আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৭- সৃষ্টি জগতের সূচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৭ টি

হাদীস নং: ২৯৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৩২০৭
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ। আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) নবী (ﷺ)- এর নিকট বললেন, ফিরিশতাকূলের মধ্যে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) ইয়াহুদীদের শত্রু।* আর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন لَنَحْنُ الصَّافُّونَ এই উক্তি ফিরিশতাদের।
*একথা বলার সময় আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা) ইয়াহুদী ছিলেন। এখানে তিনি শুধুমাত্র ইয়াহুদীদের ধারণাই ব্যক্ত করেছেন। কারণ ইয়াহুদীদের উপর সকল আযাবের সংবাদ জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)-ই নিয়ে এসেছেন। কাজেই তারা তাঁর সম্বন্ধে এ ধারণা পোষণ করত।
২৯৮০। হুদবা ইবনে খালিদ ও খলীফা (ইবনে খাইয়াত) (রাহঃ) .... মালিক ইবনে সা‘সা‘আ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, আমি কাবা ঘরের নিকট নিদ্রা ও জাগরণ-এ দু’ অবস্থার মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলাম। এরপর তিনি দু’ ব্যক্তির মাঝে অপর এক ব্যক্তি অর্থাৎ নিজের অবস্থা উল্লেখ করে বললেন, আমার নিকট স্বর্ণের একটি তশতরী নিয়ে আসা হল-যা হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ ছিল। তারপর আমার বুক থেকে পেটের নীচ পর্যন্ত বিদীর্ণ করা হল। এরপর আমার পেটে যমযমের পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলা হল।
তারপর তা হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ করা হল এবং আমার নিকট সাদা চতুষ্পদ জন্তু আনা হল, যা খচ্চর হতে ছোট আর গাধা থেকে বড় অর্থাৎ বুরাক। এরপর তাতে আরোহণ করে আমি জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) সহ চলতে চলতে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে গিয়ে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা হল, এ কে? উত্তরে বলা হল, জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে আর কে? উত্তর দেওয়া হল মুহাম্মাদ (ﷺ)। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল, তাঁকে ধন্যবাদ, তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম।
তারপর আমি আদম (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে গেলাম। তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, পুত্র ও নবী! তোমার প্রতি ধন্যবাদ। এরপর আমরা দ্বিতীয় আসমানে গেলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে আর কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ)। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ঈসা ও ইয়াহয়া (আলাইহিমুস সালাম)- এর নিকট আসলাম। তাঁরা উভয়ে বললেন, ভাই ও নবী! আপনার প্রতি ধন্যবাদ।
তারপর আমরা তৃতীয় আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ)। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ইউসুফ (আলাইহিস সালাম)- এর নিকট গেলাম। তাঁকে আমি সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী! আপনাকে ধন্যবাদ।
এরপর আমরা চতুর্থ আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ)। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ইদ্রিস (আলাইহিস সালাম)- এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী! আপনাকে ধন্যবাদ।
এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, প্রশ্ন করা হল আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ)। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমরা হারুন (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী! আপনাকে ধন্যবাদ।
তারপর আমরা ষষ্ঠ আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ)। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নবী আপনাকে ধন্যবাদ।
তারপর আমি যখন তাঁর কাছ দিয়ে অতিক্রম করলাম, তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁকে বলা হল, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, হে রব! এ ব্যক্তি যে আমার পর প্রেরিত, তাঁর উম্মত আমার উম্মতের চেয়ে অধিক পরিমাণে বেহেশতে যাবে। এরপর আমরা সপ্তম আকাশে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ)। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, হে পুত্র ও নবী! আপনাকে ধন্যবাদ।
