আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৪৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭১৭
২০৯২. যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ)- এর মর্যাদা। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তিনি নবী কারীম (ﷺ)- এর হাওয়ারী ছিলেন। (বিশেষ সাহায্যকারী) (কুরআন মাজীদে উল্লেখিত) হাওয়ারীকে তাদের কাপড় সাদা হওয়ার কারণে এই নামকরণ করা হয়েছে
৩৪৫০। খালিদ ইবনে মাখলাদ (রাহঃ) .... মারওয়ান ইবনে হাকাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উসমান (রাযিঃ) কঠিন নাকের পীড়ায় (নাক দিয়ে রক্তপাত) আক্রান্ত হলেন (একত্রিশ হিজরী) সনে যে সনকে নাকের পীড়ার সন বলা হয় এ কারণে তিনি ঐ বছর হজ্জ করতে পারলেন না এবং ওসিয়্যাত করলেন। ঐ সময় কুরাইশের এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বলল, আপনি কাউকে আপনার খলীফা মনোনীত করুন। উসমান (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, জনগণ কি একথা বলেছে? সে বললো, হ্যাঁ। উসমান (রাযিঃ) বললেন, বলতো কাকে (মনোনীত করব)?
রাবী বলেন তখন সে ব্যক্তি নীরব হয়ে গেল। তারপর অপর এক ব্যক্তি আসল, (রাবী বলেন) আমার ধারণা সে হারিস (ইবনে হাকাম মারওয়ানের ভাই) ছিল। সেও বলল, আপনি খলীফা মনোনীত করুন। উসমান (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, জনগণ কি চায়? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন কাকে? রাবী বলেন সে নীরব হয়ে গেল। উসমান (রাযিঃ) বললেন, সম্ভবতঃ তারা যুবাইর (রাযিঃ)- এর নাম প্রস্তাব করেছে। সে বলল, হ্যাঁ। উসমান (রাযিঃ) বললেন, ঐ সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমার জানামতে তিনিই সর্বোত্তম ব্যক্তি এবং নবী কারীম (ﷺ)- এর সর্বাধিক প্রিয়পাত্র ছিলেন।
باب مَنَاقِبُ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هُوَ حَوَارِيُّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسُمِّيَ الْحَوَارِيُّونَ لِبَيَاضِ ثِيَابِهِمْ
3717 - حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَرْوَانُ بْنُ الحَكَمِ، قَالَ: أَصَابَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ رُعَافٌ شَدِيدٌ سَنَةَ الرُّعَافِ، حَتَّى حَبَسَهُ عَنِ الحَجِّ، وَأَوْصَى، فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ قَالَ: اسْتَخْلِفْ، قَالَ: وَقَالُوهُ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: وَمَنْ؟ فَسَكَتَ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ آخَرُ - أَحْسِبُهُ الحَارِثَ -، فَقَالَ: اسْتَخْلِفْ، فَقَالَ عُثْمَانُ: وَقَالُوا؟ فَقَالَ: نَعَمْ، قَالَ: وَمَنْ هُوَ؟ فَسَكَتَ، قَالَ: فَلَعَلَّهُمْ قَالُوا الزُّبَيْرَ، قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ «إِنَّهُ لَخَيْرُهُمْ مَا عَلِمْتُ، وَإِنْ كَانَ لَأَحَبَّهُمْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭১৮
২০৯২. যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ)- এর মর্যাদা।
৩৪৫১। উবাইদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... মারওয়ান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উসমান (রাযিঃ)- এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলল, আপনি খলীফা মনোনীত করুন। তিনি বললেন, তা কি বলাবলী হচ্ছে? সে বলল, হ্যাঁ, তিনি হচ্ছেন যুবাইর (রাযিঃ)। এই শুনে তিনি বললেন, আল্লাহর কসম তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে যুবাইর (রাযিঃ) তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি। একথাটি তিনি তিনবার বললেন।
باب مَنَاقِبُ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ
3718 - حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، سَمِعْتُ مَرْوَانَ، كُنْتُ عِنْدَ عُثْمَانَ أَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ: اسْتَخْلِفْ، قَالَ: وَقِيلَ ذَاكَ؟ قَالَ: نَعَمْ، الزُّبَيْرُ، قَالَ: «أَمَا وَاللَّهِ إِنَّكُمْ لَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ خَيْرُكُمْ ثَلاَثًا»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৪৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭১৯
২০৯২. যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ)- এর মর্যাদা।
৩৪৫২। মালিক ইবনে ইসমঈল (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক নবীর হাওয়ারী (বিশেষ সাহায্যকারী) ছিলেন। আর আমার হাওয়ারী হলেন যুবাইর (রাযিঃ)।
باب مَنَاقِبُ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ
3719 - حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ هُوَ ابْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ المُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حَوَارِيًّا، وَإِنَّ حَوَارِيَّ الزُّبَيْرُ بْنُ العَوَّامِ»
হাদীস নং: ৩৪৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭২০
২০৯২. যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ)- এর মর্যাদা।
৩৪৫৩। আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়র (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন খন্দক যুদ্ধ চলাকালে আমি এবং উমর ইবনে আবু সালামা (স্বল্প বয়সের কারণে) মহিলাদের দলে চলছিলাম। হঠাৎ (আমার পিতা) যুবায়েরকে দেখতে পেলাম যে, তিনি অশ্বারোহণ করে বনী কুরায়যা গোত্রের দিকে দু‘বার অথবা তিনবার আসা যাওয়া করছেন। যখন ফিরে আসলাম তখন বললাম, হে আব্বা আমি আপনাকে (বনী কুরায়যার দিকে) কয়েকবার যাতায়াত করতে দেখেছি। তিনি বললেন, হে প্রিয় পুত্র, তুমি কি আমাকে দেখতে পেয়েছিলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন কে বনী কুরায়যা গোত্রের নিকট গিয়ে তাদের খবরা-খবর জেনে আসবে? তখন (সে কাজে) আমিই গিয়েছিলাম। (সংবাদ নিয়ে) যখন আমি ফিরে আসলাম তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার জন্য তাঁর মাতা-পিতাকে একত্র করে বললেন, আমার মাতা-পিতা তোমার জন্য কুরবান হোক।
باب مَنَاقِبُ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ
3720 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ: كُنْتُ يَوْمَ الأَحْزَابِ جُعِلْتُ أَنَا وَعُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ فِي النِّسَاءِ، فَنَظَرْتُ فَإِذَا أَنَا بِالزُّبَيْرِ، عَلَى فَرَسِهِ، يَخْتَلِفُ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، فَلَمَّا رَجَعْتُ قُلْتُ: يَا أَبَتِ رَأَيْتُكَ تَخْتَلِفُ؟ قَالَ: أَوَهَلْ رَأَيْتَنِي يَا بُنَيَّ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ يَأْتِ بَنِي قُرَيْظَةَ فَيَأْتِينِي [ص:22] بِخَبَرِهِمْ» . فَانْطَلَقْتُ، فَلَمَّا رَجَعْتُ جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَوَيْهِ فَقَالَ: «فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي»
হাদীস নং: ৩৪৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭২১
২০৯২. যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ)- এর মর্যাদা।
৩৪৫৪। আলী ইবনে হাফস (রাহঃ) .... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, ইয়ারমুক যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুজাহীদগণ যুবায়েরকে বললেন, আপনি কি আক্রমণ কঠোরতর করবেন না? তা হলে আমরাও আপনার সাথে (সর্বশক্তি নিয়) আক্রমণ করব। এবার তিনি ভীষণভাবে আক্রমণ করলেন। শত্রুরা তাঁর কাঁধে দু‘টি আঘাত করল। ক্ষতদ্বয়ের মধ্যে আরো একটি ক্ষতের চিহ্ন ছিল যা বদর যুদ্ধে হয়েছিল। উরওয়া (রাহঃ) বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন ঐ ক্ষতস্থানগুলিতে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়ে খেলা করতাম।
باب مَنَاقِبُ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ
3721 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ المُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَصْحَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالُوا لِلزُّبَيْرِ يَوْمَ اليَرْمُوكِ: «أَلاَ تَشُدُّ فَنَشُدَّ مَعَكَ، فَحَمَلَ عَلَيْهِمْ، فَضَرَبُوهُ ضَرْبَتَيْنِ عَلَى عَاتِقِهِ، بَيْنَهُمَا ضَرْبَةٌ ضُرِبَهَا يَوْمَ بَدْرٍ» قَالَ عُرْوَةُ: فَكُنْتُ أُدْخِلُ أَصَابِعِي فِي تِلْكَ الضَّرَبَاتِ أَلْعَبُ وَأَنَا صَغِيرٌ
tahqiq

তাহকীক: