আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৭- সৃষ্টি জগতের সূচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৩০৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৬৮
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পদাতিকগণ। এর একবচন رَاجِلٌ যেমন صَاحِبٍ এর বহুবচন صَحْبٍ আর تَاجِرٍ এর বহুবচনلأَحْتَنِكَنَّ , تَجْرٍ - অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৪০। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ)- কে যাদু করা হয়েছিল। লাঈস (রাহঃ) বলেন, আমার নিকট হিশাম পত্র লিখেন, তাতে লেখা ছিল যে, তিনি তাঁর পিতার সূত্রে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে হাদীস শুনেছেন এবং তা ভাল করে মুখস্ত করেছেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ)- কে যাদু করা হয়। এমনকি যাদুর প্রভাবে তার খেয়াল হতো যে, তিনি স্ত্রীগণের বিষয়ে কোন কাজ করে ফেলেছেন অথচ তিনি তা করেন নি। শেষ পর্যন্ত তিনি একদিন রোগ আরোগ্যের জন্য বারবার দু‘আ করলেন, এরপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি জান? আল্লাহ আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন, যাতে আমার রোগের আরোগ্য নিহিত আছে? আমার নিকট দু’জন লোক আসল। তাদের একজন মাথার কাছে বসল আর অপর জন আমার পায়ের কাছে বসল। এরপর একজন অপরজনকে জিজ্ঞাসা করল এ ব্যক্তির রোগটা কি? জিজ্ঞাসিত লোকটি জবাব দিল, তাকে যাদু করা হয়েছে।
প্রথম লোকটি বলল, তাকে যাদু কে করল? সে বলল, লবীদ ইবনে আ‘সাম। প্রথম ব্যক্তি বলল, কিসের দ্বারা (যাদু করল)? দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, তাকে যাদু করা হয়েছে, চিরুনি, সুতার তাগা এবং খেজুরের খোসায়। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, এগুলো কোথায় আছে? দ্বিতীয় ব্যক্তি জবাব দিল, যারওয়ান কূপে। তখন নবী (ﷺ) সেখানে গেলেন এবং ফিরে আসলেন, এরপর তিনি আয়িশা (রাযিঃ)- কে বললেন, কূপের কাছের খেজুর গাছগুলো যেন এক একটা শয়তানের মুণ্ড। তখন আমি (আয়িশা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি সেই যাদু করা জিনিসগুলো বের করতে পেরেছেন? তিনি বলেন, না। তবে আল্লাহ আমাকে আরোগ্য দিয়েছেন। আমার আশঙ্কা হয়েছিল এসব জিনিস বের করলে মানুষের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি হতে পারে। এরপর সেই কূপটি বন্ধ করে দেয়া হল।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {يُقْذَفُونَ} يُرْمَوْنَ. {دُحُورًا} مَطْرُودِينَ. {وَاصِبٌ} دَائِمٌ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {مَدْحُورًا} مَطْرُودًا يُقَالُ: {مَرِيدًا} مُتَمَرِّدًا. بَتَّكَهُ قَطَّعَهُ. {وَاسْتَفْزِزْ} اسْتَخِفَّ. {بِخَيْلِكَ} الْفُرْسَانُ. وَالرَّجْلُ الرَّجَّالَةُ وَاحِدُهَا رَاجِلٌ مِثْلُ صَاحِبٍ وَصَحْبٍ، وَتَاجِرٍ وَتَجْرٍ، {لأَحْتَنِكَنَّ} لأَسْتَأْصِلَنَّ. {قَرِينٌ} شَيْطَانٌ
3268 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: سُحِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ اللَّيْثُ: كَتَبَ إِلَيَّ هِشَامٌ أَنَّهُ سَمِعَهُ وَوَعَاهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشةَ قَالَتْ: سُحِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى كَانَ يُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهُ يَفْعَلُ الشَّيْءَ وَمَا يَفْعَلُهُ، حَتَّى كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ دَعَا وَدَعَا، ثُمَّ قَالَ: " أَشَعَرْتِ أَنَّ اللَّهَ أَفْتَانِي فِيمَا فِيهِ شِفَائِي، أَتَانِي رَجُلاَنِ: فَقَعَدَ أَحَدُهُمَا عِنْدَ رَأْسِي وَالآخَرُ عِنْدَ رِجْلَيَّ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِلْآخَرِ مَا وَجَعُ الرَّجُلِ؟ قَالَ: مَطْبُوبٌ، قَالَ: وَمَنْ طَبَّهُ؟ قَالَ لَبِيدُ بْنُ الأَعْصَمِ، قَالَ: فِيمَا ذَا، قَالَ: فِي مُشُطٍ وَمُشَاقَةٍ وَجُفِّ طَلْعَةٍ ذَكَرٍ، قَالَ فَأَيْنَ هُوَ؟ قَالَ: فِي بِئْرِ ذَرْوَانَ " فَخَرَجَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ لِعَائِشَةَ حِينَ رَجَعَ: «نَخْلُهَا كَأَنَّهُ رُءُوسُ الشَّيَاطِينِ» فَقُلْتُ اسْتَخْرَجْتَهُ؟ فَقَالَ: «لاَ، أَمَّا أَنَا فَقَدْ شَفَانِي اللَّهُ، وَخَشِيتُ أَنْ يُثِيرَ ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ شَرًّا» ثُمَّ دُفِنَتِ البِئْرُ
হাদীস নং: ৩০৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৬৯
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৪১। ইসমাঈল ইবনে আবী উআইস (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন নিদ্রা যায় তখন শয়তার তার মাথার শেষাংশে তিনটি করে গিরা দিয়ে দেয়। প্রত্যেক গিরার সময় এ কথা বলে কুমন্ত্রণা দেয় যে, এখনো রাত অধিক রয়ে গেছে, অতএব শুয়ে থাক। এরপর সে লোক যদি জেগে উঠে এবং আল্লাহকে স্মরণ করে তখন একটি গিরা খুলে যায়। (অলসতা দুর হয়) তারপর সে যদি উযু করে তবে দ্বিতীয় গিরাও খুলে যায় (এটা অপবিত্রতার গিরা)। আর যদি সে নামায আদায় করে তবে সব কয়টি গিরাই খুলে যায়। আর এ ব্যক্তি খুশির সাথে পবিত্র মনে ভোর উদযাপন করবে, অন্যথায় সে অপবিত্র মনে অলসতার সাথে ভোর উদযাপন করবে।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3269 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " يَعْقِدُ الشَّيْطَانُ عَلَى قَافِيَةِ رَأْسِ أَحَدِكُمْ إِذَا هُوَ نَامَ ثَلاَثَ عُقَدٍ، يَضْرِبُ كُلَّ عُقْدَةٍ مَكَانَهَا: عَلَيْكَ لَيْلٌ طَوِيلٌ فَارْقُدْ، فَإِنِ اسْتَيْقَظَ فَذَكَرَ اللَّهَ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ، فَإِنْ تَوَضَّأَ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ، فَإِنْ صَلَّى انْحَلَّتْ عُقَدُهُ كُلُّهَا، فَأَصْبَحَ نَشِيطًا طَيِّبَ النَّفْسِ، وَإِلَّا أَصْبَحَ خَبِيثَ النَّفْسِ كَسْلاَنَ "
হাদীস নং: ৩০৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭০
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৪২। উসমান ইবনে আবী শাঈবা (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ)- এর নিকট এমন এক ব্যক্তির সম্পর্কে উল্লেখ করা হল, যে সারা রাত এমনকি ভোর পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিল। তখন তিনি বললেন, সে এমন এক ব্যক্তি যার উভয় কানে অথবা তিনি বললেন, তার কানে শয়তান পেশাব করেছে।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3270 - حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: ذُكِرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ نَامَ لَيْلَهُ حَتَّى أَصْبَحَ، قَالَ: " ذَاكَ رَجُلٌ بَالَ الشَّيْطَانُ فِي أُذُنَيْهِ، أَوْ قَالَ: فِي أُذُنِهِ "
হাদীস নং: ৩০৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭১
