আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৮৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩১১৪
১৯৪৭. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর ও রাসূলের। (সূরা আনফাল ৮:৪১) তা বণ্টনের ইখতিয়ার রাসুলেরই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি বণ্টনকারী ও হেফাজতকারী আর আল্লাহ তাআলাই দিয়ে থাকেন
২৮৯৪। আবুল ওয়ালীদ (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের আনসারীর এক ব্যক্তির একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সে তার নাম মুহাম্মাদ রাখার ইচ্ছা করল। মনসুর (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীসে শুবা বলেন, সে আনসারী বলল, আমি তাকে আমার ঘাড়ে তুলে নিয়ে নবী (ﷺ)- এর কাছে এলাম। আর সুলাইমান (রাহঃ) হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে, তার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তখন সে তার নাম মুহাম্মাদ রাখার ইচ্ছা করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘তোমরা আমার নামে নাম রাখ। কিন্তু আমার কুনিয়াতের অনুরূপ কুনিয়াত রেখ না। আমাকে বণ্টনকারী করা হয়েছে। আমি তোমাদের মধ্যে বণ্টন করি।’ আর হুসাইন (রাহঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আমি বণ্টনকারীরূপে প্রেরিত হয়েছি। আমি তোমাদের মধ্যে বণ্টন করি।’ আর আমর (রাযিঃ) জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, সে ব্যক্তি তার সন্তানের নাম কাসিম রাখতে চেয়েছিল, তখন নবী (ﷺ) বলেন, ‘তোমরা আমার নামে নাম রাখ, আমার কুনিয়াতের অনুরূপ কুনিয়াত রেখ না।’
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ} [الأنفال: 41] " يَعْنِي: لِلرَّسُولِ قَسْمَ ذَلِكَ " قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَخَازِنٌ وَاللَّهُ يُعْطِي
3114 - حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، وَمَنْصُورٍ، وَقَتَادَةَ، سَمِعُوا سَالِمَ بْنَ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: وُلِدَ لِرَجُلٍ مِنَّا مِنَ الأَنْصَارِ غُلاَمٌ، فَأَرَادَ أَنْ يُسَمِّيَهُ مُحَمَّدًا، - قَالَ شُعْبَةُ فِي حَدِيثِ مَنْصُورٍ: إِنَّ الأَنْصَارِيَّ قَالَ: حَمَلْتُهُ عَلَى عُنُقِي، فَأَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِي حَدِيثِ سُلَيْمَانَ، وُلِدَ لَهُ غُلاَمٌ، فَأَرَادَ أَنْ يُسَمِّيَهُ مُحَمَّدًا -، قَالَ: «سَمُّوا بِاسْمِي، وَلاَ تَكَنَّوْا بِكُنْيَتِي، فَإِنِّي إِنَّمَا جُعِلْتُ قَاسِمًا أَقْسِمُ بَيْنَكُمْ» ، وَقَالَ حُصَيْنٌ: «بُعِثْتُ قَاسِمًا أَقْسِمُ بَيْنَكُمْ» ، قَالَ عَمْرٌو: أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ سَالِمًا، عَنْ جَابِرٍ، أَرَادَ أَنْ يُسَمِّيَهُ القَاسِمَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَمُّوا بِاسْمِي وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي»
হাদীস নং: ২৮৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩১১৫
১৯৪৭. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর ও রাসূলের। (সূরা আনফাল ৮:৪১) তা বণ্টনের ইখতিয়ার রাসুলেরই।
২৮৯৫। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে একজনের পুত্র সন্তান জন্ম হয়। সে তার নাম রাখল কাসিম। তখন আনসারগণ বললেন, আমরা তোমাকে আবুল কাসিম কুনিয়াত ব্যবহার করতে দিব না এবং এর দ্বারা তোমার চক্ষু শীতল করব না। সে ব্যক্তি নবী (ﷺ)- এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছে। আমি তার নাম রেখেছি কাসিম। তখন আনসারগণ বললেন, আমরা তোমাকে আবুল কাসিম কুনিয়াত ব্যবহার করতে দিব না এবং এর দ্বারা তোমার চক্ষু শীতল করব না। নবী (ﷺ) বললেন, ‘আনসারগণ ভালই করেছে। তোমরা আমার নামে রাখ, কিন্তু কুনিয়াত ব্যবহার কর না। কেননা, আমি তো কাসিম (বণ্টনকারী)।’
