আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৪৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০১
২০৮৮. আবুল হাসান আলী ইবনে আবু তালিব কুরাইশী হাশিমী (রাযিঃ)- এর মর্যাদা নবী কারীম (ﷺ) আলী (রাযিঃ)- কে বলেছেন, তুমি আমার ঘনিষ্ঠ আপনজন আমি তোমার একান্ত শ্রদ্ধাভাজন। উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ওফাত পর্যন্ত তার উপর সন্তুষ্ট ছিলেন
৩৪৩৬। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... সাহল ইবনে সা‘দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি আগামীকাল এমন এক ব্যক্তিকে পতাকা দিব যাঁর হাতে আল্লাহ্ বিজয় দান করবেন। রাবী বলেন, তারা এই আগ্রহ ভরে রাত্রি যাপন করলেন যে, কাকে ঐ পতাকা দেয়া হবে। যখন সকাল হল তখন সকলেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট গিয়ে হাযির হলেন। তাদের প্রত্যেকেই এ আশা পোষণ করছিলেন যে, পতাকা তাকে দেয়া হবে। তারপর তিনি বললেন, আলী ইবনে আবু তালিব কোথায়? তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি চক্ষু রোগে আক্রান্ত। তিনি বললেন, কাউকে পাঠিয়ে তাঁকে আমার কাছে নিয়ে এস।যখন তিনি এলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর দু’চোখে থুথু লাগিয়ে দিলেন এবং তাঁর জন্য দুআও করলেন।
এতে তিনি এমন সুস্থ হয়ে গেলেন যেন তাঁর চোখে কোন রোগই ছিলনা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে পতাকাটি দিলেন। আলী (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তারা যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের মত না হয়ে যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কি তাদের সাথে দুদ্ধ চালিয়ে যাব। তিনি বললেন, তুমি সোজা অগ্রসর হতে থাক এবং তাদের আঙ্গিনায় উপনীত হয়ে তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দাও। তাদের উপর আল্লাহর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তাবে তাও তাদেরকে জানিয়ে দাও। আল্লাহর কসম, তোমাদের দ্বারা যদি একটি মানুষও হিদায়াত প্রাপ্ত হয়, তা হবে তোমার জন্য লাল রঙ্গের উট প্রাপ্তির চেয়েও অধিক উত্তম।
باب مَنَاقِبُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الْقُرَشِيِّ الْهَاشِمِيِّ أَبِي الْحَسَنِ رضى الله عنه وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِيٍّ: ‘أَنْتَ مِنِّي وَأَنَا مِنْكَ’. وَقَالَ عُمَرُ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهْوَ عَنْهُ رَاضٍ
3701 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ» ، قَالَ: فَبَاتَ النَّاسُ يَدُوكُونَ لَيْلَتَهُمْ أَيُّهُمْ يُعْطَاهَا، فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ غَدَوْا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كُلُّهُمْ يَرْجُو أَنْ يُعْطَاهَا، فَقَالَ: «أَيْنَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ» . فَقَالُوا: يَشْتَكِي عَيْنَيْهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «فَأَرْسِلُوا إِلَيْهِ فَأْتُونِي بِهِ» . فَلَمَّا جَاءَ بَصَقَ فِي عَيْنَيْهِ وَدَعَا لَهُ، فَبَرَأَ حَتَّى كَأَنْ لَمْ يَكُنْ بِهِ وَجَعٌ، فَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُقَاتِلُهُمْ حَتَّى يَكُونُوا مِثْلَنَا؟ فَقَالَ: «انْفُذْ عَلَى رِسْلِكَ حَتَّى تَنْزِلَ بِسَاحَتِهِمْ، ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى الإِسْلاَمِ، وَأَخْبِرْهُمْ بِمَا يَجِبُ عَلَيْهِمْ مِنْ حَقِّ اللَّهِ فِيهِ، فَوَاللَّهِ لَأَنْ يَهْدِيَ اللَّهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا، خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَكَ حُمْرُ النَّعَمِ»
হাদীস নং: ৩৪৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০২
২০৮৮. আবুল হাসান আলী ইবনে আবু তালিব কুরাইশী হাশিমী (রাযিঃ)- এর মর্যাদা
৩৪৩৭। কুতায়বা (রাহঃ) .... সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে খায়বার যুদ্ধে যান নি। কেননা তাঁর চোখে অসুখ ছিল। এতে তিনি (মনে মনে) বললেন, আমি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে (জিহাদে) যাব না? তারপর তিনি বেরিয়ে পড়লেন এবং নবী কারীম (ﷺ)- এর সাথে মিলিত হলেন। যেদিন সকালে আল্লাহ বিজয় দান করলেন, তার পূর্ব রাত্রে (সন্ধ্যায়) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আগামীকাল সকালে আমি এমন এক ব্যক্তিকে পতাকা প্রদান করব, অথবা বলেছিলেন যে এমন এক ব্যক্তি ঝান্ডা গ্রহণ করবে যাঁকে আল্লাহ এবং তার রাসূল (ﷺ) ভালবাসেন, অথবা বলেছিলেন, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)- কে ভালবাসে। তাঁর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বিজয় দান করাবেন। তারপর আমরা দেখতে পেলাম তিনি হলেন আলী (রাযিঃ), অথচ আমরা তাঁর সম্পর্কে এমনটি আশা করি নি। তাই সকলেই বলে উঠলেন, এই যে আলী (রাযিঃ)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকেই (পতাকা) দিলেন এবং তাঁর মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা বিজয় দিলেন।
باب مَنَاقِبُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الْقُرَشِيِّ الْهَاشِمِيِّ أَبِي الْحَسَنِ رضى الله عنه
3702 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ، قَالَ: كَانَ عَلِيٌّ قَدْ تَخَلَّفَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خَيْبَرَ، وَكَانَ بِهِ رَمَدٌ، فَقَالَ: أَنَا أَتَخَلَّفُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَرَجَ عَلِيٌّ فَلَحِقَ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا كَانَ مَسَاءُ اللَّيْلَةِ الَّتِي فَتَحَهَا اللَّهُ فِي صَبَاحِهَا، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ، أَوْ لَيَأْخُذَنَّ الرَّايَةَ، غَدًا رَجُلًا يُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، أَوْ قَالَ: يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَيْهِ " فَإِذَا نَحْنُ بِعَلِيٍّ وَمَا نَرْجُوهُ، فَقَالُوا: هَذَا عَلِيٌّ فَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّايَةَ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ
হাদীস নং: ৩৪৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০৩
২০৮৮. আবুল হাসান আলী ইবনে আবু তালিব কুরাইশী হাশিমী (রাযিঃ)- এর মর্যাদা
৩৪৩৮। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) .... আবু হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি সাহল ইবনে সা‘দ (রাযিঃ)- এর খেদমতে হাযির হয়ে বললেন, মদীনার অমুক আমীর মিম্বারের নিকটে বসে আলী (রাযিঃ) সম্পর্কে অপ্রিয় কথা বলছে। তিনি বললেন, সে কি বলছে? সে বলল, সে তাকে আবু তুরাব (রাযিঃ) বলে উল্লেখ করছে। সাহল (রাযিঃ) (একথা শুনে) হেসে দিলেন এবং বললেন, আল্লাহর কসম, তাঁর এ নাম নবী কারীম (ﷺ)-ই রেখেছিলেন। এ নাম অপেক্ষা তাঁর নিকট অধিক প্রিয় আর কোন নাম ছিল না। আমি (নাম রাখার) ঘটনাটি জানার জন্য সাহল (রাযিঃ)- এর আগ্রহ প্রকাশ করলাম এবং তাকে বললাম, হে আবু আব্বাস, এটা কিভাবে হয়েছিল।
তিনি বললেন, (একদিন) আলী (রাযিঃ) ফাতিমা (রাযিঃ)- এর নিকট গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে মসজিদে শুয়ে রইলেন। (অল্পক্ষণ পর) নবী কারীম (ﷺ) এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার চাচাত ভাই (আলী) কোথায়? তিনি বললেন, মসজিদে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন। পরে তিনি তাঁকে এমন অবস্থায় পেলেন যে তাঁর চাঁদর পিঠ থেকে সরে গিয়েছে। তাঁর পিঠে ধূলা-বালি লেগে গেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর পিঠ থেকে ধুলা-বালি ঝাড়তে ঝাড়তে বলতে লাগলেন, উঠে বস হে আবু তুরাব। এ কথাটি তিনি দু’বার বলেছিলেন।
باب مَنَاقِبُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الْقُرَشِيِّ الْهَاشِمِيِّ أَبِي الْحَسَنِ رضى الله عنه
3703 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلًا، جَاءَ إِلَى سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، فَقَالَ: هَذَا فُلاَنٌ، لِأَمِيرِ المَدِينَةِ، يَدْعُو عَلِيًّا عِنْدَ المِنْبَرِ، قَالَ: فَيَقُولُ: مَاذَا؟ قَالَ: يَقُولُ لَهُ: أَبُو تُرَابٍ فَضَحِكَ، قَالَ: وَاللَّهِ مَا سَمَّاهُ إِلَّا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا كَانَ لَهُ اسْمٌ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْهُ، فَاسْتَطْعَمْتُ الحَدِيثَ سَهْلًا، وَقُلْتُ: يَا أَبَا عَبَّاسٍ كَيْفَ ذَلِكَ قَالَ: دَخَلَ عَلِيٌّ عَلَى فَاطِمَةَ ثُمَّ خَرَجَ فَاضْطَجَعَ فِي المَسْجِدِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيْنَ ابْنُ عَمِّكِ، قَالَتْ: فِي المَسْجِدِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ فَوَجَدَ رِدَاءَهُ قَدْ سَقَطَ عَنْ ظَهْرِهِ [ص:19]، وَخَلَصَ التُّرَابُ إِلَى ظَهْرِهِ، فَجَعَلَ يَمْسَحُ التُّرَابَ عَنْ ظَهْرِهِ " فَيَقُولُ: «اجْلِسْ يَا أَبَا تُرَابٍ مَرَّتَيْنِ»
হাদীস নং: ৩৪৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০৪
২০৮৮. আবুল হাসান আলী ইবনে আবু তালিব কুরাইশী হাশিমী (রাযিঃ)- এর মর্যাদা
৩৪৩৯। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) .... সা‘দ ইবনে উবাইদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইবনে উমর (রাযিঃ)- এর নিকট এসে উসমান (রাযিঃ)- এর সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করল। তিনি উসমান (রাযিঃ)- এর কতিপয় ভাল গুণ বর্ণনা করলেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) ঐ ব্যক্তিকে বললেন, মনে হয় এটা তোমার কাছে খারাপ লাগছে। সে বলল, হ্যাঁ। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ (তোমাকে) অপমানিত করুন! তারপর সে ব্যক্তি আলী (রাযিঃ)- এর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তিনি তাঁরও কতিপয় ভাল গুণ বর্ণনা করলেন এবং বললেন, ঐ দেখ তাঁর ঘরটি নবী কারীম (ﷺ)- এর ঘরগুলির মধ্যে অবস্থিত, এরপর তিনি বললেন, মনে হয় এসব কথা শুনতে তোমার খারাপ লাগছে। সে বলল, হ্যাঁ। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ তোমাকে লাঞ্ছিত করুন। যাও আমার বিরুদ্ধে তোমার শক্তি ব্যয় কর।
باب مَنَاقِبُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الْقُرَشِيِّ الْهَاشِمِيِّ أَبِي الْحَسَنِ رضى الله عنه
3704 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، قَالَ: " جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عُمَرَ فَسَأَلَهُ عَنْ عُثْمَانَ، فَذَكَرَ عَنْ مَحَاسِنِ عَمَلِهِ، قَالَ: لَعَلَّ ذَاكَ يَسُوءُكَ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: فَأَرْغَمَ اللَّهُ بِأَنْفِكَ، ثُمَّ سَأَلَهُ عَنْ عَلِيٍّ فَذَكَرَ مَحَاسِنَ عَمَلِهِ، قَالَ: هُوَ ذَاكَ بَيْتُهُ، أَوْسَطُ بُيُوتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: لَعَلَّ ذَاكَ يَسُوءُكَ؟ قَالَ: أَجَلْ، قَالَ: فَأَرْغَمَ اللَّهُ بِأَنْفِكَ انْطَلِقْ فَاجْهَدْ عَلَيَّ جَهْدَكَ "
হাদীস নং: ৩৪৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০৫
২০৮৮. আবুল হাসান আলী ইবনে আবু তালিব কুরাইশী হাশিমী (রাযিঃ)- এর মর্যাদা
৩৪৪০। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, ফাতিমা (রাযিঃ) যাঁতা চালানোর কষ্ট সম্পর্কে একদিন (আমার নিকট) অভিযোগ প্রকাশ করলেন। এরপর নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট কিছু সংখ্যক যুদ্ধবন্দী আসল। ফাতিমা (রাযিঃ) (এক জন গোলাম পাওয়ার আশা নিয়ে) নবী কারীম (ﷺ)- এর খেদমতে গেলেন। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে, আয়েশা (রাযিঃ)- এর কাছে তাঁর কথা বলে আসলেন। নবী কারীম (ﷺ) যখন ঘরে আসলেন তখন ফাতিমা (রাযিঃ)- এর আগমন ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আয়েশা (রাযিঃ) তাঁকে অবহিত করলেন। (আলী (রাযিঃ) বলেন) নবী কারীম (ﷺ) আমাদের এখানে আসলেন, যখন আমরা বিছানায় শুয়ে পড়েছিলাম। তাঁকে দেখে আমি উঠে বসতে চাইলাম। কিন্তু তিনি বললেন, তোমরা নিজ নিজ অবস্থায় থাক এবং তিনি আমাদের মাঝখানে এমনভাবে বসে পড়লেন যে আমি তাঁর পদদ্বয়ের শীতলতা আমার বক্ষে অনুভব করলাম। তিনি বললেন, আমি কি তোমরা যা চেয়েছিলে তার চেয়েও উত্তম জিনিস শিক্ষা দিবনা? (তা হল) তোমরা যখন ঘুমানোর উদ্দেশ্যে বিছানায় যাবে তখন চৌত্রিশ বার “আল্লাহু আকবার” তেত্রিশবার “সুবহানাল্লাহ” তেত্রিশবার “আল্ হামদুলিল্লাহ” পড়ে নিবে। এটা খাদিম (যা তোমরা চেয়েছিলে) অপেক্ষা অনেক উত্তম।
باب مَنَاقِبُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الْقُرَشِيِّ الْهَاشِمِيِّ أَبِي الْحَسَنِ رضى الله عنه
3705 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الحَكَمِ، سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، أَنَّ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ، شَكَتْ مَا تَلْقَى مِنْ أَثَرِ الرَّحَا، فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْيٌ، فَانْطَلَقَتْ فَلَمْ تَجِدْهُ، فَوَجَدَتْ عَائِشَةَ فَأَخْبَرَتْهَا، فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ بِمَجِيءِ فَاطِمَةَ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْنَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا، فَذَهَبْتُ لِأَقُومَ، فَقَالَ: «عَلَى مَكَانِكُمَا» . فَقَعَدَ بَيْنَنَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلَى صَدْرِي، وَقَالَ: «أَلاَ أُعَلِّمُكُمَا خَيْرًا مِمَّا سَأَلْتُمَانِي، إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا تُكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ، وَتُسَبِّحَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ، وَتَحْمَدَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ»
হাদীস নং: ৩৪৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০৬
২০৮৮. আবুল হাসান আলী ইবনে আবু তালিব কুরাইশী হাশিমী (রাযিঃ)- এর মর্যাদা
৩৪৪১। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... সা‘দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) (তাবূক যুদ্ধের প্রাক্কালে) আলী (রাযিঃ)- কে বলেছিলেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, যেভাবে হারূন (আলাইহিস সালাম) মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর প্রতিনিধিত্বের মর্যাদা লাভ করেছিলেন, তুমিও আমার নিকট সেই মর্যাদা লাভ কর।
باب مَنَاقِبُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الْقُرَشِيِّ الْهَاشِمِيِّ أَبِي الْحَسَنِ رضى الله عنه
3706 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِيٍّ: «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ، مِنْ مُوسَى»
হাদীস নং: ৩৪৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০৭
২০৮৮. আবুল হাসান আলী ইবনে আবু তালিব কুরাইশী হাশিমী (রাযিঃ)- এর মর্যাদা
৩৪৪২। আলী ইবনুল জা‘দ (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা পূর্ব থেকে যেভাবে ফয়সালা করে আসছ সেভাবেই কর, কেননা পারস্পরিক বিবাদ আমি অপছন্দ করি, যেন সকল লোক এক দল ভুক্ত হয়ে থাকে। অথবা আমি এমতাবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় হই যেভাবে আমার সাথীগণ দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। (মুহাম্মাদ) ইবনে সীরীন (রাহঃ) এ ধারণা পোষণ করতেন যে, আলী (রাযিঃ)- এর (১ম খলীফা হওয়া সম্পর্কে) যে সব কথা তার থেকে (রাফেযী সম্প্রদায় কর্তৃক) বর্ণিত তার অধিকাংশই ভিত্তিহীন।
باب مَنَاقِبُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الْقُرَشِيِّ الْهَاشِمِيِّ أَبِي الْحَسَنِ رضى الله عنه
3707 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الجَعْدِ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «اقْضُوا كَمَا كُنْتُمْ تَقْضُونَ، فَإِنِّي أَكْرَهُ الِاخْتِلاَفَ، حَتَّى يَكُونَ لِلنَّاسِ جَمَاعَةٌ، أَوْ أَمُوتَ كَمَا مَاتَ أَصْحَابِي» فَكَانَ ابْنُ سِيرِينَ: «يَرَى أَنَّ عَامَّةَ مَا يُرْوَى عَنْ عَلِيٍّ الكَذِبُ»