আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৮- নবীগণের আঃ আলোচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৩১৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪১৮
২০৩৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি দাউদকে ‘যাবুর’ দিয়েছি। (১৭ঃ ৫৫) الزُّبُرُ কিতাবসমূহ। তার একবচনে زَبُورٌ আর زَبَرْتُ আমি লিখেছি। আর আমি আমার পক্ষ থেকে দাউদকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিলাম। হে পর্বত! তার সাথে মিলে আমার তাসবীহ পাঠ কর। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, তার সাথে তাসবীহ পাঠ কর। سَابِغَاتٍ লৌহবর্মসমূহ। আর এ নির্দেশ আমি পাখিকেও দিয়েছিলাম। আমি তার জন্য লোহাকে নরম করে দিয়েছিলাম। তুমি লৌহবর্ম তৈরী করতে সঠিক পরিমাপের প্রতি লক্ষ রেখো। السَّرْدِ পেরেক ও কড়াসমূহ। পেরেক এমন ছোট করে তৈরী করো না যাতে তা ঢিলে হয়ে যায়। আর এত বড় করো না যাতে বর্ম ভেঙ্গে যায়। افرغ অর্থ অবতীর্ণ করা। بسطة বেশীও সমৃদ্ধ। (সূরা সাবাঃ ১০-১১)
৩১৭৮। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে জানানো হল যে, আমি বলছি, আল্লাহর কসম! আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন অবশ্যই আমি বিরামহীনভাবে দিনে রোযা পালন করবো আর রাতে ইবাদতে রত থাকবো। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, তুমিই কি বলেছো, ‘আল্লাহর কসম, আমি যতদিন বাঁচবো, ততদিন দিনে রোযা পালন করবো এবং রাতে ইবাদতে রত থাকবো। আমি আরয করলাম, আমিই তা বলেছি। তিনি বললেন, সেই শক্তি তোমার নেই। কাজেই রোযাও পালন কর, ইফতারও কর অর্থাৎ বিরতি দাও। রাতে ইবাদাতও কর এবং ঘুম যাও। আর প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন কর। কেননা প্রতিটি নেক কাজের কমপক্ষে দশগুণ সাওয়াব পাওয়া যায় আর এটা সারা বছর রোযা পালন করার সমান।
তখন আমি আরয করলাম। ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এর চেয়েও বেশী রোযা পালন করার ক্ষমতা রাখি। তখন তিনি বললেন, তাহলে তুমি একদিন রোযা পালন কর আর দু’দিন ইফতার কর অর্থাৎ বিরতি দাও। তখন আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এর চেয়েও অধিক পালন করার শক্তি রাখি। তখন তিনি বললেন, তাহলে একদিন রোযা পালন কর আর একদিন বিরতি দাও। এটা দাউদ (আলাইহিস সালাম)- এর রোযা পালনের পদ্ধতি। আর এটাই রোযা পালনের উত্তম পদ্ধতি। আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এর চেয়েও বেশী শক্তি রাখি। তিনি বললেন, এর চেয়ে অধিক কিছু নেই।
তখন আমি আরয করলাম। ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এর চেয়েও বেশী রোযা পালন করার ক্ষমতা রাখি। তখন তিনি বললেন, তাহলে তুমি একদিন রোযা পালন কর আর দু’দিন ইফতার কর অর্থাৎ বিরতি দাও। তখন আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এর চেয়েও অধিক পালন করার শক্তি রাখি। তখন তিনি বললেন, তাহলে একদিন রোযা পালন কর আর একদিন বিরতি দাও। এটা দাউদ (আলাইহিস সালাম)- এর রোযা পালনের পদ্ধতি। আর এটাই রোযা পালনের উত্তম পদ্ধতি। আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এর চেয়েও বেশী শক্তি রাখি। তিনি বললেন, এর চেয়ে অধিক কিছু নেই।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {وَآتَيْنَا دَاوُدَ زَبُورًا} الزُّبُرُ الْكُتُبُ، وَاحِدُهَا زَبُورٌ، زَبَرْتُ كَتَبْتُ. {وَلَقَدْ آتَيْنَا دَاوُدَ مِنَّا فَضْلاً يَا جِبَالُ أَوِّبِي مَعَهُ} قَالَ مُجَاهِدٌ سَبِّحِي مَعَهُ، {وَالطَّيْرَ وَأَلَنَّا لَهُ الْحَدِيدَ أَنِ اعْمَلْ سَابِغَاتٍ} الدُّرُوعَ، {وَقَدِّرْ فِي السَّرْدِ} الْمَسَامِيرِ وَالْحَلَقِ، وَلاَ يُدِقَّ الْمِسْمَارَ فَيَتَسَلْسَلَ، وَلاَ يُعَظِّمْ فَيَفْصِمَ، {وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