এরপর বায়তুল মামুরকে আমার সামনে প্রকাশ করা হল। আমি জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)- কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, এটি বায়তুল মামুর। প্রতিদিন এখানে সত্তর হাজার ফিরিশতা নামায আদায় করেন। এরা এখান থেকে একবার বের হলে দ্বিতীয় বার ফিরে আসে না। এটাই তাদের শেষ প্রবেশ। তারপর আমাকে ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ দেখানো হল। দেখলাম, এর ফল যেন, হাজারা নামক স্থানের মটকার ন্যায়। আর তার পাতা যেন হাতীর কান। তার মূল দেশে চারটি ঝরনা প্রবাহিত। দু’টি অভ্যন্তরে আর দু’টি বাইরে। এ সম্পর্কে আমি জিবরাঈলকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, অভ্যন্তরে দু’টি জান্নাতে অবস্থিত। আর বাইরের দু’টির একটি হল (ইরাকের) ফুরাত আর অপরটি হল (মিশরের) নীল নদ।
তারপর আমার প্রতি পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়। আমি তা গ্রহণ করে মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে ফিরে এলাম। তিনি বললেন, কি করে এলেন? আমি বললাম, আমার প্রতি পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি আপনার চেয়ে মানুষ সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত আছি। আমি বনী ইসরাঈলের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছি আর আপনার উম্মত এত (নামায আদায়ে) সমর্থ হবে না। অতএব আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং তা কমানোর অনুরোধ করুন।
আমি ফিরে গেলাম এবং তাঁর নিকট আবেদন করলাম। তিনি নামায চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। পুনরায় অনুরূপ ঘটল। আর নামাযও ত্রিশ ওয়াক্ত করে দেওয়া হল। পুনরায় অনুরূপ ঘটলে তিনি নামায বিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আবার অনুরূপ হল। তিনি নামায কে দশ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপর আমি মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে আসলাম। তিনি পূর্বের ন্যায় বললেন, এবার আল্লাহ নামায কে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয করে দিলেন। আমি মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর নিকট আসলাম। তিনি বললেন, কি করে আসলেন? আমি বললাম, আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত ফরয করে দিয়েছেন।
এবারও তিনি পূর্বের ন্যায় বললেন, আমি বললাম, আমি তা মেনে নিয়েছি। তখন আওয়াজ এল, আমি আমার ফরয জারি করে দিয়েছি। আর আমার বান্দাদের থেকে হালকা করে দিয়েছে। আর আমি প্রতিটি পূণ্যের জন্য দশ গুণ সাওয়াব দিব।
আর বায়তুল মামুর সম্পর্কে হাম্মাম (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ وَقَالَ أَنَسٌ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ جِبْرِيلَ- عَلَيْهِ السَّلاَمُ- عَدُوُّ الْيَهُودِ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {لَنَحْنُ الصَّافُّونَ} الْمَلاَئِكَةُ
3207 - حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، ح وقَالَ لِي خَلِيفَةُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، وَهِشَامٌ، قَالاَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بَيْنَا أَنَا عِنْدَ البَيْتِ بَيْنَ النَّائِمِ، وَاليَقْظَانِ - وَذَكَرَ: يَعْنِي رَجُلًا بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ -، فَأُتِيتُ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ، مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا، فَشُقَّ مِنَ النَّحْرِ إِلَى مَرَاقِّ البَطْنِ، ثُمَّ غُسِلَ البَطْنُ بِمَاءِ زَمْزَمَ، ثُمَّ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا، وَأُتِيتُ بِدَابَّةٍ أَبْيَضَ، دُونَ البَغْلِ وَفَوْقَ الحِمَارِ: البُرَاقُ، فَانْطَلَقْتُ مَعَ جِبْرِيلَ حَتَّى أَتَيْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا، قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ جِبْرِيلُ: قِيلَ: مَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ، وَلَنِعْمَ المَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْتُ عَلَى آدَمَ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنَ ابْنٍ وَنَبِيٍّ، فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّانِيَةَ، قِيلَ مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: مَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، قِيلَ: أُرْسِلَ إِلَيْهِ، قَالَ: نَعَمْ، قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ، وَلَنِعْمَ المَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْتُ عَلَى عِيسَى، وَيَحْيَى فَقَالاَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّالِثَةَ [ص:110]، قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قِيلَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: مَنْ مَعَكَ؟ قِيلَ: مُحَمَّدٌ، قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ، وَلَنِعْمَ المَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْتُ عَلَى يُوسُفَ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ قَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الرَّابِعَةَ، قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: مَنْ مَعَكَ؟ قِيلَ مُحَمَّدٌ، قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قِيلَ: نَعَمْ، قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ المَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْتُ عَلَى إِدْرِيسَ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الخَامِسَةَ، قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قِيلَ: مُحَمَّدٌ، قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ المَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْنَا عَلَى هَارُونَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، فَأَتَيْنَا عَلَى السَّمَاءِ السَّادِسَةِ، قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قِيلَ جِبْرِيلُ، قِيلَ: مَنْ مَعَكَ؟ قِيلَ: مُحَمَّدٌ، قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ المَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، فَلَمَّا جَاوَزْتُ بَكَى، فَقِيلَ: مَا أَبْكَاكَ: قَالَ: يَا رَبِّ هَذَا الغُلاَمُ الَّذِي بُعِثَ بَعْدِي يَدْخُلُ الجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِهِ أَفْضَلُ مِمَّا يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِي، فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ السَّابِعَةَ، قِيلَ مَنْ هَذَا؟ قِيلَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ مَنْ مَعَكَ؟ قِيلَ: مُحَمَّدٌ، قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ، مَرْحَبًا بِهِ وَلَنِعْمَ المَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْتُ عَلَى إِبْرَاهِيمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنَ ابْنٍ وَنَبِيٍّ، فَرُفِعَ لِي البَيْتُ المَعْمُورُ، فَسَأَلْتُ جِبْرِيلَ، فَقَالَ: هَذَا البَيْتُ المَعْمُورُ يُصَلِّي فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ، إِذَا خَرَجُوا لَمْ يَعُودُوا إِلَيْهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ، وَرُفِعَتْ لِي سِدْرَةُ المُنْتَهَى، فَإِذَا نَبِقُهَا كَأَنَّهُ قِلاَلُ هَجَرَ وَوَرَقُهَا، كَأَنَّهُ آذَانُ الفُيُولِ فِي أَصْلِهَا أَرْبَعَةُ أَنْهَارٍ نَهْرَانِ بَاطِنَانِ، وَنَهْرَانِ ظَاهِرَانِ، فَسَأَلْتُ جِبْرِيلَ، فَقَالَ: أَمَّا البَاطِنَانِ: فَفِي الجَنَّةِ، وَأَمَّا الظَّاهِرَانِ: النِّيلُ وَالفُرَاتُ، ثُمَّ فُرِضَتْ عَلَيَّ خَمْسُونَ صَلاَةً، فَأَقْبَلْتُ حَتَّى جِئْتُ مُوسَى، فَقَالَ: مَا صَنَعْتَ؟ قُلْتُ: فُرِضَتْ عَلَيَّ خَمْسُونَ صَلاَةً، قَالَ: أَنَا أَعْلَمُ بِالنَّاسِ مِنْكَ، عَالَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَشَدَّ المُعَالَجَةِ، وَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ، فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ، فَسَلْهُ، فَرَجَعْتُ، فَسَأَلْتُهُ، فَجَعَلَهَا أَرْبَعِينَ، ثُمَّ مِثْلَهُ، ثُمَّ ثَلاَثِينَ، ثُمَّ مِثْلَهُ فَجَعَلَ عِشْرِينَ، ثُمَّ مِثْلَهُ فَجَعَلَ عَشْرًا، فَأَتَيْتُ مُوسَى، فَقَالَ: مِثْلَهُ، فَجَعَلَهَا خَمْسًا، فَأَتَيْتُ مُوسَى فَقَالَ: مَا صَنَعْتَ؟ قُلْتُ [ص:111]: جَعَلَهَا خَمْسًا، فَقَالَ مِثْلَهُ، قُلْتُ: سَلَّمْتُ بِخَيْرٍ، فَنُودِيَ إِنِّي قَدْ أَمْضَيْتُ فَرِيضَتِي، وَخَفَّفْتُ عَنْ عِبَادِي، وَأَجْزِي الحَسَنَةَ عَشْرًا، وَقَالَ هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي البَيْتِ المَعْمُورِ
হাদীস নং: ২৯৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৩২০৮
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৮১। হাসান ইবনে রাবী (রাহঃ) .... যায়দ ইবনে ওয়াহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, সত্যবাদীরূপে স্বীকৃত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, নিশ্চয়ই তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপকরণ নিজ নিজ মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত বীর্যরূপে অবস্থান করে, এরপর তা জমাট বাঁধা রক্তে পরিণত হয়। অনুরূপভাবে চল্লিশ দিন অবস্থান করে। এরপর তা গোশতপিণ্ডে পরিণত হয়ে (আগের ন্যায় চল্লিশ দিন) থাকে। এরপর আল্লাহ একজন ফিরিশতা প্রেরণ করেন। আর তাঁকে চারটি বিষয় নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁকে (ফিরিশতাকে) লিপিবদ্ধ করতে বলা হয়, তার আমল, তার রিযক, তার জীবনকাল এবং সে কি পাপী হবে না পূণ্যবান হবে। এরপর তার মধ্যে আত্মা ফুঁকে দেওয়া হয়। কাজেই তোমাদের কোন ব্যক্তি আমল করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, তার এবং জান্নাতের মাঝে মাত্র একহাত ব্যবধান থাকে, এমন সময় তার আমলনামা তার উপর অগ্রগামী হয়। তখন সে জাহান্নামবাসীর মত আমল করে আর একজন আমল করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, তার এবং জাহান্নামের মাঝে মাত্র একহাত ব্যবধান থাকে, এমন সময় তার আমলনামা তার উপর অগ্রগামী হয়। ফলে সে জান্নাতবাসীর মত আমল করে ।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3208 - حَدَّثَنَا الحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ الصَّادِقُ المَصْدُوقُ، قَالَ: " إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ خَلْقُهُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ يَبْعَثُ اللَّهُ مَلَكًا فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ، وَيُقَالُ لَهُ: اكْتُبْ عَمَلَهُ، وَرِزْقَهُ، وَأَجَلَهُ، وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ، ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ الرُّوحُ، فَإِنَّ الرَّجُلَ مِنْكُمْ لَيَعْمَلُ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجَنَّةِ إِلَّا ذِرَاعٌ، فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ كِتَابُهُ، فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ، وَيَعْمَلُ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّارِ إِلَّا ذِرَاعٌ، فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الكِتَابُ، فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الجَنَّةِ "
হাদীস নং: ২৯৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৩২০৯
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৮২। মুহাম্মাদ ইবনে সালাম (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন তখন তিনি জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)- কে ডেকে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালবাসেন, অতএব তুমিও তাকে ভালবাস। তখন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)- ও তাকে ভালবাসেন এবং জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, আল্লাহ অমুক বান্দাহকে ভালবাসেন। কাজেই তোমরা তাকে ভালবাস। তখন আকাশবাসী তাকে ভালবাসতে থাকে। এরপর পৃথিবীতেও তাকে গ্রহণ করার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3209 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا مَخْلَدٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَابَعَهُ أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " إِذَا أَحَبَّ اللَّهُ العَبْدَ نَادَى جِبْرِيلَ: إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ فُلاَنًا فَأَحْبِبْهُ، فَيُحِبُّهُ جِبْرِيلُ، فَيُنَادِي جِبْرِيلُ فِي أَهْلِ السَّمَاءِ: إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ فُلاَنًا فَأَحِبُّوهُ، فَيُحِبُّهُ أَهْلُ السَّمَاءِ، ثُمَّ يُوضَعُ لَهُ القَبُولُ فِي الأَرْضِ "
হাদীস নং: ২৯৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩২১০
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৮৩। মুহাম্মাদ (ইবনে ইয়াহয়া) (রাহঃ) .... নবী (ﷺ)- এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছেন যে, ফিরিশতাগণ মেঘমালার আড়ালে অবতরণ করেন এবং আকাশে (আল্লাহর) মীমাংসাকৃত বিধান আলোচনা করেন। তখন শয়তানেরা তা চুরি করে শোনার চেষ্টা করে এবং তার কিছু শোনেও ফেলে। এরপর তারা তা গণকের কাছে পৌঁছিয়ে দেয় এবং তারা তার সেই শোনা কথার সাথে নিজেদের পক্ষ থেকে আরো শত মিথ্যা মিলিয়ে (মানুষের কাছে) বলে থাকে।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3210 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " إِنَّ المَلاَئِكَةَ تَنْزِلُ فِي العَنَانِ: وَهُوَ السَّحَابُ، فَتَذْكُرُ الأَمْرَ قُضِيَ فِي السَّمَاءِ، فَتَسْتَرِقُ الشَّيَاطِينُ السَّمْعَ فَتَسْمَعُهُ، فَتُوحِيهِ إِلَى الكُهَّانِ، فَيَكْذِبُونَ مَعَهَا مِائَةَ كَذْبَةٍ مِنْ عِنْدِ أَنْفُسِهِمْ "
হাদীস নং: ২৯৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩২১১
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৮৪। আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘যখন জুমুআর দিন হয় তখন মসজিদের প্রতিটি দরজায় ফিরিশতা এসে দাঁড়িয়ে যায় এবং যে ব্যক্তি প্রথম মসজিদে প্রবেশ করে, তার নাম লিখে নেয়। তারপর পরবর্তীদের পর্যায়ক্রমে নাম। ইমাম যখন (মিম্বারে) বসে পড়ের তখন তারা এসব লিখিত পুস্তিকা বন্ধ করে দেন এবং তারা মসজিদে এসে যিক্‌র (খুতবা) শুনতে থাকেন।’
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3211 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَالأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:112]: «إِذَا كَانَ يَوْمُ الجُمُعَةِ، كَانَ عَلَى كُلِّ بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ المَسْجِدِ المَلاَئِكَةُ، يَكْتُبُونَ الأَوَّلَ فَالأَوَّلَ، فَإِذَا جَلَسَ الإِمَامُ طَوَوُا الصُّحُفَ، وَجَاءُوا يَسْتَمِعُونَ الذِّكْرَ»
হাদীস নং: ২৯৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩২১২
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৮৫। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা উমর (রাযিঃ) মসজিদে নববীতে আগমন করেন, তখন হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। (উমর (রাযিঃ) তাঁকে বাঁধা দিলেন) তখন তিনি বললেন, এখানে আপনার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি (রাসূলুল্লাহ ﷺ)- এর উপস্থিতিতেও আমি কবিতা আবৃত্তি করতাম। তারপর তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি; আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছেন যে, তুমি আমার পক্ষ থেকে জবাব দাও। ‘‘হে আল্লাহ! আপনি তাকে রুহুল কুদুস (জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) দ্বারা সাহায্য করুন।’’ তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ।*
* মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করতে হাস্‌সান ইবনে সাবিত (রাযিঃ)-এর প্রতি উমর (রাযিঃ) আপত্তি করাতে তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে সাক্ষী হিসাবে পেশ করলেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উপস্থিতিতেও মসজিদে কবিতা আবৃত্তি করেছেন।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3212 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، قَالَ: مَرَّ عُمَرُ فِي المَسْجِدِ وَحَسَّانُ يُنْشِدُ فَقَالَ: كُنْتُ أُنْشِدُ فِيهِ، وَفِيهِ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ، ثُمَّ التَفَتَ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ، فَقَالَ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ، أَسَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَجِبْ عَنِّي، اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ القُدُسِ؟» قَالَ: نَعَمْ
হাদীস নং: ২৯৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩২১৩
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৮৬। হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) .... বারা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) হাসসান (রাযিঃ)- কে বলেছেন, তুমি তাদের (কাফিরদের) কুৎসা বর্ণনা কর অথবা তাদের কুৎসার উত্তর দাও। তোমার সাথে (সাহায্যার্থে) জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আছেন।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3213 - حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ البَرَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحَسَّانَ: «اهْجُهُمْ - أَوْ هَاجِهِمْ وَجِبْرِيلُ مَعَكَ»
হাদীস নং: ২৯৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩২১৪
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৮৭। ইসহাক (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যেন বনু গানমের গলিতে উর্ধ্বে উত্থিত ধুলা স্বয়ং দেখতে পাচ্ছি, আর (রাবী) মুসা এতটুকু বাড়িয়ে বলেছেন, জিবরাঈলের বাহনের পদচালনা করান।*
* কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে হাস্‌সান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) কাফিরদের কুৎসা করতেন। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তাঁর দলবল নিয়ে তাঁকে সাহায্য করতেন। তখন তাঁদের পদচালনার কারণে যে ধূলি উর্ধ্বে উঠত আমি যেন তা বনু গানমের গলিতে স্বয়ং প্রত্যক্ষ করেছি।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3214 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: سَمِعْتُ حُمَيْدَ بْنَ هِلاَلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى غُبَارٍ سَاطِعٍ فِي سِكَّةِ بَنِي غَنْمٍ» زَادَ مُوسَى، مَوْكِبَ جِبْرِيلَ
হাদীস নং: ২৯৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩২১৫
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৮৮। ফারওয়াহ্ (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, হারিস ইবনে হিশাম (রাযিঃ) নবী (ﷺ)- কে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার নিকট ওহী কিরূপে আসে? তিনি বললেন, ‘এর সব ধরণের ওহী নিয়ে ফিরিশতা আসেন। কোন কোন সময় ঘন্টার আওয়াজের ন্যায় শব্দ করে (আসে) যখন ওহী আমার নিকট আসা শেষ হয়ে যায়, তখন তিনি যা বলেছেন আমি তা মুখস্ত করে ফেলি। আর এরূপ শব্দ করে ওহী আসাটা আমার নিকট কঠিন মনে হয়। কখনও কখনও ফিরিশতা আমার কাছে মানুষের আকৃতিতে আসেন এবং আমার সাথে কথা বলেন। তিনি যা বলেন আমি তা মুখস্ত করে নেই।’
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3215 - حَدَّثَنَا فَرْوَةُ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ الحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ يَأْتِيكَ الوَحْيُ؟ قَالَ: «كُلُّ ذَاكَ يَأْتِينِي المَلَكُ أَحْيَانًا فِي مِثْلِ صَلْصَلَةِ الجَرَسِ، فَيَفْصِمُ عَنِّي، وَقَدْ وَعَيْتُ مَا قَالَ، وَهُوَ أَشَدُّهُ عَلَيَّ، وَيَتَمَثَّلُ لِي المَلَكُ أَحْيَانًا رَجُلًا فَيُكَلِّمُنِي، فَأَعِي مَا يَقُولُ»
হাদীস নং: ২৯৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩২১৬
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৮৯। আদম (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কোন কিছু জোড়ায় জোড়ায় দান করবে, তাকে জান্নাতের তত্ত্বাবধায়কগণ ডাকতে থাকবে, হে অমুক ব্যক্তি! এদিকে আস! তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, সে তো এমন ব্যক্তি যার কোন ধ্বংস নেই। তখন নবী (ﷺ) বললেন, আমি আশা করি, তুমি তাদের একজন হবে।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3216 - حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، دَعَتْهُ خَزَنَةُ الجَنَّةِ، أَيْ فُلُ هَلُمَّ» فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: ذَاكَ الَّذِي لاَ تَوَى عَلَيْهِ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَرْجُو أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ»
হাদীস নং: ২৯৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৩২১৭
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৯০। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, একদা নবী (ﷺ) তাঁকে বললেন, হে আয়িশা! এই যে জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। তখন তিনি বললেন, তাঁর প্রতি সালাম, আল্লাহর রহমত এবং তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আপনি তো এমন কিছু দেখেন যা আমি দেখতে পাই না। একথা দ্বারা তিনি নবী (ﷺ)- কে উদ্দেশ্য করেছেন।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3217 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لَهَا: «يَا عَائِشَةُ هَذَا جِبْرِيلُ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ» ، فَقَالَتْ: وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، تَرَى مَا لاَ أَرَى، تُرِيدُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ২৯৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৩২১৮
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৯১। আবু নু‘আইম (রাহঃ) ও ইয়াহয়া ইবনে জাফর (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)- কে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি আমার নিকট যতবার আসেন তার চেয়ে বেশী আমার সাথে কেন দেখা করেন না? রাবী বলেন, তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ আর আমরা আপনার রবের নির্দেশ ব্যতীত আসতে পারি না। আমাদের সামনে এবং আমাদের পিছনে যা কিছু আছে সবই তাঁর নিয়ন্ত্রনে। (সূরা মারয়ামঃ ৬৪)
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3218 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ ذَرٍّ، قَالَ: ح حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عُمَرَ بْنِ ذَرٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِجِبْرِيلَ: «أَلاَ تَزُورُنَا أَكْثَرَ مِمَّا تَزُورُنَا؟» ، قَالَ: فَنَزَلَتْ: {وَمَا نَتَنَزَّلُ [ص:113] إِلَّا بِأَمْرِ رَبِّكَ لَهُ مَا بَيْنَ أَيْدِينَا وَمَا خَلْفَنَا} [مريم: 64] الآيَةَ
হাদীস নং: ২৯৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৩২১৯
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৯২। ইসমাঈল (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাকে এক আঞ্চলিক ভাষায় কুরআন পাঠ করে শুনিয়েছেন। কিন্তু আমি সর্বদা তাঁর নিকট অধিক ভাষায় পাঠ করে শোনাতে চাইতাম। অবশেষে তা সাতটি আঞ্চলিক ভাষায় সমাপ্ত হয়।*
*পবিত্র কুরআন সর্বপ্রথম শুধুমাত্র কুরায়শী ভাষায় অবতীর্ণ হয়। পরে নবী (ﷺ)-এর বাসনা অনুযায়ী আরবের সাতটি আঞ্চলিক ভাষায় অবতীর্ণ হয়। পরে যখন এতে অসুবিধা সৃষ্টি হয়; তখন একমাত্র কুরায়শী ভাষা রেখে বাকী সব আঞ্চলিক ভাষা রহিত করে দেয়া হয়।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3219 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَقْرَأَنِي جِبْرِيلُ عَلَى حَرْفٍ، فَلَمْ أَزَلْ أَسْتَزِيدُهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ»
হাদীস নং: ২৯৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২০
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৯৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা দানশীল ছিলেন আর রমযান মাসে যখন জিবরাঈল (আলাইহি সালাম) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন তখন তিনি আরো বেশী দানশীল হয়ে যেতেন। জিবরাঈল (আলাইহি সালাম) রমযানের প্রত্যেক রাতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে কুরআন পাঠ করে শোনাতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে যখন জিবরাঈল (আলাইহি সালাম) দেখা করতেন, তখন তিনি মানুষের কল্যাণে প্রেরিত বায়ুর চেয়েও অধিক দানশীল হতেন। আব্দুল্লাহ (রাহঃ) হতে বর্ণিত। মা‘মার (রাহঃ) এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন আর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এবং ফাতিমা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ এর স্থলেأَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ الْقُرْآنَ বর্ণনা করেছেন।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَجْوَدَ النَّاسِ، وَكَانَ أَجْوَدَ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ، وَكَانَ جِبْرِيلُ يَلْقَاهُ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ، فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ، فَلَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ أَجْوَدُ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ. وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ. وَرَوَى أَبُو هُرَيْرَةَ وَفَاطِمَةُ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ الْقُرْآنَ.
হাদীস নং: ২৯৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২১
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৯৪। কুতাইবা (রাহঃ) .... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, একবার উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) আসরের নামায কিছুটা দেরী করে আদায় করলেন। তখন তাঁকে উরওয়া (রাযিঃ) বললেন, একবার জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আসলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ইমাম হয়ে নামায আদায় করলেন। তা শুনে উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) বললেন, হে উরওয়া! কি বলছ, চিন্তা কর। উত্তরে তিনি বললেন, আমি বশীর ইবনে আবু মাসউদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, একবার জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আসলেন, এরপর তিনি আমার ইমামতি করলেন এবং তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করলাম। এরপর আমি তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করলাম। তারপরও আমি তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করলাম। তারপরও আমি তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করলাম। এ সময় তিনি তাঁর আঙ্গুলে পাঁচ ওয়াক্ত নামায গুণছিলেন।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3221 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ العَزِيزِ أَخَّرَ العَصْرَ شَيْئًا، فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ: أَمَا إِنَّ جِبْرِيلَ قَدْ نَزَلَ فَصَلَّى أَمَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ عُمَرُ اعْلَمْ مَا تَقُولُ يَا عُرْوَةُ قَالَ: سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «نَزَلَ جِبْرِيلُ فَأَمَّنِي، فَصَلَّيْتُ مَعَهُ، ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ، ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ، ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ، ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ» يَحْسُبُ بِأَصَابِعِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৯৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২২
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৯৫। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, একবার জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাকে বললেন, আপনার উম্মত থেকে যদি এমন ব্যক্তি মারা যায়, যে আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করে নাই, তবে সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে কিংবা তিনি বলেছেন, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। নবী (ﷺ) বললেন, যদিও সে যিনা করে এবং চুরি করে। জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেন, যদিও (সে যিনা করে ও চুরি করে তবুও)।*
* অর্থাৎ সে ব্যক্তি যদি তাওহীদের ওপর ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করে তবে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। তবে শাস্তির উপযোগী গুনাহ করে থাকলে তা মাফ না হওয়া পর্যন্ত শাস্তিভোগ করতে হবে। এরপর জান্নাতে যাবে।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3222 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَالَ لِي جِبْرِيلُ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِكَ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخَلَ الجَنَّةَ، أَوْ لَمْ يَدْخُلِ النَّارَ» ، قَالَ: وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ؟ قَالَ: «وَإِنْ»
হাদীস নং: ২৯৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২৩
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৯৬। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, ফিরিশতাগণ এক দলের পেছনে আর একদল আগমন করেন। একদল ফিরিশতা রাতে আসেন আর একদল ফিরিশতা দিনে আগমন করেন। তাঁরা ফজর ও আসর নামাযে একত্রিত হয়ে থাকেন। তারপর যারা তোমাদের কাছে রাত্রিযাপন করেছিল তারা আল্লাহর কাছে উর্ধ্বে চলে যান। তখন তিনি তাদেরকে মানুষের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। অথচ তিনি তাদের চেয়ে এ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী অবহিত আছেন। তখন তিনি বলেন, তোমরা আমার বান্দাদেরকে কি অবস্থায় ছেড়ে এসেছ? উত্তরে তারা বলেন, আমরা তাদের নামাযের অবস্থায় ছেড়ে এসেছি। আর আমরা তাদের কাছে নামাযের অবস্থাতেই পৌঁছেছিলাম।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
3223 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " المَلاَئِكَةُ يَتَعَاقَبُونَ مَلاَئِكَةٌ بِاللَّيْلِ، وَمَلاَئِكَةٌ بِالنَّهَارِ، وَيَجْتَمِعُونَ فِي صَلاَةِ الفَجْرِ، وَصَلاَةِ العَصْرِ، ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ الَّذِينَ بَاتُوا فِيكُمْ، فَيَسْأَلُهُمْ وَهُوَ أَعْلَمُ، فَيَقُولُ: كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادِي، فَيَقُولُونَ: تَرَكْنَاهُمْ يُصَلُّونَ، وَأَتَيْنَاهُمْ يُصَلُّونَ "