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৪৩। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, দেখ, তোমাদের কেউ যখন তার স্ত্রীর নিকট আসে, আর তখন বলে, বিসমিল্লাহ। হে আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তানের প্রভাব হতে দুরে রাখ। আর আমাদেরকে যে সন্তান দান করবে তাকেও শয়তানের প্রভাব হতে বাঁচিয়ে রাখ। এরপর তাদেরকে যে সন্তান দান করা হবে তাকে শয়তান কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3271 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " أَمَا إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا أَتَى أَهْلَهُ، وَقَالَ: بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا، فَرُزِقَا وَلَدًا لَمْ يَضُرَّهُ الشَّيْطَانُ "
হাদীস নং: ৩০৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭২ - ৩২৭৩
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৪৪। মুহাম্মাদ (ইবনে সালাম) (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন সূর্যের এক কিনারা উদিত হবে, তখন তা পরিস্কারভাবে উদিত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা নামায আদায় করা বন্ধ রাখ। আবার যখন সূর্যের এক কিনারা অস্ত যাবে তখন তা সম্পূর্ণ অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত তোমরা নামায আদায় করা বন্ধ রাখ। আর তোমরা সূর্যোদয়ের সময়কে এবং সূর্যাস্তের সময়কে তোমাদের নামাযের জন্য নির্ধারিত করো না। কেননা, তা শয়তানের দু’শিং- এর মাঝখান দিয়ে উদিত হয়। বর্ণনাকারী বলেন, হিশাম (রাহঃ) কি ‘শয়তান’ বলেছেন না ‘আশ-শয়তান’ বলেছেন তা আমি জানি না।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا طَلَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَدَعُوا الصَّلاَةَ حَتَّى تَبْرُزَ، وَإِذَا غَابَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَدَعُوا الصَّلاَةَ حَتَّى تَغِيبَ ". " وَلاَ تَحَيَّنُوا بِصَلاَتِكُمْ طُلُوعَ الشَّمْسِ وَلاَ غُرُوبَهَا، فَإِنَّهَا تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ ". أَوِ الشَّيْطَانِ. لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَ هِشَامٌ.
হাদীস নং: ৩০৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭৪ - ৩২৭৫
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৪৫। আবু মা‘মার (রাহঃ) .... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নামায আদায়ের সময় তোমাদের কারো সম্মুখ দিয়ে যখন কেউ চলাচল করবে তখন সে তাকে অবশ্যই বাঁধা দিবে। সে যদি অমান্য করে তবে আবারো তাকে বাঁধা দিবে। এরপরও যদি সে অমান্য করে তবে অবশ্যই তার সাথে লড়াই করবে। কেননা সে শয়তান।
উসমান ইবনে হাইসাম (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে রমযানের যাকাত (সাদ্‌কায়ে ফিতরের) হেফাজতের দায়িত্ব প্রদান করলেন। এরপর আমার নিকট এক আগন্তুক আসল। সে তার দু’হাতের কোষ ভরে খাদ্যশস্য গ্রহণ করতে লাগল। তখন আমি তাকে ধরে ফেললাম এবং বললাম, আমি অবশ্যই তোমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট নিয়ে যাব। তখন সে একটি হাদীস উল্লেখ করল এবং বলল, যখন তুমি বিছানায় শুতে যাবে, তখন আয়াতুল কুরসী পড়বে। তাহলে সর্বদা আল্লাহর পক্ষ হতে তোমার জন্য একজন হেফাজতকারী থাকবে এবং ভোর হওয়া পর্যন্ত তোমার কাছে শয়তান আসতে পারবে না। তখন নবী (ﷺ) বললেন, সে তোমাকে সত্য বলেছে, অথচ সে মিথ্যাবাদী এবং শয়তান ছিল।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِذَا مَرَّ بَيْنَ يَدَىْ أَحَدِكُمْ شَىْءٌ وَهُوَ يُصَلِّي فَلْيَمْنَعْهُ، فَإِنْ أَبَى فَلْيَمْنَعْهُ، فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ، فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ ".
وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ حَدَّثَنَا عَوْفٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ وَكَّلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحِفْظِ زَكَاةِ رَمَضَانَ، فَأَتَانِي آتٍ، فَجَعَلَ يَحْثُو مِنَ الطَّعَامِ، فَأَخَذْتُهُ فَقُلْتُ لأَرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فَقَالَ إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الْكُرْسِيِّ لَنْ يَزَالَ عَلَيْكَ مِنَ اللَّهِ حَافِظٌ، وَلاَ يَقْرَبُكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " صَدَقَكَ وَهْوَ كَذُوبٌ، ذَاكَ شَيْطَانٌ ".
হাদীস নং: ৩০৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭৬
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৪৬। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কারো কাছে শয়তান আসতে পারে এবং সে বলতে পারে, এ বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? ঐ বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? এরূপ প্রশ্ন করতে করতে শেষ পর্যন্ত বলে বসবে, তোমার প্রতিপালককে কে সৃষ্টি করেছে? যখন বিষয়টি এ পর্যায়ে পৌঁছে যাবে তখন সে যেন অবশ্যই আল্লাহর কাছে পানাহ চায় এবং বিরত হয়ে যায়।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3276 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ فَيَقُولُ: مَنْ خَلَقَ كَذَا، مَنْ خَلَقَ كَذَا، حَتَّى يَقُولَ: مَنْ خَلَقَ رَبَّكَ؟ فَإِذَا بَلَغَهُ فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ وَلْيَنْتَهِ "
হাদীস নং: ৩০৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭৭
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৪৭। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন রমযান মাস আরম্ভ হয়, জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় আর শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3277 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي أَنَسٍ، مَوْلَى التَّيْمِيِّينَ أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِينُ»
হাদীস নং: ৩০৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭৮
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৪৮। হুমাইদী (রাহঃ) .... উবাই ইবনে কা‘ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছেন, মুসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর সঙ্গীকে বললেন, আমাদের সকালের খাবার নিয়ে আস। সে বলল, আপনি কি লক্ষ্য করেছেন? আমরা যখন পাথরটির কাছে বিশ্রাম করছিলাম, তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম, শয়তানই এর কথা বলতে আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল (১৮ঃ ৬২, ৬৩)। আল্লাহ তাআলা মুসা (আলাইহিস সালাম)- কে যে স্থানটি সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সে স্থানটি অতিক্রম করা পর্যন্ত তিনি কোন রূপ ক্লান্তি বোধ করেন নি।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3278 - حَدَّثَنَا الحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَمْرٌو، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ، فَقَالَ: حَدَّثَنَا أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " إِنَّ مُوسَى قَالَ لِفَتَاهُ: آتِنَا غَدَاءَنَا، (قَالَ أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ الحُوتَ وَمَا أَنْسَانِيهِ إِلَّا الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ) ، وَلَمْ يَجِدْ مُوسَى النَّصَبَ حَتَّى جَاوَزَ المَكَانَ الَّذِي أَمَرَ اللَّهُ بِهِ "
হাদীস নং: ৩০৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৭৯
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৪৯। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে দেখেছি, তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করে বলেছেন, সাবধান! ফিতনা এখানেই। সাবধান! ফিতনা এখানেই। যেখান হতে শয়তানের শিং উদিত হবে।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3279 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُشِيرُ إِلَى المَشْرِقِ فَقَالَ: «هَا إِنَّ الفِتْنَةَ هَا هُنَا، إِنَّ الفِتْنَةَ هَا هُنَا مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ»
হাদীস নং: ৩০৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮০
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৫০। ইয়াহয়া ইবনে জা‘ফর (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘সূর্যাস্তের পরপরই যখন রাত শুরু হয় অথবা বলেছেন, যখন রাতের অন্ধকার নেমে আসে তখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে ঘরে আটকে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর যখন রাতের কিছু অংশ চলে যাবে তখন তাদের ছেড়ে দিতে পার, আর তুমি তোমার ঘরের দরজা বন্ধ করে দাও এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। তোমাদের ঘরের বাতি নিভিয়ে দাও এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। তোমার পানি রাখার পাত্রের মুখ বন্ধ রাখ এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। তোমার বাসন পত্র ঢেকে রাখ এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। সামান্য কিছু হলেও তার উপর দিয়ে রেখে দাও।’
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3280 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " إِذَا اسْتَجْنَحَ اللَّيْلُ، أَوْ قَالَ: جُنْحُ اللَّيْلِ، فَكُفُّوا صِبْيَانَكُمْ [ص:124]، فَإِنَّ الشَّيَاطِينَ تَنْتَشِرُ حِينَئِذٍ، فَإِذَا ذَهَبَ سَاعَةٌ مِنَ العِشَاءِ فَخَلُّوهُمْ، وَأَغْلِقْ بَابَكَ وَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ، وَأَطْفِئْ مِصْبَاحَكَ وَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ، وَأَوْكِ سِقَاءَكَ وَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ، وَخَمِّرْ إِنَاءَكَ وَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ، وَلَوْ تَعْرُضُ عَلَيْهِ شَيْئًا "
হাদীস নং: ৩০৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮১
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৫১। মাহমুদ ইবনে গাইলান (রাহঃ) .... সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (মসজিদে নববীতে) ইতিকাফ অবস্থায় ছিলেন। আমি রাতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসলাম। এরপর তাঁর সাথে কিছু কথা বার্তা বললাম। তারপর আমি ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালাম। আর তাঁর (সাফিয়্যার) বাসস্থান ছিল উসামা ইবনে যায়দের বাড়ীতে। এ সময় দু’জন আনসারী সে স্থান দিয়ে অতিক্রম করল। তারা যখন নবী (ﷺ)- কে দেখল তখন তারা তাড়াতাড়ি চলে যেতে লাগল। তখন নবী (ﷺ) বললেন, তোমরা একটু অপেক্ষা কর। এ মহিলাটি (আমার স্ত্রী) সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই। তারা বললেন, সুবাহানাল্লাহ! ইয়া রাসূলাল্লাহ! (আমরা কি আপনার ব্যাপারে অন্যরূপ ধারণা করতে পারি?) তিনি বললেন, মানুষের শরীরে রক্তধারায় শয়তান প্রবাহমান থাকে। আমি আশঙ্কা করছিলাম, সে তোমাদের মনে কোন খারাপ ধারণা অথবা বললেন, অন্য কিছু সৃষ্টি করে না কি।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3281 - حَدَّثَنِي مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُعْتَكِفًا فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلًا، فَحَدَّثْتُهُ ثُمَّ قُمْتُ فَانْقَلَبْتُ، فَقَامَ مَعِي لِيَقْلِبَنِي، وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ، فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْرَعَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ» فَقَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ، وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا سُوءًا، أَوْ قَالَ: شَيْئًا "
হাদীস নং: ৩০৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮২
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৫২। আবদান (রাহঃ) .... সুলাইমান ইবনে সুরাদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)- এর সঙ্গে বসা ছিলাম। তখন দু’জন লোক পরস্পর গাল মন্দ করছিল। তাদের এক জনের চেহারা লাল হয়ে গিয়েছিল এবং তার রগগুলো ফুলে গিয়েছিল। তখন নবী (ﷺ) বললেন, আমি এমন একটি দু‘আ জানি, যদি এ লোকটি তা পড়ে তবে সে যে রাগ অনুভব করছে তা দুর হয়ে যাবে। (তিনি বললেন) সে যদি পড়ে “আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তান” আমি শয়তান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। তবে তার রাগ চলে যাবে। তখন তাকে বলল, নবী (ﷺ) বলেছেন, তুমি যেন আল্লাহর কাছে শয়তান হতে আশ্রয় চাও। সে বলল, আমি কি পাগল হয়েছি?
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3282 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ، قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجُلاَنِ يَسْتَبَّانِ، فَأَحَدُهُمَا احْمَرَّ وَجْهُهُ، وَانْتَفَخَتْ أَوْدَاجُهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي لَأَعْلَمُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا ذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ، لَوْ قَالَ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ، ذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ " فَقَالُوا لَهُ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: تَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَقَالَ: وَهَلْ بِي جُنُونٌ
হাদীস নং: ৩০৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮৩
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৫৩। আদম (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন তার স্ত্রীর নিকট গমন করে এবং বলে ‘‘হে আল্লাহ! আমাকে শয়তান হতে রক্ষা কর আর আমাকে এ দ্বারা যে সন্তান দিবে তাকেও শয়তানের প্রভাব হতে হেফাজত কর। তাহলে যদি তাদের কোন সন্তান জন্মায়, তবে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না, এবং তার উপর কোন কর্তৃত্বও চলবে না। আসমা (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রেওয়ায়াত করেছেন।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3283 - حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا أَتَى أَهْلَهُ قَالَ: جَنِّبْنِي الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنِي، فَإِنْ كَانَ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ لَمْ يَضُرَّهُ الشَّيْطَانُ، وَلَمْ يُسَلَّطْ عَلَيْهِ " قَالَ: وَحَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ مِثْلَهُ
হাদীস নং: ৩০৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮৪
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৫৪। মাহমুদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) নামায আদায় করলেন। তারপর বললেন, শয়তান আমার সামনে এসেছিল। সে আমার নামায নষ্ট করবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আল্লাহ আমাকে তার উপর কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা দিয়েছিলেন। তারপর পূর্ণাঙ্গ হাদীসটি উল্লেখ করেন।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3284 - حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ صَلَّى صَلاَةً، فَقَالَ «إِنَّ الشَّيْطَانَ عَرَضَ لِي، فَشَدَّ عَلَيَّ يَقْطَعُ الصَّلاَةَ عَلَيَّ فَأَمْكَنَنِي اللَّهُ مِنْهُ، فَذَكَرَهُ»
হাদীস নং: ৩০৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮৫
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৫৫। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, যখন নামাযের উদ্দেশ্যে আযান দেওয়া হয় তখন শয়তান (আযানের স্থান) স্বশব্দে বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালাতে থাকে। আযান শেষ হলে সামনে এগিয়ে আসে। আবার যখন (নামাযের জন্য) ইকামত দেওয়া হয় তখন আবার পালাতে থাকে। ইকামত শেষ হলে আবার সামনে আসে এবং মানুষের মনে খটকা সৃষ্টি করতে থাকে আর বলতে থাকে অমুক অমুক বিষয় মনে কর। এমনকি সে ব্যক্তি আর স্মরণ রাখতে পারে না যে, সে কি তিন রাক'আত পড়ল না চার রাক'আত পড়ল। এমন যদি কারো হয়ে যায়, সে মনে রাখতে পারে না কি তিন রাক'আত পড়েছে না চার রাক'আত? তবে সে যেন দু’টি সাহু সিজদা করে।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3285 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا نُودِيَ بِالصَّلاَةِ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ وَلَهُ ضُرَاطٌ، فَإِذَا قُضِيَ أَقْبَلَ، فَإِذَا ثُوِّبَ بِهَا أَدْبَرَ، فَإِذَا قُضِيَ أَقْبَلَ، حَتَّى يَخْطِرَ بَيْنَ الإِنْسَانِ وَقَلْبِهِ، فَيَقُولُ: اذْكُرْ كَذَا وَكَذَا، حَتَّى لاَ يَدْرِيَ أَثَلاَثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا، فَإِذَا لَمْ يَدْرِ ثَلاَثًا صَلَّى أَوْ أَرْبَعًا، سَجَدَ سَجْدَتَيِ [ص:125] السَّهْوِ "
হাদীস নং: ৩০৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮৬
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৫৬। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্মের সময় তার পার্শ্বদেশে শয়তান তার উভয় আঙ্গুল দ্বারা টোকা মারে। ঈসা ইবনে মারয়াম (আলাইহিস সালাম)- এর ব্যতিক্রম। সে তাঁকে টোকা মারতে গিয়েছিল। (কিন্তু ব্যর্থ হয়) তখন সে পর্দার উপর টোকা মারে।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3286 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «كُلُّ بَنِي آدَمَ يَطْعُنُ الشَّيْطَانُ فِي جَنْبَيْهِ بِإِصْبَعِهِ حِينَ يُولَدُ، غَيْرَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، ذَهَبَ يَطْعُنُ فَطَعَنَ فِي الحِجَابِ»
হাদীস নং: ৩০৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮৭
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৫৭। মালিক ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আলকামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গমন করলাম, লোকেরা বলল ইনি আবু দারদা (রাযিঃ)। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমাদের মাঝে কি সে লোক আছে যাকে নবী (ﷺ)- এর মৌখিক দু‘আয় আল্লাহ শয়তান থেকে রক্ষা করেছেন?’ অর্থাৎ আম্মার (রাযিঃ)।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3287 - حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنِ المُغِيرَةِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: قَدِمْتُ الشَّأْمَ، فَقُلْتُ: مَنْ هَا هُنَا؟ قَالُوا أَبُو الدَّرْدَاءِ، قَالَ: «أَفِيكُمُ الَّذِي أَجَارَهُ اللَّهُ مِنَ الشَّيْطَانِ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟» حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُغِيرَةَ، وَقَالَ: الَّذِي أَجَارَهُ اللَّهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْنِي عَمَّارًا
হাদীস নং: ৩০৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮৭ - ৩২৮৮
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৫৮। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) .... মুগীরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তার নবী (ﷺ)- এর মৌখিক দু‘আয় শয়তান থেকে রক্ষা করেছেন তিনি হলেন, আম্মার (রাযিঃ)।
লাঈস (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘ফিরিশতাগণ মেঘের মধ্যে এমন সব বিষয় আলোচনা করেন, যা পৃথিবীতে ঘটবে। তখন শয়তানেরা দু’ একটি কথা শূনে ফেলে এবং তা গণকদের কানে এমনভাবে ঢেলে দেয় যেমন বোতলে পানি ঢালা হয়। তখন তারা এ সত্য কথার সাথে শত প্রকারের মিথ্যা কথা বাড়িয়ে বলে।’
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3287 - حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنِ المُغِيرَةِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: قَدِمْتُ الشَّأْمَ، فَقُلْتُ: مَنْ هَا هُنَا؟ قَالُوا أَبُو الدَّرْدَاءِ، قَالَ: «أَفِيكُمُ الَّذِي أَجَارَهُ اللَّهُ مِنَ الشَّيْطَانِ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟» حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُغِيرَةَ، وَقَالَ: الَّذِي أَجَارَهُ اللَّهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْنِي عَمَّارًا

3288 - قَالَ: وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ أَخْبَرَهُ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " المَلاَئِكَةُ تَتَحَدَّثُ فِي العَنَانِ - وَالعَنَانُ: الغَمَامُ -، بِالأَمْرِ يَكُونُ فِي الأَرْضِ، فَتَسْمَعُ الشَّيَاطِينُ الكَلِمَةَ، فَتَقُرُّهَا فِي أُذُنِ الكَاهِنِ كَمَا تُقَرُّ القَارُورَةُ، فَيَزِيدُونَ مَعَهَا مِائَةَ كَذِبَةٍ "
হাদীস নং: ৩০৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৮৯
১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩০৫৯। আসিম ইবনে আলী (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। সুতরাং তোমাদের কারো যখন হাই আসবে তখন যথাসম্ভব তা দমন করবে। কেননা তোমাদের কেউ হাই তোলার সময় যখন ‘হা’ বলে, তখন শয়তান হাসতে থাকে।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ
3289 - حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ المَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " التَّثَاؤُبُ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَالَ: هَا، ضَحِكَ الشَّيْطَانُ "