আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪২- সাক্ষ্যপ্রদানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ২৪৯১
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৬৮
১৬৬১. অর্থ-সম্পদ ও হদ্দ এর (শরীআত নির্ধারিত দণ্ড সমূহ) এর বেলায় বিবাদীর কসম করা। নবী (ﷺ) বলেছেন,তোমার দু’জন সাক্ষী পেশ করতে হবে কিংবা তার (বিবাদীর) কসম করতে হবে। কুতায়বা (রাহঃ) বলেন, সুফিয়ান, ইবনে শুবরুমা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, আবু যিনাদ (রাহঃ) সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং বাদীর কসমের ব্যাপারে আমার সঙ্গে আলোচনা করলেন। আমি তাকে বললাম, আল্লাহ তাআলা বলেছেন : “...সাক্ষীদের মধ্যে যাদের উপর তোমরা রাজী, তাদের মধ্যে দু’জন পুরুষ সাক্ষী রাখবে, যদি দু’জন পুরুষ না থাকে, তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক, স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুল করলে, তাদের অপরজন স্মরণ করিয়ে দেবে...” (সূরা আল-বাক্বারা : ২:২৮২)। আমি বললাম, একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য আর বাদীর কসম যথেষ্ঠ হলে এক মহিলা অপর মহিলাকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার কী প্রয়োজন আছে? এই অপর মহিলাটির স্মরণ করাতে কী কাজ হবে?
২৪৯১। আবু নু’আইম (রাহঃ) .... ইবনে আবু মূলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) আমাকে লিখে জানিয়েছেন, নবী (ﷺ) ফায়াসালা দিয়েছেন যে, বিবাদীকে কসম করতে হবে।
بَابٌ: اليَمِينُ عَلَى المُدَّعَى عَلَيْهِ فِي الأَمْوَالِ وَالحُدُودِوَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «شَاهِدَاكَ أَوْ يَمِينُهُ» وَقَالَ قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا [ص:178] سُفْيَانُ، عَنْ ابْنِ شُبْرُمَةَ، كَلَّمَنِي أَبُو الزِّنَادِ فِي شَهَادَةِ الشَّاهِدِ وَيَمِينِ المُدَّعِي، فَقُلْتُ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: (وَاسْتَشْهِدُوا شَهِيدَيْنِ مِنْ رِجَالِكُمْ فَإِنْ لَمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ مِمَّنْ تَرْضَوْنَ مِنَ الشُّهَدَاءِ أَنْ تَضِلَّ إِحْدَاهُمَا فَتُذْكِرَ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى) ، قُلْتُ: «إِذَا كَانَ يُكْتَفَى بِشَهَادَةِ شَاهِدٍ وَيَمِينِ المُدَّعِي، فَمَا تَحْتَاجُ أَنْ تُذْكِرَ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى مَا كَانَ يَصْنَعُ بِذِكْرِ هَذِهِ الأُخْرَى»
2668 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ: كَتَبَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِاليَمِينِ عَلَى المُدَّعَى عَلَيْهِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪৯২
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৬৯
১৬৬২. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
২৪৯২। উসমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে এমন (মিথ্যা) কসম করে, যা দ্বারা মাল প্রাপ্ত হয়*। সে (কিয়ামতের দিন) আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাত করবে যে, আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট, তারপর আল্লাহ্ তাআলা উক্ত বর্ণনার সমর্থনে আয়াত নাযিল করেনঃ যারা আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে .... তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। (৩ঃ ৭৭) এরপর আশআস ইবনে কায়স (রাযিঃ) আমাদের কাছে বেরিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, আবু আব্দুর রহমান তোমাদের কি হাদীস শুনিয়েছেন? আমরা তার বর্ণিত হাদীসটি তাকে শোনালাম। তিনি বললেন, তিনি (ইবনে মাসউদ) ঠিকই বলেছেন। আমার ব্যাপারেই আয়াতটি নাযিল হয়েছে।