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ} [الأنفال: 41]
3115 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ قَالَ: وُلِدَ لِرَجُلٍ مِنَّا غُلاَمٌ فَسَمَّاهُ القَاسِمَ، فَقَالَتِ الأَنْصَارُ لاَ نَكْنِيكَ أَبَا القَاسِمِ، وَلاَ نُنْعِمُكَ عَيْنًا، فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:85] فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وُلِدَ لِي غُلاَمٌ، فَسَمَّيْتُهُ القَاسِمَ فَقَالَتِ الأَنْصَارُ: لاَ نَكْنِيكَ أَبَا القَاسِمِ، وَلاَ نُنْعِمُكَ عَيْنًا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَحْسَنَتِ الأَنْصَارُ، سَمُّوا بِاسْمِي وَلاَ تَكَنَّوْا بِكُنْيَتِي، فَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ»
হাদীস নং: ২৮৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩১১৬
১৯৪৭. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর ও রাসূলের। (সূরা আনফাল ৮:৪১) তা বণ্টনের ইখতিয়ার রাসুলেরই।
২৮৯৬। হিব্বান ইবনে মুসা (রাহঃ) .... মুআবিয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা যার মঙ্গল চান, তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করেন। আল্লাহই দানকারী আর আমি বণ্টনকারী। এ উম্মত সর্বদা তাদের প্রতিপক্ষের উপর বিজয়ী থাকবে, আল্লাহর আদেশ (কিয়ামত) আসা পর্যন্ত আর তারা থাকবে বিজয়ী।’
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ} [الأنفال: 41]
3116 - حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ، وَاللَّهُ المُعْطِي وَأَنَا القَاسِمُ، وَلاَ تَزَالُ هَذِهِ الأُمَّةُ ظَاهِرِينَ عَلَى مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ، وَهُمْ ظَاهِرُونَ»
হাদীস নং: ২৮৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১১৭
১৯৪৭. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর ও রাসূলের। (সূরা আনফাল ৮:৪১) তা বণ্টনের ইখতিয়ার রাসুলেরই।
২৮৯৭। মুহাম্মাদ ইবনে সিনান (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের দানও করি না এবং তোমাদের বঞ্চিতও করি না। আমি তো কেবল বণ্টনকারী, যেভাবে আদিষ্ট হই, সেভাবে ব্যয় করি।’
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ} [الأنفال: 41]
3117 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، حَدَّثَنَا هِلاَلٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا أُعْطِيكُمْ وَلاَ أَمْنَعُكُمْ، إِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ أَضَعُ حَيْثُ أُمِرْتُ»
হাদীস নং: ২৮৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩১১৮
১৯৪৭. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর ও রাসূলের। (সূরা আনফাল ৮:৪১) তা বণ্টনের ইখতিয়ার রাসুলেরই।
২৮৯৮। আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) .... খাওলাহ আনসারীয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি নবী (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি যে, কিছু লোক আল্লাহ প্রদত্ত সম্পদ অন্যায়ভাবে ব্যয় করে, কিয়ামতের দিন তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত।’
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ} [الأنفال: 41]
3118 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو الأَسْوَدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَيَّاشٍ وَاسْمُهُ نُعْمَانُ عَنْ خَوْلَةَ الأَنْصَارِيَّةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِنَّ رِجَالًا يَتَخَوَّضُونَ فِي مَالِ اللَّهِ بِغَيْرِ حَقٍّ، فَلَهُمُ النَّارُ يَوْمَ القِيَامَةِ»