আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ৩৬৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৩৭
২১৫৯. নবী কারীম (ﷺ) কিভাবে তাঁর সাহাবীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করলেন। আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) বলেন, আমরা যখন মাদীনা এলাম তখন আমার ও সা‘দ ইবনে রাবী‘র মধ্যে নবী কারীম (ﷺ) ভ্রাতৃত্ব বন্ধন জুড়ে দেন এবং আবু জুহাইফাহ (রাযিঃ) বলেন, সালমান ও আবুদ দারদা (রাযিঃ)- এর মধ্যে নবী কারীম (ﷺ) ভ্রাতৃত্ব বন্ধন জুড়ে দিয়েছিলেন।
৩৬৫৩। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন নবী কারীম (ﷺ) তাঁর ও সা‘দ ইবনে রাবী আনসারী (রাযিঃ)- এর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করে দিলেন। সা‘দ (রাযিঃ) তাঁর সম্পত্তি ভাগ করে অর্ধেক সম্পত্তি এবং দু‘জন স্ত্রীর যে কোন একজন নিয়ে যাওয়ার জন্য আব্দুর রহমানকে অনুরোধ করলেন। তিনি উত্তরে বললেন, আল্লাহ আপনার পরিবারবর্গ ও ধন-সম্পদে বরকত দান করুন। আমাকে স্থানীয় বাজারের রাস্তাটি দেখিয়ে দিন।
তিনি (বাজারে গিয়ে ব্যাবসা আরম্ভ করলেন এবং) মুনাফা স্বরূপ কিছু ঘি ও পনীর লাভ করলেন। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে তার সাক্ষাত হল। তিনি তখন তার গায়ে ও কাপড়ে হলুদ রং এর চিহ্ন দেখতে পেয়ে বললেন, হে আব্দুর রহমান, ব্যাপার কি! তিনি বললেন, আমি একজন আনসারী মহিলাকে বিবাহ করেছি। নবী কারীম (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, তাকে কি পরিমাণ মোহর দিয়েছ? তিনি বললেন, তাকে নাওয়াত (খেজুর বিচি) পরিমাণ স্বর্ণ দিয়েছি। তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, একটি বকরী দিয়ে হলেও ওয়ালীমা করে নাও।
তিনি (বাজারে গিয়ে ব্যাবসা আরম্ভ করলেন এবং) মুনাফা স্বরূপ কিছু ঘি ও পনীর লাভ করলেন। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে তার সাক্ষাত হল। তিনি তখন তার গায়ে ও কাপড়ে হলুদ রং এর চিহ্ন দেখতে পেয়ে বললেন, হে আব্দুর রহমান, ব্যাপার কি! তিনি বললেন, আমি একজন আনসারী মহিলাকে বিবাহ করেছি। নবী কারীম (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, তাকে কি পরিমাণ মোহর দিয়েছ? তিনি বললেন, তাকে নাওয়াত (খেজুর বিচি) পরিমাণ স্বর্ণ দিয়েছি। তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, একটি বকরী দিয়ে হলেও ওয়ালীমা করে নাও।
باب كَيْفَ آخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ آخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنِي وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ. وَقَالَ أَبُو جُحَيْفَةَ آخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ سَلْمَانَ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ
3937 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَدِمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ المَدِينَةَ فَآخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ الرَّبِيعِ الأَنْصَارِيِّ فَعَرَضَ عَلَيْهِ أَنْ يُنَاصِفَهُ أَهْلَهُ وَمَالَهُ، فَقَالَ: عَبْدُ الرَّحْمَنِ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ دُلَّنِي عَلَى السُّوقِ، فَرَبِحَ شَيْئًا مِنْ أَقِطٍ وَسَمْنٍ، فَرَآهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَعْدَ أَيَّامٍ وَعَلَيْهِ وَضَرٌ مِنْ صُفْرَةٍ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَهْيَمْ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ؟» قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الأَنْصَارِ قَالَ: «فَمَا سُقْتَ فِيهَا؟» فَقَالَ: وَزْنَ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ»
হাদীস নং: ৩৬৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৩৮
২১৫৯. নবী কারীম (ﷺ) কিভাবে তাঁর সাহাবীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করলেন।
৩৬৫৪। হামীদ ইবনে উমর (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ)- এর নিকট নবী কারীম (ﷺ)- এর মাদীনায় আগমনের সংবাদ পৌছলে তিনি এসে তাঁকে কয়েকটি প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন, আমি আপনাকে তিনটি প্রশ্ন করছি। এগুলোর সঠিক উত্তর নবী (ﷺ) ব্যতীত অন্য কেউ জানে না। (১) কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত ও লক্ষণ কি? (২) জান্নাতবাসীদের সর্বপ্রথম আহার্য কি? (৩) কি কারণে সন্তান আকৃতিতে কখনও পিতার অনুরূপ কখনো বা মায়ের অনুরূপ হয়? নবী কারীম
(ﷺ) বললেন, এবিষয়গুলি সম্পর্কে এইমাত্র জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাকে জানিয়ে গেলেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) একথা শুনে বললেন, তিনিই ফিরিশতাদের মধ্যে ইয়াহুদীদের শত্রু। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, (১) কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার সর্বপ্রথম লক্ষণ হল লেলীহান আগুন যা মানুষকে পুর্বদিক থেকে পশ্চিম দিকে ধাওয়া করে নিয়ে যাবে এবং সবাইকে সমবেত করবে। (২) সর্বপ্রথম আহার্য যা জান্নাতবাসী ভক্ষণ করবে তা হল মাছের কলীজার অতিরিক্ত অংশ (৩) যদি নারীর আগে পুরুষের বীর্যপাত ঘটে তবে সন্তান পিতার অনুরূপ হয় আর যদি পুরুষের আগে নারীর বির্যপাত ঘটে তবে সন্তান মায়ের অনুরূপ হয়। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা‘বুদ নেই এবং নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসূল। ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়াহুদীগণ এমন একটি সম্প্রদায় যারা অন্যের কুৎসা রটনায় অত্যন্ত পটু। আমার ইসলাম গ্রহণ প্রকাশ হওয়ার পূর্বে আমার অবস্থা সম্পর্কে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। নবী কারীম (ﷺ) তাদেরকে ডাকলেন, তারা হাযির হল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম কেমন লোক?
তারা বলল, তিনি আমাদের মধ্যে সর্বোত্তম এবং সর্বোত্তম ব্যক্তির সন্তান। তিনি আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তির পুত্র। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, আচ্ছা বলত, যদি আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম ইসলাম গ্রহণ করে তবে কেমন হবে? তারা বলল, আল্লাহ তাকে একাজ থেকে রক্ষা করুন। নবী কারীম (ﷺ) আবার একথাটি বললেন, তারাও পূর্বরূপ উত্তর দিল। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম বেরিয়ে আসলেন, এবং বললেন, أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ইহা শুনে ইয়াহুদীগণ বলতে লাগল, সে আমাদের মধ্যে মন্দ লোক এবং মন্দ লোকের ছেলে। অতঃপর তারা তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে আরো অনেক কথাবার্তা বলল। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি ইহাই আশঙ্কা করেছিলাম।
(ﷺ) বললেন, এবিষয়গুলি সম্পর্কে এইমাত্র জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাকে জানিয়ে গেলেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) একথা শুনে বললেন, তিনিই ফিরিশতাদের মধ্যে ইয়াহুদীদের শত্রু। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, (১) কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার সর্বপ্রথম লক্ষণ হল লেলীহান আগুন যা মানুষকে পুর্বদিক থেকে পশ্চিম দিকে ধাওয়া করে নিয়ে যাবে এবং সবাইকে সমবেত করবে। (২) সর্বপ্রথম আহার্য যা জান্নাতবাসী ভক্ষণ করবে তা হল মাছের কলীজার অতিরিক্ত অংশ (৩) যদি নারীর আগে পুরুষের বীর্যপাত ঘটে তবে সন্তান পিতার অনুরূপ হয় আর যদি পুরুষের আগে নারীর বির্যপাত ঘটে তবে সন্তান মায়ের অনুরূপ হয়। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা‘বুদ নেই এবং নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসূল। ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়াহুদীগণ এমন একটি সম্প্রদায় যারা অন্যের কুৎসা রটনায় অত্যন্ত পটু। আমার ইসলাম গ্রহণ প্রকাশ হওয়ার পূর্বে আমার অবস্থা সম্পর্কে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। নবী কারীম (ﷺ) তাদেরকে ডাকলেন, তারা হাযির হল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম কেমন লোক?
তারা বলল, তিনি আমাদের মধ্যে সর্বোত্তম এবং সর্বোত্তম ব্যক্তির সন্তান। তিনি আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তির পুত্র। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, আচ্ছা বলত, যদি আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম ইসলাম গ্রহণ করে তবে কেমন হবে? তারা বলল, আল্লাহ তাকে একাজ থেকে রক্ষা করুন। নবী কারীম (ﷺ) আবার একথাটি বললেন, তারাও পূর্বরূপ উত্তর দিল। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম বেরিয়ে আসলেন, এবং বললেন, أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ইহা শুনে ইয়াহুদীগণ বলতে লাগল, সে আমাদের মধ্যে মন্দ লোক এবং মন্দ লোকের ছেলে। অতঃপর তারা তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে আরো অনেক কথাবার্তা বলল। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি ইহাই আশঙ্কা করেছিলাম।
باب كَيْفَ آخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ
3938 - حَدَّثَنِي حَامِدُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ بِشْرِ بْنِ المُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلاَمٍ، بَلَغَهُ مَقْدَمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ فَأَتَاهُ يَسْأَلُهُ عَنْ أَشْيَاءَ، فَقَالَ: إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ ثَلاَثٍ لاَ يَعْلَمُهُنَّ إِلَّا نَبِيٌّ، مَا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ؟، وَمَا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الجَنَّةِ؟، وَمَا بَالُ الوَلَدِ يَنْزِعُ إِلَى أَبِيهِ أَوْ إِلَى أُمِّهِ؟، قَالَ: «أَخْبَرَنِي بِهِ جِبْرِيلُ آنِفًا» قَالَ ابْنُ سَلاَمٍ: ذَاكَ عَدُوُّ اليَهُودِ مِنَ المَلاَئِكَةِ، قَالَ: «أَمَّا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ فَنَارٌ تَحْشُرُهُمْ مِنَ المَشْرِقِ إِلَى المَغْرِبِ، وَأَمَّا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الجَنَّةِ فَزِيَادَةُ كَبِدِ الحُوتِ، وَأَمَّا الوَلَدُ فَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَ المَرْأَةِ نَزَعَ الوَلَدَ، وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ المَرْأَةِ مَاءَ الرَّجُلِ نَزَعَتِ الوَلَدَ» قَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ، قَالَ [ص:70] يَا رَسُولَ اللَّهِ: إِنَّ اليَهُودَ قَوْمٌ بُهُتٌ فَاسْأَلْهُمْ عَنِّي، قَبْلَ أَنْ يَعْلَمُوا بِإِسْلاَمِي، فَجَاءَتِ اليَهُودُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّ رَجُلٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ فِيكُمْ؟» قَالُوا: خَيْرُنَا وَابْنُ خَيْرِنَا، وَأَفْضَلُنَا وَابْنُ أَفْضَلِنَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَسْلَمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ» قَالُوا: أَعَاذَهُ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ، «فَأَعَادَ عَلَيْهِمْ» ، فَقَالُوا: مِثْلَ ذَلِكَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ عَبْدُ اللَّهِ فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، قَالُوا: شَرُّنَا وَابْنُ شَرِّنَا، وَتَنَقَّصُوهُ، قَالَ: هَذَا كُنْتُ أَخَافُ يَا رَسُولَ اللَّهِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৩৯ - ৩৯৪০
২১৫৯. নবী কারীম (ﷺ) কিভাবে তাঁর সাহাবীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করলেন।
৩৬৫৫। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আব্দুর রহমান ইবনে মুত‘ঈম (রাযিঃ) বলেন, আমার ব্যবসায়ের একজন অংশীদার কিছু দিরহাম (রৌপ্য মুদ্রা) বাজারে নিয়ে বাকীতে বিক্রি করে। আমি বললাম, সুবাহানাল্লাহ। এরূপ ক্রয়-বিক্রয় কি জায়েয? তিনিও বললেন, সুবাহানাল্লাহ! আল্লাহর কসম, আমি ইহা খোলা বাজারে বিক্রি করেছি তাতে কেউ তো আপত্তি করেন নি। এরপর বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ)- কে জিজ্ঞাসা করলাম তিনি বললেন, নবী কারীম (ﷺ) যখন মাদীনায় আগমন করেন তখন আমরা এরূপ বাকীতে ক্রয়-বিক্রয় করতাম; তখন তিনি বললেন যদি নগদ হয় তবে তাতে কোন বাঁধা নেই। আর যদি ধারে হয় তবে জায়েয হবে না। তুমি যায়দ ইবনে আরকাম (রাযিঃ)- এর সাথে সাক্ষাত করে তাকে জিজ্ঞাসা করে নাও। কেননা তিনি আমাদের মধ্যে বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। এরপর আমি যায়দ ইবনে আরকামকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনিও অনুরূপ বললেন। সুফিয়ান (রাহঃ) রাবী হাদীসটি কখনও এরূপ বর্ণনা করেন নবী কারীম (ﷺ) যখন মাদীনায় আমাদের নিকট আসেন, তখন আমরা হজ্জের মৌসুম পর্যন্ত মেয়াদে বাকীতে ক্রয়-বিক্রয় করতাম।
باب كَيْفَ آخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ أَبَا الْمِنْهَالِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مُطْعِمٍ، قَالَ بَاعَ شَرِيكٌ لِي دَرَاهِمَ فِي السُّوقِ نَسِيئَةً فَقُلْتُ سُبْحَانَ اللَّهِ أَيَصْلُحُ هَذَا فَقَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ، وَاللَّهِ لَقَدْ بِعْتُهَا فِي السُّوقِ فَمَا عَابَهُ أَحَدٌ، فَسَأَلْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ فَقَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَتَبَايَعُ هَذَا الْبَيْعَ، فَقَالَ " مَا كَانَ يَدًا بِيَدٍ فَلَيْسَ بِهِ بَأْسٌ، وَمَا كَانَ نَسِيئَةً فَلاَ يَصْلُحُ ". وَالْقَ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ فَاسْأَلْهُ فَإِنَّهُ كَانَ أَعْظَمَنَا تِجَارَةً، فَسَأَلْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ فَقَالَ مِثْلَهُ. وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً فَقَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَنَحْنُ نَتَبَايَعُ، وَقَالَ نَسِيئَةً إِلَى الْمَوْسِمِ أَوِ الْحَجِّ.

তাহকীক: