আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৭- সৃষ্টি জগতের সূচনা
হাদীস নং: ২৯৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২০
১৯৮৮. ফিরিশতার বিবরণ।
২৯৯৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা দানশীল ছিলেন আর রমযান মাসে যখন জিবরাঈল (আলাইহি সালাম) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন তখন তিনি আরো বেশী দানশীল হয়ে যেতেন। জিবরাঈল (আলাইহি সালাম) রমযানের প্রত্যেক রাতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে কুরআন পাঠ করে শোনাতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে যখন জিবরাঈল (আলাইহি সালাম) দেখা করতেন, তখন তিনি মানুষের কল্যাণে প্রেরিত বায়ুর চেয়েও অধিক দানশীল হতেন। আব্দুল্লাহ (রাহঃ) হতে বর্ণিত। মা‘মার (রাহঃ) এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন আর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এবং ফাতিমা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ এর স্থলেأَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ الْقُرْآنَ বর্ণনা করেছেন।
باب ذِكْرِ الْمَلاَئِكَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَجْوَدَ النَّاسِ، وَكَانَ أَجْوَدَ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ، وَكَانَ جِبْرِيلُ يَلْقَاهُ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ، فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ، فَلَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ أَجْوَدُ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ. وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ. وَرَوَى أَبُو هُرَيْرَةَ وَفَاطِمَةُ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ الْقُرْآنَ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রমজান মাস দানশীলতার মাস : দান-সদকা সর্বাবস্থাতেই উৎকৃষ্ট আমল, কিন্তু রমযানে তার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ার সকল মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমযান মাসে তাঁর দানের হস্ত আরো প্রসারিত হত।’ -সহীহ বুখারী,