3418 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ المُسَيِّبِ، أَخْبَرَهُ وَأَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِّي أَقُولُ: وَاللَّهِ لَأَصُومَنَّ النَّهَارَ، وَلَأَقُومَنَّ اللَّيْلَ مَا عِشْتُ " فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْتَ الَّذِي تَقُولُ وَاللَّهِ لَأَصُومَنَّ النَّهَارَ وَلَأَقُومَنَّ اللَّيْلَ مَا عِشْتُ» قُلْتُ: قَدْ قُلْتُهُ قَالَ: «إِنَّكَ لاَ تَسْتَطِيعُ ذَلِكَ، فَصُمْ وَأَفْطِرْ، وَقُمْ وَنَمْ، وَصُمْ مِنَ الشَّهْرِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ، فَإِنَّ الحَسَنَةَ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا، وَذَلِكَ مِثْلُ صِيَامِ الدَّهْرِ» فَقُلْتُ: إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «فَصُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمَيْنِ» قَالَ: قُلْتُ: إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ، قَالَ: فَصُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمًا، وَذَلِكَ صِيَامُ دَاوُدَ وَهُوَ أَعْدَلُ الصِّيَامِ " قُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «لاَ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ»
হাদীস নং: ৩১৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪১৯
২০৩৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি দাউদকে ‘যাবুর’ দিয়েছি। (১৭ঃ ৫৫) الزُّبُرُ কিতাবসমূহ। তার একবচনে زَبُورٌ আর زَبَرْتُ আমি লিখেছি। আর আমি আমার পক্ষ থেকে দাউদকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিলাম। হে পর্বত! তার সাথে মিলে আমার তাসবীহ পাঠ কর। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, তার সাথে তাসবীহ পাঠ কর। سَابِغَاتٍ লৌহবর্মসমূহ। আর এ নির্দেশ আমি পাখিকেও দিয়েছিলাম। আমি তার জন্য লোহাকে নরম করে দিয়েছিলাম। তুমি লৌহবর্ম তৈরী করতে সঠিক পরিমাপের প্রতি লক্ষ রেখো। السَّرْدِ পেরেক ও কড়াসমূহ। পেরেক এমন ছোট করে তৈরী করো না যাতে তা ঢিলে হয়ে যায়। আর এত বড় করো না যাতে বর্ম ভেঙ্গে যায়। افرغ অর্থ অবতীর্ণ করা। بسطة বেশীও সমৃদ্ধ। (সূরা সাবাঃ ১০-১১)
৩১৭৯। খাল্লাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কি অবহিত হইনি যে, তুমি রাত ভর ইবাদাত কর এবং দিন ভর রোযা পালন কর! আমি বলললাম, হ্যাঁ। (খবর সত্য) তিনি বললেন, যদি তুমি এরূপ কর; তবে তোমার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাবে এবং দেহ অবসন্ন হয়ে যাবে। কাজেই প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন কর। তাহলে তা সারা বছরের রোযার সমতুল্য হয়ে যাবে। আমি বললাম, আমি আমার মধ্যে আরো বেশী পাই। মিসআর (রাহঃ) বলেন, এখানে শক্তি বুঝানো হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাহলে তুমি দাউদ (আলাইহিস সালাম)- এর পদ্ধতিতে রোযা পালন কর। তিনি একদিন রোযা পালন করতেন আর একদিন বিরত থাকতেন। আর শত্রুর সম্মুখীন হলে তিনি কখনও পলায়ন করতেন না।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {وَآتَيْنَا دَاوُدَ زَبُورًا} الزُّبُرُ الْكُتُبُ، وَاحِدُهَا زَبُورٌ، زَبَرْتُ كَتَبْتُ. {وَلَقَدْ آتَيْنَا دَاوُدَ مِنَّا فَضْلاً يَا جِبَالُ أَوِّبِي مَعَهُ} قَالَ مُجَاهِدٌ سَبِّحِي مَعَهُ، {وَالطَّيْرَ وَأَلَنَّا لَهُ الْحَدِيدَ أَنِ اعْمَلْ سَابِغَاتٍ} الدُّرُوعَ، {وَقَدِّرْ فِي السَّرْدِ} الْمَسَامِيرِ وَالْحَلَقِ، وَلاَ يُدِقَّ الْمِسْمَارَ فَيَتَسَلْسَلَ، وَلاَ يُعَظِّمْ فَيَفْصِمَ، {وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
3419 - حَدَّثَنَا خَلَّادُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي العَبَّاسِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ العَاصِ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَمْ أُنَبَّأْ أَنَّكَ تَقُومُ اللَّيْلَ وَتَصُومُ النَّهَارَ» فَقُلْتُ: نَعَمْ، فَقَالَ: «فَإِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ هَجَمَتِ العَيْنُ، وَنَفِهَتِ النَّفْسُ، صُمْ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ، فَذَلِكَ صَوْمُ الدَّهْرِ، أَوْ كَصَوْمِ الدَّهْرِ» قُلْتُ: إِنِّي أَجِدُ بِي، - قَالَ مِسْعَرٌ يَعْنِي قُوَّةً - قَالَ: «فَصُمْ صَوْمَ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ، وَكَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا، وَلاَ يَفِرُّ إِذَا لاَقَى»