কিছু একটা নিয়ে আমার সাথে এক (ইয়াহুদী) ব্যক্তির বিবাদ ছিল। আমরা উভয়ে নবী (ﷺ) এর নিকট আমাদের বিবাদ উত্থাপন করলাম। তখন তিনি বললেন, তোমার দু'জন সাক্ষী পেশ করতে হবে অথবা তার (বিবাদীর) কসম করতে হবে।তখন আমি বললাম, তবে তো সে মিথ্যা কসম করতে কোন দ্বিধা করবে না। তখন নবী (ﷺ) বললেন, কেউ যদি এমন কসম করে, যার দ্বারা মাল প্রাপ্ত হয় এবং সে যদি উক্ত ব্যাপারে মিথ্যাবাদী হয়, তা হলে (কিয়ামতের দিন) সে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করবে এমন অবস্থায়, আল্লাহ তার উপরে অসন্তুষ্ট। এরপর আল্লাহ তাআলা এ বর্ণনার সমর্থনে আয়াত আয়াত নাযিল করেন। একথা বলে তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন।
*ইমাম আবূ হানীফা (র.)-এর মতে বাঁদীকে দু'জন সাক্ষী পেশ করতে হবে। এক সাক্ষী পেশ করে আরেক সাক্ষীর পরিবর্তে কসম করলে চলবে না। সে ক্ষেত্রে এবং বিবাদী কসম করলে এবং সে আলোকেই ফায়সালা হবে । এমতের ভিত্তি হলো আলোচ্য আয়াত।
কিছু একটা নিয়ে আমার সাথে এক (ইয়াহুদী) ব্যক্তির বিবাদ ছিল। আমরা উভয়ে নবী (ﷺ) এর নিকট আমাদের বিবাদ উত্থাপন করলাম। তখন তিনি বললেন, তোমার দু'জন সাক্ষী পেশ করতে হবে অথবা তার (বিবাদীর) কসম করতে হবে।তখন আমি বললাম, তবে তো সে মিথ্যা কসম করতে কোন দ্বিধা করবে না। তখন নবী (ﷺ) বললেন, কেউ যদি এমন কসম করে, যার দ্বারা মাল প্রাপ্ত হয় এবং সে যদি উক্ত ব্যাপারে মিথ্যাবাদী হয়, তা হলে (কিয়ামতের দিন) সে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করবে এমন অবস্থায়, আল্লাহ তার উপরে অসন্তুষ্ট। এরপর আল্লাহ তাআলা এ বর্ণনার সমর্থনে আয়াত আয়াত নাযিল করেন। একথা বলে তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন।
*ইমাম আবূ হানীফা (র.)-এর মতে বাঁদীকে দু'জন সাক্ষী পেশ করতে হবে। এক সাক্ষী পেশ করে আরেক সাক্ষীর পরিবর্তে কসম করলে চলবে না। সে ক্ষেত্রে এবং বিবাদী কসম করলে এবং সে আলোকেই ফায়সালা হবে । এমতের ভিত্তি হলো আলোচ্য আয়াত।
(بَابٌ (خال عن الترجمة
2669 - حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ يَسْتَحِقُّ بِهَا مَالًا لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ، ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ تَصْدِيقَ ذَلِكَ: {إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ} [آل عمران: 77] إِلَى {عَذَابٌ أَلِيمٌ} [آل عمران: 77] ، ثُمَّ إِنَّ الأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ خَرَجَ إِلَيْنَا، فَقَالَ مَا يُحَدِّثُكُمْ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَحَدَّثْنَاهُ بِمَا قَالَ: فَقَالَ صَدَقَ، لَفِيَّ أُنْزِلَتْ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ خُصُومَةٌ فِي شَيْءٍ، فَاخْتَصَمْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «شَاهِدَاكَ أَوْ يَمِينُهُ» فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّهُ إِذًا يَحْلِفُ وَلَا يُبَالِي، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ يَسْتَحِقُّ بِهَا مَالًا، وَهُوَ فِيهَا فَاجِرٌ لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ» ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَصْدِيقَ ذَلِكَ ثُمَّ اقْتَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ

তাহকীক: