٍ، إِلَّا الدَّمُ يَسِيلُ إِلَيْهِمْ، فَقَالُوا: يَا أَهْلَ الخَيْمَةِ، مَا هَذَا الَّذِي يَأْتِينَا مِنْ قِبَلِكُمْ؟ فَإِذَا سَعْدٌ يَغْذُو جُرْحُهُ دَمًا، فَمَاتَ مِنْهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪১২৩ - ৪১২৪
২১৯৪. আহযাব যুদ্ধ থেকে নবী কারীম (ﷺ)-এর প্রত্যাবর্তন এবং বনু কুরায়য়ার প্রতি তাঁর অভিযান এবং তাদের অবরোধ
৩৮২৩। হাজ্জাজ ইবনে মিনহাল (রাহঃ) .... আদি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি বারা (রাযিঃ)- কে বলতে শুনেছেন যে, নবী কারীম (ﷺ) হাসসান (রাযিঃ)- কে বলেছেন, কবিতার মাধ্যমে তাদের (কাফেরদের) দোষত্রুটি বর্ণনা কর অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) তাদের দোষত্রুটি বর্ণনা করার জবাব দাও। (তোমার সাহায্যার্থে) জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তোমার সাথে থাকবেন।
(অন্য এক সনদে) ইবরাহীম ইবনে তাহমান (রাহঃ) .... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) বনী কুরায়যার সাথে যুদ্ধ করার দিন হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ)-কে বলেছিলেন (কবিতার মাধ্যমে) মুশরিকদের দোষত্রুটি বর্ণনা কর। এ ব্যাপারে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তোমার সাথে থাকবেন।
(অন্য এক সনদে) ইবরাহীম ইবনে তাহমান (রাহঃ) .... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) বনী কুরায়যার সাথে যুদ্ধ করার দিন হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ)-কে বলেছিলেন (কবিতার মাধ্যমে) মুশরিকদের দোষত্রুটি বর্ণনা কর। এ ব্যাপারে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তোমার সাথে থাকবেন।
بَابُ مَرْجِعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الأَحْزَابِ، وَمَخْرَجِهِ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ وَمُحَاصَرَتِهِ إِيَّاهُمْ
حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَدِيٌّ، أَنَّهُ سَمِعَ الْبَرَاءَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِحَسَّانَ " اهْجُهُمْ ـ أَوْ هَاجِهِمْ ـ وَجِبْرِيلُ مَعَكَ ".
وَزَادَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ قُرَيْظَةَ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ " اهْجُ الْمُشْرِكِينَ، فَإِنَّ جِبْرِيلَ مَعَكَ ".
وَزَادَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ قُرَيْظَةَ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ " اهْجُ الْمُشْرِكِينَ، فَإِنَّ جِبْرِيلَ مَعَكَ ".

তাহকীক: