আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৮- নবীগণের আঃ আলোচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
হাদীস নং: ৩২০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৫০ - ৩৪৫২
২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
৩২০৭। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... উকবা ইবনে আমর (রাযিঃ) হুযাইফা (রাযিঃ)- কে বললেন, আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যা শুনেছেন, তা কি আমাদের কাছে বর্ণনা করবেন না? তিনি জবাব দিলেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, যখন দাজ্জাল বের হবে তখন তার সাথে পানি ও আগুন থাকবে। এরপর মানুষ যাকে আগুনের মতো দেখবে তা হবে আসলে শীতল পানি। আর যাকে মানুষ শীতল পানির ন্যায় দেখবে, তা হবে প্রকৃতপক্ষে দহনকারী আগুন। তখন তোমাদের মধ্যে যে তার দেখা পাবে, সে যেন অবশ্যই তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, যাকে সে আগুনের ন্যায় দেখতে পাবে। কেননা, প্রকৃতপক্ষে তা সুস্বাদু শীতল পানি।
হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, তোমাদের পূর্ববর্তীদের মাঝে একজন লোক ছিল। তার কাছে ফিরিশতা তার জান কবয করার জন্য এসেছিলেন। (তার মৃত্যুর পর) তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, তুমি কি কোন ভাল কাজ করেছ? সে জবাব দিল, আমার জানা নেই। তাকে বলা হল, একটু চিন্তা করে দেখ। সে বলল, এ জিনিসটি ব্যতীত আমার আর কিছুই জানা নেই যে, দুনিয়াতে আমি মানুষের সাথে ব্যাবসা করতাম। অর্থাৎ ঋণ দিতাম। আর তা আদায়ের জন্য তাদেরকে তাগাদা দিতাম। আদায় না করতে পারলে আমি স্বচ্ছল ব্যক্তিকে সময় দিতাম আর অভাবী ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিতাম। তখন আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন।
হুযাইফা (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে এটাও বলতে শুনেছি যে, কোন এক ব্যক্তির মৃত্যুর সময় এসে হাজির হল। যখন সে জীবন থেকে নিরাশ হয়ে গেল। তখন সে তার পরিজনকে ওসীয়্যাত করল, আমি যখন মরে যাব, তখন আমার জন্য অনেকগুলো কাঠ একত্র করে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দিও। (আর আমকে তাতে ফেলে দিও) আগুন যখন আমার গোশত খেয়ে ফেলবে এবং আমার হাড় পর্যন্ত পৌঁছে যাবে আর আমার হাড়গুলো বেরিয়ে আসবে, তখন তোমরা তা নিয়ে গুড়ো করে ফেলবে। তারপর যেদিন দেখবে খুব হাওয়া বইছে, তখন সেই ছাই গুলোকে উড়িয়ে দেবে। তার পরিজনেরা তাই করল।
তারপর আল্লাহ সে সব একত্র করলেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এ কাজ তুমি কেন করলে? সে জবাব দিল, আপনার ভয়ে। তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন। উকবা ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি যে, ঐ ব্যক্তি ছিল কাফন চোর।
হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, তোমাদের পূর্ববর্তীদের মাঝে একজন লোক ছিল। তার কাছে ফিরিশতা তার জান কবয করার জন্য এসেছিলেন। (তার মৃত্যুর পর) তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, তুমি কি কোন ভাল কাজ করেছ? সে জবাব দিল, আমার জানা নেই। তাকে বলা হল, একটু চিন্তা করে দেখ। সে বলল, এ জিনিসটি ব্যতীত আমার আর কিছুই জানা নেই যে, দুনিয়াতে আমি মানুষের সাথে ব্যাবসা করতাম। অর্থাৎ ঋণ দিতাম। আর তা আদায়ের জন্য তাদেরকে তাগাদা দিতাম। আদায় না করতে পারলে আমি স্বচ্ছল ব্যক্তিকে সময় দিতাম আর অভাবী ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিতাম। তখন আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন।
হুযাইফা (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে এটাও বলতে শুনেছি যে, কোন এক ব্যক্তির মৃত্যুর সময় এসে হাজির হল। যখন সে জীবন থেকে নিরাশ হয়ে গেল। তখন সে তার পরিজনকে ওসীয়্যাত করল, আমি যখন মরে যাব, তখন আমার জন্য অনেকগুলো কাঠ একত্র করে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দিও। (আর আমকে তাতে ফেলে দিও) আগুন যখন আমার গোশত খেয়ে ফেলবে এবং আমার হাড় পর্যন্ত পৌঁছে যাবে আর আমার হাড়গুলো বেরিয়ে আসবে, তখন তোমরা তা নিয়ে গুড়ো করে ফেলবে। তারপর যেদিন দেখবে খুব হাওয়া বইছে, তখন সেই ছাই গুলোকে উড়িয়ে দেবে। তার পরিজনেরা তাই করল।
তারপর আল্লাহ সে সব একত্র করলেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এ কাজ তুমি কেন করলে? সে জবাব দিল, আপনার ভয়ে। তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন। উকবা ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি যে, ঐ ব্যক্তি ছিল কাফন চোর।
باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ قَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَمْرٍو لِحُذَيْفَةَ أَلاَ تُحَدِّثُنَا مَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ " إِنَّ مَعَ الدَّجَّالِ إِذَا خَرَجَ مَاءً وَنَارًا، فَأَمَّا الَّذِي يَرَى النَّاسُ أَنَّهَا النَّارُ فَمَاءٌ بَارِدٌ، وَأَمَّا الَّذِي يَرَى النَّاسُ أَنَّهُ مَاءٌ بَارِدٌ فَنَارٌ تُحْرِقُ، فَمَنْ أَدْرَكَ مِنْكُمْ فَلْيَقَعْ فِي الَّذِي يَرَى أَنَّهَا نَارٌ، فَإِنَّهُ عَذْبٌ بَارِدٌ ". قَالَ حُذَيْفَةُ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ " إِنَّ رَجُلاً كَانَ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ أَتَاهُ الْمَلَكُ لِيَقْبِضَ رُوحَهُ فَقِيلَ لَهُ هَلْ عَمِلْتَ مِنْ خَيْرٍ قَالَ مَا أَعْلَمُ، قِيلَ لَهُ انْظُرْ. قَالَ مَا أَعْلَمُ شَيْئًا غَيْرَ أَنِّي كُنْتُ أُبَايِعُ النَّاسَ فِي الدُّنْيَا وَأُجَازِيهِمْ، فَأُنْظِرُ الْمُوسِرَ، وَأَتَجَاوَزُ عَنِ الْمُعْسِرِ. فَأَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ ". فَقَالَ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ " إِنَّ رَجُلاً حَضَرَهُ الْمَوْتُ، فَلَمَّا يَئِسَ مِنَ الْحَيَاةِ أَوْصَى أَهْلَهُ إِذَا أَنَا مُتُّ فَاجْمَعُوا لِي حَطَبًا كَثِيرًا وَأَوْقِدُوا فِيهِ نَارًا حَتَّى إِذَا أَكَلَتْ لَحْمِي، وَخَلَصَتْ إِلَى عَظْمِي، فَامْتَحَشْتُ، فَخُذُوهَا فَاطْحَنُوهَا، ثُمَّ انْظُرُوا يَوْمًا رَاحًا فَاذْرُوهُ فِي الْيَمِّ. فَفَعَلُوا، فَجَمَعَهُ فَقَالَ لَهُ لِمَ فَعَلْتَ ذَلِكَ قَالَ مِنْ خَشْيَتِكَ. فَغَفَرَ اللَّهُ لَهُ ". قَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَمْرٍو، وَأَنَا سَمِعْتُهُ يَقُولُ ذَاكَ، وَكَانَ نَبَّاشًا.

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩২০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৫৩ - ৩৪৫৪
২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
৩২০৮ বিশর ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) ও আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তাঁরা উভয়ে বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ইন্তেকালের সময় হাজির হল, তখন তিনি আপন চেহারার উপর তাঁর একখানা চাঁদর দিয়ে রাখলেন। এরপর যখন খারাপ লাগল, তখন তাঁর চেহারা মোবারক হতে তা সরিয়ে দিলেন এবং তিনি এ অবস্থায়ই বললেন, ইয়াহুদী ও নাসারাদের উপর আল্লাহর লা‘নত। তাঁরা তাদের নবীগণের কবরগুলোকে মসজিদ বানিয়ে রেখেছে। তাঁরা যা করেছে তা থেকে নবী (ﷺ) মুসলমানদেরকে সতর্ক করেছেন।
باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي مَعْمَرٌ، وَيُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَائِشَةَ، وَابْنَ، عَبَّاسٍ رضى الله عنهم قَالاَ لَمَّا نَزَلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيصَةً عَلَى وَجْهِهِ، فَإِذَا اغْتَمَّ كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ، فَقَالَ وَهْوَ كَذَلِكَ " لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى، اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ ". يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوا.
হাদীস নং: ৩২০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৫৫
২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
৩২০৯। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আবু হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি পাঁচ বছর যাবত আবু হুরায়রা (রাযিঃ)- এর সাহচর্যে ছিলাম। তখন আমি তাঁকে নবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, বনী ইসরাঈলের নবীগণ তাঁদের উম্মতকে শাসন করতেন। যখন কোন একজন নবী ইন্তেকাল করতেন, তখন অন্য একজন নবী তাঁর স্থলাভিসিক্ত হতেন। আর আমার পরে কোন নবী নেই। তবে অনেক খলিফাহ হবে। সাহাবাগণ আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাদের কি নির্দেশ করছেন? তিনি বললেন, তোমরা একের পর এক করে তাদের বায়‘আতের হক আদায় করবে। তোমাদের উপর তাদের যে হক রয়েছে তা আদায় করবে। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন ঐ সকল বিষয় সম্বন্ধে যে সবের দায়িত্ব তাদের উপর অর্পণ করা হয়েছিল।
باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
3455 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ فُرَاتٍ القَزَّازِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ، قَالَ: قَاعَدْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ خَمْسَ سِنِينَ، فَسَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «كَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ تَسُوسُهُمُ الأَنْبِيَاءُ، كُلَّمَا هَلَكَ نَبِيٌّ خَلَفَهُ نَبِيٌّ، وَإِنَّهُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي، وَسَيَكُونُ خُلَفَاءُ فَيَكْثُرُونَ» قَالُوا: فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: «فُوا بِبَيْعَةِ الأَوَّلِ فَالأَوَّلِ، أَعْطُوهُمْ حَقَّهُمْ، فَإِنَّ اللَّهَ سَائِلُهُمْ عَمَّا اسْتَرْعَاهُمْ»
হাদীস নং: ৩২১০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৫৬
২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
৩২১০। সাঈদ ইবনে আবু মারইয়াম (রাহঃ) .... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তীদের তরীকাহ পুরোপুরি অনুসরণ করবে, প্রতি বিঘতে বিঘতে এবং প্রতি গজে গজে। এমকি তারা যদি গো সাপের গর্তেও প্রবেশ করে থাকে তবে তোমরাও তাতে প্রবেশ করবে। আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি ইয়াহুদী ও নাসারার কথা বলছেন? নবী (ﷺ) বললেন, তবে আর কার কথা?
باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
3456 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَتَتَّبِعُنَّ سَنَنَ مَنْ قَبْلَكُمْ شِبْرًا بِشِبْرٍ، وَذِرَاعًا بِذِرَاعٍ، حَتَّى لَوْ سَلَكُوا جُحْرَ ضَبٍّ لَسَلَكْتُمُوهُ» ، قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ: اليَهُودَ، وَالنَّصَارَى قَالَ: «فَمَنْ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩২১১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৫৭
২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
৩২১১। ইমরান ইবনে মাইসারা (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাঁরা (সাহাবাগণ নামাযের জামাআতে শরীক হওয়ার জন্য) আগুন জ্বালানো এবং ঘন্টা বাজানোর কথা উল্লেখ করলেন। তখনই তাঁরা ইয়াহুদী ও নাসারার কথা উল্লেখ করলেন। এরপর বিলাল (রাযিঃ)- কে আযানের শব্দগুলো দু দু বার করে এবং ইকামতের শব্দগুলো বেজোড় করে বলতে আদেশ দেয়া হল।
باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
3457 - حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " ذَكَرُوا النَّارَ وَالنَّاقُوسَ، فَذَكَرُوا اليَهُودَ وَالنَّصَارَى فَأُمِرَ بِلاَلٌ: أَنْ يَشْفَعَ [ص:170] الأَذَانَ وَأَنْ يُوتِرَ الإِقَامَةَ "
হাদীস নং: ৩২১২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৫৮
২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
৩২১২। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি কোমরে হাত রাখাতে অপছন্দ করতেন। আর বলতেন, ইয়াহুদীরা এরূপ করে। শু‘বা (রাহঃ) আমাশ (রাহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় সুফিয়ান (রাহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
3458 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، " كَانَتْ تَكْرَهُ أَنْ يَجْعَلَ يَدَهُ فِي خَاصِرَتِهِ وَتَقُولُ: إِنَّ اليَهُودَ تَفْعَلُهُ " تَابَعَهُ شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৫৯
২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
৩২১৩। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী যেসব উম্মত অতীত হয়ে গেছে তাদের তুলনায় তোমাদের স্থিতিকাল হল আসরের নামায এবং সূর্য ডুবার মধ্যবর্তী সময় টুকুর সমান। আর তোমাদের ও ইয়াহুদী নাসারাদের দৃষ্টান্ত হল ঐ ব্যক্তির মতো, যে কয়েকজন লোককে তার কাজে লাগালো এবং জিজ্ঞাসা করল, তোমাদের মধ্যে কে আছে যে, আমার জন্য দুপুর পর্যন্ত এক কিরাতের বিনিময়ে কাজ করবে? তখন ইয়াহুদীরা এক এক কিরাতের বিনিময়ে দুপুর পর্যন্ত কাজ করল। তারপর সে ব্যক্তি আবার বলল, তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে, সে দুপুর থেকে আসর নামায পর্যন্ত এক এক কিরাতের বিনিময়ে আমার কাজটুকু করে দেবে?
তখন নাসারারা এক কিরাতের বিনিময়ে দুপুর হতে আসর নামায পর্যন্ত কাজ করল। সে ব্যক্তি পুনরায় বলল, কে এমন আছে, যে দু’ দু’ কিরাতের বদলায় আসর নামায থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমার কাজ করে দেবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, দেখ, তোমরাই হলে সে সব লোক যারা আসর নামায হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দু’ দু’ কিরাতের বিনিময়ে কাজ করলে। দেখ, তোমাদের পারিশ্রমিক দিগুণ। এতে ইয়াহুদী ও নাসারারা অসন্তুষ্ট হয়ে গেল এবং বলল, আমরা কাজ করলাম বেশী আর পারিশ্রমিক পেলাম কম। আল্লাহ বলেন, আমি কি তোমার পাওনা থেকে কিছু যুলম বা কম করেছি? তারা উত্তরে বলল, না। তখন আল্লাহ বললেন, এ-ই হল আমার অনুগ্রহ, আমি যাকে ইচ্ছা, তা দান করে থাকি।
তখন নাসারারা এক কিরাতের বিনিময়ে দুপুর হতে আসর নামায পর্যন্ত কাজ করল। সে ব্যক্তি পুনরায় বলল, কে এমন আছে, যে দু’ দু’ কিরাতের বদলায় আসর নামায থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমার কাজ করে দেবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, দেখ, তোমরাই হলে সে সব লোক যারা আসর নামায হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দু’ দু’ কিরাতের বিনিময়ে কাজ করলে। দেখ, তোমাদের পারিশ্রমিক দিগুণ। এতে ইয়াহুদী ও নাসারারা অসন্তুষ্ট হয়ে গেল এবং বলল, আমরা কাজ করলাম বেশী আর পারিশ্রমিক পেলাম কম। আল্লাহ বলেন, আমি কি তোমার পাওনা থেকে কিছু যুলম বা কম করেছি? তারা উত্তরে বলল, না। তখন আল্লাহ বললেন, এ-ই হল আমার অনুগ্রহ, আমি যাকে ইচ্ছা, তা দান করে থাকি।
باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
3459 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " إِنَّمَا أَجَلُكُمْ فِي أَجَلِ مَنْ خَلاَ مِنَ الأُمَمِ، مَا بَيْنَ صَلاَةِ العَصْرِ إِلَى مَغْرِبِ الشَّمْسِ، وَإِنَّمَا مَثَلُكُمْ وَمَثَلُ اليَهُودِ، وَالنَّصَارَى، كَرَجُلٍ اسْتَعْمَلَ عُمَّالًا، فَقَالَ: مَنْ يَعْمَلُ لِي إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ، فَعَمِلَتِ اليَهُودُ إِلَى نِصْفِ النَّهَارِ عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ، ثُمَّ قَالَ: مَنْ يَعْمَلُ لِي مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ إِلَى صَلاَةِ العَصْرِ عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ، فَعَمِلَتِ النَّصَارَى مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ إِلَى صَلاَةِ العَصْرِ عَلَى قِيرَاطٍ قِيرَاطٍ، ثُمَّ قَالَ: مَنْ يَعْمَلُ لِي مِنْ صَلاَةِ العَصْرِ إِلَى مَغْرِبِ الشَّمْسِ عَلَى قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ، أَلاَ، فَأَنْتُمُ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ مِنْ صَلاَةِ العَصْرِ إِلَى مَغْرِبِ الشَّمْسِ، عَلَى قِيرَاطَيْنِ قِيرَاطَيْنِ، أَلاَ لَكُمُ الأَجْرُ مَرَّتَيْنِ، فَغَضِبَتِ اليَهُودُ، وَالنَّصَارَى، فَقَالُوا: نَحْنُ أَكْثَرُ عَمَلًا وَأَقَلُّ عَطَاءً، قَالَ اللَّهُ: هَلْ ظَلَمْتُكُمْ مِنْ حَقِّكُمْ شَيْئًا؟ قَالُوا: لاَ، قَالَ: فَإِنَّهُ فَضْلِي أُعْطِيهِ مَنْ شِئْتُ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৬০
২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
৩২১৪। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ধ্বংস করুক! সে কি জানে না যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ ইয়াহুদীদের উপর লা‘নত করুন। তাদের জন্য চর্বি হারাম করা হয়েছিল। তখন তারা তা গলিয়ে বিক্রি করতে লাগল। জাবির ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) নবী (ﷺ)- এর হাদীস বর্ণনায় ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।
باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
3460 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: قَاتَلَ اللَّهُ فُلاَنًا، أَلَمْ يَعْلَمْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَعَنَ اللَّهُ اليَهُودَ، حُرِّمَتْ عَلَيْهِمُ الشُّحُومُ فَجَمَّلُوهَا، فَبَاعُوهَا» تَابَعَهُ جَابِرٌ، وَأَبُو هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৬১
২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
৩২১৫। আবু আসিম যাহহাক ইবনে মাখলাদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, আমার কথা (অন্যদের নিকট) পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি এক আয়াতও হয়। আর বনী ইসরাঈলের ঘটনাবলী বর্ণনা কর। এতে কোন দোষ নেই। কিন্তু যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আমার উপর মিথ্যা আরোপ করল, সে যেন দোযখকেই তার ঠিকানা নির্ধারিত করে নিল।
باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
3461 - حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، أَخْبَرَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً، وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلاَ حَرَجَ، وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৬২
২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
৩২১৬। আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ইয়াহুদী ও নাসারারা (দাঁড়ি ও চুলে) রং লাগায় না বা খেযাব দেয় না। অতএব তোমরা (রং বা খেযাব লাগিয়ে) তাদের বিপরীত কাজ কর।
باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
3462 - حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: قَالَ أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ: إِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ اليَهُودَ، وَالنَّصَارَى لاَ يَصْبُغُونَ، فَخَالِفُوهُمْ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৬৩
২০৪৭. বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
৩২১৭। মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... হাসান (বসরী) (রাহঃ) বলেন, জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বসরার এক মসজিদে আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেন। সে দিন থেকে আমরা না হাদীস ভুলেছি না আশঙ্কা করেছি যে, জুনদুব (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী যুগে একজন লোক আঘাত পেয়েছিল তাতে কাতর হয়ে পড়েছিল। এরপর সে একটি ছুরি হাতে নিল এবং তা দিয়ে সে তার হাতটি কেটে ফেলল। ফলে রক্ত আর বন্ধ হল না। শেষ পর্যন্ত সে মারা গেল। মহান আল্লাহ বললেন, আমার বান্দাটি নিজেই প্রান দেয়ার ব্যাপারে আমার চেয়ে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করল (অর্থাৎ সে আত্মহত্যা করল)। কাজেই, আমি তার উপর জান্নাত হারাম করে দিলাম।
من باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
3463 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الحَسَنِ، حَدَّثَنَا جُنْدَبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، فِي هَذَا المَسْجِدِ، وَمَا نَسِينَا مُنْذُ حَدَّثَنَا، وَمَا نَخْشَى أَنْ يَكُونَ جُنْدُبٌ كَذَبَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلّى الله [ص:171] عليه وسلم: " كَانَ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ رَجُلٌ بِهِ جُرْحٌ، فَجَزِعَ، فَأَخَذَ سِكِّينًا فَحَزَّ بِهَا يَدَهُ، فَمَا رَقَأَ الدَّمُ حَتَّى مَاتَ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: بَادَرَنِي عَبْدِي بِنَفْسِهِ، حَرَّمْتُ عَلَيْهِ الجَنَّةَ "
[تعليق مصطفى البغا]
[تعليق مصطفى البغا]

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৬৪
বনী ইসরাইলের ঘটনাবলীর বিবরণ
বনী ইসরাঈলের একজন শ্বেতীরোগী, টাকওয়ালা ও অন্ধের বিবরণ সম্বলিত হাদীস
বনী ইসরাঈলের একজন শ্বেতীরোগী, টাকওয়ালা ও অন্ধের বিবরণ সম্বলিত হাদীস
৩২১৮ আহমদ ইবনে ইসহাক ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে তিন জন লোক ছিল। একজন শ্বেতীরোগী, একজন মাথায় টাকওয়ালা আর একজন অন্ধ। মহান আল্লাহ তাদেরকে পরীক্ষা করতে চাইলেন। কাজেই তিনি তাদের কাছে একজন ফিরিশতা পাঠালেন। ফিরিশতা প্রথমে শ্বেতী রোগীটির নিকট আসলেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কাছে কোন জিনিস বেশী প্রিয়? সে জবাব দিল, সুন্দর রং ও সুন্দর চামড়া।
কেননা, মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। ফিরিশতা তার শরীরের উপর হাত বুলিয়ে দিলেন। ফলে তার রোগ সেরে গেল। তাকে সুন্দর রং এবং সুন্দর চামড়া দান করা হল। তারপর ফিরিশতা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোন ধরনের সম্পদ তোমার কাছে বেশী প্রিয়? সে জবাব দিল, ‘উট’ অথবা সে বলল ‘গরু’। এ ব্যাপারে বর্ণনাকারীর সন্দেহ রয়েছে যে, শ্বেতরোগী না টাকওয়ালা দু’জনের একজন বলেছিল ‘উট’ আর অপরজন বলেছিল ‘গরু’। অতএব তাকে একটি দশ মাসের গর্ভবতী উটনী দেয়া হল। তখন ফিরিশতা বললেন, “এতে তোমার জন্য বরকত হোক।”
বর্ণনাকারী বলেন, ফিরিশতা টাকওয়ালার কাছে গেলেন এবং বললেন, তোমার কাছে কি জিনিস পছন্দনীয়? সে বলল, সুন্দর চুল এবং আমার থেকে যেন এ রোগ চলে যায়। মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। বর্ণনাকারী বলেন, ফিরিশতা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন এবং তৎক্ষণাৎ মাথার টাক চলে গেল। তাকে (তার মাথায়) সুন্দর চুল দেয়া হল। ফিরিশতা জিজ্ঞাসা করলেন, কোন সম্পদ তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে জবাব দিল, ‘গরু’। তারপর তাকে একটি গর্ভবতী গাভী দান করলেন এবং ফিরিশতা দুআ করলেন, “এতে তোমাকে বরকত দান করা হোক।”
তারপর ফিরিশতা অন্ধের নিকট আসলেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোন জিনিস তোমার কাছে বেশী প্রিয়? সে বলল, আল্লাহ যেন আমার চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দেন, যাতে আমি মানুষকে দেখতে পারি। নবী (ﷺ) বললেন, তখন ফিরিশতা তার চোখের উপর হাত বুলিয়ে দিলেন, তৎক্ষণাৎ আল্লাহ তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। ফিরিশতা জিজ্ঞাসা করলেন, কোন সম্পদ তোমার কাছে অধিক প্রিয়? সে জবাব দিল ‘ছাগল’। তখন তিনি তাকে একটি গর্ভবতী ছাগী দিলেন।
উপরে উল্লেখিত লোকদের পশুগুলো বাচ্চা দিল। ফলে একজনের উটে ময়দান ভরে গেল, অপরজনের গরুতে মাঠ পূর্ণ হয়ে গেল এবং আর একজনের ছাগলে উপত্যকা ভরে গেল।
এরপর ঐ ফিরিশতা তাঁর পূর্ববর্তী আকৃতি প্রকৃতি ধারণ করে শ্বেতরোগীর কাছে এসে বললেন, আমি একজন নিঃস্ব ব্যক্তি। আমার সফরের সকল (সম্বল) শেষ হয়ে গেছে। আজ আমার গন্তব্য স্থানে পৌছার আল্লাহ ছাড়া কোন উপায় নেই। আমি তোমার কাছে ঐ সত্তার নামে একটি উট চাচ্ছি, যিনি তোমাকে সুন্দর রং কোমল চামড়া এবং সম্পদ দান করেছেন। আমি এর উপর সাওয়ার হয়ে আমার গন্তব্যে পৌছাব। তখন লোকটি তাকে বলল, আমার উপর বহু দায় দায়িত্ব রয়েছে। (কাজেই আমার পক্ষে দান করা সম্ভব নয়) তখন ফিরিশতা তাকে বললেন, সম্ভবত আমি তোমাকে চিনি। তুমি কি এক সময় শ্বেতরোগী ছিলে না? মানুষ তোমাকে ঘৃণা করত। তুমি কি ফকীর ছিলে না? এরপর আল্লাহ তাআলা তোমাকে (প্রচুর সম্পদ) দান করেছেন। তখন সে বলল, আমি তো এ সম্পদ আমার পূর্বপুরুষ থেকে ওয়ারিশ সূত্রে পেয়েছি। ফিরিশতা বললেন, তুমি যদি মিথ্যাবাদী হও, তবে আল্লাহ তোমাকে সেরূপ করে দিন, যেমন তুমি ছিলে।
তারপর ফিরিশতা মাথায় টাকওয়ালার কাছে তাঁর সেই বেশভূষা ও আকৃতিতে গেলেন এবং তাকে ঠিক তদ্রূপই বললেন, যেরূপ তিনি শ্বেতী রোগীকে বলেছিলেন। এও তাকে ঠিক অনুরূপ জবাব দিল যেমন জবাব দিয়েছিল শ্বেতীরোগী। তখন ফিরিশতা বললেন, যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও, তবে আল্লাহ তোমাকে তেমন অবস্থায় করে দিন, যেমন তুমি ছিলে।
শেষে ফিরিশতা অন্ধ লোকটির কাছে তাঁর আকৃতিতে আসলেন এবং বললেন, আমি একজন নিঃস্ব লোক, মুসাফির মানুষ; আমার সফরের সকল সম্বল শেষ হয়ে গেছে। আজ বাড়ি পৌঁছার ব্যাপারে আল্লাহ ছাড়া কোন গতি নেই। তাই আমি তোমার কাছে সেই সত্তার নামে একটি ছাগী প্রার্থনা করছি যিনি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন আর আমি এ ছাগীটি নিয়ে আমার এ সফরে বাড়ি পৌছতে পারব। সে বলল, বাস্তবিকই আমি অন্ধ ছিলাম। আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমি ফকীর ছিলাম। আল্লাহ আমাকে ধনী করেছেন। এখন তুমি যা চাও নিয়ে যাও। আল্লাহর কসম। আল্লাহর ওয়াস্তে তুমি যা কিছু নিবে, তার জন্য আজ আমি তোমার নিকট কোন প্রশংসাই দাবী করব না। তখন ফিরিশতা বললেন, তোমার মাল তুমি রেখে দাও। তোমাদের তিন জনকে পরীক্ষা করা হল মাত্র। আল্লাহ তোমার উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তোমার সাথী দু’জনের উপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
কেননা, মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। ফিরিশতা তার শরীরের উপর হাত বুলিয়ে দিলেন। ফলে তার রোগ সেরে গেল। তাকে সুন্দর রং এবং সুন্দর চামড়া দান করা হল। তারপর ফিরিশতা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোন ধরনের সম্পদ তোমার কাছে বেশী প্রিয়? সে জবাব দিল, ‘উট’ অথবা সে বলল ‘গরু’। এ ব্যাপারে বর্ণনাকারীর সন্দেহ রয়েছে যে, শ্বেতরোগী না টাকওয়ালা দু’জনের একজন বলেছিল ‘উট’ আর অপরজন বলেছিল ‘গরু’। অতএব তাকে একটি দশ মাসের গর্ভবতী উটনী দেয়া হল। তখন ফিরিশতা বললেন, “এতে তোমার জন্য বরকত হোক।”
বর্ণনাকারী বলেন, ফিরিশতা টাকওয়ালার কাছে গেলেন এবং বললেন, তোমার কাছে কি জিনিস পছন্দনীয়? সে বলল, সুন্দর চুল এবং আমার থেকে যেন এ রোগ চলে যায়। মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। বর্ণনাকারী বলেন, ফিরিশতা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন এবং তৎক্ষণাৎ মাথার টাক চলে গেল। তাকে (তার মাথায়) সুন্দর চুল দেয়া হল। ফিরিশতা জিজ্ঞাসা করলেন, কোন সম্পদ তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে জবাব দিল, ‘গরু’। তারপর তাকে একটি গর্ভবতী গাভী দান করলেন এবং ফিরিশতা দুআ করলেন, “এতে তোমাকে বরকত দান করা হোক।”
তারপর ফিরিশতা অন্ধের নিকট আসলেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোন জিনিস তোমার কাছে বেশী প্রিয়? সে বলল, আল্লাহ যেন আমার চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দেন, যাতে আমি মানুষকে দেখতে পারি। নবী (ﷺ) বললেন, তখন ফিরিশতা তার চোখের উপর হাত বুলিয়ে দিলেন, তৎক্ষণাৎ আল্লাহ তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। ফিরিশতা জিজ্ঞাসা করলেন, কোন সম্পদ তোমার কাছে অধিক প্রিয়? সে জবাব দিল ‘ছাগল’। তখন তিনি তাকে একটি গর্ভবতী ছাগী দিলেন।
উপরে উল্লেখিত লোকদের পশুগুলো বাচ্চা দিল। ফলে একজনের উটে ময়দান ভরে গেল, অপরজনের গরুতে মাঠ পূর্ণ হয়ে গেল এবং আর একজনের ছাগলে উপত্যকা ভরে গেল।
এরপর ঐ ফিরিশতা তাঁর পূর্ববর্তী আকৃতি প্রকৃতি ধারণ করে শ্বেতরোগীর কাছে এসে বললেন, আমি একজন নিঃস্ব ব্যক্তি। আমার সফরের সকল (সম্বল) শেষ হয়ে গেছে। আজ আমার গন্তব্য স্থানে পৌছার আল্লাহ ছাড়া কোন উপায় নেই। আমি তোমার কাছে ঐ সত্তার নামে একটি উট চাচ্ছি, যিনি তোমাকে সুন্দর রং কোমল চামড়া এবং সম্পদ দান করেছেন। আমি এর উপর সাওয়ার হয়ে আমার গন্তব্যে পৌছাব। তখন লোকটি তাকে বলল, আমার উপর বহু দায় দায়িত্ব রয়েছে। (কাজেই আমার পক্ষে দান করা সম্ভব নয়) তখন ফিরিশতা তাকে বললেন, সম্ভবত আমি তোমাকে চিনি। তুমি কি এক সময় শ্বেতরোগী ছিলে না? মানুষ তোমাকে ঘৃণা করত। তুমি কি ফকীর ছিলে না? এরপর আল্লাহ তাআলা তোমাকে (প্রচুর সম্পদ) দান করেছেন। তখন সে বলল, আমি তো এ সম্পদ আমার পূর্বপুরুষ থেকে ওয়ারিশ সূত্রে পেয়েছি। ফিরিশতা বললেন, তুমি যদি মিথ্যাবাদী হও, তবে আল্লাহ তোমাকে সেরূপ করে দিন, যেমন তুমি ছিলে।
তারপর ফিরিশতা মাথায় টাকওয়ালার কাছে তাঁর সেই বেশভূষা ও আকৃতিতে গেলেন এবং তাকে ঠিক তদ্রূপই বললেন, যেরূপ তিনি শ্বেতী রোগীকে বলেছিলেন। এও তাকে ঠিক অনুরূপ জবাব দিল যেমন জবাব দিয়েছিল শ্বেতীরোগী। তখন ফিরিশতা বললেন, যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও, তবে আল্লাহ তোমাকে তেমন অবস্থায় করে দিন, যেমন তুমি ছিলে।
শেষে ফিরিশতা অন্ধ লোকটির কাছে তাঁর আকৃতিতে আসলেন এবং বললেন, আমি একজন নিঃস্ব লোক, মুসাফির মানুষ; আমার সফরের সকল সম্বল শেষ হয়ে গেছে। আজ বাড়ি পৌঁছার ব্যাপারে আল্লাহ ছাড়া কোন গতি নেই। তাই আমি তোমার কাছে সেই সত্তার নামে একটি ছাগী প্রার্থনা করছি যিনি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন আর আমি এ ছাগীটি নিয়ে আমার এ সফরে বাড়ি পৌছতে পারব। সে বলল, বাস্তবিকই আমি অন্ধ ছিলাম। আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমি ফকীর ছিলাম। আল্লাহ আমাকে ধনী করেছেন। এখন তুমি যা চাও নিয়ে যাও। আল্লাহর কসম। আল্লাহর ওয়াস্তে তুমি যা কিছু নিবে, তার জন্য আজ আমি তোমার নিকট কোন প্রশংসাই দাবী করব না। তখন ফিরিশতা বললেন, তোমার মাল তুমি রেখে দাও। তোমাদের তিন জনকে পরীক্ষা করা হল মাত্র। আল্লাহ তোমার উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তোমার সাথী দু’জনের উপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
من باب مَا ذُكِرَ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ
حَدِيثُ أَبْرَصَ وَأَعْمَى وَأَقْرَعَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ.
حَدِيثُ أَبْرَصَ وَأَعْمَى وَأَقْرَعَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ.
3464 - حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُ: أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ح وحَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، حَدَّثَهُ: أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " إِنَّ ثَلاَثَةً فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ: أَبْرَصَ وَأَقْرَعَ وَأَعْمَى، بَدَا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَبْتَلِيَهُمْ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مَلَكًا، فَأَتَى الأَبْرَصَ، فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: لَوْنٌ حَسَنٌ، وَجِلْدٌ حَسَنٌ، قَدْ قَذِرَنِي النَّاسُ، قَالَ: فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ عَنْهُ، فَأُعْطِيَ لَوْنًا حَسَنًا، وَجِلْدًا حَسَنًا، فَقَالَ: أَيُّ المَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: الإِبِلُ، - أَوْ قَالَ: البَقَرُ، هُوَ شَكَّ فِي ذَلِكَ: إِنَّ الأَبْرَصَ، وَالأَقْرَعَ، قَالَ أَحَدُهُمَا الإِبِلُ، وَقَالَ الآخَرُ: البَقَرُ -، فَأُعْطِيَ نَاقَةً عُشَرَاءَ، فَقَالَ: يُبَارَكُ لَكَ فِيهَا وَأَتَى الأَقْرَعَ فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ شَعَرٌ حَسَنٌ، وَيَذْهَبُ عَنِّي هَذَا، قَدْ قَذِرَنِي النَّاسُ، قَالَ: فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ وَأُعْطِيَ شَعَرًا حَسَنًا، قَالَ: فَأَيُّ المَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: البَقَرُ، قَالَ: فَأَعْطَاهُ بَقَرَةً حَامِلًا، وَقَالَ: يُبَارَكُ لَكَ فِيهَا، وَأَتَى الأَعْمَى فَقَالَ: أَيُّ شَيْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: يَرُدُّ اللَّهُ إِلَيَّ بَصَرِي، فَأُبْصِرُ بِهِ النَّاسَ، قَالَ: فَمَسَحَهُ فَرَدَّ اللَّهُ إِلَيْهِ بَصَرَهُ، قَالَ: فَأَيُّ المَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ الغَنَمُ: فَأَعْطَاهُ شَاةً وَالِدًا، فَأُنْتِجَ هَذَانِ وَوَلَّدَ هَذَا، فَكَانَ لِهَذَا وَادٍ مِنْ إِبِلٍ، وَلِهَذَا وَادٍ مِنْ بَقَرٍ، وَلِهَذَا وَادٍ مِنْ غَنَمٍ، ثُمَّ إِنَّهُ أَتَى الأَبْرَصَ فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِسْكِينٌ، تَقَطَّعَتْ بِيَ الحِبَالُ فِي سَفَرِي، فَلاَ بَلاَغَ اليَوْمَ إِلَّا بِاللَّهِ ثُمَّ بِكَ، أَسْأَلُكَ بِالَّذِي أَعْطَاكَ اللَّوْنَ الحَسَنَ، وَالجِلْدَ الحَسَنَ، وَالمَالَ، بَعِيرًا أَتَبَلَّغُ عَلَيْهِ فِي سَفَرِي، فَقَالَ [ص:172] لَهُ: إِنَّ الحُقُوقَ كَثِيرَةٌ، فَقَالَ لَهُ: كَأَنِّي أَعْرِفُكَ، أَلَمْ تَكُنْ أَبْرَصَ يَقْذَرُكَ النَّاسُ، فَقِيرًا فَأَعْطَاكَ اللَّهُ؟ فَقَالَ: لَقَدْ وَرِثْتُ لِكَابِرٍ عَنْ كَابِرٍ، فَقَالَ: إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ، وَأَتَى الأَقْرَعَ فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ، فَقَالَ لَهُ: مِثْلَ مَا قَالَ لِهَذَا، فَرَدَّ عَلَيْهِ مِثْلَ مَا رَدَّ عَلَيْهِ هَذَا، فَقَالَ: إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ، وَأَتَى الأَعْمَى فِي صُورَتِهِ، فَقَالَ: رَجُلٌ مِسْكِينٌ وَابْنُ سَبِيلٍ وَتَقَطَّعَتْ بِيَ الحِبَالُ فِي سَفَرِي، فَلاَ بَلاَغَ اليَوْمَ إِلَّا بِاللَّهِ ثُمَّ بِكَ، أَسْأَلُكَ بِالَّذِي رَدَّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ شَاةً أَتَبَلَّغُ بِهَا فِي سَفَرِي، فَقَالَ: قَدْ كُنْتُ أَعْمَى فَرَدَّ اللَّهُ بَصَرِي، وَفَقِيرًا فَقَدْ أَغْنَانِي، فَخُذْ مَا شِئْتَ، فَوَاللَّهِ لاَ أَجْهَدُكَ اليَوْمَ بِشَيْءٍ أَخَذْتَهُ لِلَّهِ، فَقَالَ أَمْسِكْ مَالَكَ، فَإِنَّمَا ابْتُلِيتُمْ، فَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْكَ، وَسَخِطَ عَلَى صَاحِبَيْكَ "