আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৬৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৩৬
২১৫৮. নবী কারীম (ﷺ)- এর উক্তি, হে আল্লাহ! আমার সাহাবাদের হিজরতকে বহাল রাখুন এবং মক্কায় মৃত সাহাবীদের উদ্দেশ্যে শোক প্রকাশ
৩৬৫২। ইয়াহয়া ইবনে কায‘আ (রাহঃ) .... সা‘দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) বলেন, বিদায় হজ্জের বছর আমি মারাত্নক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর নিকটবর্তী হয়ে পড়ি তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে দেখতে আসেন। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার রোগ কি পর্যায়ে পৌছেছে তা আপনি দেখতে পাচ্ছেন। আমি একজন বিত্তবান লোক। আমার ওয়ারিশ হচ্ছে একটি মাত্র কন্যা। আমি আমার সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশ আল্লাহর রাস্তায় সাদ্‌কা করে দিব? তিনি বললেন না। আমি বললাম, তবে কি অর্ধেক? তিনি বললেন, হে সা‘দ এক-তৃতীয়াংশ দান কর। এ তৃতীয়াংশই অনেক বেশী। তুমি তোমার সন্তান-সন্ততিদেরকে বিত্তবান রেখে যাও ইহাই উত্তম, এর চাইতে যে, তুমি তাদেরকে নিঃস্ব রেখে গেলে তারা অন্যের নিকট হাত পেতে ভিক্ষা করে।
আহমদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে এ কথাগুলো বর্ণনা করেছেন। তুমি তোমার উত্তরাধিকারীদের সম্পদশালী রেখে যাবে আর তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যা ব্যয় করবে, আল্লাহ তাঁর প্রতিদান তোমাকে দেবে। তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে লোকমাটি তুলে দিবে এর প্রতিদানও আল্লাহ তোমাকে দেবে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লহ! আমি কি আমার সাথী সঙ্গীদের থেকে পিছনে পড়ে থাকব? তিনি বললেন, তুমি কখনই পিছনে পড়ে থাকবে না আর এ অবস্থায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তুমি যে কোন নেক আমল করবে তাহলে তোমার সম্মান ও মর্যাদা আরো বেড়ে যাবে। সম্ভবতঃ তুমি পিছনে থেকে যাবে এবং এর ফলে তোমার দ্বারা অনেক মানুষ উপকৃত এবং অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। হে আল্লাহ! আমার সাহাবীদের হিজরতকে অক্ষুণ্ণ রাখুন। তাদেরকে পশ্চাৎমুখি করে ফিরিয়ে নিবেন না। কিন্তু অভাবগ্রস্থ সা‘দ ইবনে খাওলার মক্কায় মৃত্যুর কারণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন। আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ও মুসা (রাহঃ) ইবরাহীম সূত্রে বর্ণনা করেছেন, أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ তোমার উত্তরাধিকারীদের রেখে যাওয়া ....।
بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ‘اللَّهُمَّ أَمْضِ لأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ’وَمَرْثِيَتِهِ لِمَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ
3936 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: عَادَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَجَّةِ الوَدَاعِ مِنْ مَرَضٍ أَشْفَيْتُ مِنْهُ عَلَى المَوْتِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بَلَغَ بِي مِنَ الوَجَعِ مَا تَرَى، وَأَنَا ذُو مَالٍ، وَلاَ يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَةٌ لِي وَاحِدَةٌ، أَفَأَتَصَدَّقُ [ص:69] بِثُلُثَيْ مَالِي؟ قَالَ: «لاَ» ، قَالَ: فَأَتَصَدَّقُ بِشَطْرِهِ؟ قَالَ: «الثُّلُثُ يَا سَعْدُ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَذَرَ ذُرِّيَّتَكَ أَغْنِيَاءَ، خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ وَلَسْتَ بِنَافِقٍ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ، إِلَّا آجَرَكَ اللَّهُ بِهَا حَتَّى اللُّقْمَةَ تَجْعَلُهَا فِي فِي امْرَأَتِكَ» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُخَلَّفُ بَعْدَ أَصْحَابِي؟ قَالَ: «إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ، فَتَعْمَلَ عَمَلًا تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلَّا ازْدَدْتَ بِهِ دَرَجَةً وَرِفْعَةً، وَلَعَلَّكَ تُخَلَّفُ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ، وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ، اللَّهُمَّ أَمْضِ لِأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ، وَلاَ تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ، لَكِنِ البَائِسُ سَعْدُ ابْنُ خَوْلَةَ» . يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُوُفِّيَ بِمَكَّةَ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، وَمُوسَى، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