আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪২- সাক্ষ্যপ্রদানের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৪৯২
আন্তর্জতিক নং: ২৬৬৯

পরিচ্ছেদঃ ১৬৬২. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ

২৪৯২। উসমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে এমন (মিথ্যা) কসম করে, যা দ্বারা মাল প্রাপ্ত হয়*। সে (কিয়ামতের দিন) আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাত করবে যে, আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট, তারপর আল্লাহ্ তাআলা উক্ত বর্ণনার সমর্থনে আয়াত নাযিল করেনঃ যারা আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে .... তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। (৩ঃ ৭৭) এরপর আশআস ইবনে কায়স (রাযিঃ) আমাদের কাছে বেরিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, আবু আব্দুর রহমান তোমাদের কি হাদীস শুনিয়েছেন? আমরা তার বর্ণিত হাদীসটি তাকে শোনালাম। তিনি বললেন, তিনি (ইবনে মাসউদ) ঠিকই বলেছেন। আমার ব্যাপারেই আয়াতটি নাযিল হয়েছে।
কিছু একটা নিয়ে আমার সাথে এক (ইয়াহুদী) ব্যক্তির বিবাদ ছিল। আমরা উভয়ে নবী (ﷺ) এর নিকট আমাদের বিবাদ উত্থাপন করলাম। তখন তিনি বললেন, তোমার দু'জন সাক্ষী পেশ করতে হবে অথবা তার (বিবাদীর) কসম করতে হবে।তখন আমি বললাম, তবে তো সে মিথ্যা কসম করতে কোন দ্বিধা করবে না। তখন নবী (ﷺ) বললেন, কেউ যদি এমন কসম করে, যার দ্বারা মাল প্রাপ্ত হয় এবং সে যদি উক্ত ব্যাপারে মিথ্যাবাদী হয়, তা হলে (কিয়ামতের দিন) সে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করবে এমন অবস্থায়, আল্লাহ তার উপরে অসন্তুষ্ট। এরপর আল্লাহ তাআলা এ বর্ণনার সমর্থনে আয়াত আয়াত নাযিল করেন। একথা বলে তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন।
*ইমাম আবূ হানীফা (র.)-এর মতে বাঁদীকে দু'জন সাক্ষী পেশ করতে হবে। এক সাক্ষী পেশ করে আরেক সাক্ষীর পরিবর্তে কসম করলে চলবে না। সে ক্ষেত্রে এবং বিবাদী কসম করলে এবং সে আলোকেই ফায়সালা হবে । এমতের ভিত্তি হলো আলোচ্য আয়াত।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন

সহীহ বুখারী - হাদীস নং ২৪৯২ | মুসলিম বাংলা